মরক্কো ম্যাচ হারের রাতে নাটকীয় ঘটনা, আর্জেন্টাইন কোচ বলছেন তামাশা

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৪, ১১: ০৯
Thumbnail image

অলিম্পিক শুরু হতে না হতেই যে বেজে গেল দামামা। সেঁত এতিয়েনে গত রাতে  আর্জেন্টিনা-মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ঘটনায় যা হলো, তা নাটকের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না। আর্জেন্টিনার গোল উদ্‌যাপনের দীর্ঘক্ষণ পর তা বাতিল হয়ে যায়। মাঠেই ভক্ত-সমর্থকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। 

আর্জেন্টিনা-মরক্কো অলিম্পিক ফুটবল ম্যাচের ঘটনা শেষের দিকে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-১ গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকে মরক্কো। ১৫ মিনিটের যোগ করা সময়ের পর ১৬তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান মেদিনা। এই গোল নিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়। ভক্ত-সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে মাঠে ঢোকেন। আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি বাজি ছোড়া হয়। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর আগেই ম্যাচ স্থগিত রাখা হয়। স্টেডিয়াম পুরোপুরি  ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দেখে গোল বাতিল করা হয়। গোল বাতিলের পর যখন তিন মিনিট খেলা হয়, আর্জেন্টিনা আর কোনো গোল করতে পারেনি। মরক্কো জেতে ২-১ গোলে। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার অলিম্পিক ফুটবলের কোচ হ্যাভিয়ের ম্যাশচেরানো ক্ষোভ ঝেরেছেন। সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় তামাশা এটা।’

সমতাসূচক গোল করতে মেদিনার রীতিমতো ঘাম ছুটে যায়। পাঁচবারের প্রচেষ্টায় মরক্কোর জালে বল জড়ান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। গোল হওয়ার আগে ক্রসবার, গোলরক্ষক, ডিফেন্ডারদের চেষ্টায় চারবার মরক্কো বল আটকাতে সক্ষম হয়। পঞ্চমবারের চেষ্টায় গোল হলেও সেটা বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। ব্রুনো অ্যামিওন গোল তৈরির সময় অফসাইডে ছিলেন। ২-১ গোলে হারের পর আর্জেন্টিনা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইরাকের বিপক্ষে। ২৭ জুলাই আর্জেন্টিনা-ইরাক অলিম্পিকের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি হবে।

ফ্রান্সের স্টেড জিওফ্রয়-গুইচার্ড স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে রক্ষণভাগ সামলাতে হিমশিম খায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত মিনিটে বিলাল এল খান্নোসের সহায়তায় ফরোয়ার্ড সুফিয়ানে রাহিমি গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো।

দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার চেষ্টায় করলে উল্টো ৫১ মিনিটে পেনাল্টি হজম করে আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি দ্বিতীয় গোল করা রাহিমি। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আর্জেন্টিনা ব্যবধান কমায় ৬৮ মিনিটে। হুলিয়ো সোলারের দারুণ সহায়তায় সুযোগ পেয়ে যান বদলি নামা হুলিয়ানো সিমিওনে। সোলারের অসাধারণ ক্রসটি প্রায় গোললাইন পার হয়ে যাচ্ছিল, তবে জোর পায়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন সিমিওনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত