বাইক চালাতে স্মার্ট হেলমেট

নাহিদ ইসলাম
আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ১১: ৪৭
Thumbnail image

রাস্তায় নেমে বুঝতে পারছেন, আপনার হেলমেটের ভেন্টিলেশন ভালো নয়, ভেতরে মাথা ঘেমে অস্থির। কড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। ভাইজরের সান প্রোটেকশন আর ফগ রেজিস্ট্যান্স না থাকায় রাস্তাও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। আবার এর মধ্যে জরুরি কল এলে অনেকে দেখা যায় হেলমেটের খাঁজে বেশ কায়দা করে মোবাইল ফোন ঠেসে দিয়ে একদিকে ঘাড় বাঁকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন। তখন বাইকের ব্যালান্স রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। এত জটিল প্রক্রিয়ায় না গিয়ে একটু বেশি খরচ করে কিনে নিতে পারেন একটা স্মার্ট ও ওয়েল ভেন্টিলেটেড হেলমেট। 

নিরাপদ বাইক রাইডিংয়ের জন্য ভালো সেফটি হেলমেট ব্যবহার করা উচিত। দেখেশুনে অনেক দাম দিয়ে হয়তো মনমতো মডেলের বাইক কিনেছেন। কিন্তু হেলমেট কেনার সময় ঠিক ততটা যাচাই করছেন না। তাতে আপনার বাইক চালানো হবে বিপজ্জনক।

বিষয়টা জটিল কিছু নয়। স্মার্ট হেলমেটের মধ্যে থাকে ব্লু-টুথ কানেকটিভিটি, মাইক্রোফোন আর নয়েজ ক্যান্সেলিং প্রযুক্তির স্পিকার। বাতাসের আওয়াজ কমিয়ে আপনাকে রাস্তার ওপর মনোযোগ দিতে সহায়তা করবে আর ফোন এলে কানের ওপর বসানো টাচপ্যাড অথবা ভয়েস কমান্ড দিয়েই তা রিসিভ করা কিংবা কেটে দেওয়া যাবে।

চাইলে ফোর-কে পর্যন্ত রেজল্যুশনের ক্যামেরাসহ হেলমেট নিতে পারেন। এতে ভ্লগিংয়ের জন্য বাড়তি কোনো ক্যামেরা হেলমেটে জুড়ে দিয়ে অ্যারোডাইনামিকসে ঝামেলা করতে হবে না। আবার স্মার্ট রিয়ার লাইট যুক্ত হেলমেটও আছে। যেমন লাইভ্যাল স্মার্ট হেলমেট। 
লাইভ্যাল স্মার্ট হেলমেটের অন্যতম কাজ পেছনের যানবাহনের আরোহীদের সিগন্যাল দেওয়া। এ ছাড়া এই হেলমেট ওয়াই-ফাই, ব্লু-টুথ, ক্যামেরা ইত্যাদিসহ জিপিএস ট্র্যাকিং ও দুর্ঘটনায় পূর্বনির্ধারিত নম্বরে এসওএস মেসেজ পাঠাতেও সক্ষম।

ছবি: আজকের পত্রিকাআইসল্যান্ডের সেনা ব্র্যান্ডের ইমপালস স্ট্রাইকার হেলমেট অডিও মানের দিক থেকে বেশি জনপ্রিয়। কারণ, তাদের হারম্যান কার্ডন স্পিকার আর মাইক্রোফোন দিয়ে ভয়েস কলে কথা বলা ও গান শোনার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত।

চায়নিজ আরও দুটি ব্র্যান্ড, যেমন স্করপিয়ন ইএক্সও আর ক্রস হেলমেট অভিনব কিছু ফিচার যোগ করেছে তাদের স্মার্ট হেলমেটগুলোতে, বিশেষ করে ক্রসের স্মার্ট হেলমেটে থাকছে রিয়ারভিউ ক্যামেরা এবং হেড আপ ডিসপ্লে। ‘আয়রন ম্যান’ সিনেমার মধ্যে অথবা ফাইটার জেটের পাইলটদের হেলমেটে যেমন থাকে।

যাঁরা হেলমেটের ক্ল্যাসিক স্টাইল আর হালকা ওজনের স্লিক ও সাধারণ ডিজাইন পছন্দ করেন, তাঁরা হার্লি ডেভিডসনের এফএক্সআরজি মডেলটির কথা ভাবতে পারেন। তবে সব ছাপিয়ে এই প্রযুক্তিতেও বোধ হয় জাপানিরাই সেরা। কারণ, গত বছর বিশ্বখ্যাত জাপানি হেলমেট ব্র্যান্ড ‘সোই’ তাদের স্মার্ট হেলমেট মডেল সোই অপটিকসন বাজারে এনেছে। এখানে জিপিএস দিকনির্দেশনা দিয়ে পথ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। 

দরদাম
বাংলাদেশে এখনো স্মার্ট হেলমেট অতটা পরিচিত নয়। তারপরও বেশ কিছু বাইক অ্যাকসেসরিজ শপে স্মার্ট হেলমেট আসতে শুরু করেছে। ইতালিয়ান এসএমকে ব্র্যান্ডের ৬ থেকে ১৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের স্মার্ট হেলমেট এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশীয় ব্র্যান্ড সেইফটেক বাজারে এনেছে তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট। বিল্ট ইন ব্লু-টুথ, টাচ কন্ট্রোলসহ সেইফটেক হেলমেট পাওয়া যাবে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত