Ajker Patrika

সুযোগ নষ্টের আক্ষেপে বিদায় বসুন্ধরার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুযোগ নষ্টের আক্ষেপে বিদায় বসুন্ধরার

তিন ব্রাজিলিয়ানের দিকে চেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনের চাওয়া ছিল সুযোগ পেলে তাঁকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বসুন্ধরা। শারজা এফসির কাছে হেরে এক ম্যাচেই শেষ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান। 

এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো প্রাক বাছাইয়ে খেলার অভিজ্ঞতা মোটেও স্মরণীয় করে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের লিগে টানা চারবারের সেরা বসুন্ধরা। ব্রাজিলিয়ান লুয়ানজিনহোর জোড়া গোলে আমিরাত প্রো-লিগের দল শারজার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে অস্কার ব্রুজোনের দল। এএফসির পরিবর্তিত নিয়মে আগামী কয়েক মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে বসুন্ধরার। হয়তো এই এক হারের পর শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলে ফেলল বাংলাদেশ সেরা দলটা।

 তবে হারলেও ম্যাচের আক্ষেপ নিয়ে খুব বেশি অতৃপ্তি থাকার কথা নয় বসুন্ধরা কোচ ব্রুজোনের। যেখানে বসুন্ধরা প্রথমবারের মতো খেলছে প্রাক বাছাই সেখানে শারজা নিয়মিত খেলে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে। দলটিতে খেলেছেন পাকো আলকাসার-মিরালেম পিয়ানিচদের মতো বিশ্বমানের ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত এই ফুটবলাররাই গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। পিয়ানিচদের নিয়ে রক্ষণে বেশি মনোযোগী হতে গিয়ে বেশ সুযোগ পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান লুয়ানজিনহো। গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। 

শারজার নিজেদের মাঠ শারজা স্টেডিয়ামে বসুন্ধরার প্রথমার্ধটা লড়াই করতে হয়েছে দাঁতে দাঁত চেপে।  পাকো আলকাসার-মিরালেম পিয়ানিচদের মতো বিশ্বমানের ফুটবলারদের দাপটে বসুন্ধরার রক্ষণ কোণঠাসা। বিশ্বমানের আক্রমণের সামনে প্রথমার্ধে দেয়াল হয়ে একাই দাঁড়িয়েছিলেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।  

খেলার ৬ মিনিটেই আনিসুর রহমান জিকোর সেভে রক্ষা বসুন্ধরার। বসনিয়ান ও বার্সার সাবেক মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচের পাস থেকে বক্সে দ্রুত ঢুকে পড়েন বার্সার আরেক সাবেক পাকো আলকাসার। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের শটে খুব বেশি জোর না থাকায় জিকোর ঠেকাতে বিশেষ ঝামেলা পোহাতে হয়নি। 

২২ মিনিটে আবারও বসুন্ধরার ত্রাতা জিকো। মাঝমাঠ থেকে  এক সতীর্থের ক্রস থেকে বসুন্ধরার বক্সে বল পেয়ে যান শারজার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুয়ানজিনহো। তাঁকে মার্কিংয়ে থাকা বিশ্বনাথ ঘোষের ভুলে লুয়ানজিনহোর জোরালো শটও ঠেকিয়ে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক। ২৬ মিনিটে এই লুয়ানজিনহোর আরেকটি জোরালো শট খুঁজে পায়নি জাল। 

৩৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ বসুন্ধরার। এবং গোলের দারুণ সুযোগ নষ্ট দরিয়েলতন গোমেজের। ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ রবসন রবিনহোর কর্নার থেকে দরিয়েলতনের হেড অল্পে হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। 

অতিরিক্ত সময়ে আর ঠেকাতে পারেননি জিকো। ব্রাজিলিয়ান কাইয়োর থ্রু বল ধরে ডান প্রান্ত থেকে পিয়ানিচের কাটব্যাক। সুযোগটা এবার আর নষ্ট করেননি  লুয়ানজিনহো। তার প্লেসিংয়ে ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি জিকো। 

প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল শারজা, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু সেই আক্রমণত্মকভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই আবারও আক্রমণে স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে থেকে ওসমানে কামারার বুলেট গতির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় রক্ষা বসুন্ধরার। 

নড়বড়ে বসুন্ধরা প্রতি আক্রমণে ওঠে ৪৯ মিনিটে। দরিয়েলতনের পাস থেকে মিগেল দামাশিনা শারজার বক্সে বল পান ফাঁকাতেই। তবে শট নিতে একটু বেশিই দেরি করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। তার বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন শারজা গোলরক্ষক শাহিন আবদেল্লা। 

দরিয়েলতন-মিগেল মিলে ম্যাচে বসুন্ধরার সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটা নষ্ট করেন তিন মিনিট পরেই। ৫২ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে মিগেলের ক্রসে বক্সের মুখে বল পান দরিয়েলতন। মার্কিংয়ে থাকা শারজা ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেওয়া দরিয়েলতনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান শারজা গোলরক্ষক। 

প্রথমার্ধে হজম করার পরও ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল বসুন্ধরার। সেই লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে রক্ষণ এলোমেলো বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের। সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অস্কার ব্রুজোনের দলের ম্যাচে ফেরার সুযোগ বন্ধ করে দেন প্রথমার্ধে গোল করা লুয়ানজিনহো। ৭২ মিনিটে আবদেল আজিজ সেলিমের ক্রস থেকে যেই হেডটা করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার তা ঠেকানোর কোনো সাধ্যই ছিল না জিকোর। 

ম্যাচের একদম শেষ দিকে গোল পেয়েছিলেন সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ড পাকো আলকাসারও। তবে অফসাইডে সেই গোল বাতিল হওয়ায় আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি শারজা। শেষ মিনিটে জিকো বাধা না হলে ব্যবধানটা বড় হতে পারত স্বাগতিকদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত