শেষ আটে রোমাঞ্চকর জয়ের পর সনের চোখ শিরোপায়

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ০৬
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ২৬

ম্যাচ জয় উদ্‌যাপনের জন্য তৈরি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলাররা। অপেক্ষা শুধু রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার ১-০ গোলের জয় পেতে ম্যাচের মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাকি ছিল। কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ই অস্ট্রেলিয়ার হাসি ছিনিয়ে নিল দক্ষিণ কোরিয়া। 

নিজেদের হাসি ম্লান হওয়ার জন্য অবশ্য দায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে নিজেদের পেনাল্টি বক্সে সন হিয়ুং-মিনকে ফাউল করা লুইস মিলারের। তাঁর ভুলে ম্যাচে পেনাল্টি পায় কোরিয়া। স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরালেন হাওয়াং হি-চ্যান। 
৪২ মিনিটে ক্রেগ গডউইনের গোলে এগিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া পরে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে হেরে এএফসি এশিয়ান কাপ থেকেই ছিটকে যায়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কোরিয়াকে জয়সূচক গোল এনে দেন পেনাল্টি এনে দেওয়া সন। ১০৪ মিনিটের সময় দুর্দান্ত এক বাঁকানো ফ্রি কিকে গোল করেন। 

২-১ গোলের দারুণ প্রত্যাবর্তনের জয়ে প্রতিশোধও যেন নিল কোরিয়া। যদিও ২০১৫ সালের এশিয়ান কাপের ফাইনালের হারের সঙ্গে এটা মেলানো একদমই ঠিক হয় না। সেবার অতিরিক্ত সময়ে সমান ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষ মুহূর্তের এই জয়েই ৬৪ বছরে অপেক্ষা ফুরানোর সুযোগ পাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। 

এবারের টুর্নামেন্টে অতিরিক্ত কিংবা যোগ করা সময়ে ম্যাচ জয়কে নিয়মে পরিণত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত খেলা একটি ম্যাচই শুধু নির্ধারিত সময়ে জিতেছেন সনরা। বাইরাইনের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জয়ের পর টানা চার ম্যাচ হয় অতিরিক্ত সময়ে, নয়তো যোগ করা সময়ে জিতেছে। 

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিপক্ষ জর্ডান। তবে শেষ চারের ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন না সন। তাঁর চোখ ট্রফিতে। তিনি বলেছেন, ‘দোহায় চার দলের খেলা বাকি রয়েছে। আর শুধু একটি দল ট্রফি জিততে যাচ্ছে। ক্লান্তি, যাই হোক...কোনো অজুহাত নেই। আমরা শুধু ট্রফি জিতে দেশে ফেরার চেষ্টা করছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত