রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট আনচেলত্তি

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩, ১২: ৩৫

মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হবে এমনটা সকলের জানা। আবার তা যদি হয় বর্তমান সময়ের সেরা দুটি দলের খেলা তাহলে কোনো কথাই নাই। পুরো সময়টাই নাটকীয়তায় ভরা হবে। গতকাল ঠিক তেমনি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচও।

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর রোমাঞ্চকর ম্যাচটি হয়েছে ১-১ গোলে ড্র। দুই অর্ধে দুটি অবিশ্বাস্য গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কেভিন ডি ব্রুইনা। শুরুটা করেছিলেন রিয়াল ফরোয়ার্ড ভিনি আর শেষটা সিটির মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনার।

তবে সিটির সমতাসূচক গোলটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। ডি ব্রুইনার বুলেট গতির শটে ম্যাচ ড্র হওয়ার আগে বলটি আউট ছিল বলে মনে করেন কার্লো আনচেলত্তি। আউট না দেওয়ায় পর্তুগিজ রেফারি আর্তুর সোয়ার্স দিয়াসের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন রিয়াল কোচ।

ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘দেখে মনে হয়েছে বলটি বাইরে ছিল। এটা আমি বলছি না, প্রযুক্তি বলছে। এর আগে একটা কর্নারও হয়েছিল কিন্তু রেফারি সেটিও দেয়নি। এটি আমাকে বিস্মিত করেছে। আসলে রেফারি মনোযোগী ছিলেন না।’

নিজের কার্ড দেখার বিষয়ে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘মাঠের ভেতরে খেলোয়াড়রা আরও কার্ড দেখতে পারত। আমার ক্ষেত্রে নয়। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না কেন আমাকে দেখানো হয়েছে। আমি মাঠের ভেতরেও ছিলাম না। মনে করেছিলাম সে হলুদ কার্ডটি খেলোয়াড়কে দেখিয়েছিল ম্যানেজারকে (আমাকে) নয়।’ 

 ৬৭ মিনিটে ডি ব্রুইনার সমতাসূচক গোল করার আগে দেখা গিয়েছে কাইল ওয়াকারের পাস মাঠের ভেতরে রাখতে টাচলাইন থেকে ফেরান বার্নার্দো সিলভা। এরপর সেই বল কিছু সময়ের জন্য রিয়ালের লুকা মদরিচ হয়ে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা পেয়ে যান। এ কারণেই হয়তো রেফারি খেলা চালিয়ে যান। 

কিন্তু কামাভিঙ্গার কাছ থেকে খুব দ্রুত বল কেড়ে নেন সিটির রদ্রি। বলটি বাম প্রান্তে থাকা জ্যাক গ্রিলিশের কাছে পাঠিয়ে দেন তিনি। এরপর সিটি ফরোয়ার্ড অধিনায়ক ইলকাই গুন্দোয়ানকে বাড়ান। সতীর্থের কাছ থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় বল পেয়ে তা দুর্দান্তভাবে কাজে লাগান ডি ব্রুইনা। তাঁর বুলেট গতির শটটি ঠেকানোর কোনো পন্থাই ছিল না ম্যাচে দুর্দান্ত কিছু সেভ দেওয়া রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তায়ার।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত