ক্রীড়া ডেস্ক
মুলতানের পিচ যে ব্যাটারদের বধ্যভূমি, সেটা যাঁরা খেলা দেখা দেখেছেন তাঁরা তো বুঝতে পেরেছেনই। পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের স্কোরকার্ড দেখেও যে কোনো ব্যক্তি তা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন। বোলারদের রাজত্বে প্রথম টেস্টের ফল আসতে পূর্ণ তিন দিনও লাগেনি।
পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম টেস্টে পড়তে থাকে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট। সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ১০৬৪ বল। পড়েছে ৪০ উইকেট, রান হয়েছে ৬৪৭। বলের হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে এটা সংক্ষিপ্ততম টেস্ট। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। ফয়সালাবাদে সেবার ১০৮০ বলে শেষ হয়েছিল টেস্ট। সেই টেস্টেও পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল প্রতিপক্ষ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৯ রানে পাকিস্তান আজ মুলতানে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে। তবে যে পিচ বোলারদের স্বর্গ, সেখানে ব্যাটাররা কতক্ষণই বা টিকতে পারবেন! ৪৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে শেষ স্বাগতিকেরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অধিনায়ক শান মাসুদ। জোমেল ওয়ারিকান একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার ১৮ ওভারে খরচ করেন ৩২ রান। আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন ১ উইকেট। খুররম শেহজাদ, মাসুদ পাকিস্তানের এই দুই ব্যাটার হয়েছেন রান আউট।
প্রথম ইনিংসের ৯৩ রানের লিডসহ দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের স্কোর হয়েছে ২৫০ রান। ২৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখনই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ঘোষণা করা হয়। বেকায়দায় পড়া উইন্ডিজদের হাল ধরেন টেভিন ইমলাচ ও অ্যালিক আথানাজ। মুলতান টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইমলাচের। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যাথানাজের সঙ্গে ৫৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ইমলাচ।২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ইমলাচকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবরার আহমেদ।
৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আবারও আশা খুঁজে পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তম উইকেটে ২৮ রানের জুটি গড়েন অ্যাথানাজ ও কেভিন সিনক্লেয়ার। এই জুটি টিকেছে ৬২ বল। তবে এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ইনিংস। শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে কোনো রান যোগ না করেই। ১২৩ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবীয়রা। অ্যাথানাজের ৬৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটাই সফরকারীদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
পাকিস্তানের ১২৭ রানের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাজিদ খান। ১১৫ রানে নিয়েছেন ৯ উইকেট। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান খরচ করে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেটের সবটাই নিয়েছেন স্পিনাররা। সাজিদের ৯ উইকেটের পাশাপাশি নোমান আলী ও আবরার আহমেদ নিয়েছেন ৬ ও ৫ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মাসুদ। প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকেরা। পঞ্চম উইকেটে সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৬৪ বলে ১৪১ রানের জুটিতেই যা রান হয়েছে। বাকি ৯ জুটি মিলে যোগ করেছে ৮৯ রান। শাকিল ও রিজওয়ান করেছেন ৮৪ ও ৭১ রান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ৯১ রান করতেই হারিয়েছে ৯ উইকেট। দশম উইকেটে ওয়ারিকান ও সিলসের ২১ বলে ৪৬ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। তাতেই ক্যারিবীয়রা করতে পারে ১৩৭ রান। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ারিকান। ২৪ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা মারেন।
মুলতানের পিচ যে ব্যাটারদের বধ্যভূমি, সেটা যাঁরা খেলা দেখা দেখেছেন তাঁরা তো বুঝতে পেরেছেনই। পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টের স্কোরকার্ড দেখেও যে কোনো ব্যক্তি তা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন। বোলারদের রাজত্বে প্রথম টেস্টের ফল আসতে পূর্ণ তিন দিনও লাগেনি।
পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে প্রথম টেস্টে পড়তে থাকে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট। সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ১০৬৪ বল। পড়েছে ৪০ উইকেট, রান হয়েছে ৬৪৭। বলের হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে এটা সংক্ষিপ্ততম টেস্ট। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। ফয়সালাবাদে সেবার ১০৮০ বলে শেষ হয়েছিল টেস্ট। সেই টেস্টেও পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল প্রতিপক্ষ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১০৯ রানে পাকিস্তান আজ মুলতানে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে। তবে যে পিচ বোলারদের স্বর্গ, সেখানে ব্যাটাররা কতক্ষণই বা টিকতে পারবেন! ৪৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে শেষ স্বাগতিকেরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অধিনায়ক শান মাসুদ। জোমেল ওয়ারিকান একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার ১৮ ওভারে খরচ করেন ৩২ রান। আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন ১ উইকেট। খুররম শেহজাদ, মাসুদ পাকিস্তানের এই দুই ব্যাটার হয়েছেন রান আউট।
প্রথম ইনিংসের ৯৩ রানের লিডসহ দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের স্কোর হয়েছে ২৫০ রান। ২৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখনই মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ঘোষণা করা হয়। বেকায়দায় পড়া উইন্ডিজদের হাল ধরেন টেভিন ইমলাচ ও অ্যালিক আথানাজ। মুলতান টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইমলাচের। ষষ্ঠ উইকেটে অ্যাথানাজের সঙ্গে ৫৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ইমলাচ।২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ইমলাচকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবরার আহমেদ।
৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আবারও আশা খুঁজে পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তম উইকেটে ২৮ রানের জুটি গড়েন অ্যাথানাজ ও কেভিন সিনক্লেয়ার। এই জুটি টিকেছে ৬২ বল। তবে এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ইনিংস। শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে কোনো রান যোগ না করেই। ১২৩ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবীয়রা। অ্যাথানাজের ৬৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংসটাই সফরকারীদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
পাকিস্তানের ১২৭ রানের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাজিদ খান। ১১৫ রানে নিয়েছেন ৯ উইকেট। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান খরচ করে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেটের সবটাই নিয়েছেন স্পিনাররা। সাজিদের ৯ উইকেটের পাশাপাশি নোমান আলী ও আবরার আহমেদ নিয়েছেন ৬ ও ৫ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মাসুদ। প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকেরা। পঞ্চম উইকেটে সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৬৪ বলে ১৪১ রানের জুটিতেই যা রান হয়েছে। বাকি ৯ জুটি মিলে যোগ করেছে ৮৯ রান। শাকিল ও রিজওয়ান করেছেন ৮৪ ও ৭১ রান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ৯১ রান করতেই হারিয়েছে ৯ উইকেট। দশম উইকেটে ওয়ারিকান ও সিলসের ২১ বলে ৪৬ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন। তাতেই ক্যারিবীয়রা করতে পারে ১৩৭ রান। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়ারিকান। ২৪ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা মারেন।
সিলেটের আকাশে আজ সকাল থেকেই কালো মেঘের ঘনঘটা। অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় নির্ধারিত সকাল ১০টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও খেলা শুরু করা যায়নি। মুষলধারায় সিলেটে আজ যে বৃষ্টি হচ্ছে...
১৯ মিনিট আগেইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি জায়গা করে নিতে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে গতকাল জিততেই হতো। তবে হামজা চৌধুরীর দল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে এমন সমীকরণ আসতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই ম্যাচে শেফিল্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে উঠল বার্নলি।
১ ঘণ্টা আগেক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
১৪ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
১৫ ঘণ্টা আগে