Ajker Patrika

৫৮ কোটি টাকায় মোহাম্মদ আলীর চ্যাম্পিয়নশীপ বেল্ট বিক্রি

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ১৯: ৩৮
৫৮ কোটি টাকায় মোহাম্মদ আলীর চ্যাম্পিয়নশীপ বেল্ট বিক্রি

বক্সিংয়ে সর্বকালের সেরা  মোহাম্মদ আলী। ১৯৯৯ সালে বিবিসির জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের এই বক্সার ‘শতাব্দীর সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব’ হয়েছিলেন। বক্সিং রিংয়ের সাফল্যে তাঁর ডাক নাম হয়েছে ‘দ্যা গ্রেটেস্ট’।

আলী বক্সিংয়ের অনেক ঐতিহাসিক লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত শতাব্দীর সেরা বক্সিং ইভেন্ট ‘ফাইট অফ দ্যা সেঞ্চুরি’ ‘থ্রিলা ইন ম্যানিলা’ ও ‘দ্যা রাম্বল ইন দ্যা জঙ্গল’ ছিল অন্যতম। তাঁর ‘দ্যা রাম্বল ইন দ্যা জঙ্গল’ লড়াইয়ের জয়ী চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্টটি এবার নিলামে উঠেছিল। যা বিক্রি হয়েছে ৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকায়।

আলীর চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্টটি কেনার জন্য দুজন নিলামকারীর মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে নিলাম চলে। এর মধ্যে একজন জিম ইয়ারসে শেষ পর্যন্ত নিলামে জয়ী হন। জিম ইয়ারসে একজন মানবহৈতিষী ও দ্যা ইন্ডিয়ানাপোলিশ কোল্টসের মালিক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য, ইতিহাস,  ক্রীড়া ও পপ সংস্কৃতিকে অন্যদের কাছে তুলে ধরতে একটি মিউজিয়াম করেছেন। তাঁর সংগ্রহশালায় এলভিস প্রিসলি, জর্জ হ্যারিসন, জন লেলনের মতো কিংবদন্তি সংঙ্গীতজ্ঞদের গিটার আছে। 

এবার বিংশ শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্বের চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইয়ারসে । তিনি বলেছেন,‘যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য,ইতিহাস, ক্রীড়া ও পপ সংস্কৃতির অংশ হিসেবে আলীর বেল্টটি কিনেছি। আগামী ২ আগস্ট শিকাগো নেভি পিয়েরার ও ৯ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানাপোলিশে বেল্টটি প্রদর্শন করা হবে। বেল্টটি কিনে গর্বিত।’

আলী ‘দ্যা রাম্বল ইন দ্যা জঙ্গল’ এর লড়াই মুখোমুখি হয়েছিলেন জর্জ ফোরম্যানের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে ঐতিহাসিক লড়াইটি হয়েছিল ১৯৭৪ সালের ৩০ অক্টোবর। সেদিন কঙ্গোর কিনশাসায় টাটা রাফায়েল স্টেডিয়ামে আলী অষ্টম রাউন্ডে ফোরম্যানকে নকআউট করেছিলেন।

খেলার খবর সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রশিদ-হেলসের পাশে সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
ডেজার্টের বিপক্ষে এমিরেটসের জয়ের নায়ক তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: ক্রিকইনফো
ডেজার্টের বিপক্ষে এমিরেটসের জয়ের নায়ক তারকা অলরাউন্ডার। ছবি: ক্রিকইনফো

সাকিব আল হাসান প্রমাণ করলেন কেন তিনি সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) এমআই এমিরেটসের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে বিবর্ণ ছিলেন। নিজের জাত চেনাতে বেশি সময় নিলেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তাতেই একটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব।

ডেজার্ট ভাইপার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে এমিরেটস। তাদের এই জয়ের নায়ক সাকিব। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন এই ক্রিকেটার। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তোলে ডেজার্ট। তাদের হাতের নাগালে আটকে রাখতে ৪ ওভার বল করে ১৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। এদিন দলের সেরা বোলার তিনি। সমান ২ উইকেট নিলেও ২ ওভারে ১৭ রান দেন জহুর খান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।

অলরাউন্ড পারফর্ম করে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। টি-টোয়েন্টিতে এটা সাকিবের ৪৫ তম ম্যাচসেরার পুরস্কার। এই সংস্করণে ম্যাচসেরার তালিকায় যৌথভাবে তিনে উঠে এলেন সাকিব। সমান ৪৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে এই তালিকায় আগে থেকেই ছিলেন রশিদ খান ও অ্যালেক্স হেলস।

একটা জায়গায় এগিয়ে সাকিব। ৪৫ বার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি জিততে ৫০৪ ম্যাচ লেগেছে রশিদের। হেলসের লেগেছে আরও বেশি; ৫২৪ ম্যাচ। সেখানে ৪৬৫ তম ম্যাচে এসেই তাঁদের ছুঁয়ে দিলেন সাকিব। এখন বাকি দুজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে।

এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টিতে ৬০ বার ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক সাবেক মারকুটে ব্যাটার। সমান ৪৮ বার করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কাইরন পোলার্ড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। যৌথভাবে তালিকার দুইয়ে আছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৪
কিউইদের কাছে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো
কিউইদের কাছে পাত্তা পায়নি সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো

চতুর্থ দিন শেষে একটা বিষয় নিশ্চিত ছিল– মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট হারছে না নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হতে পারতো কেবল ড্র। এজন্য পুরো দিন উইকেটে টিকে থাকতে হতো। কিন্তু সেটাও হতে দিলেন না জ্যাকব ডাফি। এই পেসারের বোলিং তোপে ৩২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে ক্যারিবীয়রা।

রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়। আগের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ২৪০ রানের। ২০১৭ সালে হ্যামিল্টনে দ্বীপ দেশটিকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। মাউন্ট মঙ্গানুইতে জিতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। ড্র দিয়ে সিরিজ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকেরা।

৪৬২ রানের জবাবে চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৪৩ রান। ব্র্যান্ডন কিং ৩৭ ও জন ক্যাম্পবেল ২ রান নিয়ে শেষ দিন ব্যাট করতে নামেন। জয়ের জন্য এদিন ৮৮ ওভারে ৪১৯ রান দরকার ছিল সফরকারীদের। বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। এদিন আর মাত্র ৯৫ রান যোগ করে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৫১ রানে হারায় ১০ উইকেট।

দলটির হয়ে লড়াই করেছেন কেবল কিং। ৬৭ রান করেন এই ওপেনার। বাকিদের কেউই ২০ এর কোটায় যেতে পারেননি। জন ক্যাম্পবেল ১৬ ও টেভিন ইমলাচ করেন ১৫ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ডাফি। এবার আরও বিধ্বংসী এই পেসার। মাত্র ৪২ রানেই ৫ ব্যাটারকে ফেরান তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ডাফি। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকেলে কাঁপালেন মোস্তাফিজ, রাতে সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। বিকেলে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গালফ জায়ান্টসকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। আবুধাবি থেকে ১৩৯ কিলোমিটার দূরে দু্বাইয়ে রাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান।

মোস্তাফিজ, সাকিব দুজনই এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো খেলছেন। সাকিব এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ ১০-এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিলেও পাননি কোনো উইকেট। তবে নামটা যে সাকিব আল হাসান, কখন যে ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। দুবাইয়ে আজ ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। সাকিব আজ পাওয়ারপ্লের (প্রথম ৬ ওভার) শেষ হওয়ার ঠিক পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসেছেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফখর জামানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন ফখর। এক ওভার পরে এসে সাকিব তুলে নিয়েছেন স্যাম কারানের উইকেট। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে কারানকে কট এন্ড বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দিয়ে ইনিংসের ১১তম ও ১৫তম ওভার করিয়ে নিয়েছেন পোলার্ড। ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব আজ কোনো চার-ছক্কা হজম করেননি। এমনকি কোনো ওয়াইড, নো বলও দেননি।

সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের রাতে ডেজার্ট ভাইপার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ড্যান লরেন্স। এমআই এমিরেটসের সাকিব, জহুর খান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার ও আরব গুল। ভাইপার্সের ১৮ বলে ১৪ রান করা জেসন রায় হয়েছেন রানআউট।

বিকেলে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে দুবাই ক্যাপিটালসের ৬ উইকেটের জয়ে মোস্তাফিজ হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ৩.৫ ওভারে ৩৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। ১৫ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইল। ৮ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে সালামখেইল বোলিং করেছেন।

গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জেতার পর দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট এখন ৮। সমান ৮ পয়েন্ট এমআই এমিরেটসও। এই দলে খেলছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে নেট রানরেটের কারণে এগিয়ে দুবাই ক্যাপিটালস। ‍+০.৮৩৬ নেট রানরেট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে মোস্তাফিজের দুবাই। তিন নম্বরে অবস্থান করা সাকিবের এমিরেটসের নেট রানরেট ‍+০.৩৪১।

দুবাই ক্যাপিটালস ও এমআই এমিরেটস আট ও সাত ম্যাচ খেলেছে এখন পর্যন্ত। চার ও পাঁচে থাকা গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স দুই দলেরই পয়েন্ট ৬। চার পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। এখন ভাইপার্সকে হারালে এমআই এমিরেটস দুই নম্বরে উঠে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে একা হাতে শেষ করে দেওয়া কে এই সামির মিনহাজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সামির মিনহাস। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সামির মিনহাস। ছবি: ক্রিকইনফো

সামির মিনহাসের কাছে ১৬ রানে হেরেছে ভারত—ভক্ত-সমর্থকেরা চাইলে মজা করে এমনটা বলতেই পারেন। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার করেছেন ১৭২ রান। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ওয়ানডে নয়, ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালটা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

সামিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে ৩৪৭ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। বরাবরের মতো ভারত-পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এই ফাইনাল ম্যাচটাও হয়েছে একপেশে। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ভারত গুটিয়ে গেছে ১৫৬ রানে। পাকিস্তানের ১৯১ রানের বিশাল জয়ের পর একই সঙ্গে ম্যাচসেরা, সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সামির। ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেছেন ১৭২ রান। স্বাভাবিকভাবেই ১৯ বছর বয়সী মিনহাসকে নিয়ে অনেকের কৌতূহল জেগেছে। তিনি আসলে পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত মিনহাসের ছোট ভাই।

আরাফাত মিনহাসের সঙ্গে সামিরের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১ বছর। দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া আরাফাত পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন চার টি-টোয়েন্টি। ৫.১৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সামিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও এই ১৯ বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নানা ধাপ অতিক্রম করে এই টপ অর্ডার ব্যাটার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা করে নিয়েছেন। মুলতানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেট, দক্ষিণ পাঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৬ ও মুলতান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সামিরের।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজই যে ভারতের বিপক্ষে সামির ঝড় তুলেছেন তা নয়। এর আগে দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১২ ডিসেম্বর সেই ম্যাচে ১৪৮ বলে ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭১ রান করে ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। আজ ভারতের বিপক্ষে ফাইনালসেরা ও টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার পাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সামির বলেন, ‘দারুণ একটা ইনিংস ছিল। এমন বড় ইনিংস খেলার পরিকল্পনা ছিল। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চেয়েছি। এ ধরনের উইকেটে আগে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচটা (ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল) আমার জন্য বেশ স্মরণীয়।’

এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের কাছে হেরে এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল পাকিস্তান। জাতীয় দল রানার্সআপ হলেও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে একের পর এক শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। নভেম্বরে হংকং সিক্সেস, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ—এই দুটি টুর্নামেন্ট জেতে পাকিস্তান। খাজা নাফে, আব্দুল সামাদ, আব্বাস আফ্রিদিরা হংকং সিক্সেসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে একমাত্র খাজা নাফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। সবশেষ বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন তিনি।

কাতারে নভেম্বর রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে সুপার ওভারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মূল ম্যাচে সুফিয়ান মুকিম ও আরাফাত মিনহাস ৩ ও ২ উইকেট নিয়েছিলেন। মূল ম্যাচে ২ উইকেট নেওয়া আহমেদ দানিয়াল সুপার ওভারেও নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ফাইনালসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন মাজ সাদাকাত। টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে লাইমলাইটে চলে এসেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত