নাজিম আল শমষের
ঢাকা: এ মাসে প্যারিসে অলিম্পিক বাছাইপর্ব না খেললেও চলত রোমান সানার। তিনি আগেই টোকিও অলিম্পিকে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন। তবু দলীয় রিকার্ভ ইভেন্টের বাছাইপর্বে খেলেছেন দুটি উদ্দেশে। তিনি থাকলে বাংলাদেশ দলটা শক্তিশালী হয়। দ্বিতীয়ত, রোমানের উপস্থিতি বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগায় সতীর্থদের।
লোজান বিশ্বকাপে আরেক সতীর্থ দিয়া সিদ্দিকীকে নিয়ে মিক্সড ইভেন্টে রৌপ্য পদক জয়ের পর প্যারিসে বেশ আশাই ছিল রোমানকে ঘিরে। যেমন স্বপ্ন তাঁকে ঘিরে আগামী জুলাইয়ে টোকিও অলিম্পিকেও। রোমান অবশ্য জানতেন, প্যারিসে তাঁর কাজটা কঠিন হতে চলেছে। অংশগ্রহণকারী সব তিরন্দাজের লক্ষ্য, অলিম্পিকের মতো বিশ্বমঞ্চে নিজেদের জায়গা করে নেওয়া।
একইভাবে অলিম্পিকে যাঁরা অংশ নিচ্ছেন তাঁরাও বিশ্বের বাঘা বাঘা তিরন্দাজ, জিতেছেন একাধিক আন্তর্জাতিক পদক। এত কঠিন সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করে বাংলাদেশে মতো পদকহীন এক দলকে আনন্দে ভাসানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ রোমানের কাঁধে। প্রত্যাশার চাপটা নিতে চাইছেন না রোমান। খেলতে চান নিজের মতো করেই। প্যারিস থেকে মোবাইল ফোনে রোমান বললেন অলিম্পিকে তাঁর লক্ষ্যের কথা, ‘নিজের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করব, যেন দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি, প্রথমেই একটা পদক আশা করা বাড়াবাড়িই হবে। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সেভাবেই যেন সফল হতে পারি, সেই চেষ্টাটা করব।’
সেই চেষ্টা কীভাবে করবেন, সেটিও খুলে বললেন রোমান, ‘সবাই চায় আমি যেন ভালো করি। তাই চাপটা থাকবেই। চেষ্টা করি চাপ ঝেড়ে ফেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার। খেলোয়াড়দের জীবনে পারফরম্যান্সে উত্থান-পতন থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ভেঙে পড়লে চলবে না। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের ভাঙাগড়ার কাজ করি।’
অনেক আগেই টোকিও অলিম্পিক নিশ্চিত হয়েছে রোমানের। ওয়ার্ল্ড আর্চারি ফেডারেশনের বিশেষ আমন্ত্রণে অলিম্পিকে তাঁর সঙ্গী এখন দিয়া সিদ্দিকী। দুই তিরন্দাজের সৌজন্যে অলিম্পিকে আর্চারিতে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পাচ্ছে তিন ইভেন্টে। এতে একদিকে সুবিধাই হয়েছে রোমানের। প্রত্যাশার চাপটা শুধুই তাঁর কাঁধে থাকছে না। দুজন মিলে লোজানে পদক জিতেছিলেন। একজন সতীর্থকে পাশে পেয়ে দেশকে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রোমান, ‘অলিম্পিকে খেলা প্রতিটি অ্যাথলেটের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন একটা পদকের। পরিশ্রম করছি, তবে বেশ কঠিনই হবে মনে হচ্ছে। আমি চাই, আমার হাত ধরে হোক কিংবা আমার সতীর্থদের হাত ধরে, বাংলাদেশে অলিম্পিকের পদক আসুক। পদকের জন্য অলিম্পিকে সর্বোচ্চটা দেব।’
২০১০ সাল থেকে নিয়মিত আর্চারিতে অংশ নেওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক বড় ‘আইকন’ হয়ে উঠছেন রোমান। ক্রিকেটের পর গত কয়েক বছরে সবচেয়ে উচ্চারিত খেলার নামটি ‘আর্চারি’ আর যেটির কেন্দ্রে আছেন রোমান। শুধু তাঁকে দেখেই অসংখ্য তরুণ এখন স্বপ্ন দেখেন আর্চারিতে খেলার। নতুন যাঁরা উঠে আসছেন তাঁদের নিয়েও বড় স্বপ্ন দেখেন দেশসেরা এই তিরন্দাজ। বলছেন, ‘আর্চারিতে এখন অনেক নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে। আমার নতুন যে সতীর্থরা আছে, তারা খুবই ভালো করছে। সঠিক পরিচর্যা আর আর্থিক সমর্থন পেলে নতুনেরা আমার চেয়েও ভালো করবে।’
তবে আলোর নিচে আছে অন্ধকার। আছে বাধা-প্রতিবন্ধকতা। ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশের বাকি খেলাগুলোর চিরন্তন সমস্যা আর্থিক সংকট আছে আর্চারিতেও। আছে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। আর্থিক সমস্যায় রোমানরা অংশ নিতে পারেন না বড় বড় টুর্নামেন্টে। আর্চারির সাফল্য বিবেচনা করে পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান রোমানের। বললেন, ‘আমরা আর্থিক সংকটে বেশি পড়ি। যদি পৃষ্ঠপোষকেরা এগিয়ে আসেন, আর্থিক সমস্যা দূর হয়, প্রতিবছর অনেক টুর্নামেন্ট খেলতে পারব। বছরে আমরা খুব বেশি টুর্নামেন্ট খেলি না। বছরে যদি সাত-আটটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারি, আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। অভিজ্ঞতা বাড়বে।’
বেশি টুর্নামেন্ট খেলার প্রয়োজনীয়তা কতটা, সেটি সবিস্তারেই বললেন রোমান, ‘বিশ্বের বড় খেলোয়াড়েরা প্রতিবছর অন্তত ১০-১২টা টুর্নামেন্ট খেলে, মাসে গড়ে একটি। বেশি বেশি টুর্নামেন্ট খেলতে পারলে অলিম্পিকে পদক জেতা তো সম্ভবই, পরের অলিম্পিকগুলোয় আরও বেশি খেলোয়াড় সরাসরি সুযোগ পাবে। আমাদের দরকার পৃষ্ঠপোষক। শুধু আমাদের নয়, সব খেলার জন্যই। বিষয়টি যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেখে—এটাই আমার আবেদন।’
প্যারিসে অলিম্পিক বাছাই আর বিশ্বকাপ খেলে সতীর্থ তিরন্দাজদের সঙ্গে আজই দেশে ফেরার কথা রোমানের। এবার তাঁকে তৈরি হতে হবে অলিম্পিক সামনে রেখে।
ঢাকা: এ মাসে প্যারিসে অলিম্পিক বাছাইপর্ব না খেললেও চলত রোমান সানার। তিনি আগেই টোকিও অলিম্পিকে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন। তবু দলীয় রিকার্ভ ইভেন্টের বাছাইপর্বে খেলেছেন দুটি উদ্দেশে। তিনি থাকলে বাংলাদেশ দলটা শক্তিশালী হয়। দ্বিতীয়ত, রোমানের উপস্থিতি বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগায় সতীর্থদের।
লোজান বিশ্বকাপে আরেক সতীর্থ দিয়া সিদ্দিকীকে নিয়ে মিক্সড ইভেন্টে রৌপ্য পদক জয়ের পর প্যারিসে বেশ আশাই ছিল রোমানকে ঘিরে। যেমন স্বপ্ন তাঁকে ঘিরে আগামী জুলাইয়ে টোকিও অলিম্পিকেও। রোমান অবশ্য জানতেন, প্যারিসে তাঁর কাজটা কঠিন হতে চলেছে। অংশগ্রহণকারী সব তিরন্দাজের লক্ষ্য, অলিম্পিকের মতো বিশ্বমঞ্চে নিজেদের জায়গা করে নেওয়া।
একইভাবে অলিম্পিকে যাঁরা অংশ নিচ্ছেন তাঁরাও বিশ্বের বাঘা বাঘা তিরন্দাজ, জিতেছেন একাধিক আন্তর্জাতিক পদক। এত কঠিন সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করে বাংলাদেশে মতো পদকহীন এক দলকে আনন্দে ভাসানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ রোমানের কাঁধে। প্রত্যাশার চাপটা নিতে চাইছেন না রোমান। খেলতে চান নিজের মতো করেই। প্যারিস থেকে মোবাইল ফোনে রোমান বললেন অলিম্পিকে তাঁর লক্ষ্যের কথা, ‘নিজের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করব, যেন দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি, প্রথমেই একটা পদক আশা করা বাড়াবাড়িই হবে। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সেভাবেই যেন সফল হতে পারি, সেই চেষ্টাটা করব।’
সেই চেষ্টা কীভাবে করবেন, সেটিও খুলে বললেন রোমান, ‘সবাই চায় আমি যেন ভালো করি। তাই চাপটা থাকবেই। চেষ্টা করি চাপ ঝেড়ে ফেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার। খেলোয়াড়দের জীবনে পারফরম্যান্সে উত্থান-পতন থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ভেঙে পড়লে চলবে না। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের ভাঙাগড়ার কাজ করি।’
অনেক আগেই টোকিও অলিম্পিক নিশ্চিত হয়েছে রোমানের। ওয়ার্ল্ড আর্চারি ফেডারেশনের বিশেষ আমন্ত্রণে অলিম্পিকে তাঁর সঙ্গী এখন দিয়া সিদ্দিকী। দুই তিরন্দাজের সৌজন্যে অলিম্পিকে আর্চারিতে বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পাচ্ছে তিন ইভেন্টে। এতে একদিকে সুবিধাই হয়েছে রোমানের। প্রত্যাশার চাপটা শুধুই তাঁর কাঁধে থাকছে না। দুজন মিলে লোজানে পদক জিতেছিলেন। একজন সতীর্থকে পাশে পেয়ে দেশকে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রোমান, ‘অলিম্পিকে খেলা প্রতিটি অ্যাথলেটের স্বপ্ন। আমারও স্বপ্ন একটা পদকের। পরিশ্রম করছি, তবে বেশ কঠিনই হবে মনে হচ্ছে। আমি চাই, আমার হাত ধরে হোক কিংবা আমার সতীর্থদের হাত ধরে, বাংলাদেশে অলিম্পিকের পদক আসুক। পদকের জন্য অলিম্পিকে সর্বোচ্চটা দেব।’
২০১০ সাল থেকে নিয়মিত আর্চারিতে অংশ নেওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক বড় ‘আইকন’ হয়ে উঠছেন রোমান। ক্রিকেটের পর গত কয়েক বছরে সবচেয়ে উচ্চারিত খেলার নামটি ‘আর্চারি’ আর যেটির কেন্দ্রে আছেন রোমান। শুধু তাঁকে দেখেই অসংখ্য তরুণ এখন স্বপ্ন দেখেন আর্চারিতে খেলার। নতুন যাঁরা উঠে আসছেন তাঁদের নিয়েও বড় স্বপ্ন দেখেন দেশসেরা এই তিরন্দাজ। বলছেন, ‘আর্চারিতে এখন অনেক নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে। আমার নতুন যে সতীর্থরা আছে, তারা খুবই ভালো করছে। সঠিক পরিচর্যা আর আর্থিক সমর্থন পেলে নতুনেরা আমার চেয়েও ভালো করবে।’
তবে আলোর নিচে আছে অন্ধকার। আছে বাধা-প্রতিবন্ধকতা। ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশের বাকি খেলাগুলোর চিরন্তন সমস্যা আর্থিক সংকট আছে আর্চারিতেও। আছে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। আর্থিক সমস্যায় রোমানরা অংশ নিতে পারেন না বড় বড় টুর্নামেন্টে। আর্চারির সাফল্য বিবেচনা করে পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান রোমানের। বললেন, ‘আমরা আর্থিক সংকটে বেশি পড়ি। যদি পৃষ্ঠপোষকেরা এগিয়ে আসেন, আর্থিক সমস্যা দূর হয়, প্রতিবছর অনেক টুর্নামেন্ট খেলতে পারব। বছরে আমরা খুব বেশি টুর্নামেন্ট খেলি না। বছরে যদি সাত-আটটা টুর্নামেন্ট খেলতে পারি, আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। অভিজ্ঞতা বাড়বে।’
বেশি টুর্নামেন্ট খেলার প্রয়োজনীয়তা কতটা, সেটি সবিস্তারেই বললেন রোমান, ‘বিশ্বের বড় খেলোয়াড়েরা প্রতিবছর অন্তত ১০-১২টা টুর্নামেন্ট খেলে, মাসে গড়ে একটি। বেশি বেশি টুর্নামেন্ট খেলতে পারলে অলিম্পিকে পদক জেতা তো সম্ভবই, পরের অলিম্পিকগুলোয় আরও বেশি খেলোয়াড় সরাসরি সুযোগ পাবে। আমাদের দরকার পৃষ্ঠপোষক। শুধু আমাদের নয়, সব খেলার জন্যই। বিষয়টি যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেখে—এটাই আমার আবেদন।’
প্যারিসে অলিম্পিক বাছাই আর বিশ্বকাপ খেলে সতীর্থ তিরন্দাজদের সঙ্গে আজই দেশে ফেরার কথা রোমানের। এবার তাঁকে তৈরি হতে হবে অলিম্পিক সামনে রেখে।
এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে হারল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাতে আজ কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপাটা উঠল বসুন্ধরা কিংসের হাতেই।
১ ঘণ্টা আগেটেস্টে নেতৃত্বের অভিষেকেই টস জিতলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে২০২৫, ২০২৬, ২০২৭-তিন আইপিএলের সূচি জানা গেছে গত রাতেই। সূচি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর জানা গেল আইপিএলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ঐতিহাসিক টেস্টের সূচি। কারণ, ২০২৭ আইপিএল চলার সময়ই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) শুরু হবে ১৫০ বছর পূর্তির এই টেস্ট ম্যাচ।
৩ ঘণ্টা আগেমেঘনা ব্যাংক ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে সহিংসতার জেরে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। ঢাকা মেট্রোপলিস ক্রিকেট কমিটি (সিসিডিএম) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৮ খেলোয়াড় ও ১ দল কর্মকর্তাকে এক বছর নিষিদ্ধ এবং আর্থিক জরিমানা প্রদান করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে