সাফের সেরা গোলরক্ষক বাংলাদেশের জিকো

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১১: ৫২
Thumbnail image

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বপ্নযাত্রা সেমিফাইনালে শেষ হলেও এবার দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। গত কয়েক বছরে এমন পারফরম্যান্সের দেখা মেলেনি জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণদের খেলায়। সাফের ১৪তম সংস্করণে ফাইনালে খেলতে না পারলেও সমর্থকদের হৃদয় জয় করেছেন খেলোয়াড়েরা।

বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সের অন্যতম অবদান আনিসুর রহমান জিকোর, যিনি গোলবারের নিচে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সাবেক দুই গোলরক্ষক আমিনুল হক ও বিপ্লব ভট্টাচার্যের বিদায়ের পর নিজেকে তাঁদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রমাণ করেছেন তিনি।

কয়েক বছর ধরেই আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠা জিকো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অবিশ্বাস্য ছন্দে ছিলেন, যার পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্টের বাকি গোলরক্ষকদের পেছনে ফেলে সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন তিনি। এমনকি চ্যাম্পিয়ন ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধুরও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স জিকোকে পেছনে ফেলতে পারেনি। পুরো টুর্নামেন্টে সুনীল ছেত্রী দুর্দান্ত খেললও সেমিফাইনাল ও ফাইনালের নায়ক ছিলেন সান্ধুই।

জিকোর অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সেই ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৯ সালে সেমিতে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেমিতে কুয়েতের বিপক্ষে ১০৭ মিনিটে গোল হজম করার আগে-পরে ‘চীনের মহাপ্রাচীর’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলবারের নিচে। সেমির ম্যাচে কমপক্ষে প্রতিপক্ষের ৭টি প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছেন তিনি। এর মধ্যে দু-একটি নিশ্চিত গোল ছিল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও এমন কিছু দুর্দান্ত সেভ করেছেন তিনি। তাঁর সেভগুলো দলীয় পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত কাজে না দিলেও ব্যক্তিগত পুরস্কার পেতে কাজে দিয়েছে।

সেমিফাইনালের ম্যাচ নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন জিকো। তাঁর বিশ্বাস ছিল খেলা টাইব্রেকারে যাবে। কিন্তু ১০৭ মিনিটের গোল সব শেষ করে দেয়। তিনি বলেছেন, ‘আমার শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল যে আমরা গোল খাব না, ম্যাচটা টাইব্রেকে যাবে। ৯৯ মিনিটে যখন আমি সেভ করলাম, তখনই আমার বিশ্বাস ঢুকে গেল, ম্যাচটা টাইব্রেকারে যাবে, সেখানে আমি শতভাগ দেব। কিন্তু হলো না, আমরা আবারও শেষ সময়ে গোল খেয়ে বসলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত