Ajker Patrika

বসুন্ধরাকে হারিয়ে আবাহনীর ৩১ বছরের অপেক্ষার অবসান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২২: ০৭
বসুন্ধরাকে হারিয়ে আবাহনীর ৩১ বছরের অপেক্ষার অবসান

এক সারিতে আবাহনীর সব খেলোয়াড়ের গায়ে জার্সি নম্বরটা ঠিক ‘৮ ’। ১৮ বছর ধরে আবাহনীকে ঘর মানা প্রাণতোষ কুমার দাসের অবসরের মুহূর্তটা রাঙিয়ে রাখতেই আকাশি-নীলদের এই আয়োজন। হাতে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী আর গলায় ফুলের মালা জড়িয়ে ফুটবলকে বিদায় জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই মিডফিল্ডার। মাঠের বাইরে বসে দেখলেন প্রিয় দলের আক্ষেপ মোচনের এক জয়। 

স্বাধীনতার ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম স্বাধীনতা কাপ। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী লিমিটেড। পরের ৩০ বছরে স্বাধীনতা কাপের আট আসরে দুইবার ফাইনাল খেলেও স্বাধীনতা কাপের শিরোপা অধরাই ছিল আকাশি-নীলদের। লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৩১ বছরের সেই আক্ষেপ মেটাল মারিও লেমোসের দল। 

ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনীর দাপট কমাতে চান, ম্যাচের আগেরদিন এমনটাই বলেছিলেন আবাহনী কোচ মারিও লেমোস। জিততে চেয়েছিলেন দলের হয়ে প্রথম শিরোপাও। কোচের কথা সত্যি করে বসুন্ধরাকে ম্যাচে ফিরতেই দেয়নি আবাহনী। তপু বর্মণ, তারিক কাজীর মতো পরীক্ষিত ডিফেন্ডারদের না থাকায় বসুন্ধরার রক্ষণও ছিল বেশ নড়বড়ে। 

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ দেশের ঘরোয়া ফুটবলের দুই পরাশক্তির খেলা জমল ম্যাচের শুরু থেকেই। মাঠের উত্তর আর দক্ষিণ প্রান্তের গ্যালারি দখলে নিয়ে আবাহনী-বসুন্ধরাকে সমর্থন জোগাতে মাঠে এলেন ৮ হাজারের বেশি সমর্থকও। নিজ নিজ সমর্থকদের সমর্থনে দুই দলই খেলল আক্রমণাত্মক খেলা। 

পুলিশকে শেষ সময়ের গোলে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে বসুন্ধরা। কিন্তু সেই ম্যাচে দলটি হারিয়েছে তাদের আক্রমণের প্রাণ জোনাথন ফার্নান্দেজকে। ফাইনালে জোনাথনের পরিবর্তে শুরু থেকেই খেললেন ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফল। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের অভাবটা প্রথমার্ধে ভালোই টের পেয়েছে বসুন্ধরা। 

বলের দখলটা প্রথম ৪৫ মিনিটে তুলনামূলক বেশিই দখলে রেখেছিল আবাহনী। নিজেদের রক্ষণ সামলে তবেই আক্রমণে গেছে বসুন্ধরা। ২২ মিনিটে প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বসনিয়ান স্টোয়ান ভ্রানিয়েসের দূরপাল্লার এক শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতম। পাল্টা জবাবটা আবাহনী দিয়েছে চার মিনিট পরেই। ইরানিয়ান সতীর্থ মিলাদ শেখের রক্ষণচেরা এক পাস থেকে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে একা পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি আবাহনী অধিনায়ক রাফায়েল অগুস্তো। 

 ৩০ মিনিটের মাথায় ধাক্কা বসুন্ধরা শিবিরে চোটে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ। পরের মিনিটে তার বদলি হিসেবে নামানো হয় বিশ্বনাথ ঘোষকে। ৩৮ মিনিটে রাফায়েলের ক্রস থেকে ডারিলটনের হেড ঠেকিয়ে দেন জিকো। 

বিরতির পরেই বসুন্ধরার রক্ষণে ফাটল ধরান রাকিব হোসেন। ৫৪ মিনিটে অধিনায়ক রাফায়েলের রক্ষণচেরা পাসে ডি-বক্সের মুখে বল পান এই উইঙ্গার। গায়ে লেগে ছিলেন ইয়াসিন আরাফাত, তাকে খসিয়ে বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে গোল করার কাজটা সারেন রাকিব। 

এই গোলের সাত মিনিট বাদে বসুন্ধরাকে ম্যাচে ফেরার লড়াই থেকে ছিটকে দেয় রিমন হোসেনের এক ফাউল। ৬১ মিনিটে বল পায়ে আবাহনীর ডি-বক্সে ঢুকে পরেছিলেন দেড় মৌসুম বসুন্ধরাতে খেলে যাওয়া কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কলিন্দ্রেস। তাকে ফাউল করে মাটিতে ফেলতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মুন সানি। প্রতিবাদে তাকে ঘিরেও রাখলেন বসুন্ধরার খেলোয়াড়েরা কিন্তু সায়মুন অটল থাকলেন পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই। ৬৩ মিনিটে স্পটকিক থেকে বল লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ডারিলটন গোমেজ। 

বসুন্ধরার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন এই ডারিলটনই। ৭২ মিনিটে রাফায়েল অগুস্তোর কর্নার থেকে হেডে কাটব্যাক করে ডারিলটনের পায়ে বল ফেলেন ইরানি মিডফিল্ডার মিলাদ শেখ। দুর্দান্ত রিসিভে বলটা পায়ে জমিয়েই ডান পায়ের শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গতির সঙ্গে নেওয়া শট ঠেকানোর কোনো রাস্তাই যেন জানা ছিল না বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকোর। 

তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে ব্যবধান কমানোর চেষ্টাটাও সফল হয়নি বসুন্ধরার। ৮২ মিনিটে বসনিয়ান ভ্রানিয়েসের জোরালো এক শট ফিরিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েও বল বাইরে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ডারিলটন গোমেজ। বাকি সময়টায় গোল না পেলেও বসুন্ধরার অর্ধে ছড়ি ঘোরালো আবাহনী। তাতেই এল কাঙ্ক্ষিত এক জয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লায়ন-কামিন্সের দাপুটে বোলিংয়ে অ্যাশেজ হারের দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৬
৪ উইকেট হাতে রেখে আরও ২২৮ রান করতে হবে অতিথিদের। ছবি: ক্রিকইনফো
৪ উইকেট হাতে রেখে আরও ২২৮ রান করতে হবে অতিথিদের। ছবি: ক্রিকইনফো

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৭১ রান। বাকি ৬ উইকেটে আজ ৭৮ রান যোগ করে ৩৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগিতেকরা। প্রথম ইনিংসে তারা ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের। এর আগে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।

২২ বছর আগের সে রেকর্ড ভাঙার জন্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া অতিথিদের হয়ে এক জ্যাক ক্রলি ছাড়া আরও সেভাবে ব্যাটং করতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারিতে ৮৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান লায়ন। দলীয় ৩২ রানে বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে হারানোর পর জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রলি।

তৃতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে ৭৮ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও রুট ও ব্রুক থামেন ৩৯ ও ৩০ রান করে। দলকে বিপদে রেখে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘অবিশ্বাস্য’, পেনাল্টি ঠেকিয়ে হাত ভাঙা গোলরক্ষক প্রসঙ্গে পিএসজি কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
চারটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন সাফোনভ। ছবি: এক্স
চারটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন সাফোনভ। ছবি: এক্স

টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।

পিএসজির সঙ্গে ফ্ল্যামেঙ্গোর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চারটি শট ঠেকান সাফোনভ। ফ্রেঞ্চ কাপে আজ রাত দুইটায় ফন্তেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। তার আগে সাফোনভের হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত কো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।

পরে সংবাদ সম্মেলনে এনে হাত ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় সাফোনভ লড়াইয়ের ভঙ্গিতে ছিল। তাই হয়তো সে ড্রেনালিনে (উত্তেজনাকর বিশেষ হরমোন) প্রভাবে সে ভাঙা হাত নিয়েই শুটআউট শেষ করেছে। ভাঙা হাত নিয়েই সে দুটি শট ঠেকিয়েছে। কোনো ব্যথা অনুভব করেনি। যেকোনো সময় দলকে সাহায্য করার জন্য সে প্রস্তুত। এটা রীতিমতো তা অবিশ্বাস্য। আমরা এই মানসিকতাই চাই। সবসময় পরিশ্রম করতে হবে।’

সাফোনভের এই অদম্য মানসিকতার কোনো ব্যাখ্যা নেই পিএসজি কোচের কাছে, ‘আমি এটা ব্যাখ্যা করতে পারব না। সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। সাফোনভ নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল। আমাদের মনে হয় তখনই সসসসে চোট পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হজের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে জবাব দিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
১৯৪ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো
১৯৪ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সে জবাবটা দিচ্ছেন কাভেম হজ। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। এরপরও পিছিয়ে আছে সফরকারীরা। লেজের ব্যাটাররা হজকে সঙ্গ দিতে না পারলে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নেবে নিউজিল্যান্ড।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩৮১ রান। এখনো ১৯৪ রানে পিছিয়ে অতিথিরা। তাদের ভরসা হয়ে টিকে আছেন হজ। ১০৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিশাল লক্ষ্যের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দারুণ। রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। আগের দিনের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ না করেই আজ শুরুতেই ফেরেন ক্যাম্পবেল। কিং-ও বেশিদূর আগাতে পারেননি। ৬৩ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেন জ্যাকড ডাফি।

১৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর টেভিন ইমলাচ, আলিক আথানেজ, জাস্টিন গ্রিভসরা ব্যাট হাতে টিকে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। হজের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে ২৭ রান করে ফেরেন ইমলাচ। চতুর্থ উইকেটে আথানেজকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন হজ। যেখানে আথানেজের অবদান ৪৫ রান।

পঞ্চম উইকেটে গ্রিভস নিয়ে ৮১ রান তোলেন হজ। গ্রিভস ৪৩ রান করে ফিরলে এই জুটির সমাপ্তি হয়। হাল ধরতে ব্যর্থ হন রস্টন চেজ। ২ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। অ্যান্ডারসন ফিলিপকে নিয়ে দিনের বাকিটা পথ পাড়ি দেন হজ। ১৪ বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ২৫৪ বলের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে ১২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজ এখন সেরা তিনে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
প্রথম ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই ক্যাপিটালসের সর্বশেষ ম্যাচটা ছিল শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে। সেই সুবাদে গতকাল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। দুই বাংলাদেশির লড়াইয়ে জিতেছেন কাটার মাস্টার। শারজাকে ৬৩ রানে হারিয়েছে তাঁর দল দুবাই। দলের জয়ের দিনে সেরা বোলারদের তালিকায় ঢুকেছেন মোস্তাফিজ।

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ৬ ডিসেম্বর গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মরুর দেশের এই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয় তাঁর। দুবাইয়ের হয়ে শুধু ১৩ ডিসেম্বর আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে খরুচে ছিলেন। বাকি ৫ ম্যাচেই হিসেবি বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।

প্রথম ৬ ম্যাচ শেষে মোস্তাফিজের শিকার ১১ উইকেট। সেরা বোলারদের তালিকার তিনে অবস্থান করছেন তিনি। ৮.১৯ ইকোনমিতে দিয়েছেন ১৭২ রান। শীর্ষে আছেন মোস্তাফিজের সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল। ৭ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট নিয়েছেন দুবাইয়ের এই আফগান স্পিনার। মোস্তাফিজের সমান ১১ উইকেট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন খুজাইমা তানভীর। ৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

শারজার বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও বল হাতে অবদান রাখেন মোস্তাফিজ। ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ ব্যাটারকে ফেরান সাতক্ষীরার এই পেসার। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত নিজের সেরা বোলিংটা করেছেন এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। গত ১৭ ডিসেম্বর কাইরন পোলার্ডদের কাছে দল ৭ রানে হারলেও ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

সময়টা এখন যেন মোস্তাফিজের হয়েই কথা বলছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২৬ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মিনি নিলাম থেকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে এই বোলারকে দলে টেনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। আইপিএলের ইতিহাসে অতীতে কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার এত বেশি টাকায় বিক্রি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত