বোরহান জাবেদ
ঢাকা: পোর্তোয় ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপসেরা হয়েছে চেলসি। ৯ বছর পর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে লা-ব্লুজরা। চার মাস আগে দায়িত্ব পেয়ে চেলসি কোচ টমাস টুখেল এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রে। চেলসির সাফল্যে আছেন আরও একজন—রোমান আব্রামোভিচ। এই রাশিয়ান ধনকুবের শুধু কোচ ছাঁটাই করেই ‘বিখ্যাত’ নন, ট্রফি জিতেও!
আব্রামোভিচের মালিকানায় ১৭ বছরে ১৯টি ট্রফি জিতেছে চেলসি। ২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা কিনে নেন রাশিয়ান ধনকুবের। তখনো চেলসির ইতিহাস এতটা সমৃদ্ধ নয়। ক্লাব ইতিহাসের নিজেদের প্রথম ৯৮ বছরে ৬টি শিরোপা জেতা ইংলিশ ক্লাবটি আব্রামোভিচের মালিকানায় পরের ১৭ বছরে ১৯টি ট্রফি ঘরে তুলেছে। কীভাবে সম্ভব হলো চেলসির এই বদলে যাওয়া? ফুটবলের প্রতি আব্রামোভিচের আগ্রহই–বা কীভাবে সৃষ্টি হলো?
২০০২ সালের শুরুর দিকের কথা। আব্রামোভিচ একদিন ভাবলেন, তাঁর নতুন আগ্রহগুলো একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্যবসার কাজে সব সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে হয় তাঁকে। হঠাৎ একদিন একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেলেন আব্রামোভিচ। খেলা দেখতে দেখতেই খেয়াল করলেন, মনের মধ্যে কেমন একটা উত্তেজনা অনুভব করছেন। দর্শক সারিতে বসা অন্য দর্শকদের দিকে একচোখ তাকিয়ে দেখলেন। খেলাটার প্রতি দর্শকদের আবেগ বুঝতে একটুও সময় নেননি। তখনই ঠিক করলেন, এই খেলাটার অংশ হতে হবে তাঁকেও। তবে একটু অন্যভাবে। কিনতে চান কোনো ক্লাব।
যে ভাবা সেই কাজ। নেমে পড়লেন ক্লাবের খোঁজে। ২০০৩ সালের ১ জুলাই ব্রিটিশ পত্রপত্রিকার খবর চেলসিকে কিনে নিয়েছেন এক রাশিয়ান ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ীর নাম রোমান আব্রামোভিচ। শুরু থেকেই ক্লাবের একটা ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন আব্রামোভিচ। এতে দরকার ছিল বড় অঙ্কের বিনোয়োগ। ক্লাবকে পরিচিত করে তুলতে দরকার ছিল বড় তারকা। দলবদলের বাজার সেই বিনোয়োগটা করেছেন আব্রামোভিচ। খেলোয়াড-কোচদের সর্বোচ্চ সুযোগ–সুবিধা দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি তিনি। তার ফলও পেয়েছেন দ্রুতই।
আব্রামোভিচ চেলসির মালিকানা পাওয়ার আগে একবারও ইউরোপসেরার ট্রফি জেতেনি ইংলিশ ক্লাবটি। সেই চেলসির ট্রফি শোকেসে এখন দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি শোভা পাচ্ছে। ২০০৩ সালের আগে একবার লিগ ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছিল চেলসি। এখন সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ছয়ে। লিগে চেলসির ৮৩.৩ শতাংশ সাফল্যই এসেছে আব্রামোভিচের মালিকানায়।
২০০৩ সালের আগে ইংল্যান্ড ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে পুরোনো আসর এফএ কাপ চেলসি জিতেছিল তিনবার। এখন চেলসির এফএ কাপের সংখ্যা ৮। চেলসি ইংলিশ লিগ কাপ ট্রফি জিতেছে পাঁচবার, যার তিনটিই ২০০৩ সালের পর।
১১৬ বছরের ক্লাব ইতিহাসে পাঁচবার মৌসুমে ডাবল জিতেছে চেলসি, যার সর্বশেষটি আসে ২০১২ সালে। সেবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি জিতেছিল তারা। সেই মৌসুমে এফএ কাপের শিরোপাও জিতেছিল চেলসি। মৌসুমে পাঁচ ডাবলের চারটিই এসেছে আব্রামোভিচের মালিকানায়।
দর্শকের যে আগ্রহ আব্রামোভিচকে আগ্রহী করে তুলেছিল, সেখানেও পিছিয়ে নেই চেলসি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে উঠেছে চেলসির ৫০০ অফিশিয়াল সমর্থক ক্লাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি অনুসারী আছে ইংলিশ ক্লাবটির। ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ডে (১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা) কিনেছিলেন চেলসি, যেখানে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৯০০ কোটি টাকা) ঋণ ছিল। সেই চেলসির বর্তমান বাজারমূল্য ২ বিলিয়ন (২৪ হাজার কোটি টাকা)।
ঢাকা: পোর্তোয় ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ইউরোপসেরা হয়েছে চেলসি। ৯ বছর পর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে লা-ব্লুজরা। চার মাস আগে দায়িত্ব পেয়ে চেলসি কোচ টমাস টুখেল এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রে। চেলসির সাফল্যে আছেন আরও একজন—রোমান আব্রামোভিচ। এই রাশিয়ান ধনকুবের শুধু কোচ ছাঁটাই করেই ‘বিখ্যাত’ নন, ট্রফি জিতেও!
আব্রামোভিচের মালিকানায় ১৭ বছরে ১৯টি ট্রফি জিতেছে চেলসি। ২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা কিনে নেন রাশিয়ান ধনকুবের। তখনো চেলসির ইতিহাস এতটা সমৃদ্ধ নয়। ক্লাব ইতিহাসের নিজেদের প্রথম ৯৮ বছরে ৬টি শিরোপা জেতা ইংলিশ ক্লাবটি আব্রামোভিচের মালিকানায় পরের ১৭ বছরে ১৯টি ট্রফি ঘরে তুলেছে। কীভাবে সম্ভব হলো চেলসির এই বদলে যাওয়া? ফুটবলের প্রতি আব্রামোভিচের আগ্রহই–বা কীভাবে সৃষ্টি হলো?
২০০২ সালের শুরুর দিকের কথা। আব্রামোভিচ একদিন ভাবলেন, তাঁর নতুন আগ্রহগুলো একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্যবসার কাজে সব সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে হয় তাঁকে। হঠাৎ একদিন একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে গেলেন আব্রামোভিচ। খেলা দেখতে দেখতেই খেয়াল করলেন, মনের মধ্যে কেমন একটা উত্তেজনা অনুভব করছেন। দর্শক সারিতে বসা অন্য দর্শকদের দিকে একচোখ তাকিয়ে দেখলেন। খেলাটার প্রতি দর্শকদের আবেগ বুঝতে একটুও সময় নেননি। তখনই ঠিক করলেন, এই খেলাটার অংশ হতে হবে তাঁকেও। তবে একটু অন্যভাবে। কিনতে চান কোনো ক্লাব।
যে ভাবা সেই কাজ। নেমে পড়লেন ক্লাবের খোঁজে। ২০০৩ সালের ১ জুলাই ব্রিটিশ পত্রপত্রিকার খবর চেলসিকে কিনে নিয়েছেন এক রাশিয়ান ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ীর নাম রোমান আব্রামোভিচ। শুরু থেকেই ক্লাবের একটা ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন আব্রামোভিচ। এতে দরকার ছিল বড় অঙ্কের বিনোয়োগ। ক্লাবকে পরিচিত করে তুলতে দরকার ছিল বড় তারকা। দলবদলের বাজার সেই বিনোয়োগটা করেছেন আব্রামোভিচ। খেলোয়াড-কোচদের সর্বোচ্চ সুযোগ–সুবিধা দিতে কোনো কার্পণ্য করেননি তিনি। তার ফলও পেয়েছেন দ্রুতই।
আব্রামোভিচ চেলসির মালিকানা পাওয়ার আগে একবারও ইউরোপসেরার ট্রফি জেতেনি ইংলিশ ক্লাবটি। সেই চেলসির ট্রফি শোকেসে এখন দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি শোভা পাচ্ছে। ২০০৩ সালের আগে একবার লিগ ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছিল চেলসি। এখন সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ছয়ে। লিগে চেলসির ৮৩.৩ শতাংশ সাফল্যই এসেছে আব্রামোভিচের মালিকানায়।
২০০৩ সালের আগে ইংল্যান্ড ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে পুরোনো আসর এফএ কাপ চেলসি জিতেছিল তিনবার। এখন চেলসির এফএ কাপের সংখ্যা ৮। চেলসি ইংলিশ লিগ কাপ ট্রফি জিতেছে পাঁচবার, যার তিনটিই ২০০৩ সালের পর।
১১৬ বছরের ক্লাব ইতিহাসে পাঁচবার মৌসুমে ডাবল জিতেছে চেলসি, যার সর্বশেষটি আসে ২০১২ সালে। সেবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি জিতেছিল তারা। সেই মৌসুমে এফএ কাপের শিরোপাও জিতেছিল চেলসি। মৌসুমে পাঁচ ডাবলের চারটিই এসেছে আব্রামোভিচের মালিকানায়।
দর্শকের যে আগ্রহ আব্রামোভিচকে আগ্রহী করে তুলেছিল, সেখানেও পিছিয়ে নেই চেলসি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে উঠেছে চেলসির ৫০০ অফিশিয়াল সমর্থক ক্লাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় ১০ কোটি অনুসারী আছে ইংলিশ ক্লাবটির। ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ডে (১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা) কিনেছিলেন চেলসি, যেখানে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৯০০ কোটি টাকা) ঋণ ছিল। সেই চেলসির বর্তমান বাজারমূল্য ২ বিলিয়ন (২৪ হাজার কোটি টাকা)।
২০ মিনিটের ব্যবধানে আইপিএল পেল সবচেয়ে দামি নতুন ক্রিকেটার। আজ জেদ্দার আবাদি আল জোহার অ্যারেনায় প্রথমে ইতিহাস গড়ে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে ভেড়ায় পাঞ্জাব কিংস। গতবারের নিলামে সব থেকে বেশি দামি ক্রিকেটার হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে অস্ট্রেলিয়ার পেসারকে দলে নিয়েছিল কলকাতা নাইট
১ ঘণ্টা আগেএভাবেও ফিরে আসা যায়—পার্থে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীরই এই গান মনে পড়বে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে রানের পাহাড়। যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি করেছেন সেঞ্চুরি। পার্থ টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার এখন করতে হবে অলৌকিক কিছুই।
২ ঘণ্টা আগেস্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারলেন বিরাট কোহলি। কিছু মুহূর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। একটু পর বুঝতে পারলেন তাঁর সেঞ্চুরির ঘটনা। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর ব্যাট উঁচিয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিয়েছেন। তাতে ছাড়িয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্যার ডন ব্রাডম্যানকে।
৩ ঘণ্টা আগেমিরপুরে গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ‘ক্লোজড ডোর’ অনুশীলনের কারণে সিরিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। বিসিবি একাডেমি মাঠে আলাদা ব্যবস্থা থাকলেও গতকাল সফরকারীরা আইরিশরা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন...
৪ ঘণ্টা আগে