ক্রীড়া ডেস্ক
অনেক তো হলো। আর কত?
নিজের মনকে প্রশ্ন করতে গিয়ে উল্টো জেরার সম্মুখীন হচ্ছিলেন কি না, কে জানে! তবে আজ হোক কিংবা কাল—ঘোষণাটা কোনো না কোনো দিন দিতেই হতো।
সদা স্পষ্টভাষী সেরেনা উইলিয়ামসও আর নিজের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে পারলেন না। বর্ণিল ক্যারিয়ারে বয়সটা জোরেশোরে থাবা বসানোর উপলব্ধি করতে পেরেই দিলেন ঘোষণা। বছরের শেষ গ্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শেষেই র্যাকেট তুলে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি।
টেনিস ভুবনের কৃষ্ণকলি থেকে রানি হয়ে ওঠা, কিছুই প্রমাণের বাকি নেই। আক্ষেপ থাকলে সেটা একটিই—মার্গারেট কোর্টের রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের পাশে বসা। শেষ সুযোগ হিসেবে ঘরের কোর্টকেই বেছে নিলেন ৪০ বছর বয়সী সেরেনা। ফ্লাশিং মিডোসে স্বদেশি দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই বিদায় নিতে চান তিনি। তাঁর অবসরের ঘোষণায় ক্রীড়াঙ্গনে একটি সোনালি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে।
২৩ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সেরেনা ২৭ বছরের আলো-ঝলমলে ক্যারিয়ার সমাপ্তির আভাস দিয়ে রেখেছেন বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’কে। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এ মাসের শেষ দিকে একটি প্রতিযোগিতায় খেলার পর টেনিস জগত থেকে সরে দাঁড়াতে চান।
‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের কাভার পেজে তাঁর একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সেরেনা আজ লিখেছেন, ‘জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন আমাদের একটু আলাদা দিকগুলো নিয়ে ভাবতে হয়। এই সময়টা ভীষণ কঠিন। আপনি যাকে কাউকে ভালোবাসবেন, তাকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কঠিন। টেনিস সবসময় উপভোগ করি। তবে এখন ক্ষণক্ষণনা শুরু হয়ে গেছে।
ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্টে সেরেনা আরও জানিয়েছেন, মেয়ে অলিম্পিয়া ও পরিবারই হতে চলেছে তাঁর ধ্যানজ্ঞান, ‘মায়ের ভূমিকা ভালোভাবে পালন করতে চাই। নতুন কিছুর অনুসন্ধানে নামতে চাই। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।’
১৯৯৫ সালে পেশাদার টেনিসে যুক্ত হয়েছেন সেরেনা। গড়েছেন একের পর এক কীর্তি। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ফাইনালে নিজের বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসকে হারিয়ে নিজের সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন তিনি। পরে জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘোষণায় হইচই পড়ে গিয়েছিল ক্রীড়াঙ্গনে। সন্তানসম্ভবা গ্র্যান্ড স্লাম জয়ীকে অভিনন্দন আর প্রশংসার জোয়াড়ে ভাসান সবাই। সে বছরের সেপ্টেম্বরে মা হওয়ার কয়েকমাস পর কোর্টে ফেরেন। কিন্তু মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের পরবর্তী সময়টা মনে রাখার মতো নায়।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে নাওমি ওসাকার কাছে হারের পর সেরেনার আচরণ নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। এরপর একাধিকবার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি। সাবেক শীর্ষ নারী টেনিস তারকা অবসাদের কথাও জানিয়েছিলেন। দুঃসময় পেছনে ফেলে সর্বশেষ উইম্বলডনেও খেলেছেন। কিন্তু সাফল্য আসেনি।
বিদায়ী গ্র্যান্ড স্লামে যে সাফল্য আসবে, সে নিশ্চয়তাও দেওয়া যায়নি। তাতেও সেরেনার কীর্তি অবশ্য অবিনশ্বরই থেকে যাবে। ১৮ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী ক্রিস মেরি এভার্ট সে কারণেই বলেছেন, ‘সেরেনা যদি আর কোনো গ্র্যান্ড স্লাম নাও জেতে, তবু সে কিংবদন্তি।’
অনেক তো হলো। আর কত?
নিজের মনকে প্রশ্ন করতে গিয়ে উল্টো জেরার সম্মুখীন হচ্ছিলেন কি না, কে জানে! তবে আজ হোক কিংবা কাল—ঘোষণাটা কোনো না কোনো দিন দিতেই হতো।
সদা স্পষ্টভাষী সেরেনা উইলিয়ামসও আর নিজের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে পারলেন না। বর্ণিল ক্যারিয়ারে বয়সটা জোরেশোরে থাবা বসানোর উপলব্ধি করতে পেরেই দিলেন ঘোষণা। বছরের শেষ গ্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শেষেই র্যাকেট তুলে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি।
টেনিস ভুবনের কৃষ্ণকলি থেকে রানি হয়ে ওঠা, কিছুই প্রমাণের বাকি নেই। আক্ষেপ থাকলে সেটা একটিই—মার্গারেট কোর্টের রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্লামের পাশে বসা। শেষ সুযোগ হিসেবে ঘরের কোর্টকেই বেছে নিলেন ৪০ বছর বয়সী সেরেনা। ফ্লাশিং মিডোসে স্বদেশি দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই বিদায় নিতে চান তিনি। তাঁর অবসরের ঘোষণায় ক্রীড়াঙ্গনে একটি সোনালি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে চলেছে।
২৩ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সেরেনা ২৭ বছরের আলো-ঝলমলে ক্যারিয়ার সমাপ্তির আভাস দিয়ে রেখেছেন বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’কে। সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এ মাসের শেষ দিকে একটি প্রতিযোগিতায় খেলার পর টেনিস জগত থেকে সরে দাঁড়াতে চান।
‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের কাভার পেজে তাঁর একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সেরেনা আজ লিখেছেন, ‘জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন আমাদের একটু আলাদা দিকগুলো নিয়ে ভাবতে হয়। এই সময়টা ভীষণ কঠিন। আপনি যাকে কাউকে ভালোবাসবেন, তাকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কঠিন। টেনিস সবসময় উপভোগ করি। তবে এখন ক্ষণক্ষণনা শুরু হয়ে গেছে।
ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্টে সেরেনা আরও জানিয়েছেন, মেয়ে অলিম্পিয়া ও পরিবারই হতে চলেছে তাঁর ধ্যানজ্ঞান, ‘মায়ের ভূমিকা ভালোভাবে পালন করতে চাই। নতুন কিছুর অনুসন্ধানে নামতে চাই। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলব।’
১৯৯৫ সালে পেশাদার টেনিসে যুক্ত হয়েছেন সেরেনা। গড়েছেন একের পর এক কীর্তি। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ফাইনালে নিজের বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসকে হারিয়ে নিজের সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্লাম জেতেন তিনি। পরে জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘোষণায় হইচই পড়ে গিয়েছিল ক্রীড়াঙ্গনে। সন্তানসম্ভবা গ্র্যান্ড স্লাম জয়ীকে অভিনন্দন আর প্রশংসার জোয়াড়ে ভাসান সবাই। সে বছরের সেপ্টেম্বরে মা হওয়ার কয়েকমাস পর কোর্টে ফেরেন। কিন্তু মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের পরবর্তী সময়টা মনে রাখার মতো নায়।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে নাওমি ওসাকার কাছে হারের পর সেরেনার আচরণ নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। এরপর একাধিকবার গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি। সাবেক শীর্ষ নারী টেনিস তারকা অবসাদের কথাও জানিয়েছিলেন। দুঃসময় পেছনে ফেলে সর্বশেষ উইম্বলডনেও খেলেছেন। কিন্তু সাফল্য আসেনি।
বিদায়ী গ্র্যান্ড স্লামে যে সাফল্য আসবে, সে নিশ্চয়তাও দেওয়া যায়নি। তাতেও সেরেনার কীর্তি অবশ্য অবিনশ্বরই থেকে যাবে। ১৮ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী ক্রিস মেরি এভার্ট সে কারণেই বলেছেন, ‘সেরেনা যদি আর কোনো গ্র্যান্ড স্লাম নাও জেতে, তবু সে কিংবদন্তি।’
টি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সাল ভারতের কেটেছে অসাধারণ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ টেস্টেও তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তবে বছরের শেষভাগে এসে টেস্টে হোঁচট খাচ্ছে এশিয়ার দলটি। সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে এসেও বেকায়দায় পড়েছে ভারত।
২০ মিনিট আগেবাংলাদেশ দল অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে আজ। টেস্ট শুরুর আগেই গত রাতে একাদশ ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা। কদিন আগে শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হবেন তিনি। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, পিটার বাটলার মেয়েদের কোচ হিসেবেই থাকছেন।
১ ঘণ্টা আগেটেস্ট ক্যারিয়ারের ফিফটির ম্যাচেই নেতৃত্ব দেবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর চেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত মিরাজের জন্য আর কী হতে পারে! মিরাজও অ্যান্টিগায় গতকাল যখন সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন, তাঁকে দেখেই বোঝা গেছে এমন রোমাঞ্চ তাঁকে কতটা স্পর্শ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে