Ajker Patrika

হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের গড়ার স্বপ্ন বাবা হাকিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১: ৫৭
হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের গড়ার স্বপ্ন বাবা হাকিমের

সাইডলাইনের বাইরে থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন গলা ফাটিয়ে। কখনো সেটা ইংরেজিতে, আবার কখনো আরবিতে। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের সঙ্গে খেলতে দেখে খানিকটা বিরক্তও। ছেলের দল যেমন ভালো করলে হাততালি দিচ্ছেন, খারাপ খেললে হচ্ছেন হতাশ। সবকিছু মিলিয়ে ভিনদেশি মানুষটা কাড়লেন আগ্রহ।

সামনে আগ বাড়িয়ে জানতে চাইলে ভদ্রলোক নিজেকে পরিচয় দিলেন মরোক্কান হিসেবে। মরক্কো! কাতার বিশ্বকাপে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনাল খেলার পর থেকেই দেশটিকে ঘিরে কৌতূহল সব দেশেই। সেই দেশের একজন ফুটবলপ্রেমীর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ার আগ্রহের জন্ম হওয়াই স্বাভাবিক!

ফর্টিস গ্রুপের মাঠে গতকাল ৯টি যুব একাডেমি নিয়ে হয়েছে ফর্টিস ফুটবল একাডেমি ইয়ুথ কাপ। ১০ বছরের ইলিয়াস ও ৮ বছর বয়সী ইসমাইলকে টুর্নামেন্টে খেলতে নিয়ে এসেছিলেন হাকিম মাহবুবুস। জাতিতে মরোক্কান হলেও স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে হাকিমের বসবাস ডেনমার্কে। ড্যানিশ দূতাবাসে কর্মরত স্ত্রীর সুবাদেই মূলত ছয় মাস আগে বাংলাদেশে আসা। আগামী গ্রীষ্মে আবার পাড়ি জমাবেন অন্য কোনো দেশে।

মধ্যবয়সী হাকিম ফুটবলকেই করেছেন তাঁর পেশা। খেলেছেন ডেনমার্ক, সুইডেন, পোল্যান্ডের ক্লাবে। ফুটবল ছাড়ার পর এখন শখের কোচ। বাংলাদেশে এসেও বেকার বসে নেই। বাংলাদেশে থাকা ভিনদেশি কিশোরদের শেখাচ্ছেন ফুটবল। আবার নিজের ছেলেদেরও দিচ্ছেন ফুটবলের তালিম। ফর্টিসের যুব একাডেমিতে নিয়মিত ছেলেদের ফুটবল খেলাতে নিয়ে আসেন। সেই সুবাধেই একাডেমি ইয়ুথ কাপে খেলেছে তাঁর দুই ছেলে।

৮ বছর বয়সী ইসমাইল ঠিকঠাক পার করে গেলেও ১৫ বছর বয়সী বড়দের সঙ্গে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছে না দেখে খানিকটা বিরক্তই হচ্ছিলেন হাকিম। পাঁচ বছরের বড় ছেলেদের সঙ্গে কেন খেলতে হচ্ছে ছেলেকে সেই উত্তরটাই খুঁজছিলেন তিনি। পরে অবশ্য নিজেই উত্তরটা দিলেন। জানালেন, মাঠ সংকটে বয়সভিত্তিক একাডেমির ভীষণ অভাব ঢাকায়। আর সংকটের কারণেই দল গড়াটাও কঠিন। এ কারণেই তাঁর ছেলেকে খেলতে হচ্ছে বড়দের সঙ্গে। পরামর্শ দিলেন কৃত্রিম টার্ফ বসিয়ে মাঠের ব্যবস্থাও করার।

বাংলাদেশে এসেছেন মাত্র ছয় মাস, কিন্তু হাকিম এরই মধ্যে ধরতে পেরেছেন বাংলাদেশের ফুটবলের রোগটাও। মাঠের দুই প্রান্তের গোলরক্ষকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গোলরক্ষকদের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বলে অহেতুক শট নেওয়া বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে দেখেছি ফুটবলাররা লম্বা লম্বা শটে খেলে। এই যে বাচ্চারা খেলছে, এদের বল কীভাবে পায়ে রাখতে হয় সেটাও শেখাতে হবে। মাঠজুড়ে বল নিয়ে খেলতে হবে। আর বয়স অনুযায়ী সঠিক দল গড়তে হবে।’

কথা প্রসঙ্গে এল বিশ্বকাপে মরক্কোর সাফল্যের কথাও। দেশকে সেমিফাইনালে খেলতে দেখাটা তাঁর কাছেও ছিল চমকের মতো। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশদের শেষ চারে খেলার পেছনে কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি আর মরক্কোর ফুটবল ব্যবস্থারই প্রশংসা করলেন তিনি, ‘কোচ নিজেও জাতীয় দলে খেলেছেন। তিনি ফুটবলারদের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে এনেছেন। এই দলটার অনেকেই মরক্কোর বাইরে জন্মেছে। কিন্তু কোচ সবার মধ্যে মরক্কোর জন্য ভালোবাসা তৈরি করে দিতে পেরেছেন। যাদের অন্য দেশে জন্ম তারাও মরক্কোর সংস্কৃতি নিজেদের ভেতরে ধারণ করে, ভালোবাসে। আর মরক্কোতেও ফুটবলের ব্যবস্থা দারুণ। তিনটি বেশ ভালো একাডেমি আছে সেখানে। ভালো মানের ফুটবলার তৈরি হচ্ছে নিয়মিত।’

অন্য দেশে জন্মালেও মরোক্কানদের স্বদেশপ্রেম প্রবল বলে জানালেন হাকিম। তিনি নিজেও জন্মেছেন সুইডেনে। থাকেন ডেনমার্কে। কিন্তু আরবি বলতে পারেন অনর্গল। ছেলেদের সঙ্গেও আছে আরবির চর্চা। হাকিমি-জিয়েশদের মতো ছেলেদের বিশ্বমানের ফুটবলার বানানোর স্বপ্ন হাকিমের। সেই স্বপ্নে খানিকটা বাধা পরেছে বাংলাদেশে উন্নত ফুটবল অবকাঠামো না থাকায়। তাই ইউরোপে ফিরে ছেলেদের নিয়ে স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আবারও নেমে পড়তে চান শখের এই কোচ, ‘ইউরোপে যখন আমরা থাকি, তখন চেষ্টা করি ছেলেদের কঠোর অনুশীলনে রাখার। বাংলাদেশে অবকাঠামোর অভাব আছে ঠিকই, কিন্তু কিছু করার নেই। ইউরোপে ফিরে গেলে আবার আমরা অনুশীলনে নেমে পড়ব। আমার ছেলেরা যদি কখনো জাতীয় দলে খেলতে পারে সেটাই হবে আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫৮ রান তাড়া করে জিতে ব্রিসবেনের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো
ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইলডারমুথের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান তাড়া করে জিতেছে ব্রিসবেন হিট। ছবি: ক্রিকইনফো

গায়ের জোরে জেতা যাকে বলে, ঠিক তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল আজ বিগ ব্যাশে। গ্যাবায় পার্থ স্কর্চার্সের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল হাতে রেখে তাড়া করে নতুন ইতিহাস গড়েছে ব্রিসবেন হিট। বিগ ব্যাশে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড নেই আর কারও।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রান তাড়ায় দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ম্যাট রেনশ ও জ্যাক উইল্ডারমুথ ২১২ রানের জুটি গড়ে হিটকে আট উইকেটের জয় এনে দেন। বিগব্যাশে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা পার্থ স্করচার্স ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। ফিন অ্যালেন (৩৮ বলে ৭৯) ও কুপার কনোলি (৩৭ বলে ৭৭) দুজনে মিলে ১৪টি ছক্কায় সাজানো ঝোড়ো ১৪২ রানের জুটি গড়েন।

শেষদিকে নিক হবসন অপরাজিত ৪৮ রান করে ইনিংসের ফলে হিটের সামনে দাঁড়ায় প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য। রান তাড়ার প্রথম বলেই অধিনায়ক জাই রিচার্ডসনের বলে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফিরলেও কলিন মনরোর দলটি বিচলিত হয়নি। রেনশ ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা; ১০১ রানে তিনি রানআউট হন। উইল্ডারমুথ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। মাত্র ৫৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের এই ইনিংসে তিনি ছিলেন বিধ্বংসী। সব মিলিয়ে ৩৬ ছক্কার দেখা মিলেছে এই ম্যাচে; বিগ ব্যাশে আগে কখনো ঘটেনি তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেই দুবাইয়ে ফের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি
২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পরশু মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। ছবি: এসিসি

খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দুবাইয়ের আরেক স্টেডিয়ামে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান।

ভারত-পাকিস্তান এবারও মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়া কাপ ফাইনালে। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টটা মূলত বয়সভিত্তিক। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পরশু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আজ দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে এক সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। একই শহরের আরেক মাঠ আইসিসি একাডেমিতে আরেক সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেসেখেলে জিতেছে ভারত।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে কোনোটাই সময়মতো শুরু হয়নি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছে ২৭ ওভারে। অন্যদিকে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালটা হয়েছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজ ২০ ওভারে ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে একটু চাপে পড়ে ভারত। ৩.৩ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রানে পরিণত হয় আয়ুশ মাত্রের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক মাত্রে (৭), বৈভব সূর্যবংশী (৯) দুই ওপেনারই এক অঙ্কের ঘরে রান করে আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে এরপর ঢাল হয়ে দাঁড়ান অ্যারন জর্জ, বিহান মালহোত্রা। তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন তাঁরা (জর্জ-মালহোত্রা)। ২ ওভার হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারত।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ে দুই ভারতীয় জর্জ ও মালহোত্রা ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালহোত্রা। জর্জ ৪৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাসিত নিমসারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন চামিকা হিনাতিগালা। ভারতের হেনিল প্যাটেল, কনিষ্ক চৌহান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন কিশান সিংহ, দিপেশ দেবেন্দ্রন ও খিলান প্যাটেল।

ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫১
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন সামির মিনহাস-উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (মিনহাস-উসমান)। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে উসমানকে (২৭) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিস্ফোরক জুটি ভাঙেন সামিউন বশির রাতুল। পাকিস্তানের এই ম্যাচ জিততে এরপর আর কোনো অসুবিধা হয়নি। ৬৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৬ বলে ৩৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন আহমেদ হুসেইন-সামির। ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের বাউন্সার আম্পায়ার ওয়াইড ঘোষণা করলে পাকিস্তান উঠে যায় ফাইনালে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের আব্দুল সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

ভারত এর আগে আটবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে একবার। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল টাই হলে যৌথভাবে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সময় পরশু সকাল ১১টায় ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত