শিরোপা না জিতলেও জিতেছেন এমবাপ্পেরা

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

যেন বিরানভূমি। উষ্ণ মরুভূমিতে পথ হারানো পথিকের মতো উদভ্রান্ত ও এলোমেলো। ফাইনালের ফ্রান্স দলকে দেখে এমনটাই মনে হচ্ছিল বারবার। নিজেদের হারিয়ে ফেরা দলটি দুই গোল হজম করেই ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই যে দুর্ধর্ষ ফরাসিদের দেখা গিয়েছিল, ফাইনালের দিনে লুসাইলে যেন হারিয়ে গেল ফরাসিদের সেই সোনার কাঠি।

চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দুর্দান্ত প্রতাপ নিয়ে মাঠে এসেছিল ফ্রান্স। মাঠ ও মাঠের বাইরে ফরাসিদের রুখে দেওয়ার মতো কেউ ছিলই না, তাদের হারিয়ে খুঁজতে হয়েছে লুসাইলে। ম্যাচ জুড়ে রাজত্বই করেছে লাতিন সৌন্দর্যের মুখপাত্র আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে আর্জেন্টাইনদের কাছে যেন পাত্তাই পেল না। প্রথমার্ধে শেষে এক ভাঙাচোরা ফ্রান্সকে দেখে মায়াই হচ্ছিল। 

দ্বিতীয়ার্ধে তারা ফিরে এল স্বরূপে। যেন ফিনিক্স পাখি। ৯০ মিনিটের খেলা ফুটবল যখন মানসিক চাপকে ডিঙিয়ে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন রূপে দেখা দেয় ৮০ মিনিটে। ওতামেন্দির করা ফাউল থেকে এমবাপ্পের নিজের মত গতিতে করা পেনাল্টিই ম্যাচে ফেরায় ফ্রান্সকে। আর পুরো দলই যেন জেগে উঠে ফিনিক্স পাখির মতো। ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আবারও চ্যাম্পিয়নদের রূপ দেখিয়ে এক মিনিট পরই সমতায় ফেরায় এমবাপ্পে। যেন মেসির সামনে তার চেয়ে আরও বড় এক তারকার উত্থান নিশ্চিত করা বার্তা।

তবুও যেন বাকি ছিল নাটকীয়তা। আর্জেন্টিনার অতিরিক্ত সময়ের জন্য জমিয়ে রাখা শক্তি পুনরুজ্জীবিত করে দেন মেসি। কিন্তু যে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এসেছে ফ্রান্স, তারা কি এতেই হেরে যাবে? মোটেই না। সে কথার প্রমাণ রেখে ২ মিনিট বাকি থাকতে আবারও সমতায় ফেরে ফ্রান্স। বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে কমবয়সী হয়ে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড করেন ফ্রান্সের আরেক মহাতারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় নিয়ে আর্জেন্টিনা মাঠ ছাড়লেও অপরাজিত ও লড়াকু শক্তির দুর্দমনীয় প্রমাণ রেখে ফুটবলকেই জিতিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। তাদের হাতেই তোলা থাকল সেরা ফুটবলে সৌন্দর্যের প্রতীক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত