গোলখরা কাটানো হালান্ডকে ক্ষুধার্ত বলছেন গার্দিওলা

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১১: ১৯
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২: ৩১

বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে আসা আর্লিং হালান্ডকে একটু অচেনাই লাগছিল। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ যে তিনি খেলেছেন, তাতে কোনো গোল করতে পারেননি। গত রাতে সেই গোলখরা কাটালেন হালান্ড। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে ম্যানচেস্টার সিটি দারুণ জয় পেয়েছে। হালান্ডের এমন পারফরম্যান্সে প্রশংসা ঝরেছে ম্যান সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার কণ্ঠে। 

ওয়ানকডর্ফ স্টেডিয়ামে জি গ্রুপের ম্যাচে গত রাতে ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ ছিল ইয়াং বয়েজ। ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে খেলেছে ম্যান সিটি। ৬৯ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর ১৪টি শট করেছিল সিটিজেনরা। তবে ইয়াং বয়েজ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ৩টিকে গোলে পরিণত করতে পেরেছে সিটিজেনরা। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জিতেছে ৩-১ ব্যবধানে। জোড়া গোল করেছেন হালান্ড, যার মধ্যে ৬৭ মিনিটে গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। এরপর ৮৬ মিনিটে রদ্রির অ্যাসিস্টে গোল করেছেন হালান্ড। এর আগে ৪৮ মিনিটে ম্যান সিটির প্রথম গোলটি করেছেন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। 

হালান্ডের নামের পাশে জোড়া গোল থাকলেও তিনি বেশ দাপট দেখিয়ে খেলেছেন। ম্যান সিটি স্ট্রাইকারের বেশ কিছু নিশ্চিত গোল সেইভ করেছেন ইয়াং বয়েজের গোলরক্ষক। ইয়াং বয়েজের রক্ষণভাগের দারুণ পরীক্ষা দিতে হয়েছে হালান্ডকে সামলাতে। হালান্ডের গোলের জন্য এমন ক্ষুধার্ত মনোভাব দেখে মুগ্ধ হয়েছেন গার্দিওয়া। ম্যান সিটি কোচ বলেন, ‘মৌসুমে এই মুহূর্তে এসে সে (হালান্ড) আগের চেয়ে অনেক ভালো খেলছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ মানেই সে। তার মতো ক্ষুধার্ত খেলোয়াড়কে দেখে আমরা সত্যিই খুব খুশি। সে খুব বিনয়ী। সে সত্যিই খুব পেশাদার। দারুণ এক প্রতিযোগী সে।’ 

২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যান সিটিতে এসেই গোলের বন্যা বইয়ে দেন হালান্ড। ক্লাবটিতে নিজের প্রথম মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে ৫৩ ম্যাচে করেছেন ৫২ গোল। পাঁচটি হ্যাটট্রিক করেছেন, যার মধ্যে চারটি ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর একটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে। প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৬ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা হালান্ডের ওপর প্রত্যাশার চাপ একটু বেশি ছিল বলে মনে করেন গার্দিওলা। এ ব্যাপারে ম্যান সিটি কোচ বলেন, ‘গত মৌসুমে সে (হালান্ড) যেমন খেলেছে, সে জন্য তার ওপর তখন থেকেই অনেক চাপ ছিল। তাকে প্রতি ম্যাচে সাতটি করে গোল করতে হতো,, যা একরকম অসম্ভব। ৫২ গোল করার পর লোকেরা তাঁকে ব্যর্থ হতে দেখতে চাইছিল।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত