সাহিদ রহমান অরিন, ঢাকা
অর্থবিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি, তারকাপুঞ্জ আর সাফল্য—সব বিবেচনায় ইউরোপের সর্বকালের সেরা ক্লাব মানা হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৩বার শিরোপা জিতে অন্যদের চেয়ে যোজন-যোজন এগিয়ে মাদ্রিদের পরাশক্তিরা। আসরের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে হ্যাটট্রিক শিরোপাও জিতেছে তারা।
সেই রিয়ালকেই গত মঙ্গলবার রাতে ভূপাতিত করেছে শেরিফ তিরাসপোল নামের ‘পুঁচকে’ এক ক্লাব। রিয়ালের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে শেরিফ।
রূপকথার জন্ম দেওয়া এই জয়কে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন বা মহা অঘটন আখ্যা দিয়েছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম। কোনো কোনো মিডিয়া শেরিফকে ‘মলডোভান মিনোস’ নামেও ডাকছে। মাদ্রিদে শেরিফের এক রূপকথা মনে করিয়ে দিয়েছে এ রকম আরও অনেক অঘটন। তেমন কয়েকটি অঘটন নিয়েই আজকের আয়োজন।
বার্সেলোনা ৬-১ পিএসজি
৮ মার্চ ২০১৭
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় চার বছর আগের এই ম্যাচটা শুধু অঘটন নয়, অলৌকিক এক ম্যাচ হিসেবেই মনে রেখেছেন সবাই। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হলে ন্যু ক্যাম্পে পাঁচ গোলের ব্যবধানে জয় ছাড়া বিকল্প পথ খোলা ছিল না বার্সার। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের নিয়ে গড়া দুর্দান্ত আক্রমণভাগ থাকতেও বার্সার পাঁড়ভক্তও কোনো সম্ভাবনা দেখছিলেন না! ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে নেইমারকে প্রশ্ন করা হলে বলেছিলেন, ‘১% সম্ভাবনা, ৯৯% বিশ্বাস।’ সেই বিশ্বাসের জোরেই এক অলৌকিকতার জন্ম দিয়েছিল বার্সা। পিএসজিকে তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ৬-১ গোলে। শেষ আটের টিকিট পেতে হলে শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল করতে হতো বার্সাকে। অবিশ্বাস্যভাবে তিনটি গোল করে ফেলেছিল কাতালান জায়ান্টরা। সেই রাতে নিজের বর্তমান দল পিএসজির সর্বনাশ করেছিলেন নেইমারই! মহানাটকীয় ম্যাচের শেষ ৩ গোলেই অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ২টি গোল নিজে করে, অন্যটি সার্জিও রর্বাতোকে দিয়ে করিয়ে।
লা করুনা ৪-০ এসি মিলান
৭ এপ্রিল ২০০৪
কাকা, পাওলো মালদিনি, পিরলো, শেভচেঙ্কোদের এসি মিলানকে এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা দল বলে থাকেন অনেক ফুটবলবোদ্ধা। চ্যাম্পিয়নস লিগের মুকুট মাথায় নিয়েই ১৭ বছর আগে ৭ স্প্যানিশ ক্লাব দিপোর্তিভো লা করুনার মাঠে খেলতে গিয়েছিল মিলান। নিজেদের ডেরা সান সিরোয় প্রথম লেগে লা করুনাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ায় সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিলেন পিরলোরা। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসই সেই রাতে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল মিলানের। তাদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে পা রেখেছিল লা করুনা।
বোরিসভ ৩–১ বায়ার্ন মিউনিখ
২ অক্টোবর ২০১২
শোয়েনস্টেইগার, টনি ত্রুস, নয়্যার, রিবেরি, রোবেন—ইয়ুপ হেইঙ্কেসের পরাক্রমশালী বায়ার্ন মিউনিখে ছিল তারকাদের ছড়াছড়ি। ছোট দলগুলোকে উড়িয়ে দিতেও তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। আগের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করেই বোরিসভের বিপক্ষে নেমেছিল বায়ার্ন। কিন্তু ৯ বছর আগের সেই রাতে বেলারুশের ক্লাবটি বাভারিয়ানের জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। জার্মান জায়ান্টদের তারা হারিয়ে দেয় ৩-১ গোলে। ম্যাচটা সবাই চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের বড় অঘটনগুলোর একটি বিবেচনা করেন।
অর্থবিত্ত, প্রভাব-প্রতিপত্তি, তারকাপুঞ্জ আর সাফল্য—সব বিবেচনায় ইউরোপের সর্বকালের সেরা ক্লাব মানা হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৩বার শিরোপা জিতে অন্যদের চেয়ে যোজন-যোজন এগিয়ে মাদ্রিদের পরাশক্তিরা। আসরের ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে হ্যাটট্রিক শিরোপাও জিতেছে তারা।
সেই রিয়ালকেই গত মঙ্গলবার রাতে ভূপাতিত করেছে শেরিফ তিরাসপোল নামের ‘পুঁচকে’ এক ক্লাব। রিয়ালের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে শেরিফ।
রূপকথার জন্ম দেওয়া এই জয়কে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন বা মহা অঘটন আখ্যা দিয়েছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম। কোনো কোনো মিডিয়া শেরিফকে ‘মলডোভান মিনোস’ নামেও ডাকছে। মাদ্রিদে শেরিফের এক রূপকথা মনে করিয়ে দিয়েছে এ রকম আরও অনেক অঘটন। তেমন কয়েকটি অঘটন নিয়েই আজকের আয়োজন।
বার্সেলোনা ৬-১ পিএসজি
৮ মার্চ ২০১৭
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় চার বছর আগের এই ম্যাচটা শুধু অঘটন নয়, অলৌকিক এক ম্যাচ হিসেবেই মনে রেখেছেন সবাই। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হলে ন্যু ক্যাম্পে পাঁচ গোলের ব্যবধানে জয় ছাড়া বিকল্প পথ খোলা ছিল না বার্সার। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের নিয়ে গড়া দুর্দান্ত আক্রমণভাগ থাকতেও বার্সার পাঁড়ভক্তও কোনো সম্ভাবনা দেখছিলেন না! ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে নেইমারকে প্রশ্ন করা হলে বলেছিলেন, ‘১% সম্ভাবনা, ৯৯% বিশ্বাস।’ সেই বিশ্বাসের জোরেই এক অলৌকিকতার জন্ম দিয়েছিল বার্সা। পিএসজিকে তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ৬-১ গোলে। শেষ আটের টিকিট পেতে হলে শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল করতে হতো বার্সাকে। অবিশ্বাস্যভাবে তিনটি গোল করে ফেলেছিল কাতালান জায়ান্টরা। সেই রাতে নিজের বর্তমান দল পিএসজির সর্বনাশ করেছিলেন নেইমারই! মহানাটকীয় ম্যাচের শেষ ৩ গোলেই অবদান রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ২টি গোল নিজে করে, অন্যটি সার্জিও রর্বাতোকে দিয়ে করিয়ে।
লা করুনা ৪-০ এসি মিলান
৭ এপ্রিল ২০০৪
কাকা, পাওলো মালদিনি, পিরলো, শেভচেঙ্কোদের এসি মিলানকে এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা দল বলে থাকেন অনেক ফুটবলবোদ্ধা। চ্যাম্পিয়নস লিগের মুকুট মাথায় নিয়েই ১৭ বছর আগে ৭ স্প্যানিশ ক্লাব দিপোর্তিভো লা করুনার মাঠে খেলতে গিয়েছিল মিলান। নিজেদের ডেরা সান সিরোয় প্রথম লেগে লা করুনাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ায় সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিলেন পিরলোরা। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসই সেই রাতে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল মিলানের। তাদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালে পা রেখেছিল লা করুনা।
বোরিসভ ৩–১ বায়ার্ন মিউনিখ
২ অক্টোবর ২০১২
শোয়েনস্টেইগার, টনি ত্রুস, নয়্যার, রিবেরি, রোবেন—ইয়ুপ হেইঙ্কেসের পরাক্রমশালী বায়ার্ন মিউনিখে ছিল তারকাদের ছড়াছড়ি। ছোট দলগুলোকে উড়িয়ে দিতেও তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। আগের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে হারানোর আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করেই বোরিসভের বিপক্ষে নেমেছিল বায়ার্ন। কিন্তু ৯ বছর আগের সেই রাতে বেলারুশের ক্লাবটি বাভারিয়ানের জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। জার্মান জায়ান্টদের তারা হারিয়ে দেয় ৩-১ গোলে। ম্যাচটা সবাই চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের বড় অঘটনগুলোর একটি বিবেচনা করেন।
হচ্ছে হচ্ছে করে এখনো হয়নি। কবে হবে, বলতে পারছে না বাফুফে। তারা বলছে, আজ-কালও হামজা চৌধুরীকে নিয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারে ফিফা। আবার এক মাস পরও এমনটি হতে পারে। তবে সর্বশেষ খবর, এখনো ফিফার টেবিলে পড়ে আছে হামজার ফাইল।
৩৮ মিনিট আগেঅফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করেছিল বল। ভেতরে ঢুকে মুখে লাইনে না গিয়েই খেলতে গেলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে তাসকিনের সেই বল লাগল ব্যাটারের প্যাডে।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রথম সেশন বেশ ভালো কাটল বাংলাদেশের। মধ্যাহ্নভোজের আগে নিয়েছে ২ উইকেট। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
১৩ ঘণ্টা আগে