নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: মাস্কটে দুই বছর আগে প্রথম লেগে গুণে গুণে বাংলাদেশকে ৪ গোল দিয়েছিল ওমান। এক গোল শোধ দিয়ে খানিকটা মান বাঁচিয়েছিলেন বিপলু আহমেদ। কার্ড নিষেধাজ্ঞায় সেই বিপলু এবার ম্যাচের বাইরে, তবে মাঠে এসেছিলেন। গ্যালারিতে বসে দেখলেন তাঁর মতো এবার কেউ গোল আদায় করতে পারেননি। যাঁরা পারতেন, সেই সতীর্থ ফরোয়ার্ডরা ডিফেন্ডার বনে গিয়ে ওমানকে গোলবঞ্চিত করেছেন অন্তত গোটা চার!
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে জোড়াতালির দল নিয়েও র্যাঙ্কিংয়ে ১০৪ ধাপ এগিয়ে থাকা ওমানের বিপক্ষে একটা অঘটনের স্বপ্ন দেখছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তপু বর্মণ। তবে স্বপ্ন আর বাস্তবতার ফারাক যে আকাশ-পাতাল, বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেটিই দেখিয়ে দিল ওমান। দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে কাল শেষ হওয়া ম্যাচটায় লেখা থাকবে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে বাস্তবতা হলো, নিজেরা অন্তত ছয়টি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে বড় হারের লজ্জা নিয়ে দোহা থেকে ঢাকায় ফিরতে হতো জেমি ডের শিষ্যদের।
এই হারে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে থেকে নিজেদের বাছাইপর্ব শেষ করল বাংলাদেশ দল। পাঁচ দলের গ্রুপে জামালদের পয়েন্ট ২। ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থেকে সরাসরি এশিয়ান কাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতার। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ওমানও সরাসরি খেলবে এশিয়ান কাপে। তবে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে হলে খেলতে হবে আরেকটি বাছাইপর্ব। ৭ পয়েন্টে ভারত ও ৬ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান আছে তৃতীয়-চতুর্থ স্থানে। এ দুই দলই এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে খেলবে। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা পেতে হলে প্লে-অফ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
প্লে-অফ যে খেলতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে, ভারত ম্যাচ শেষেই তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর মূল দলের চার খেলোয়াড়কে হারিয়ে প্রায় নতুনদের দিয়ে ওমানের বিপক্ষে সম্মানজনক একটা ফল চেয়েছিলেন জেমি ডে। চাওয়ামতো পয়েন্ট আসেনি, তবে জোড়াতালির দলটা যে আগের চেয়ে এক গোল কম খেয়েছে, সেটাই হয়তো প্রাপ্তি বাংলাদেশ কোচের।
ভারত ম্যাচের দলটা থেকে চার পরিবর্তন এনে ওমান ম্যাচে দল সাজিয়েছিলেন জেমি ডে। জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ ও রহমত মিয়া কার্ড নিষেধাজ্ঞায় ম্যাচের বাইরে। মাসুক মিয়া জনির চোট। এই চার খেলোয়াড়ের পরিবর্তে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয় মো. আবদুল্লাহ, মো. ইব্রাহিম, রিমন হোসেন ও ইয়াসিন আরাফাতকে। দলে দুজন ফরোয়ার্ডকেও খেলিয়েছেন জেমি ডে, যদিও আক্রমণের চেয়ে নিজেদের ডি-বক্সে ওমানের আক্রমণ ঠেকাতেই পুরোটা সময় ব্যয় হয়েছে তাঁদের। বাংলাদেশ দলের কৌশলই, যতক্ষণ সম্ভব ওমানকে গোল করা থেকে বিরত রাখা!
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ওমান। ২০ মিনিটের মধ্যে ওমানের ১১ কর্নার প্রমাণ করে ম্যাচে কতটা অসহায় ছিলেন তপু বর্মণরা। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দুবার দলকে বাঁচিয়েছেন। তৃতীয়বার হার মানলেন। ২২ মিনিটে আল-হাজরির ক্রস থেকে মোহাম্মদ আল জাফরির ডান পায়ের শটে হার মানেন জিকো।
অবশ্য ২৯ মিনিটে নিজেদের প্রথম কর্নার থেকে সমতায় ফিরতে পারত বাংলাদেশ। রিয়াদুল হাসান রাফির কর্নার থেকে ফাঁকায় বল পান প্রথমবারের মতো বাছাইপর্ব খেলতে নামা ইয়াসিন আরাফাত। হেডও নিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সেই হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ওমান গোলরক্ষক ফাইজ ইসা। ম্যাচে বাংলাদেশের এটাই প্রথম এবং শেষ আক্রমণ!
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে অল্পের জন্য দ্বিতীয় গোল হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। খালিদ আল-হাজরির শট বারে লেগে ফিরে আসলে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন জিকো।
৬১ ও ৮২ মিনিটে খালিদ আল-হাজরির ২ গোলে হেসেখেলেই মাঠ ছেড়েছে ওমান। ওমান ফরোয়ার্ড হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। ফরোয়ার্ড থেকে ডিফেন্ডার বনে যাওয়া ইব্রাহিম একবার গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেছেন। অতিরিক্ত সময়ে তাঁর কল্যাণেই চতুর্থ গোলটি হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে।
ঢাকা: মাস্কটে দুই বছর আগে প্রথম লেগে গুণে গুণে বাংলাদেশকে ৪ গোল দিয়েছিল ওমান। এক গোল শোধ দিয়ে খানিকটা মান বাঁচিয়েছিলেন বিপলু আহমেদ। কার্ড নিষেধাজ্ঞায় সেই বিপলু এবার ম্যাচের বাইরে, তবে মাঠে এসেছিলেন। গ্যালারিতে বসে দেখলেন তাঁর মতো এবার কেউ গোল আদায় করতে পারেননি। যাঁরা পারতেন, সেই সতীর্থ ফরোয়ার্ডরা ডিফেন্ডার বনে গিয়ে ওমানকে গোলবঞ্চিত করেছেন অন্তত গোটা চার!
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে জোড়াতালির দল নিয়েও র্যাঙ্কিংয়ে ১০৪ ধাপ এগিয়ে থাকা ওমানের বিপক্ষে একটা অঘটনের স্বপ্ন দেখছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তপু বর্মণ। তবে স্বপ্ন আর বাস্তবতার ফারাক যে আকাশ-পাতাল, বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেটিই দেখিয়ে দিল ওমান। দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে কাল শেষ হওয়া ম্যাচটায় লেখা থাকবে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে বাস্তবতা হলো, নিজেরা অন্তত ছয়টি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে বড় হারের লজ্জা নিয়ে দোহা থেকে ঢাকায় ফিরতে হতো জেমি ডের শিষ্যদের।
এই হারে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে থেকে নিজেদের বাছাইপর্ব শেষ করল বাংলাদেশ দল। পাঁচ দলের গ্রুপে জামালদের পয়েন্ট ২। ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে থেকে সরাসরি এশিয়ান কাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতার। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ ওমানও সরাসরি খেলবে এশিয়ান কাপে। তবে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে হলে খেলতে হবে আরেকটি বাছাইপর্ব। ৭ পয়েন্টে ভারত ও ৬ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান আছে তৃতীয়-চতুর্থ স্থানে। এ দুই দলই এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে খেলবে। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা পেতে হলে প্লে-অফ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
প্লে-অফ যে খেলতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে, ভারত ম্যাচ শেষেই তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর মূল দলের চার খেলোয়াড়কে হারিয়ে প্রায় নতুনদের দিয়ে ওমানের বিপক্ষে সম্মানজনক একটা ফল চেয়েছিলেন জেমি ডে। চাওয়ামতো পয়েন্ট আসেনি, তবে জোড়াতালির দলটা যে আগের চেয়ে এক গোল কম খেয়েছে, সেটাই হয়তো প্রাপ্তি বাংলাদেশ কোচের।
ভারত ম্যাচের দলটা থেকে চার পরিবর্তন এনে ওমান ম্যাচে দল সাজিয়েছিলেন জেমি ডে। জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ ও রহমত মিয়া কার্ড নিষেধাজ্ঞায় ম্যাচের বাইরে। মাসুক মিয়া জনির চোট। এই চার খেলোয়াড়ের পরিবর্তে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয় মো. আবদুল্লাহ, মো. ইব্রাহিম, রিমন হোসেন ও ইয়াসিন আরাফাতকে। দলে দুজন ফরোয়ার্ডকেও খেলিয়েছেন জেমি ডে, যদিও আক্রমণের চেয়ে নিজেদের ডি-বক্সে ওমানের আক্রমণ ঠেকাতেই পুরোটা সময় ব্যয় হয়েছে তাঁদের। বাংলাদেশ দলের কৌশলই, যতক্ষণ সম্ভব ওমানকে গোল করা থেকে বিরত রাখা!
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ওমান। ২০ মিনিটের মধ্যে ওমানের ১১ কর্নার প্রমাণ করে ম্যাচে কতটা অসহায় ছিলেন তপু বর্মণরা। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দুবার দলকে বাঁচিয়েছেন। তৃতীয়বার হার মানলেন। ২২ মিনিটে আল-হাজরির ক্রস থেকে মোহাম্মদ আল জাফরির ডান পায়ের শটে হার মানেন জিকো।
অবশ্য ২৯ মিনিটে নিজেদের প্রথম কর্নার থেকে সমতায় ফিরতে পারত বাংলাদেশ। রিয়াদুল হাসান রাফির কর্নার থেকে ফাঁকায় বল পান প্রথমবারের মতো বাছাইপর্ব খেলতে নামা ইয়াসিন আরাফাত। হেডও নিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সেই হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ওমান গোলরক্ষক ফাইজ ইসা। ম্যাচে বাংলাদেশের এটাই প্রথম এবং শেষ আক্রমণ!
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে অল্পের জন্য দ্বিতীয় গোল হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। খালিদ আল-হাজরির শট বারে লেগে ফিরে আসলে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন জিকো।
৬১ ও ৮২ মিনিটে খালিদ আল-হাজরির ২ গোলে হেসেখেলেই মাঠ ছেড়েছে ওমান। ওমান ফরোয়ার্ড হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। ফরোয়ার্ড থেকে ডিফেন্ডার বনে যাওয়া ইব্রাহিম একবার গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেছেন। অতিরিক্ত সময়ে তাঁর কল্যাণেই চতুর্থ গোলটি হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে।
অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করেছিল বল। ভেতরে ঢুকে মুখে লাইনে না গিয়েই খেলতে গেলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে তাসকিনের সেই বল লাগল ব্যাটারের প্যাডে।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রথম সেশন বেশ ভালো কাটল বাংলাদেশের। মধ্যাহ্নভোজের আগে নিয়েছে ২ উইকেট। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
৫ ঘণ্টা আগেপেপ গার্দিওলাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কদিন আগে রোনালদো নাজারিও জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের আগামী নির্বাচনে সভাপতি হলে সেলেসাওদের জন্য নিয়ে আসবেন স্প্যানিশ কোচকে। তবে আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না গার্দিওলা। থাকছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই।
৬ ঘণ্টা আগেউয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। মুখোমুখি হবে চারবারের দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি-জার্মানি।
৬ ঘণ্টা আগে