
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে পেয়েছেন ৯ উইকেট। গত ৫ মাসে ঘরের মাঠে হওয়া ৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও তাঁর বোলিং ছিল প্রশংসনীয়। তবে এতেই তৃপ্ত হতে চান না ৩১ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাইজুল বললেন সাম্প্রতিক সাফল্যসহ অনেক কিছু নিয়েই। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।

প্রশ্ন: দেশের মাঠে গত ৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট আপনার—এই পারফরম্যান্সে কতটা সন্তুষ্ট?
তাইজুল ইসলাম: পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেট পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো—এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ, ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
প্রশ্ন: বলছিলেন, অল্পের জন্য ১০ উইকেট হয়নি, বেশ আফসোসই থেকে গেছে, তাই না?
তাইজুল: আফসোস বলতে কিছু নেই। সব সময় চাই নিজের দেশকে তুলে ধরতে। দলের জন্য কতখানি করলাম, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই নিজে পারফর্ম করতে পারলে ভালো লাগে। সবার আগে দল। কী পারলাম, কী পারলাম না—এই আফসোসটা আমার মনে কখনো কাজ করে না।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে সাকিব আল হাসান যখন কম বোলিং করলেন, তখন আপনার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল কি না?
তাইজুল: যখনই আপনি খেলতে নামবেন, দায়িত্ব আপনার কাঁধে থাকবেই। সাকিব ভাই বল করুন আর না করুন বা যে সময়ে করেন বা না করেন, দায়িত্ব সব সময় থাকা উচিত। দেখা যায়, ১০ উইকেটের মধ্যে আমি ৫-৬ উইকেট নিচ্ছি, এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, সাকিব ভাই ৫-৬ উইকেট পেলেন, আমি ২ উইকেট পেলাম, ওটাও আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন যে সুযোগটা পাব, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও দারুণ বোলিং করেছেন। পরের সিরিজে সাদা বলে জায়গা হয়নি। ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা তো আর কম হয়নি। এখন কি এটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়ে গেছে?
তাইজুল: এখানে নির্বাচকেরা আছেন, দলের একটা চাহিদা থাকে। নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে, কখন কাকে কন্ডিশনে খেলানো যাবে বা কে পারফেক্ট হবে। যখনই সুযোগ পাই, ভালো করার চেষ্টা করি। সব সময় দলকে দেখি, কতখানি দলকে দিতে পারলাম। আমি কোথায় আছি, কোথায় নেই, এটা বিষয় নয়। নির্বাচকদের বিষয়, তারা আমাকে রাখবে কি রাখবে না।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের সময় ৫০০-৬০০ উইকেট পাওয়ার প্রসঙ্গ আসছিল। আমাদের বাস্তবতায় আপনি কি ৩০০ উইকেট পেলেই খুশি থাকবেন?
তাইজুল: আমাদের দেশে খুব বেশি টেস্ট হয় না। যদি এখন ৫০০-৬০০ উইকেট নিতে যাই, ৪০-৪২ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে হবে। যদি ফিট থাকি, চেষ্টা তো অবশ্যই করব। আমার তো ইচ্ছা আছে আল্লাহ যত দিন পারফরম্যান্স ধরে রাখার সামর্থ্য দেন, লক্ষ্য তো অবশ্যই আছে। যদি আমি ম্যাচ কম খেলতে পারি, তখন সেটা আলাদা বিষয় হবে। তবে চেষ্টা করব, নিজেকে যতটা দূরে নিয়ে যাওয়া যায়।
প্রশ্ন: তবু ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে কত উইকেট দেখতে চান?
তাইজুল: আমি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে চাই না।
প্রশ্ন: এখন দেশেও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ শুধু স্পিননির্ভর নয়। একজন স্পিনার হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: আমাদের পেস বোলাররা দেড়-দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছে, সেটা বাইরে বা দেশে, যেখানেই হোক। এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। যখন পেসাররা ভালো করে, তখন স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। পেসার ও স্পিনার একসঙ্গে যখন ভালো করবে, তখন বড় বড় দলকে হারানো সহজ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: দেশের বাইরে, বিশেষ করে এশিয়ার বাইরে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি থাকে। সেখানেও ভালো করতে কোথায় পরিবর্তন আনা বেশি জরুরি?
তাইজুল: উন্নতির ও ভালোর শেষ নেই। বিগত দিনগুলোয় আমাদের স্পিনাররা যেখানে খেলছে, ভালো করছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিরাজ অনেক ভালো বোলিং করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায়
যে সিরিজ জিতলাম, সেখানেও আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে, মিরাজ ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে, সাকিব ভাই ভালো বল করেছেন। মিরাজের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে, সাকিব ভাই তো সব জায়গায় ভালো করেন। আমাদের এখন আর ওই সমস্যা নেই।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্ল্যাট উইকেট অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন, এমন উইকেটে খেলে দেশের বাইরে কাজ কিছুটা সহজ হয় কি না?
তাইজুল: টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে প্রতিটি দিন যে একই যাবে, সেটা হবে না। এ রকম উইকেটে খেললে আমরা বাইরেও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যেতে পারব।
প্রশ্ন: সাকিব বলছিলেন, গত কয়েক মাসে আপনাদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন আসলে কীভাবে এসেছে?
তাইজুল: একটা কথা আছে ‘অ্যাটাকিং’। অ্যাটাকিং মানেই যে ভেঙেচুরে ফেলব, এমন নয়। যখন যুদ্ধে যাব, তখন আত্মরক্ষারও প্রয়োজন হয়। এটাও কিন্তু একটা অ্যাটাকিংয়ের মধ্যে পড়ে। আসলে কীভাবে প্রসেসিং করে জিতব, এটাই হচ্ছে বিষয়। মানসিক পরিবর্তন প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন। বাংলাদেশ দল অবশ্যই এখন মানসিকভাবে অনেক ভালো আছে। ইনশা আল্লাহ সামনের দিকেও ভালো থাকবে। এখানে দলের সবার কিছু না কিছু অবদান থাকে। সবার চাওয়াতেই এ পরিবর্তনটা হয়।
প্রশ্ন: কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনেই আপনার আন্তর্জাতিক অভিষেক। এবার তাঁর অধীনে কাজ করে বিশেষ কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
তাইজুল: হাথুরুসিংহের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি, এখনো তাঁর অধীনে আছি। বিশেষ বলতে যেটা করতে বলে, ওগুলোই নেওয়ার চেষ্টা করি। ওর ভালো অভিজ্ঞতা আছে, কীভাবে একটা দলকে গোছাতে হয়, কীভাবে একটা দলকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রশ্ন: হাথুরুর প্রথম মেয়াদ থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে অনিয়মিত হয়েছেন। এবার তিন সংস্করণেই খেলতে তাঁর কি বিশেষ পরামর্শ আছে?
তাইজুল: না, এখানে পরামর্শের বিষয় নয়। বাইরে থেকে অনেকে না জেনে অনেক কিছুই বলে। একজন কোচ যখন খেলোয়াড় চান, ওই খেলোয়াড়ের প্রতি তাঁর একটা ধারণা থাকতে হয়। ওকে যদি দলে নিই, কতটুকু পেতে পারি, আমার দলের জন্য কতটুকু ভালো হতে পারে ইত্যাদি।
প্রশ্ন: দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ২০০ উইকেট আছে, তবু আপনি যেন নেপথ্যের নায়ক হয়ে থাকেন সব সময়। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: সব সময় চেষ্টা করি ভালোটা দিতে। নিজের দায়িত্ব পালন করতে। অন্য কিছু নিয়ে সেভাবে ভাবি না।
প্রশ্ন: দেশের মাঠে গত ৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট আপনার—এই পারফরম্যান্সে কতটা সন্তুষ্ট?
তাইজুল ইসলাম: পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেট পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো—এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ, ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
প্রশ্ন: বলছিলেন, অল্পের জন্য ১০ উইকেট হয়নি, বেশ আফসোসই থেকে গেছে, তাই না?
তাইজুল: আফসোস বলতে কিছু নেই। সব সময় চাই নিজের দেশকে তুলে ধরতে। দলের জন্য কতখানি করলাম, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই নিজে পারফর্ম করতে পারলে ভালো লাগে। সবার আগে দল। কী পারলাম, কী পারলাম না—এই আফসোসটা আমার মনে কখনো কাজ করে না।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে সাকিব আল হাসান যখন কম বোলিং করলেন, তখন আপনার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল কি না?
তাইজুল: যখনই আপনি খেলতে নামবেন, দায়িত্ব আপনার কাঁধে থাকবেই। সাকিব ভাই বল করুন আর না করুন বা যে সময়ে করেন বা না করেন, দায়িত্ব সব সময় থাকা উচিত। দেখা যায়, ১০ উইকেটের মধ্যে আমি ৫-৬ উইকেট নিচ্ছি, এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, সাকিব ভাই ৫-৬ উইকেট পেলেন, আমি ২ উইকেট পেলাম, ওটাও আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন যে সুযোগটা পাব, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও দারুণ বোলিং করেছেন। পরের সিরিজে সাদা বলে জায়গা হয়নি। ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা তো আর কম হয়নি। এখন কি এটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়ে গেছে?
তাইজুল: এখানে নির্বাচকেরা আছেন, দলের একটা চাহিদা থাকে। নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে, কখন কাকে কন্ডিশনে খেলানো যাবে বা কে পারফেক্ট হবে। যখনই সুযোগ পাই, ভালো করার চেষ্টা করি। সব সময় দলকে দেখি, কতখানি দলকে দিতে পারলাম। আমি কোথায় আছি, কোথায় নেই, এটা বিষয় নয়। নির্বাচকদের বিষয়, তারা আমাকে রাখবে কি রাখবে না।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের সময় ৫০০-৬০০ উইকেট পাওয়ার প্রসঙ্গ আসছিল। আমাদের বাস্তবতায় আপনি কি ৩০০ উইকেট পেলেই খুশি থাকবেন?
তাইজুল: আমাদের দেশে খুব বেশি টেস্ট হয় না। যদি এখন ৫০০-৬০০ উইকেট নিতে যাই, ৪০-৪২ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে হবে। যদি ফিট থাকি, চেষ্টা তো অবশ্যই করব। আমার তো ইচ্ছা আছে আল্লাহ যত দিন পারফরম্যান্স ধরে রাখার সামর্থ্য দেন, লক্ষ্য তো অবশ্যই আছে। যদি আমি ম্যাচ কম খেলতে পারি, তখন সেটা আলাদা বিষয় হবে। তবে চেষ্টা করব, নিজেকে যতটা দূরে নিয়ে যাওয়া যায়।
প্রশ্ন: তবু ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে কত উইকেট দেখতে চান?
তাইজুল: আমি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে চাই না।
প্রশ্ন: এখন দেশেও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ শুধু স্পিননির্ভর নয়। একজন স্পিনার হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: আমাদের পেস বোলাররা দেড়-দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছে, সেটা বাইরে বা দেশে, যেখানেই হোক। এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। যখন পেসাররা ভালো করে, তখন স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। পেসার ও স্পিনার একসঙ্গে যখন ভালো করবে, তখন বড় বড় দলকে হারানো সহজ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: দেশের বাইরে, বিশেষ করে এশিয়ার বাইরে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি থাকে। সেখানেও ভালো করতে কোথায় পরিবর্তন আনা বেশি জরুরি?
তাইজুল: উন্নতির ও ভালোর শেষ নেই। বিগত দিনগুলোয় আমাদের স্পিনাররা যেখানে খেলছে, ভালো করছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিরাজ অনেক ভালো বোলিং করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায়
যে সিরিজ জিতলাম, সেখানেও আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে, মিরাজ ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে, সাকিব ভাই ভালো বল করেছেন। মিরাজের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে, সাকিব ভাই তো সব জায়গায় ভালো করেন। আমাদের এখন আর ওই সমস্যা নেই।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্ল্যাট উইকেট অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন, এমন উইকেটে খেলে দেশের বাইরে কাজ কিছুটা সহজ হয় কি না?
তাইজুল: টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে প্রতিটি দিন যে একই যাবে, সেটা হবে না। এ রকম উইকেটে খেললে আমরা বাইরেও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যেতে পারব।
প্রশ্ন: সাকিব বলছিলেন, গত কয়েক মাসে আপনাদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন আসলে কীভাবে এসেছে?
তাইজুল: একটা কথা আছে ‘অ্যাটাকিং’। অ্যাটাকিং মানেই যে ভেঙেচুরে ফেলব, এমন নয়। যখন যুদ্ধে যাব, তখন আত্মরক্ষারও প্রয়োজন হয়। এটাও কিন্তু একটা অ্যাটাকিংয়ের মধ্যে পড়ে। আসলে কীভাবে প্রসেসিং করে জিতব, এটাই হচ্ছে বিষয়। মানসিক পরিবর্তন প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন। বাংলাদেশ দল অবশ্যই এখন মানসিকভাবে অনেক ভালো আছে। ইনশা আল্লাহ সামনের দিকেও ভালো থাকবে। এখানে দলের সবার কিছু না কিছু অবদান থাকে। সবার চাওয়াতেই এ পরিবর্তনটা হয়।
প্রশ্ন: কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনেই আপনার আন্তর্জাতিক অভিষেক। এবার তাঁর অধীনে কাজ করে বিশেষ কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
তাইজুল: হাথুরুসিংহের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি, এখনো তাঁর অধীনে আছি। বিশেষ বলতে যেটা করতে বলে, ওগুলোই নেওয়ার চেষ্টা করি। ওর ভালো অভিজ্ঞতা আছে, কীভাবে একটা দলকে গোছাতে হয়, কীভাবে একটা দলকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রশ্ন: হাথুরুর প্রথম মেয়াদ থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে অনিয়মিত হয়েছেন। এবার তিন সংস্করণেই খেলতে তাঁর কি বিশেষ পরামর্শ আছে?
তাইজুল: না, এখানে পরামর্শের বিষয় নয়। বাইরে থেকে অনেকে না জেনে অনেক কিছুই বলে। একজন কোচ যখন খেলোয়াড় চান, ওই খেলোয়াড়ের প্রতি তাঁর একটা ধারণা থাকতে হয়। ওকে যদি দলে নিই, কতটুকু পেতে পারি, আমার দলের জন্য কতটুকু ভালো হতে পারে ইত্যাদি।
প্রশ্ন: দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ২০০ উইকেট আছে, তবু আপনি যেন নেপথ্যের নায়ক হয়ে থাকেন সব সময়। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: সব সময় চেষ্টা করি ভালোটা দিতে। নিজের দায়িত্ব পালন করতে। অন্য কিছু নিয়ে সেভাবে ভাবি না।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে পেয়েছেন ৯ উইকেট। গত ৫ মাসে ঘরের মাঠে হওয়া ৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও তাঁর বোলিং ছিল প্রশংসনীয়। তবে এতেই তৃপ্ত হতে চান না ৩১ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাইজুল বললেন সাম্প্রতিক সাফল্যসহ অনেক কিছু নিয়েই। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।

প্রশ্ন: দেশের মাঠে গত ৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট আপনার—এই পারফরম্যান্সে কতটা সন্তুষ্ট?
তাইজুল ইসলাম: পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেট পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো—এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ, ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
প্রশ্ন: বলছিলেন, অল্পের জন্য ১০ উইকেট হয়নি, বেশ আফসোসই থেকে গেছে, তাই না?
তাইজুল: আফসোস বলতে কিছু নেই। সব সময় চাই নিজের দেশকে তুলে ধরতে। দলের জন্য কতখানি করলাম, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই নিজে পারফর্ম করতে পারলে ভালো লাগে। সবার আগে দল। কী পারলাম, কী পারলাম না—এই আফসোসটা আমার মনে কখনো কাজ করে না।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে সাকিব আল হাসান যখন কম বোলিং করলেন, তখন আপনার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল কি না?
তাইজুল: যখনই আপনি খেলতে নামবেন, দায়িত্ব আপনার কাঁধে থাকবেই। সাকিব ভাই বল করুন আর না করুন বা যে সময়ে করেন বা না করেন, দায়িত্ব সব সময় থাকা উচিত। দেখা যায়, ১০ উইকেটের মধ্যে আমি ৫-৬ উইকেট নিচ্ছি, এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, সাকিব ভাই ৫-৬ উইকেট পেলেন, আমি ২ উইকেট পেলাম, ওটাও আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন যে সুযোগটা পাব, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও দারুণ বোলিং করেছেন। পরের সিরিজে সাদা বলে জায়গা হয়নি। ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা তো আর কম হয়নি। এখন কি এটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়ে গেছে?
তাইজুল: এখানে নির্বাচকেরা আছেন, দলের একটা চাহিদা থাকে। নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে, কখন কাকে কন্ডিশনে খেলানো যাবে বা কে পারফেক্ট হবে। যখনই সুযোগ পাই, ভালো করার চেষ্টা করি। সব সময় দলকে দেখি, কতখানি দলকে দিতে পারলাম। আমি কোথায় আছি, কোথায় নেই, এটা বিষয় নয়। নির্বাচকদের বিষয়, তারা আমাকে রাখবে কি রাখবে না।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের সময় ৫০০-৬০০ উইকেট পাওয়ার প্রসঙ্গ আসছিল। আমাদের বাস্তবতায় আপনি কি ৩০০ উইকেট পেলেই খুশি থাকবেন?
তাইজুল: আমাদের দেশে খুব বেশি টেস্ট হয় না। যদি এখন ৫০০-৬০০ উইকেট নিতে যাই, ৪০-৪২ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে হবে। যদি ফিট থাকি, চেষ্টা তো অবশ্যই করব। আমার তো ইচ্ছা আছে আল্লাহ যত দিন পারফরম্যান্স ধরে রাখার সামর্থ্য দেন, লক্ষ্য তো অবশ্যই আছে। যদি আমি ম্যাচ কম খেলতে পারি, তখন সেটা আলাদা বিষয় হবে। তবে চেষ্টা করব, নিজেকে যতটা দূরে নিয়ে যাওয়া যায়।
প্রশ্ন: তবু ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে কত উইকেট দেখতে চান?
তাইজুল: আমি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে চাই না।
প্রশ্ন: এখন দেশেও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ শুধু স্পিননির্ভর নয়। একজন স্পিনার হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: আমাদের পেস বোলাররা দেড়-দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছে, সেটা বাইরে বা দেশে, যেখানেই হোক। এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। যখন পেসাররা ভালো করে, তখন স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। পেসার ও স্পিনার একসঙ্গে যখন ভালো করবে, তখন বড় বড় দলকে হারানো সহজ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: দেশের বাইরে, বিশেষ করে এশিয়ার বাইরে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি থাকে। সেখানেও ভালো করতে কোথায় পরিবর্তন আনা বেশি জরুরি?
তাইজুল: উন্নতির ও ভালোর শেষ নেই। বিগত দিনগুলোয় আমাদের স্পিনাররা যেখানে খেলছে, ভালো করছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিরাজ অনেক ভালো বোলিং করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায়
যে সিরিজ জিতলাম, সেখানেও আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে, মিরাজ ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে, সাকিব ভাই ভালো বল করেছেন। মিরাজের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে, সাকিব ভাই তো সব জায়গায় ভালো করেন। আমাদের এখন আর ওই সমস্যা নেই।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্ল্যাট উইকেট অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন, এমন উইকেটে খেলে দেশের বাইরে কাজ কিছুটা সহজ হয় কি না?
তাইজুল: টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে প্রতিটি দিন যে একই যাবে, সেটা হবে না। এ রকম উইকেটে খেললে আমরা বাইরেও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যেতে পারব।
প্রশ্ন: সাকিব বলছিলেন, গত কয়েক মাসে আপনাদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন আসলে কীভাবে এসেছে?
তাইজুল: একটা কথা আছে ‘অ্যাটাকিং’। অ্যাটাকিং মানেই যে ভেঙেচুরে ফেলব, এমন নয়। যখন যুদ্ধে যাব, তখন আত্মরক্ষারও প্রয়োজন হয়। এটাও কিন্তু একটা অ্যাটাকিংয়ের মধ্যে পড়ে। আসলে কীভাবে প্রসেসিং করে জিতব, এটাই হচ্ছে বিষয়। মানসিক পরিবর্তন প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন। বাংলাদেশ দল অবশ্যই এখন মানসিকভাবে অনেক ভালো আছে। ইনশা আল্লাহ সামনের দিকেও ভালো থাকবে। এখানে দলের সবার কিছু না কিছু অবদান থাকে। সবার চাওয়াতেই এ পরিবর্তনটা হয়।
প্রশ্ন: কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনেই আপনার আন্তর্জাতিক অভিষেক। এবার তাঁর অধীনে কাজ করে বিশেষ কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
তাইজুল: হাথুরুসিংহের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি, এখনো তাঁর অধীনে আছি। বিশেষ বলতে যেটা করতে বলে, ওগুলোই নেওয়ার চেষ্টা করি। ওর ভালো অভিজ্ঞতা আছে, কীভাবে একটা দলকে গোছাতে হয়, কীভাবে একটা দলকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রশ্ন: হাথুরুর প্রথম মেয়াদ থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে অনিয়মিত হয়েছেন। এবার তিন সংস্করণেই খেলতে তাঁর কি বিশেষ পরামর্শ আছে?
তাইজুল: না, এখানে পরামর্শের বিষয় নয়। বাইরে থেকে অনেকে না জেনে অনেক কিছুই বলে। একজন কোচ যখন খেলোয়াড় চান, ওই খেলোয়াড়ের প্রতি তাঁর একটা ধারণা থাকতে হয়। ওকে যদি দলে নিই, কতটুকু পেতে পারি, আমার দলের জন্য কতটুকু ভালো হতে পারে ইত্যাদি।
প্রশ্ন: দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ২০০ উইকেট আছে, তবু আপনি যেন নেপথ্যের নায়ক হয়ে থাকেন সব সময়। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: সব সময় চেষ্টা করি ভালোটা দিতে। নিজের দায়িত্ব পালন করতে। অন্য কিছু নিয়ে সেভাবে ভাবি না।
প্রশ্ন: দেশের মাঠে গত ৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট আপনার—এই পারফরম্যান্সে কতটা সন্তুষ্ট?
তাইজুল ইসলাম: পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেট পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো—এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ, ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
প্রশ্ন: বলছিলেন, অল্পের জন্য ১০ উইকেট হয়নি, বেশ আফসোসই থেকে গেছে, তাই না?
তাইজুল: আফসোস বলতে কিছু নেই। সব সময় চাই নিজের দেশকে তুলে ধরতে। দলের জন্য কতখানি করলাম, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই নিজে পারফর্ম করতে পারলে ভালো লাগে। সবার আগে দল। কী পারলাম, কী পারলাম না—এই আফসোসটা আমার মনে কখনো কাজ করে না।
প্রশ্ন: মিরপুর টেস্টে সাকিব আল হাসান যখন কম বোলিং করলেন, তখন আপনার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল কি না?
তাইজুল: যখনই আপনি খেলতে নামবেন, দায়িত্ব আপনার কাঁধে থাকবেই। সাকিব ভাই বল করুন আর না করুন বা যে সময়ে করেন বা না করেন, দায়িত্ব সব সময় থাকা উচিত। দেখা যায়, ১০ উইকেটের মধ্যে আমি ৫-৬ উইকেট নিচ্ছি, এটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, সাকিব ভাই ৫-৬ উইকেট পেলেন, আমি ২ উইকেট পেলাম, ওটাও আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন যে সুযোগটা পাব, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও দারুণ বোলিং করেছেন। পরের সিরিজে সাদা বলে জায়গা হয়নি। ক্যারিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা তো আর কম হয়নি। এখন কি এটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়ে গেছে?
তাইজুল: এখানে নির্বাচকেরা আছেন, দলের একটা চাহিদা থাকে। নির্বাচক, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে, কখন কাকে কন্ডিশনে খেলানো যাবে বা কে পারফেক্ট হবে। যখনই সুযোগ পাই, ভালো করার চেষ্টা করি। সব সময় দলকে দেখি, কতখানি দলকে দিতে পারলাম। আমি কোথায় আছি, কোথায় নেই, এটা বিষয় নয়। নির্বাচকদের বিষয়, তারা আমাকে রাখবে কি রাখবে না।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের সময় ৫০০-৬০০ উইকেট পাওয়ার প্রসঙ্গ আসছিল। আমাদের বাস্তবতায় আপনি কি ৩০০ উইকেট পেলেই খুশি থাকবেন?
তাইজুল: আমাদের দেশে খুব বেশি টেস্ট হয় না। যদি এখন ৫০০-৬০০ উইকেট নিতে যাই, ৪০-৪২ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে হবে। যদি ফিট থাকি, চেষ্টা তো অবশ্যই করব। আমার তো ইচ্ছা আছে আল্লাহ যত দিন পারফরম্যান্স ধরে রাখার সামর্থ্য দেন, লক্ষ্য তো অবশ্যই আছে। যদি আমি ম্যাচ কম খেলতে পারি, তখন সেটা আলাদা বিষয় হবে। তবে চেষ্টা করব, নিজেকে যতটা দূরে নিয়ে যাওয়া যায়।
প্রশ্ন: তবু ক্যারিয়ার শেষে নামের পাশে কত উইকেট দেখতে চান?
তাইজুল: আমি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে চাই না।
প্রশ্ন: এখন দেশেও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ শুধু স্পিননির্ভর নয়। একজন স্পিনার হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: আমাদের পেস বোলাররা দেড়-দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছে, সেটা বাইরে বা দেশে, যেখানেই হোক। এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। যখন পেসাররা ভালো করে, তখন স্পিনারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। পেসার ও স্পিনার একসঙ্গে যখন ভালো করবে, তখন বড় বড় দলকে হারানো সহজ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: দেশের বাইরে, বিশেষ করে এশিয়ার বাইরে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি থাকে। সেখানেও ভালো করতে কোথায় পরিবর্তন আনা বেশি জরুরি?
তাইজুল: উন্নতির ও ভালোর শেষ নেই। বিগত দিনগুলোয় আমাদের স্পিনাররা যেখানে খেলছে, ভালো করছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে মিরাজ অনেক ভালো বোলিং করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায়
যে সিরিজ জিতলাম, সেখানেও আমাদের স্পিনাররা ভালো করেছে, মিরাজ ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছে, সাকিব ভাই ভালো বল করেছেন। মিরাজের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে, সাকিব ভাই তো সব জায়গায় ভালো করেন। আমাদের এখন আর ওই সমস্যা নেই।
প্রশ্ন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফ্ল্যাট উইকেট অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন, এমন উইকেটে খেলে দেশের বাইরে কাজ কিছুটা সহজ হয় কি না?
তাইজুল: টেস্ট ক্রিকেট খেলতে গেলে প্রতিটি দিন যে একই যাবে, সেটা হবে না। এ রকম উইকেটে খেললে আমরা বাইরেও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যেতে পারব।
প্রশ্ন: সাকিব বলছিলেন, গত কয়েক মাসে আপনাদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন আসলে কীভাবে এসেছে?
তাইজুল: একটা কথা আছে ‘অ্যাটাকিং’। অ্যাটাকিং মানেই যে ভেঙেচুরে ফেলব, এমন নয়। যখন যুদ্ধে যাব, তখন আত্মরক্ষারও প্রয়োজন হয়। এটাও কিন্তু একটা অ্যাটাকিংয়ের মধ্যে পড়ে। আসলে কীভাবে প্রসেসিং করে জিতব, এটাই হচ্ছে বিষয়। মানসিক পরিবর্তন প্রতিটি মানুষেরই প্রয়োজন। বাংলাদেশ দল অবশ্যই এখন মানসিকভাবে অনেক ভালো আছে। ইনশা আল্লাহ সামনের দিকেও ভালো থাকবে। এখানে দলের সবার কিছু না কিছু অবদান থাকে। সবার চাওয়াতেই এ পরিবর্তনটা হয়।
প্রশ্ন: কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনেই আপনার আন্তর্জাতিক অভিষেক। এবার তাঁর অধীনে কাজ করে বিশেষ কি কোনো পরিবর্তন এসেছে?
তাইজুল: হাথুরুসিংহের সঙ্গে আগেও কাজ করেছি, এখনো তাঁর অধীনে আছি। বিশেষ বলতে যেটা করতে বলে, ওগুলোই নেওয়ার চেষ্টা করি। ওর ভালো অভিজ্ঞতা আছে, কীভাবে একটা দলকে গোছাতে হয়, কীভাবে একটা দলকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রশ্ন: হাথুরুর প্রথম মেয়াদ থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে অনিয়মিত হয়েছেন। এবার তিন সংস্করণেই খেলতে তাঁর কি বিশেষ পরামর্শ আছে?
তাইজুল: না, এখানে পরামর্শের বিষয় নয়। বাইরে থেকে অনেকে না জেনে অনেক কিছুই বলে। একজন কোচ যখন খেলোয়াড় চান, ওই খেলোয়াড়ের প্রতি তাঁর একটা ধারণা থাকতে হয়। ওকে যদি দলে নিই, কতটুকু পেতে পারি, আমার দলের জন্য কতটুকু ভালো হতে পারে ইত্যাদি।
প্রশ্ন: দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ২০০ উইকেট আছে, তবু আপনি যেন নেপথ্যের নায়ক হয়ে থাকেন সব সময়। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?
তাইজুল: সব সময় চেষ্টা করি ভালোটা দিতে। নিজের দায়িত্ব পালন করতে। অন্য কিছু নিয়ে সেভাবে ভাবি না।

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সুবাদে ফুটবল অঙ্গনে হামজা চৌধুরীর বেশ পরিচিত আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তো তিনি এখন সবচেয়ে বড় নাম। তাঁর আগমনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এদেশের ফুটবলে। ফুটবল ঘিরে যার পেশা এবং নেশা সেই হামজা চৌধুরী এবার নেমে পড়লেন ব্যাট-বলের খেলায়।
৩২ মিনিট আগে
২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলে জায়গা পেয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুবমান গিল। যথারীতি সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তাঁর ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল।
১ ঘণ্টা আগে
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
৩ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সুবাদে ফুটবল অঙ্গনে হামজা চৌধুরীর বেশ পরিচিত আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তো তিনি এখন সবচেয়ে বড় নাম। তাঁর আগমনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এদেশের ফুটবলে। ফুটবল ঘিরে যার পেশা এবং নেশা সেই হামজা চৌধুরী এবার নেমে পড়লেন ব্যাট-বলের খেলায়।
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে লেস্টার। তার আগে দলীয় অনুশীলনে ক্রিকেটে মেতে উঠতে দেখা গেল হামজাকে। সতীর্থদের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে কিছুক্ষণের জন্য ক্রীড়াঙ্গনের আরেক জগতে হারিয়ে যান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
হামজার ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, এক সতীর্থ তাঁকে পাঁচটি বল করেন। প্রথম বলে উড়িয়ে মারতে চাইলেও ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি হামজা। দ্বিতীয় বল দারুণ টাইমিং করেন। উড়িয়ে বেশ দূরে বল পাঠান তিনি।
তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ব্যাটে লাগাতে পারেননি হামজা। টানা তিন বলে হতাশ হয়ে সতীর্থদের মতো এই ফুটবলারও হেসে দেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলীয় অনুশীলনে বোলিং করতেও দেখা গেছে তাঁকে। ফুটবলের বাইরে গিয়ে মনে রাখার মতো একটি অনুশীলন সেশনই যেন কাটালেন হামজা।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় হামজার। এরপর একে একে লাল-সবুজ জার্সিতে সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে গত মাসে জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। মে ম্যাচেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন হামজা। আগামী মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়লেও সে ম্যাচেও মাঠে নামার কথা রয়েছে হামজার।

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সুবাদে ফুটবল অঙ্গনে হামজা চৌধুরীর বেশ পরিচিত আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তো তিনি এখন সবচেয়ে বড় নাম। তাঁর আগমনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এদেশের ফুটবলে। ফুটবল ঘিরে যার পেশা এবং নেশা সেই হামজা চৌধুরী এবার নেমে পড়লেন ব্যাট-বলের খেলায়।
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে লেস্টার। তার আগে দলীয় অনুশীলনে ক্রিকেটে মেতে উঠতে দেখা গেল হামজাকে। সতীর্থদের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে কিছুক্ষণের জন্য ক্রীড়াঙ্গনের আরেক জগতে হারিয়ে যান এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
হামজার ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, এক সতীর্থ তাঁকে পাঁচটি বল করেন। প্রথম বলে উড়িয়ে মারতে চাইলেও ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি হামজা। দ্বিতীয় বল দারুণ টাইমিং করেন। উড়িয়ে বেশ দূরে বল পাঠান তিনি।
তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ব্যাটে লাগাতে পারেননি হামজা। টানা তিন বলে হতাশ হয়ে সতীর্থদের মতো এই ফুটবলারও হেসে দেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলীয় অনুশীলনে বোলিং করতেও দেখা গেছে তাঁকে। ফুটবলের বাইরে গিয়ে মনে রাখার মতো একটি অনুশীলন সেশনই যেন কাটালেন হামজা।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় হামজার। এরপর একে একে লাল-সবুজ জার্সিতে সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে গত মাসে জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। মে ম্যাচেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন হামজা। আগামী মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়লেও সে ম্যাচেও মাঠে নামার কথা রয়েছে হামজার।

পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার কাছে মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো। এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলে জায়গা পেয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুবমান গিল। যথারীতি সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তাঁর ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল।
১ ঘণ্টা আগে
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
৩ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলে জায়গা হয়নি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুবমান গিলের। যথারীতি সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তাঁর ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল।
সবশেষ এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় গিলকে। কিন্তু ব্যাট হাতে রানখরায় এই সংস্করণের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হলো না তাঁর। সবশেষ ১৮ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি তারকা ব্যাটার। গিলের পাশাপাশি বাদ পড়েছেন জিতেশ শর্মা। তাঁর বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে সঞ্জু স্যামসনকে। অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেনিং করতে দেখা যাবে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।
স্যামসনের সঙ্গে ফেরানো হয়েছে ইশান কিশানকেও। এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারতের জার্সিতে খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। ২৫ মাস পর ফেরানো হলো তাঁকে। সদ্য শেষ হওয়া সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দারুণ ব্যাটিং করে দলে ফিরলেন কিশান। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫১৭ রান করেন তিনি।
বোলিং বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনেনি ভারত। পেস বিভাগ সামলাবেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষিত রানা ও আর্শদিপ সিং। সঙ্গে থাকছেন কুলদিপ যাদব ও বরুন চক্রবর্তীর মতো তারকা স্পিনার। এছাড়া অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে প্যাটেল ছাড়াও থাকছেন হার্দিক পান্ডিয়া, শিভম দুবে ও ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো পরিচিত মুখ।
লম্বা সময় ধরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন সূর্য। এরপরও বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে তাঁর কাঁধেই নেতৃত্বভার দিয়েছে বিসিসিআইয়ের নির্বাচক প্যানেল। আগামী মাসে নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। সে সিরিজেও একই দল নিয়ে খেলবে স্বাগতিকেরা।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ার। প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিকেরা। 'এ' গ্রুপে তাদের বাকি তিন প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, অক্ষর প্যাটেল (সহ–অধিনায়ক), ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, আর্শদীপ সিং, যশপ্রিত বুমরা।

২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলে জায়গা হয়নি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুবমান গিলের। যথারীতি সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তাঁর ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল।
সবশেষ এশিয়া কাপের আগে টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় গিলকে। কিন্তু ব্যাট হাতে রানখরায় এই সংস্করণের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হলো না তাঁর। সবশেষ ১৮ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি তারকা ব্যাটার। গিলের পাশাপাশি বাদ পড়েছেন জিতেশ শর্মা। তাঁর বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে সঞ্জু স্যামসনকে। অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেনিং করতে দেখা যাবে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।
স্যামসনের সঙ্গে ফেরানো হয়েছে ইশান কিশানকেও। এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারতের জার্সিতে খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। ২৫ মাস পর ফেরানো হলো তাঁকে। সদ্য শেষ হওয়া সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দারুণ ব্যাটিং করে দলে ফিরলেন কিশান। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৫১৭ রান করেন তিনি।
বোলিং বিভাগে কোনো পরিবর্তন আনেনি ভারত। পেস বিভাগ সামলাবেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হর্ষিত রানা ও আর্শদিপ সিং। সঙ্গে থাকছেন কুলদিপ যাদব ও বরুন চক্রবর্তীর মতো তারকা স্পিনার। এছাড়া অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে প্যাটেল ছাড়াও থাকছেন হার্দিক পান্ডিয়া, শিভম দুবে ও ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো পরিচিত মুখ।
লম্বা সময় ধরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন সূর্য। এরপরও বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে তাঁর কাঁধেই নেতৃত্বভার দিয়েছে বিসিসিআইয়ের নির্বাচক প্যানেল। আগামী মাসে নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। সে সিরিজেও একই দল নিয়ে খেলবে স্বাগতিকেরা।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ার। প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিকেরা। 'এ' গ্রুপে তাদের বাকি তিন প্রতিপক্ষ নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের স্কোয়াড: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), বরুণ চক্রবর্তী, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, অক্ষর প্যাটেল (সহ–অধিনায়ক), ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, আর্শদীপ সিং, যশপ্রিত বুমরা।

পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার কাছে মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো। এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সুবাদে ফুটবল অঙ্গনে হামজা চৌধুরীর বেশ পরিচিত আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তো তিনি এখন সবচেয়ে বড় নাম। তাঁর আগমনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এদেশের ফুটবলে। ফুটবল ঘিরে যার পেশা এবং নেশা সেই হামজা চৌধুরী এবার নেমে পড়লেন ব্যাট-বলের খেলায়।
৩২ মিনিট আগে
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
৩ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৭১ রান। বাকি ৬ উইকেটে আজ ৭৮ রান যোগ করে ৩৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকেরা। প্রথম ইনিংসে তারা ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের। এর আগে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।
২২ বছর আগের সে রেকর্ড ভাঙার জন্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু তাদের শুরুটা হয়েছে খুবই বাজে। ২০৭ রান করতেই হারিয়েছে ৬ ব্যাটারকে। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া অতিথিদের হয়ে এক জ্যাক ক্রলি ছাড়া আর কেউ সেভাবে ব্যাটং করতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারিতে ৮৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান লায়ন। দলীয় ৩২ রানে বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে হারানোর পর জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রলি।
তৃতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে ৭৮ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও রুট ও ব্রুক থামেন ৩৯ ও ৩০ রান করে। দলকে বিপদে রেখে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।
শেষ দিনে ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে টিকে আছেন উইল জ্যাকস ও জেমি স্মিথ। তাঁরা দুজন ১১ ও ২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন। জেতার জন্য আরও ২২৮ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট।

হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ২৭১ রান। বাকি ৬ উইকেটে আজ ৭৮ রান যোগ করে ৩৪৯ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকেরা। প্রথম ইনিংসে তারা ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩৫ রানের। এর আগে এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিল ক্যারিবীয়রা।
২২ বছর আগের সে রেকর্ড ভাঙার জন্য দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু তাদের শুরুটা হয়েছে খুবই বাজে। ২০৭ রান করতেই হারিয়েছে ৬ ব্যাটারকে। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খাওয়া অতিথিদের হয়ে এক জ্যাক ক্রলি ছাড়া আর কেউ সেভাবে ব্যাটং করতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারিতে ৮৫ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান লায়ন। দলীয় ৩২ রানে বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে হারানোর পর জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রলি।
তৃতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে ৭৮ এবং চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রুকের সঙ্গে ৬৮ রান যোগ করেন ক্রলি। এই ব্যাটার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও রুট ও ব্রুক থামেন ৩৯ ও ৩০ রান করে। দলকে বিপদে রেখে সাজঘরে ফেরেন স্টোকস। লায়নের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান।
শেষ দিনে ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে টিকে আছেন উইল জ্যাকস ও জেমি স্মিথ। তাঁরা দুজন ১১ ও ২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন। জেতার জন্য আরও ২২৮ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট।

পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার কাছে মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো। এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সুবাদে ফুটবল অঙ্গনে হামজা চৌধুরীর বেশ পরিচিত আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তো তিনি এখন সবচেয়ে বড় নাম। তাঁর আগমনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এদেশের ফুটবলে। ফুটবল ঘিরে যার পেশা এবং নেশা সেই হামজা চৌধুরী এবার নেমে পড়লেন ব্যাট-বলের খেলায়।
৩২ মিনিট আগে
২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলে জায়গা পেয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুবমান গিল। যথারীতি সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তাঁর ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল।
১ ঘণ্টা আগে
টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
পিএসজির সঙ্গে ফ্ল্যামেঙ্গোর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চারটি শট ঠেকান সাফোনভ। ফ্রেঞ্চ কাপে আজ রাত দুইটায় ফন্তেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। তার আগে সাফোনভের হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত কো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এনে হাত ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় সাফোনভ লড়াইয়ের ভঙ্গিতে ছিল। তাই হয়তো সে ড্রেনালিনে (উত্তেজনাকর বিশেষ হরমোন) প্রভাবে সে ভাঙা হাত নিয়েই শুটআউট শেষ করেছে। ভাঙা হাত নিয়েই সে দুটি শট ঠেকিয়েছে। কোনো ব্যথা অনুভব করেনি। যেকোনো সময় দলকে সাহায্য করার জন্য সে প্রস্তুত। এটা রীতিমতো তা অবিশ্বাস্য। আমরা এই মানসিকতাই চাই। সবসময় পরিশ্রম করতে হবে।’
সাফোনভের এই অদম্য মানসিকতার কোনো ব্যাখ্যা নেই পিএসজি কোচের কাছে, ‘আমি এটা ব্যাখ্যা করতে পারব না। সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। সাফোনভ নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল। আমাদের মনে হয় তখনই সসসসে চোট পেয়েছে।’

টাইব্রেকারে হতে পারতো যেকোনো কিছুই। কিন্তু ফলটা এসেছে পিএসজির পক্ষেই। সেটার নায়ক দলটির রাশিয়ান গোলরক্ষক মাতভেই সাফোনভ। টাইব্রেকারে ফ্ল্যামঙ্গোর সামনে রীতিমতো দেয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। দল জিতলেও হাত ভেঙেছে সাফোনভের। দলের জন্য তাঁর এমন কৃতিত্বকে অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকে।
পিএসজির সঙ্গে ফ্ল্যামেঙ্গোর ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল ম্যাচের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চারটি শট ঠেকান সাফোনভ। ফ্রেঞ্চ কাপে আজ রাত দুইটায় ফন্তেনের বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি। তার আগে সাফোনভের হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত কো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে এনে হাত ভাঙার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এনরিকে। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের সময় সাফোনভ লড়াইয়ের ভঙ্গিতে ছিল। তাই হয়তো সে ড্রেনালিনে (উত্তেজনাকর বিশেষ হরমোন) প্রভাবে সে ভাঙা হাত নিয়েই শুটআউট শেষ করেছে। ভাঙা হাত নিয়েই সে দুটি শট ঠেকিয়েছে। কোনো ব্যথা অনুভব করেনি। যেকোনো সময় দলকে সাহায্য করার জন্য সে প্রস্তুত। এটা রীতিমতো তা অবিশ্বাস্য। আমরা এই মানসিকতাই চাই। সবসময় পরিশ্রম করতে হবে।’
সাফোনভের এই অদম্য মানসিকতার কোনো ব্যাখ্যা নেই পিএসজি কোচের কাছে, ‘আমি এটা ব্যাখ্যা করতে পারব না। সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। সাফোনভ নিজেও জানে না কীভাবে এটা হলো। তৃতীয় পেনাল্টি বাঁচানোর সময় সে একটু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করেছিল। আমাদের মনে হয় তখনই সসসসে চোট পেয়েছে।’

পারফরম্যান্স এমন একটা বিষয়, যতই করেন না কেন, সন্তুষ্টি আসাটা আসলে কঠিন। আমার কাছে মনে হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে পেয়েছি, আরেকটা হলে আমার ১০ উইকেট হতো। এ রকম আরকি ব্যাপারটা। তবু আলহামদুলিল্লাহ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।
০৯ এপ্রিল ২০২৩
ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সুবাদে ফুটবল অঙ্গনে হামজা চৌধুরীর বেশ পরিচিত আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তো তিনি এখন সবচেয়ে বড় নাম। তাঁর আগমনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এদেশের ফুটবলে। ফুটবল ঘিরে যার পেশা এবং নেশা সেই হামজা চৌধুরী এবার নেমে পড়লেন ব্যাট-বলের খেলায়।
৩২ মিনিট আগে
২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। দলে জায়গা পেয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুবমান গিল। যথারীতি সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বেই সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তাঁর ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অক্ষর প্যাটেল।
১ ঘণ্টা আগে
হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে আজ নিজেদের সংগ্রহটা খুব বেশি বাড়িয়ে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এরপরও তাদের পুঁজি এবং লিড মিলিয়ে বড় লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যাডিলেড টেস্টে হারের শঙ্কায় আছে বেন স্টোকসের দল। এই ম্যাচ হারলে অ্যাশেজ সিরিজ হারবে সফরকারীরা।
৩ ঘণ্টা আগে