Ajker Patrika

ক্রিকেট-ফুটবলের বাইরেও আছে গৌরবের গল্প

নাজিম আল শমষের, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ৪৪
ক্রিকেট-ফুটবলের বাইরেও আছে গৌরবের গল্প

জনপ্রিয়তার নিক্তিতে এখন বাংলাদেশে সবচেয়ে এগিয়ে ক্রিকেট আর ফুটবল। তবে এ দুইয়ের বাইরে অন্য খেলাতেও গত পাঁচ দশকে আছে বলার মতো অনেক অর্জন। আজ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দেখে নেওয়া যাক সেসব অর্জন।

মুজিবর রহমান মল্লিক।মুজিবরের সোনার হাসি (১৯৮৪) 
নেপালের কাঠমান্ডু। সাউথ এশিয়ান (সাফ) গেমসের প্রথম আসর। ২০০ অ্যাথলেট নিয়ে যখন সোনা জিততে না পারার হতাশায় ডুবতে বসেছিল বাংলাদেশ, তখনই সতীর্থদের আলো দেখালেন এক অ্যাথলেট। ট্রিপল জাম্পে সোনা জিতলেন মুজিবর রহমান মল্লিক। এসএ গেমসে প্রথম সোনাজয়ীকে পেল বাংলাদেশ। 

শুধু একটি নয়, একই আসরে আরেকটি সোনাজয়ী ইভেন্টের অংশীদার ছিলেন মুজিবর রহমান। ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতেও সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। সাইদুর রহমান ডন, শাহ আলম ও আফতাব মোল্লার সঙ্গে চতুর্থ সঙ্গী ছিলেন মুজিবর রহমান। দেশে ফিরে ফুলেল সংবর্ধনা তো ছিলই, নিজের গ্রামের বাড়িতে দুই কিলোমিটারজুড়ে রাস্তা সাজিয়ে মুজিবরকে বরণ করে নিয়েছিল তাঁর গ্রামবাসী। 

শাহ আলমদ্রুতমানবের ট্র্যাজেডির বিদায় (১৯৯০) 
সাফল্যে তিনি এখনো দেশের সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার। ভারত-পাকিস্তানের মতো দেশের স্প্রিন্টারদের পেছনে হয়েছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার ‘দ্রুতমানব’। তা-ও একবার নয়, দুই দুইবার। শাহ আলমের কাছে আরও পাওয়ার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিজেই দিলেন নিজেকে ছুটি। 

ঢাকার মাঠে ১৯৮৫ সাফ গেমসের আসরে নতুন রেকর্ড ১০.৮০ সেকেন্ড সময়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছিলেন শাহ আলম। দুই বছর পর কলকাতা সাফ গেমসেও ধরে রাখলেন সোনা। সেটাও নিজের রেকর্ড ভেঙে। ১০.৭৯ সেকেন্ডে গড়লেন নতুন আরেক রেকর্ড। 

১৯৮৯ ইসলামাবাদ সাফ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন শাহ আলম। তাতে পূরণ হয়নি হ্যাটট্রিক ‘দ্রুতমানব’ খেতাব জয়ের স্বপ্ন। সেই ব্যথা বুকে নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন ১৯৯০ বেইজিংয়ে এশিয়ান গেমসের জন্য। গেমসের আগেভাগে ছুটিতে গিয়েছিলেন নিজের গ্রামের বাড়িতে। ফেরার পথে ২৯ মে ট্রাকের ধাক্কায় নিভে যায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা অ্যাথলেটের প্রাণ। ঠিক ২০ বছর পর আরেক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মাদ্রাজ সাফ গেমসে ২০০ মিটারে সোনাজয়ী স্প্রিন্টার মাহবুব আলম। সেই দুর্ঘটনার ঘাতক ছিলও এক ট্রাক! 

শাহানা পারভীন।শাহানার সোনাজয়ী লক্ষ্যভেদ (১৯৯১) 
১৯৮৪ কাঠমান্ডু সাফ গেমসে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন মুজিবর রহমান মল্লিক। এর পরের আসরগুলোতে নিয়মিত সোনা এলেও অপূর্ণতা ছিল একটা জায়গাতেই, কোনো নারী অ্যাথলেটের কাছ থেকেই সোনা পাচ্ছিল না দেশ। 

সেই আক্ষেপ মিটেছিল ১৯৯১ সালে। কলম্বো সাফ গেমসে। সেই আসরে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল শুটিং। আর তাতেই দেশকে সাফল্য এনে দেন কাজী শাহানা পারভীন। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশি নারীর সেটাই ছিল প্রথম সোনা জয়। অংশ নেন ১৯৯২ বার্সেলোনা অলিম্পিকে। অলিম্পিকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রথম নারীও তিনি। ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সাফ গেমসেও তাঁর লক্ষ্যভেদে সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। 

বিমল চন্দ্র তরফদার।বিমলের উত্থান-পতন (১৯৯৩) 
শাহ আলমের অকালপ্রয়াণে স্প্রিন্টে বাংলাদেশের আধিপত্য কমে যাবে কি না, এমন একটা সংশয় ছিলই। সেই সংশয় কেটে গেল ঢাকার মাঠে ১৯৯৩ সাফ গেমসে। ১০.৬১ সেকেন্ড সময়ে নতুন রেকর্ড গড়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনলেন ১৯ বছরের তরুণ বিমল চন্দ্র তরফদার। সোনা জিতলেও নিজের জীবনের অনিশ্চয়তায় ডুবতে বসেছিলেন বিমল। ১৯৯৮ আটলান্টা অলিম্পিকে অংশ নিতে গিয়ে আর দেশেই ফিরলেন না। পরিবার নিয়ে তিনি এখন নিউইয়র্কে থাকেন।

 আসিফ হোসেন খান কমনওয়েলথ জয়ী আসিফ (২০০২) 
বয়স মাত্র ১৫। বাংলাদেশ গেমসে শুটিংয়ে তৃতীয় হওয়া এক কিশোরকে নিয়ে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে গিয়েছিল। কেউ ভাবেওনি আসিফ হোসেন খান নামের সেই কিশোর গড়বে ইতিহাস! 

খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না বলেই হয়তো ইতিহাস গড়তে পেরেছিলেন আসিফ। কিশোর বয়স চাঞ্চল্য, চাপকে পাত্তা না দিয়েই ভারতের অভিনব বিন্দ্রাকে পেছনে ফেলে কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংয়ে সোনা জিতেছিলেন আসিফ। ৬৯১ দশমিক ৯ স্কোরে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড। 

কৈশোরের সেই সাফল্যের পর যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যান আসিফ। কমনওয়েলথের পর বড় সাফল্য বলতে ইসলামাবাদ সাফ গেমসে সোনা জয়। ২০০৬ সালে পুলিশের কাছে মার খাওয়ার পর শুটিং থেকে যেন পুরোপুরি মুছে গেল আসিফের নাম। যাকে হারিয়ে জিতেছিলেন কমনওয়েলথ গেমসের সোনা, সেই অভিনব বিন্দ্রা ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে জিতলেন সোনা। আক্ষেপের নাম হয়ে রইলেন আসিফ। 

গলফার সিদ্দিকুর রহমান।সিদ্দিকুরের ব্রুনাই জয় (২০১০) 
ধনীদের খেলা গলফের সম্পর্কে এই দেশের মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের ধারণা খুব বেশি ছিল না বললেই চলে। বিশ্ব খেলাধুলার নিয়মিত যাঁরা খোঁজখবর রাখতেন তাঁরা হয়তো জানতেন যে এই গলফ খেলেই বিলিয়নিয়ার হয়েছেন টাইগার উডস নামের এক মার্কিন গলফার। এক টুর্নামেন্ট জিতলে ন্যূনতম আয় করা সম্ভব সেটাই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্যাডিবয় থেকে পেশাদার গলফার সিদ্দিকুর রহমান। 

২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেন জিতে হইচই ফেলে দেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। তাঁর সেই শিরোপায় দেশের মানুষের কাছে নতুন করে জন্ম নেয় গলফ নিয়ে আগ্রহ। প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ব্রুনাই এশিয়ান ট্যুর জিতেছিলেন সিদ্দিক। পুরস্কার হিসেবে পান ৫৪ হাজার ডলার। ২০১৩ সালে ভারতের দিল্লিতে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন জেতেন। পুরস্কার পেয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ডলার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খেলেন গলফ বিশ্বকাপে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে রিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়ার কৃতিত্বটাও তাঁর দখলে। 

মাবিয়ামাবিয়া কাঁদলেন, কাঁদালেন (২০১৬) 
মাথার ওপর জাতীয় পতাকা। বাজছে জাতীয় সংগীত। সোনার পদক গলায় ঝুলিয়ে এক অ্যাথলেটের অঝোরে কান্না। ২০১৬ গুহাটি সাফ গেমসে মাবিয়া আক্তার সীমান্তের এই কান্না নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়।

কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করে সাফল্যের হাসিতে না হেসে কেঁদেছিলেন মাবিয়া। ৬৩ কেজি শ্রেণিতে ভারোত্তলনে প্রথম নারী হিসেবে জিতেছিলেন সোনা। পদক, দেশ আর জাতীয় সংগীতের বাজনায় আবেগকে মানাতে পারছিলেন না মাবিয়া। সারা জীবনের দুঃখ, দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াইয়ের চিত্র হয়ে উঠেছিল মাবিয়ার সেই কান্না। 

রোমান সানারোমান সানার অলিম্পিকের টিকিট (২০১৯) 
অ্যাথলেটিকসে বড় কোনো সাফল্য নেই। ফুটবল যেন ডুবতে বসেছে। দেশের মানুষের সব চাওয়া তাই ক্রিকেটকে ঘিরেই। আড়ালে, নিভৃতে উঠে এসে হঠাৎই চমকে দিয়েছে আর্চারি নামের অজানা এক খেলা। ক্রিকেটের পর গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সাফল্য এসেছে এই আর্চারি থেকেই। বিশেষ করে বললে রোমান সানা নামের এক তিরন্দাজ থেকে।

রোমান যে আসছেন তার নমুনা পাওয়া যাচ্ছিল গত কয়েক বছর ধরেই। ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া কাপ স্টেজ-২ ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে রিকার্ভ এককে প্রথম সোনা জয়। ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে ঢাকায় প্রথম আন্তর্জাতিক সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ইলিমিনেশন রাউন্ডের রিকার্ভ ডিভিশনের পুরুষ দলগত ইভেন্টে সানোয়ার হোসেন ও তামিমুল ইসলামকে নিয়ে এবং মিশ্র দলগত ইভেন্টে বিউটি রায়কে নিয়ে সোনা জয় তো ছিলই। ২০১৯ সালে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ পুরুষ এককে জেতেন রুপা। 

কিন্তু রোমানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সাফল্যটা আসে ২০১৯ সালের জুনে। নেদারল্যান্ডসে ওয়ার্ল্ড আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি সরাসরি জায়গা পান টোকিও অলিম্পিকে। এই বছরের মে মাসে লোজানে ওয়ার্ল্ড আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের স্টেজ-২ এর রিকার্ভ মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকীকে নিয়ে জিতেছেন রুপাও।

পরের পর্ব পড়ুন আগামীকাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিকেলে কাঁপালেন মোস্তাফিজ, রাতে সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। বিকেলে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গালফ জায়ান্টসকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। আবুধাবি থেকে ১৩৯ কিলোমিটার দূরে দু্বাইয়ে রাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান।

মোস্তাফিজ, সাকিব দুজনই এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো খেলছেন। সাকিব এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ ১০-এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিলেও পাননি কোনো উইকেট। তবে নামটা যে সাকিব আল হাসান, কখন যে ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। দুবাইয়ে আজ ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। সাকিব আজ পাওয়ারপ্লের (প্রথম ৬ ওভার) শেষ হওয়ার ঠিক পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসেছেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফখর জামানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন ফখর। এক ওভার পরে এসে সাকিব তুলে নিয়েছেন স্যাম কারানের উইকেট। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে কারানকে কট এন্ড বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দিয়ে ইনিংসের ১১তম ও ১৫তম ওভার করিয়ে নিয়েছেন পোলার্ড। ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব আজ কোনো চার-ছক্কা হজম করেননি। এমনকি কোনো ওয়াইড, নো বলও দেননি।

সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের রাতে ডেজার্ট ভাইপার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ড্যান লরেন্স। এমআই এমিরেটসের সাকিব, জহুর খান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার ও আরব গুল। ভাইপার্সের ১৮ বলে ১৪ রান করা জেসন রায় হয়েছেন রানআউট।

বিকেলে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে দুবাই ক্যাপিটালসের ৬ উইকেটের জয়ে মোস্তাফিজ হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ৩.৫ ওভারে ৩৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। ১৫ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইল। ৮ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে সালামখেইল বোলিং করেছেন।

গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জেতার পর দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট এখন ৮। সমান ৮ পয়েন্ট এমআই এমিরেটসও। এই দলে খেলছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে নেট রানরেটের কারণে এগিয়ে দুবাই ক্যাপিটালস। ‍+০.৮৩৬ নেট রানরেট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে মোস্তাফিজের দুবাই। তিন নম্বরে অবস্থান করা সাকিবের এমিরেটসের নেট রানরেট ‍+০.৩৪১।

দুবাই ক্যাপিটালস ও এমআই এমিরেটস আট ও সাত ম্যাচ খেলেছে এখন পর্যন্ত। চার ও পাঁচে থাকা গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স দুই দলেরই পয়েন্ট ৬। চার পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। এখন ভাইপার্সকে হারালে এমআই এমিরেটস দুই নম্বরে উঠে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতকে একা হাতে শেষ করে দেওয়া কে এই সামির মিনহাজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সামির মিনহাস। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সামির মিনহাস। ছবি: ক্রিকইনফো

সামির মিনহাসের কাছে ১৬ রানে হেরেছে ভারত—ভক্ত-সমর্থকেরা চাইলে মজা করে এমনটা বলতেই পারেন। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার করেছেন ১৭২ রান। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ওয়ানডে নয়, ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালটা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

সামিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে ৩৪৭ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। বরাবরের মতো ভারত-পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এই ফাইনাল ম্যাচটাও হয়েছে একপেশে। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ভারত গুটিয়ে গেছে ১৫৬ রানে। পাকিস্তানের ১৯১ রানের বিশাল জয়ের পর একই সঙ্গে ম্যাচসেরা, সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সামির। ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেছেন ১৭২ রান। স্বাভাবিকভাবেই ১৯ বছর বয়সী মিনহাসকে নিয়ে অনেকের কৌতূহল জেগেছে। তিনি আসলে পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত মিনহাসের ছোট ভাই।

আরাফাত মিনহাসের সঙ্গে সামিরের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১ বছর। দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া আরাফাত পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন চার টি-টোয়েন্টি। ৫.১৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সামিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও এই ১৯ বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নানা ধাপ অতিক্রম করে এই টপ অর্ডার ব্যাটার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা করে নিয়েছেন। মুলতানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেট, দক্ষিণ পাঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৬ ও মুলতান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সামিরের।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজই যে ভারতের বিপক্ষে সামির ঝড় তুলেছেন তা নয়। এর আগে দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১২ ডিসেম্বর সেই ম্যাচে ১৪৮ বলে ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭১ রান করে ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। আজ ভারতের বিপক্ষে ফাইনালসেরা ও টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার পাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সামির বলেন, ‘দারুণ একটা ইনিংস ছিল। এমন বড় ইনিংস খেলার পরিকল্পনা ছিল। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চেয়েছি। এ ধরনের উইকেটে আগে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচটা (ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল) আমার জন্য বেশ স্মরণীয়।’

এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের কাছে হেরে এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল পাকিস্তান। জাতীয় দল রানার্সআপ হলেও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে একের পর এক শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। নভেম্বরে হংকং সিক্সেস, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ—এই দুটি টুর্নামেন্ট জেতে পাকিস্তান। খাজা নাফে, আব্দুল সামাদ, আব্বাস আফ্রিদিরা হংকং সিক্সেসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে একমাত্র খাজা নাফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। সবশেষ বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন তিনি।

কাতারে নভেম্বর রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে সুপার ওভারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মূল ম্যাচে সুফিয়ান মুকিম ও আরাফাত মিনহাস ৩ ও ২ উইকেট নিয়েছিলেন। মূল ম্যাচে ২ উইকেট নেওয়া আহমেদ দানিয়াল সুপার ওভারেও নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ফাইনালসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন মাজ সাদাকাত। টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে লাইমলাইটে চলে এসেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হঠাৎ ভাত থেকে স্যান্ডউইচে চলে গেলি, শামীমকে সাইফউদ্দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে মজা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছবি: ফাইল ছবি
শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে মজা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছবি: ফাইল ছবি

১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সামনে রেখে দলগুলো এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে সিলেটে এ সপ্তাহের শুক্রবার মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, আকবর আলীরা অনুশীলনের ফাঁকে আড্ডাচ্ছলে মজাও করেছেন।

মিরপুরে আজ ঢাকা ক্যাপিটালস আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএলের প্রস্তুতি শুরু করেছে। অনুশীলনটা যেন একঘেঁষে না মনে হয়, সেজন্য একে অন্যের সঙ্গে মজা করে সময়টা প্রাণবন্ত করেছেন সাইফউদ্দিন-শামীমরা। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সাইফউদ্দিন আজ বাংলাদেশ সময় রাতে ১৫ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও ছেড়েছেন। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘শামীম এখন অন্য কিছু খায়’। ভিডিওতে সাইফউদ্দিনকে বলতে শোনা গেছে, ‘শামীম। হঠাৎ করে ভাত থেকে স্যান্ডউইচে চলে গেলি।’ শামীম এরপর তাদের হাতে থাকা স্যান্ডউইচ দেখিয়ে বলেছেন, ‘শুভেচ্ছাদূত।’ সাইফউদ্দিন জানতে চাইলেন, ‘কোনটা বেশি মজা?’ শামীম এরপর প্যাকেট দেখিয়ে বলে, ‘ইউরো।’ ইউরো মূলত সেই স্যান্ডউইচ কোম্পানির নাম।

ছয় দলের বিপিএল সামনে রেখে ঢাকা ক্যাপিটালস গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। অনুশীলনের সময়ই মিঠুনকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে ঢাকা। কেন মিঠুনকেই অধিনায়ক করল ঢাকা, তার ব্যাখ্যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান নির্বাহী আতিক ফাহাদ বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য। আপনি হয়তো দেখেছেন আমাদের সাইফ, তাসকিন, ইমাদ ওয়াসিম আছে। আরও অনেকেই আছে। কাকে অধিনায়কত্ব দেব, সেটা ঠিক করতে আমাদের ম্যানেজমেন্ট, কোচিং প্যানেলেরও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শেষ বিপিএলে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল দলকে (চিটাগং কিংস) এবং আমাদেরও যেহেতু এবার শিরোপা জয়ের ইচ্ছা রয়েছে, আমরা কাপ নিয়ে যাব। সেই পরিকল্পনা থেকেই আমাদের কোচিং প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিঠুন ভাইকে দেওয়ার। আশা করি সে (মিঠুন) এ বছর ফাইনালে কাপসহ নিয়ে যাবে।’

এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এই বিপিএলেই প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবারও পাকিস্তানের বোর্ডপ্রধানকে বর্জন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া ডেস্ক    
মহসিন নাকভির কাছ থেকে এবারও পদক গ্রহণ করেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ছবি: এসিসি
মহসিন নাকভির কাছ থেকে এবারও পদক গ্রহণ করেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ছবি: এসিসি

মাঠের লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান এখন তেমন একটা জমে না। কিন্তু হাইভোল্টেজ বলেও যে একটা ব্যাপার আছে। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে অন্যান্য ঘটনায় বেশি আলোচনা ছড়ায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তিন মাস পর আজ দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে চিত্রনাট্য ভিন্ন হলেও ম্যাচ শেষে কাহিনিটা রয়ে গেছে একই।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেবার সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নেয়নি। প্রায় তিন মাস পর আজ দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। এসিসি প্রধান হিসেবে নাকভি বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে গেছেন। তিনি একই সঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানও। কিন্তু ম্যাচ শেষে পরাজিত ভারতকে রানার্সআপ পদক যখন দিতে যান নাকভি, ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেননি।

নাকভি যে মঞ্চে আজ দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁর আশপাশেও যাননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুশ মাত্রে, কিষাণ সিংরা রানার্সআপ পদক নিয়েছেন মুবাশশির উসমানির কাছ থেকে। উসমানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বোর্ড পরিচালক। একই সঙ্গে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন তিনি। মঞ্চের ডান অংশে দাঁড়িয়ে উসমানির কাছ থেকে একে একে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পদক গ্রহণ করেছেন। নাকভি এরপর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দলের সঙ্গে শিরোপা জয়ের উদযাপন করেছেন।

২৮ সেপ্টেম্বর নাকভির কাছ থেকে শিরোপা না নিয়ে উদযাপন করেছিল ভারত। শিরোপাছাড়া উদযাপন করে সূর্যকুমার, অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মারা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন। এ বছরের এপ্রিলে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই দেশ মে মাসে জড়িয়েছিল সামরিক সংঘাতেও। এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর এই চার টুর্নামেন্টের কোনোটিতেই টসের সময় করমর্দন করেননি ভারত-পাকিস্তানের অধিনায়কেরা।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তান এর আগে একবারই জিতেছিল। ২০১২ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর পর এবার আর শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়নি ভারত-পাকিস্তানকে। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত