জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকা
প্রশ্ন: খেলার মানুষ আপনি। দীর্ঘদিন ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন, সফল গোলকিপারও। কিন্তু ফুটবল ছেড়ে কেন রাজনীতিকে বেছে নিলেন?
আমিনুল হক: ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে, তখন আমার বয়স ১১ কি ১২ হবে। মনে আছে, সে সময় বিজয় মিছিল করেছিলাম পল্লবীতে। তখন থেকে বিএনপি ও জিয়াউর রহমানের প্রতি একটা ভালো লাগা, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে। অন্য রকম অনুভূতি কাজ করত জিয়া পরিবারের জন্য। সেখান থেকে বিষয়টা লালন করতে থাকি। যখন ফুটবল থেকে বিদায় নিই, তখন চিন্তা করেছি, যেহেতু এত দিন দেশের মানুষের জন্য খেলেছি, ভবিষ্যতে দেশের মানুষের পাশে থেকে কিছু করা যায় কি না, সেই চিন্তাভাবনা থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিই। এভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো। আর যেদিন থেকে রাজনীতিতে যোগ দিই, চেষ্টা করেছি সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানকে হত্যা মামলার আসামি করা নিয়ে অনেক আলোচনা। আপনাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। বহু রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে আপনার বিরুদ্ধে। একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমনটা হওয়া কতটা সমীচীন?
আমিনুল: দেখুন, প্রায় ১৭ বছর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে যেসব মামলা দিয়েছে, সবই তো মিথ্যা, বানোয়াট, সাজানো। নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার নামে ৪২টার ওপরে মামলা আছে, এগুলোর একটারও ভিত্তি নেই। আমরা তো আর গাড়ি ভাঙচুর করিনি, বোমা ফাটাইনি কিংবা মেট্রোরেলে বা সেতু ভবনে আগুন দিইনি। এ ধরনের হাজার হাজার মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। আসলে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বছরের পর বছর এমন বহু মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি চাই না এ ধরনের মিথ্যা মামলার শিকার আর কেউ হোক। আর কেউ যদি অপরাধী হয়, তার বিচার হোক, সেটা আমরা চাই। এখন হচ্ছে কী, এই স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে ছাত্রদের আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে, যেভাবে হত্যা করেছে, এটা তো শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সকল এমপি-মন্ত্রীর নির্দেশনায় হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার জন্য তারা সবাই দায়ী, তাই না? সেদিক থেকে যদি চিন্তা করি, সাকিব বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তার বোঝা উচিত ছিল, আমাকে তো বাংলাদেশের মানুষ একভাবে চেনে। আমরা জানি, আওয়ামী সরকার জনগণের ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে—এই ধরনের একটি সংসদে সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড়ের এমপি হওয়া—এটাই ছিল তার বড় অপরাধ। তার ভাবা উচিত ছিল, যেখানে তাকে মানুষ ভিন্নভাবে চেনে, সেখানে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার চেয়ে না হওয়া তো ভালো ছিল। শেষ পর্যন্ত দেখুন, শেখ হাসিনার দাম্ভিকতা, স্বৈরাচারী ক্ষমতার পতন হয়েছে। আর সেই সংসদে সাকিব-মাশরাফির থাকা—এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভালোভাবে নেয়নি। আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, গত ১৫ বছর আমি বহু মামলার শিকার হয়েছি, হয়রান করা হয়েছে, রক্তাক্ত করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন। এমন কিছু কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে হোক, কখনোই চাই না।
প্রশ্ন: রাজনীতির মাঠে যদি গোলকিপারের মতো কোনো দায়িত্ব পান, নেবেন? এই ধরুন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা বাফুফে সভাপতি...।
আমিনুল: এটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। দেশের অবস্থা, সবকিছুতে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক। আমার যেটা প্রত্যাশা, বাংলাদেশের মানুষ একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। দেখুন, এই কয়েক বছরে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়েছে, অনেকে জীবন দিয়েছে। এখন চাওয়া, সবাই ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পাক, এ দেশের জনগণই বেছে নেবে সেটা। তারাই সব ক্ষমতার মালিক। তারপর কী পাব না পাব, সেটা দেখা যাবে। এখন আপাতত এটা নিয়ে ভাবছি না।
প্রশ্ন: ক্রীড়াঙ্গন এখন অনেকটাই স্থবির। ক্রিকেট-ফুটবল বাদে আর কিছুই ঠিকঠাক চলছে না। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
আমিনুল: এত বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটাতে আমাদের বহু নেতা-কর্মী গুম, খুন এবং হত্যার শিকার হয়েছে। ছাত্র, সাধারণ মানুষ এবং বিএনপি নেতা-কর্মী নির্যাতিত, খুন হয়েছে। এত বড় একটা দুর্যোগের পর স্থবিরতা থাকাটা স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। ক্রিকেটে পরিবর্তন হয়েছে, ফুটবলেও হবে। এভাবে ধীরে ধীরে ক্রীড়াঙ্গনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।
প্রশ্ন: আপনি ভবিষ্যতে কেমন ক্রীড়াঙ্গন চান?
আমিনুল: এককথায় যদি বলি, দুর্নীতিমুক্ত, রাজনীতির প্রভাবের বাইরে সুন্দর একটা ক্রীড়াঙ্গন চাই। যেখানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক লোকজন থাকবে না, যেখানে মাঠের মানুষ থাকবে। যারা গত ১৭ বছর বঞ্চিত হয়েছে, তারা থাকবে; খেলার মানুষ থাকবে।
প্রশ্ন: খেলার মানুষ আপনি। দীর্ঘদিন ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন, সফল গোলকিপারও। কিন্তু ফুটবল ছেড়ে কেন রাজনীতিকে বেছে নিলেন?
আমিনুল হক: ১৯৯১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে, তখন আমার বয়স ১১ কি ১২ হবে। মনে আছে, সে সময় বিজয় মিছিল করেছিলাম পল্লবীতে। তখন থেকে বিএনপি ও জিয়াউর রহমানের প্রতি একটা ভালো লাগা, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে। অন্য রকম অনুভূতি কাজ করত জিয়া পরিবারের জন্য। সেখান থেকে বিষয়টা লালন করতে থাকি। যখন ফুটবল থেকে বিদায় নিই, তখন চিন্তা করেছি, যেহেতু এত দিন দেশের মানুষের জন্য খেলেছি, ভবিষ্যতে দেশের মানুষের পাশে থেকে কিছু করা যায় কি না, সেই চিন্তাভাবনা থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিই। এভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো। আর যেদিন থেকে রাজনীতিতে যোগ দিই, চেষ্টা করেছি সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার।
প্রশ্ন: সাকিব আল হাসানকে হত্যা মামলার আসামি করা নিয়ে অনেক আলোচনা। আপনাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। বহু রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলা হয়েছে আপনার বিরুদ্ধে। একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমনটা হওয়া কতটা সমীচীন?
আমিনুল: দেখুন, প্রায় ১৭ বছর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে যেসব মামলা দিয়েছে, সবই তো মিথ্যা, বানোয়াট, সাজানো। নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার নামে ৪২টার ওপরে মামলা আছে, এগুলোর একটারও ভিত্তি নেই। আমরা তো আর গাড়ি ভাঙচুর করিনি, বোমা ফাটাইনি কিংবা মেট্রোরেলে বা সেতু ভবনে আগুন দিইনি। এ ধরনের হাজার হাজার মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। আসলে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বছরের পর বছর এমন বহু মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি চাই না এ ধরনের মিথ্যা মামলার শিকার আর কেউ হোক। আর কেউ যদি অপরাধী হয়, তার বিচার হোক, সেটা আমরা চাই। এখন হচ্ছে কী, এই স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে ছাত্রদের আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে, যেভাবে হত্যা করেছে, এটা তো শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সকল এমপি-মন্ত্রীর নির্দেশনায় হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার জন্য তারা সবাই দায়ী, তাই না? সেদিক থেকে যদি চিন্তা করি, সাকিব বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তার বোঝা উচিত ছিল, আমাকে তো বাংলাদেশের মানুষ একভাবে চেনে। আমরা জানি, আওয়ামী সরকার জনগণের ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে—এই ধরনের একটি সংসদে সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড়ের এমপি হওয়া—এটাই ছিল তার বড় অপরাধ। তার ভাবা উচিত ছিল, যেখানে তাকে মানুষ ভিন্নভাবে চেনে, সেখানে বিনা ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার চেয়ে না হওয়া তো ভালো ছিল। শেষ পর্যন্ত দেখুন, শেখ হাসিনার দাম্ভিকতা, স্বৈরাচারী ক্ষমতার পতন হয়েছে। আর সেই সংসদে সাকিব-মাশরাফির থাকা—এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভালোভাবে নেয়নি। আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, গত ১৫ বছর আমি বহু মামলার শিকার হয়েছি, হয়রান করা হয়েছে, রক্তাক্ত করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন। এমন কিছু কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে হোক, কখনোই চাই না।
প্রশ্ন: রাজনীতির মাঠে যদি গোলকিপারের মতো কোনো দায়িত্ব পান, নেবেন? এই ধরুন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা বাফুফে সভাপতি...।
আমিনুল: এটা নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। দেশের অবস্থা, সবকিছুতে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক। আমার যেটা প্রত্যাশা, বাংলাদেশের মানুষ একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। দেখুন, এই কয়েক বছরে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়েছে, অনেকে জীবন দিয়েছে। এখন চাওয়া, সবাই ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পাক, এ দেশের জনগণই বেছে নেবে সেটা। তারাই সব ক্ষমতার মালিক। তারপর কী পাব না পাব, সেটা দেখা যাবে। এখন আপাতত এটা নিয়ে ভাবছি না।
প্রশ্ন: ক্রীড়াঙ্গন এখন অনেকটাই স্থবির। ক্রিকেট-ফুটবল বাদে আর কিছুই ঠিকঠাক চলছে না। এ ব্যাপারে কী বলবেন?
আমিনুল: এত বছরের স্বৈরাচার সরকারকে হটাতে আমাদের বহু নেতা-কর্মী গুম, খুন এবং হত্যার শিকার হয়েছে। ছাত্র, সাধারণ মানুষ এবং বিএনপি নেতা-কর্মী নির্যাতিত, খুন হয়েছে। এত বড় একটা দুর্যোগের পর স্থবিরতা থাকাটা স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। ক্রিকেটে পরিবর্তন হয়েছে, ফুটবলেও হবে। এভাবে ধীরে ধীরে ক্রীড়াঙ্গনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।
প্রশ্ন: আপনি ভবিষ্যতে কেমন ক্রীড়াঙ্গন চান?
আমিনুল: এককথায় যদি বলি, দুর্নীতিমুক্ত, রাজনীতির প্রভাবের বাইরে সুন্দর একটা ক্রীড়াঙ্গন চাই। যেখানে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক লোকজন থাকবে না, যেখানে মাঠের মানুষ থাকবে। যারা গত ১৭ বছর বঞ্চিত হয়েছে, তারা থাকবে; খেলার মানুষ থাকবে।
বুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
২ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
২ ঘণ্টা আগেজেদ্দায় চলছে আইপিএলের নিলাম। সেখানে চমকে দিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, তাঁর দাম উঠেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে। তাঁর ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামের টেবিলে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে পেতে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পুরোনো দল কলকাতাই দলে নিয়েছে বড় অঙ্কে। ভেঙ্কাটেশকে দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ১৭ তম আসর শুরু ২৯ নভেম্বর থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও রানারআপ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
৪ ঘণ্টা আগে