Ajker Patrika

আলীর বিমানে চড়ার ভয় এবং নদীতে সোনার মেডেল ছোড়ার গল্প

আলীর বিমানে চড়ার ভয় এবং নদীতে সোনার মেডেল ছোড়ার গল্প

নাহ, অলিম্পিক দিয়ে মোহাম্মদ আলী ‘দ্য গ্রেটেস্ট’ হননি। তবে তাঁর গ্রেটেস্ট হয়ে ওঠার শুরুটা হয় এই অলিম্পিক দিয়েই। লুইসভিলের সেই কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেটির বর্ণিল ও কিঞ্চিৎ বিতর্কিত যাত্রার বীজটা রোপণ হয়েছিল ১৯৬০ রোম অলিম্পিক দিয়েই। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক শুরুর দুদিন আগে শোনা যাক সে গল্পই।

আলী অবশ্য শৈশব থেকেই কিংবদন্তি হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করেন। যাঁরা তখন তাঁকে দেখেছিলেন তাঁদের ভাষ্য, জন্মের পরই বিশাল মাথার কারণে সবার চোখে পড়েন আলী। যা কিনা আর কখনো ছোট হয়নি! ১২ বছর বয়সে আলী প্রথম জিমে যান, যেখানে তিনি তাঁর ট্রেনার ও কোচ জো মার্টিনের দেখা পান। সেই জো না থাকলে ক্যাসিয়াস ক্লে তথা মোহাম্মদ আলীকে হয়তো পাওয়াই যেত না।

এমনকি এই জো না থাকলে আলীর হয়তো ১৯৬০ রোম অলিম্পিকেও খেলা হতো না। রোমের পথে আলীর যাত্রাটা ছিল বেশ মজার। তখনো তিনি ক্যাসিয়াস ক্লে থেকে আলী হয় ওঠেননি। এর মধ্যে গ্লাভস হাতে নেওয়ার ছয় বছর পর লাইট হেভিওয়েট বিভাগে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান আলী। কিন্তু বিমান চড়ার সাহস ছিল না বক্সিং রিংয়ের ঝড় তোলা এই মুষ্টিযোদ্ধার। এ কারণে রোম অলিম্পিকে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলেন। শুরুতে অবশ্য চেয়েছিলেন বোটে বা ট্রেনে করে রোম যেতে। কিন্তু তা সম্ভব ছিল না। আলী তখন বলেছিলেন, ‘খুব খারাপ হলো, আমি তাহলে রোমে যাবই না!’

কয়েক মাস আগে অলিম্পিকের বাছাইয়ের অংশ নিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার সময় মুখোমুখি হওয়া বাজে অভিজ্ঞতার কারণেই বিমানভ্রমণ নিয়ে ভয় জন্ম নেয় আলীর মনে। আলীকে সাহস দিতে এগিয়ে আসেন জো। তাঁকে বোঝান যে, ‘যদি তুমি না যাও, তবে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হারাবে!’ কোচের এই সব কথায় কাজ হয়, শেষ পর্যন্ত বিমানে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন আলী।

‘দ্য গ্রেটেস্ট’ খ্যাত মোহাম্মদ আলীআলীর সেই বিমান ভ্রমণ নিয়েও মজার সব গল্প চালু আছে। কেউ কেউ বলেন, পুরো বিমান যাত্রায় ভয়ের চোটে চিৎকার আর প্রার্থনা করে কাটান তিনি। আবার কেউ কেউ বলেন, বিমান যাত্রায় আলী কেবিনে ঘুরেঘুরে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সতীর্থদের মাঝে কারা কারা মেডেল জিতবে। বলা বাহুল্য, সে তালিকায় আলী নিজের নামও রেখেছিলেন। যদিও এই সব গল্প কতটা সত্যি তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

রিংয়ে অবশ্য আলীর দাপট নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। ইয়ান বিকাজ, গেনেশি শাটকভ ও টনি মাডিগানকে হারানোর পর আলীর সামনে ছিলেন শুধু বিগিনিও পিটারজাইকোস্কি। অভিজ্ঞতা ও সাফল্যে আলীর চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন পিটারজাইকোস্কি। দারুণ এক লড়াই তাঁকে হারিয়ে আলী ঠিকই সোনা জিতে নেন। এভাবে নিজের আগমনী বার্তাও দিয়ে দেন। এখানেই শেষ নয়।

শুধু রিংয়েই নন, রিংয়ের বাইরেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আলী। নিজের সহজাত মিশুক আচরণ দিয়ে আলী হয়ে ওঠেন ভিলেজের সবচেয়ে আলোচিত মুখ। এ সময় সব মহাদেশের লোক আলীকে ভালোবেসে কাছে টেনে নেন। তাঁর পরিচিতিই হয়ে উঠে, ‘মেয়র অব দ্য ভিলেজ’ নামে। ১৯৬১ সালে ডেভ কিন্ড্রাড নিউইয়র্ক টাইমসে লিখেন, ‘ক্যাসিয়াস (আলী) গ্রীষ্মের অলিম্পিক ভিলেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের একজন ছিলেন। যিনি সেখানে অনেক বন্ধু তৈরি করেন এবং সব জায়গায় প্রভাব রেখেছেন।’

তবে এসবের মাঝে আলীর অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল মেডেলটি। এক টানা ৪৮ ঘণ্টা যা আলীর গলা থেকে নামেনি। এমনকি ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও তিনি এটি নামিয়ে রাখেননি। রাতে ঘুমও খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথমবারের মতো তাঁকে পিঠে ভর দিয়ে ঘুমাতে হয়েছিল, যেন মেডেলের কারণে শরীরের কোথাও কেটে না যায়!

কেবল বক্সিং রিংয়েই নয়, আলী সোভিয়েত দেশের সাংবাদিকের সঙ্গেও রোমে লড়াই করে এসেছেন। সোভিয়েতের এক সাংবাদিক আলীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমেরিকায় কিছু রেস্তোরাঁয় কালোদের খেতে যাওয়া নিষেধ থাকার ব্যাপারে। উত্তরে আলী বলেছিলেন, ‘আমার দেশ অনেক বড়। সেখানে যত জায়গায় আমি খেতে না পারি, তার চেয়ে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আমি যেতে পারি।’

সতীর্থদের সঙ্গে আলীতবে সোনা জয়ের আনন্দ খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। চ্যাম্পিয়নের মতো দেশে ফেরা আলীর ধাক্কা খেতেও সময় লাগেনি। সোভিয়েতের সেই সাংবাদিককে জবাব দিতেই হয়তো বন্ধু রনি কিংকে নিয়ে আলী কালোদের জন্য নিষিদ্ধ রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। আলী তো মার্কিন দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা সন্তান! তাঁকে কি কোনো নিষেধ আটকাতে পারে! টেবিলে বসে হ্যাম বার্গার ও ভ্যানিলা মিল্ক শেক অর্ডার দেন তাঁরা। কিন্তু ওয়েটার মেয়েটি জানায়, সে তাঁদের খাবার দিতে পারবে না। তখন আলী বলেন, ‘মিস আমি ক্যাসিয়াস ক্লে (পরে যিনি মোহাম্মদ আলী)। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।’

আলী ওয়েটার মেয়েটিকে সব সময় সঙ্গে রাখা মেডেলটাও দেখান। মেয়েটি তাঁর মালিককে এ ঘটনা জানান। সেই মালিকের কাছ থেকেও একই জবাব আসে। সেখানে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে কয়েকজন শ্বেতাঙ্গের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন আলী ও কিং।

রক্তাক্ত জামা কাপড় পরিষ্কার করতে অহিও নদীর ধারে চলে আসেন আলী ও কিং। এক সময় তাঁরা জেফারসন ব্রিজে উঠে আসেন। বিষণ্ন আলী গলা থেকে মেডেল খুলে নিয়ে অহিওর জলে ভাসিয়ে দেন। আলী বলেছিলেন, ‘প্রথমবারের মতো মেডেলটিকে আমার সাধারণ কোনো বস্তু বলে মনে হলো।’

যদিও আলীর এই মেডেল ছুড়ে ফেলার ঘটনা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আছে। এ নিয়ে অনেক তদন্তও হয়েছে। এমনকি আলীর ছোটবেলার এক বন্ধুও মনে করতেন, আলী এটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। সত্য যাই হোক, রূপকথা ও বাস্তবতা মিলিয়েই তো ‘গ্রেটেস্ট’ আলী! কখনো কখনো যিনি ইতিহাসকেও ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফাইনালে পারলেন না জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রুপা হাতে জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
রুপা হাতে জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

প্রথম সেটে দারুণ লড়াই করেও পারলেন না আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই দম আর পরে ধরে রাখতে পারেননি। ফলে রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে আজ তাঁদের ২৭-২৫, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে সোনা জিতেছে মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সান জুটি।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রথম সেটে শুরুর কয়েকটি পয়েন্ট মালয়েশিয়ান জুটি আদায় করে বেশ সহজেই। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ান জুমার-ঊর্মি। টাইব্রেকারে নিয়ে যান সেট। ২৫ পয়েন্টের পর আর পেরে ওঠেননি তারা। দ্বিতীয় সেটে একটা সময় পয়েন্ট ছিল ১২-১২। এরপর মালয়েশিয়ার জুটি দেখায় একচ্ছত্র আধিপত্য।

রুপা জিতে ৮৪০ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন জুমার-ঊর্মি। একইসঙ্গে তাঁদের ১ হাজার ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাডমিন্টনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন।  ফাইনাল শেষে উর্মি আক্তার পৃষ্ঠপোষকহীনতা ও কম প্রশিক্ষণকে দায়ী করলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের অনেক পার্থক্য। ওদের ড্রেস দেখলেই বুঝবেন। ওরা বড় বড় স্পন্সর নিয়ে খেলে। আমাদের সেভাবে কোনো স্পন্সর নেই। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেই। আমরাও যদি ওদের মতো সব ধরনের সুবিধা পেতাম, তাহলে আরও অনেকদূর যেতে পারতাম। কারণ ওরাও মানুষ, আমরাও মানুষ।’

খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জুমারের, ‘প্রথমবারের মতো আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি এটা যেমন আনন্দের, তেমনি চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে একটু তো খারাপ লাগছেই।’

গতকাল পুরুষ এককে ভারতের মেইরাবা মাইসনাম, নারী এককে যুক্তরাষ্ট্রের ইশিকা জয়সওয়াল, পুরুষ দ্বৈতে ভারতের নিরঞ্জন নন্দকুমার ও রুবেন কুমার এবং নারী দ্বৈতে থাইল্যান্ডের ফাত্তারিন ও সারিসা জানপেং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে ২০০ টাকায় দেখা যাবে বিপিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রস্তুতি শুরু করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।ফাইল ছবি
প্রস্তুতি শুরু করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।ফাইল ছবি

বাজতে শুরু করেছে বিপিএলের দামামা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ১২ তম আসর। কাল বিকেল ৪টা থেকে পাওয়া যাবে সিলেট পর্বের টিকিট।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা। এই মূল্যে শহীদ তুরাব স্ট্যান্ড ও গ্রিন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখা যাবে। শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড গ্যালারির মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। ক্লাব হাউজ (জিরো ওয়েস্ট জোন) ৬০০ টাকা ও ক্লাব হাউজ (আপার) ৫০০ টাকা। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখতে হলে খরচ করতে হবে ২ হাজার টাকা।

টিকিটের জন্য ভিজিট করতে হবে www.gobcbticket.com.bd ওয়েবসাইটে। অফলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সিলেট পর্ব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুলিশের ধাক্কায় থামল কিংস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুলিশের কাছে হেরেছে কিংস। ছবি: ফেসবুক
পুলিশের কাছে হেরেছে কিংস। ছবি: ফেসবুক

লিগের শুরুটা ড্র দিয়ে হলেও টানা ৫ ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করে ফেলে বসুন্ধরা কিংস। হারানো শ্রেষ্ঠত্ব ফেরানোর মিশনে বেশ ভালোভাবে নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই উড়ন্ত ক্লাবটিকে এক ধাক্কায় মাটিতে নামিয়ে আনল পুলিশ এফসি। ৭ ম্যাচে তাই প্রথমবার হারের তেতো স্বাদ পেল মারিও গোমেসের দল।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ভালো-খারাপের ভেতরই চলছে। আজ তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তলানির দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ফর্টিস এফসি তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।

গাজীপুরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে পুলিশের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কিংস। চমক উপহার দিতে তিন মিনিট সময় নেয় পুলিশ। ওরগিয়েন শেরিংয়ের পাসে কোনাকুনি শটে গোলের খাতা খোলেন রাব্বি হোসেন রাহুল। ৩২ মিনিটে কিংসকে সমতায় ফেরান ছন্দে থাকা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ইমানুয়েল সানডের বাড়ানো বলে বক্সের ভেতর প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এনিয়ে লিগে তাঁর গোলসংখ্যা ৫।

দ্বিতীয়ার্ধে শেষ দিকে কিংসের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে পুলিশ। একের পর এক আক্রমণে গোলের খুব কাছ থেকে ফেরে তারা। তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত এনে দেন শাফিক কাগিমু। আমিরুল ইসলামের সহায়তায় জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। এই হারের পরও এই পরাজয়ের পরও সপ্তম রাউন্ড শেষে লিগের শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পয়েন্ট ১৬। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে পুলিশ।

কুমিল্লায় ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেহেদী হাসান মিঠুর গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সেই সুখ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি। ৩৮ মিনিটে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। কিছুটা জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে মোহামেডানের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়, তবে মোহামেডানের এক ডিফেন্ডারের চার্জে বল চলে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর পায়ে। ৭৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে ছুটেছিলেন মোহামেডানের মোহাম্মদ জুয়েল, একই সময় পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলকিপার আজাদ হোসেন, বল গ্রিুপে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান তিনি। তবে জুয়েলের সংঘর্ষে ব্যথা পেয়ে মাঠে পড়ে থাকেন কিছুক্ষণ। চিকিৎসা নিয়ে বাকিটা সময় পোস্ট আগলে রেখে মূল্যবান ১ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই পয়েন্টের সুবাদেই লিগ টেবিলে তলানি থেকে একধাপ উপরে উঠে এসেছে আরামবাগ। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে আছে মোহামেডান।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসকে ৮ মিনিটে এগিয়ে দেন পা ওমর বাবু। ১৯ মিনিটে বাবুর সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াজ সাগর। ৫৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বাবু। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে ফর্টিস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক এনগারাভা

ক্রীড়া ডেস্ক    
রিচার্ড এনগারাভা: জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত
রিচার্ড এনগারাভা: জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত

ফাস্ট বোলার রিচার্ড এনগারাভাকে জিম্বাবুয়ের নতুন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ডিসেম্বর) হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) চতুর্থ প্রান্তিক সভার পর নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই সংস্করণেই এনগারাভার ডেপুটির দায়িত্ব পেয়েছেন ২২ বছর বয়সী ব্রায়ান বেনেট। অভিজ্ঞ ক্রেইগ আরভিন অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নেতৃত্বে এই পরিবর্তন।

২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এনগারাভা বর্তমানে ব্লেসিং মুজারাবানির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি—তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তাঁর।

নতুন অধিনায়ক হিসেবে এনগারাভার নাম ঘোষণা করে জেডসি চেয়ারম্যান তাভেঙ্গা মুকুহলানি বলেন, ‘বছরের পর বছর এনগারাভা খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে অসাধারণ উন্নতি দেখিয়েছে। ড্রেসিংরুমে তার প্রতি সবার সম্মান রয়েছে এবং সব সংস্করণেই সে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দলের নতুন অধ্যায়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘সহ অধিনায়ক হিসেবে ব্রায়ানের নিয়োগ তার ক্রিকেটীয় বুদ্ধিমত্তা, পরিপক্বতা ও দীর্ঘমেয়াদি নেতৃত্বগুণের প্রতি আমাদের আস্থার প্রতিফলন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত