বিস্ময়ের পর বিস্ময় উপহার দিচ্ছেন ভারতের ১৭ বছরের দাবাড়ু

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ৫১
Thumbnail image

বিশ্ব দাবায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ডোম্মারাজু গুকেশ। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফিদে ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্টে। সেটিও আবার মাত্র ১৭ বছর বয়সে। অথচ, এই বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর আনন্দ–ফুর্তিতেই ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। 

দাবার কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দর পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গুকেশ। এক দশক আগে ভারতের হয়ে প্রথম এই কীর্তি গড়েছিলেন পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আনন্দ। এবার তাঁরই শিষ্য দেশকে গর্ব করার মতো অর্জন এনে দিয়েছেন। আনন্দর এয়েস্টব্রিজ আনন্দ চেস একাডেমিতেই নিজের মাথা শাণিত করেছেন গুকেশ। 

ফ্যাবিয়ানো করুয়ানা এবং ইয়ান নেপমনিয়াচির ম্যাচ ড্র হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য গুকেশের ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল। কালো ঘুঁটি নিয়ে খেলা শুরু করা ভারতীয় দাবাড়ু আমেরিকার গ্র্যান্ডমাস্টার হিকারু নাকামুরার সঙ্গে তাই করেছেন। এতে সম্ভাব্য ১৪ পয়েন্টের মধ্যে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আরও বড় এক কীর্তি গড়েছেন গুকেশ। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে চ্যালেঞ্জ জানানো দাবাড়ু তিনি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীনের ডিং লিরেনের বিপক্ষে জিততে পারলে আরও বড় কীর্তি গড়বেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। বর্তমানে এই রেকর্ডের মালিক যৌথভাবে ম্যাগনাস কার্লসেন এবং গ্যারি কাসপারভ। সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ২২ বছর বয়সে রেকর্ডটি গড়েছেন। লড়াইয়ের ভেন্যু এবং তারিখ এখনো অবশ্য ঠিক করা হয়নি।

টুর্নামেন্টে জয়ের পর এবার সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন ১২ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব পাওয়া গুকেশও। তিনি বলেছেন, ‘সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আমিও বিশ্ব চেস চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ 

চিকিৎসক বাবা এবং অণুজীববিজ্ঞানী মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়া গুকেশের কীর্তিতে পুরো ভারত এখন গর্বিত। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে গুকেশ ফিদে ক্যান্ডিডেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়া পুরো ভারত গর্বিত।’ আর তাঁর গুরু আনন্দ লিখেছেন, ‘সর্বকনিষ্ঠ চ্যালেঞ্জার হওয়ায় গুকেশকে অভিনন্দন। তুমি যা করেছে তার জন্য ডব্লুএসিএ চেস (ওয়েস্টব্রিজ আনন্দ চেস একাডেমি) পরিবার গর্বিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত