ডেয়ান সিলারের নামটা বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের কাছে অপরিচিত। সেটিই হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগ নেই। তবে শুধুই নিখাদ ফুটবলপ্রেমী হিসেবে ফুটবল নিয়ে তাঁর ভাবনাচিন্তা জানতে তো অসুবিধা নেই! এক যুগের বেশি সময় ফুটবল কোচিংয়ে যুক্ত সিলার, বর্তমানে তিনি সার্বিয়ান এফকে ভোজডোবাক একাডেমির পরিচালক। যে একাডেমির ফুটবলাররা ইউরোপের ক্লাবগুলোতে নিয়মিত। সম্প্রতি সেই একাডেমি এবং ইউরোপে বাংলাদেশি ফুটবলারদের সুযোগ সম্ভাবনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সিলার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জহির উদ্দিন মিশু।
জহির উদ্দিন মিশু, ঢাকা
প্রশ্ন: অনেক দিন ধরে কোচ হিসেবে কাজ করছেন। একজন পেশাদার কোচের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
ডেয়ান সিলার: আমার কাজটা একেক সময় এক রকম। কখনো ক্লাবের স্টাফদের সঙ্গে কখনো মাঠের খেলোয়াড় আবার কখনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে। এগুলো আমি সব সময়ই উপভোগ করি। ১৩ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে যেমন প্রধান কোচের ভূমিকায় সফল হয়েছি, ক্লাবের পরিচালক আবার ফুটবল বিশ্লেষক হিসেবেও। এসব ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে কোচ হিসেবে মনে হয় সবচেয়ে কঠিন সময় পার করতে হয় যখন দল খারাপ করার পর সব দায় কোচদের কাঁধে পড়ে।
প্রশ্ন: আপনি তো ইউরোপের বাইরে এখনো কোচিং করাননি। বাংলাদেশ থেকে যদি কখনো প্রস্তাব পান, করবেন?
সিলার: যে কোনো প্রস্তাবই আমি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রস্তাব পাওয়ার পর কয়েক দিন তাদের দল, প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রাথমিক একটা গবেষণা করি। সেই গবেষণার ফলাফল দেখে যদি মনে হয় তাদের সঙ্গে কাজ করা যায় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদেরও আমাকে নেওয়ার আগে আমার প্রোফাইল যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন পড়ে ৷ সবশেষে আনুষ্ঠানিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। একজন পেশাদার কোচ হিসেবে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের প্রস্তাব গ্রহণে আমার সমস্যা নেই। সেদিক থেকে বাংলাদেশও এমন কোনো প্রস্তাব দিলে অবশ্যই ভেবে দেখব।
প্রশ্ন: কখনো কি বাংলাদেশের ফুটবল দেখার সুযোগ হয়েছে?
সিলার: না, এখনো দেখা হয়নি। তবে গত মৌসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে একটা প্রস্তাব পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি ৷ আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের ফুটবলও অনেক সম্ভাবনার। এই সাক্ষাৎকারের পর বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মেছে। আমি চেষ্টা করব মাঝে মধ্যে তাদের ম্যাচ দেখার এবং খেলোয়াড়দের জানার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবলাররা ইউরোপের ক্লাবগুলোতে খেলতে আগ্রহী। সার্বিয়া কি তাদের এই সুযোগটা দেবে?
সিলার: বিশ্বের লিগগুলোর মধ্যে কাজ করার দিক থেকে সার্বিয়ান কোচদের অবস্থান চতুর্থ। আমাদের দীর্ঘদিনের ফুটবল ঐতিহ্য আর খেলোয়াড় উঠে আসার চমৎকার এক সংস্কৃতি এতটা সফল হতে সহায়তা করেছে। সাধারণত একজন কোচের যদি পৃথিবীর বাকি লিগগুলোর সম্পর্কে ধারণা এবং কোচিং অ্যারেনার সঙ্গে একটা সংযোগ থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই পারবেন তাঁর ক্লাবের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ইউরোপের ক্লাবগুলোতে সুযোগ করে দিতে ৷ সার্বিয়ান কোচরা এটা গুরুত্ব দিয়েই করেন। আমি নিজেও একটা ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের ফুটবলারদের জন্য সার্বিয়ার দুয়ার সব সময়ই খোলা। তাদের শুধু ঠিক দরজায় কড়া নাড়তে হবে।
প্রশ্ন: এটা (ঠিক দরজায় কড়া নাড়া) কীভাবে সম্ভব?
সিলার: আপনার সাফল্যই পারে আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য একটা সুন্দর পথ তৈরি করে দিতে। যারা প্রতিভাবান খেলোয়াড় তাদের উচিত তাদের কোচদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছেন যারা কিনা ইউরোপে খেলার দাবিদার। আমি সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব তাদের জন্য কিছু করতে ৷ আসলে যোগ্যরা কখনো কোনো পথে আটকে থাকে না।
প্রশ্ন: ইউরোপের ক্লাব থেকে ডাক পেতে কেমন মানের ফুটবলার হওয়া দরকার। বাংলাদেশি ফুটবলারদের কী পরামর্শ দেবেন?
সিলার: সত্যি বলতে যথাযথ পরিচর্যা আর উন্নতি সবচেয়ে জরুরি। একজন ফুটবলারকে গড়ে তোলা অনেকটা বাড়ি নির্মাণের মতো। আপনাকে একটু একটু করে তাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে হবে। আর সেটা শুধু গোড়াতেই সম্ভব। একজন খেলোয়াড়ের ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সবচেয়ে নিখুঁত কাজটা করতে হয়। এরপর তাকে টেকনিক, ম্যাচের কৌশলগুলো রপ্ত করাতে হয়। ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সে সিনিয়র পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করতে আরেকটি ধাপের পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে। সেদিক থেকে আমার পরামর্শ থাকবে, শৈশব থেকেই ফুটবলের স্কিল, বল নিয়ন্ত্রণের টেকনিকসহ, সফল পাস আর ড্রিবলিং নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন: অনেক দিন ধরে কোচ হিসেবে কাজ করছেন। একজন পেশাদার কোচের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী?
ডেয়ান সিলার: আমার কাজটা একেক সময় এক রকম। কখনো ক্লাবের স্টাফদের সঙ্গে কখনো মাঠের খেলোয়াড় আবার কখনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে। এগুলো আমি সব সময়ই উপভোগ করি। ১৩ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে যেমন প্রধান কোচের ভূমিকায় সফল হয়েছি, ক্লাবের পরিচালক আবার ফুটবল বিশ্লেষক হিসেবেও। এসব ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে কোচ হিসেবে মনে হয় সবচেয়ে কঠিন সময় পার করতে হয় যখন দল খারাপ করার পর সব দায় কোচদের কাঁধে পড়ে।
প্রশ্ন: আপনি তো ইউরোপের বাইরে এখনো কোচিং করাননি। বাংলাদেশ থেকে যদি কখনো প্রস্তাব পান, করবেন?
সিলার: যে কোনো প্রস্তাবই আমি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রস্তাব পাওয়ার পর কয়েক দিন তাদের দল, প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রাথমিক একটা গবেষণা করি। সেই গবেষণার ফলাফল দেখে যদি মনে হয় তাদের সঙ্গে কাজ করা যায় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদেরও আমাকে নেওয়ার আগে আমার প্রোফাইল যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন পড়ে ৷ সবশেষে আনুষ্ঠানিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। একজন পেশাদার কোচ হিসেবে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের প্রস্তাব গ্রহণে আমার সমস্যা নেই। সেদিক থেকে বাংলাদেশও এমন কোনো প্রস্তাব দিলে অবশ্যই ভেবে দেখব।
প্রশ্ন: কখনো কি বাংলাদেশের ফুটবল দেখার সুযোগ হয়েছে?
সিলার: না, এখনো দেখা হয়নি। তবে গত মৌসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে একটা প্রস্তাব পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি ৷ আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের ফুটবলও অনেক সম্ভাবনার। এই সাক্ষাৎকারের পর বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ জন্মেছে। আমি চেষ্টা করব মাঝে মধ্যে তাদের ম্যাচ দেখার এবং খেলোয়াড়দের জানার।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফুটবলাররা ইউরোপের ক্লাবগুলোতে খেলতে আগ্রহী। সার্বিয়া কি তাদের এই সুযোগটা দেবে?
সিলার: বিশ্বের লিগগুলোর মধ্যে কাজ করার দিক থেকে সার্বিয়ান কোচদের অবস্থান চতুর্থ। আমাদের দীর্ঘদিনের ফুটবল ঐতিহ্য আর খেলোয়াড় উঠে আসার চমৎকার এক সংস্কৃতি এতটা সফল হতে সহায়তা করেছে। সাধারণত একজন কোচের যদি পৃথিবীর বাকি লিগগুলোর সম্পর্কে ধারণা এবং কোচিং অ্যারেনার সঙ্গে একটা সংযোগ থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই পারবেন তাঁর ক্লাবের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ইউরোপের ক্লাবগুলোতে সুযোগ করে দিতে ৷ সার্বিয়ান কোচরা এটা গুরুত্ব দিয়েই করেন। আমি নিজেও একটা ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের ফুটবলারদের জন্য সার্বিয়ার দুয়ার সব সময়ই খোলা। তাদের শুধু ঠিক দরজায় কড়া নাড়তে হবে।
প্রশ্ন: এটা (ঠিক দরজায় কড়া নাড়া) কীভাবে সম্ভব?
সিলার: আপনার সাফল্যই পারে আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য একটা সুন্দর পথ তৈরি করে দিতে। যারা প্রতিভাবান খেলোয়াড় তাদের উচিত তাদের কোচদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছেন যারা কিনা ইউরোপে খেলার দাবিদার। আমি সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব তাদের জন্য কিছু করতে ৷ আসলে যোগ্যরা কখনো কোনো পথে আটকে থাকে না।
প্রশ্ন: ইউরোপের ক্লাব থেকে ডাক পেতে কেমন মানের ফুটবলার হওয়া দরকার। বাংলাদেশি ফুটবলারদের কী পরামর্শ দেবেন?
সিলার: সত্যি বলতে যথাযথ পরিচর্যা আর উন্নতি সবচেয়ে জরুরি। একজন ফুটবলারকে গড়ে তোলা অনেকটা বাড়ি নির্মাণের মতো। আপনাকে একটু একটু করে তাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে হবে। আর সেটা শুধু গোড়াতেই সম্ভব। একজন খেলোয়াড়ের ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সবচেয়ে নিখুঁত কাজটা করতে হয়। এরপর তাকে টেকনিক, ম্যাচের কৌশলগুলো রপ্ত করাতে হয়। ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সে সিনিয়র পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত করতে আরেকটি ধাপের পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে। সেদিক থেকে আমার পরামর্শ থাকবে, শৈশব থেকেই ফুটবলের স্কিল, বল নিয়ন্ত্রণের টেকনিকসহ, সফল পাস আর ড্রিবলিং নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে।
চেহারায় হতাশার ছাপ নিয়ে আবারও মাঠ ছাড়লেন আবদুল্লাহ শফিক। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টানা ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হলেন পাকিস্তানের ওপেনার। তিন শূন্যয় নামটাও তাঁর উঠে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড বইয়ে।
২ ঘণ্টা আগেলঙ্কা টি-টেন সুপার লিগের শিরোপা জিতে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ঘূর্ণি জাদুতে নাভিশ্বাস তুললেন খুলনার ব্যাটারদের। তাঁর সঙ্গে রাকিবুল ইসলাম ও আলিস আল ইসলাম ছিলেন আরও দুর্দান্ত। যার সৌজন্যে লো স্কোরিং ম্যাচেও খুলনাকে ৩৮ রানে হারিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে..
৪ ঘণ্টা আগেআইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ভারত সফরের জন্য দল ঘোষণ করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। দীর্ঘ ১৩ মাস পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন জো রুট। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে দলে সুযোগ হয়নি অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের। তবে প্রথমবারের মতো বড় কোনো ইভেন্টে সুযোগ পেয়েছেন পেসার সাকিব মাহমুদ ও জ্যাকব বেথেল।
৬ ঘণ্টা আগেমাঠের লড়াই তো রয়েছেই, ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে চলে স্নায়ুযুদ্ধ। ২০২৪-২৫ মৌসুমের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিও বাদ যায় কী করে। রবীন্দ্র জাদেজার এক হিন্দি ভাষার সংবাদ সম্মেলনের পর এবার ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড।
৭ ঘণ্টা আগে