অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই-ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যতের বিষয়ে আগ্রহী এমন যে কারও জন্য এই পার্থক্যগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের মানুস এআই ওপেনএআইএর চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—
কোন এআই মডেলটি বেশি স্মার্ট?
ব্যবসা এবং ডেভেলপারদের জন্য কোনটি ভালো? এবং
মানুস এআই কি চ্যাটজিপিটিকে প্রভাব ও ক্ষমতায় ছাড়িয়ে যেতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দুটি এআই জায়ান্টের পার্থক্যগুলো বুঝতে হবে। তাই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য: দুটি আলাদা দৃষ্টিকোণ
মানুস এআই: স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ
মানুস এআই এমন একটি স্বশিক্ষিত, স্বতন্ত্র এআই হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবহারকারীর প্রম্পটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সীমাবদ্ধ নয় এটি—এআই মডেলটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, নির্দেশনা ছাড়াই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
চীনের মানুস এআইএর লক্ষ্য হচ্ছে—এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের মতো যুক্তিবাদী এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশনকে (এমন একটি সিস্টেম নিজে থেকেই তার কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালি উন্নত করার চেষ্টা করে) অনুকরণ করতে সক্ষম। এর ফলে এটি এমন সব শিল্পের জন্য আদর্শ, যেখানে ক্রমাগত তত্ত্বাবধান ছাড়াই জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি: কথোপকথন বিশেষজ্ঞ
ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি মূলত কথোপকথনমূলক এআই, যা ভাষা বোঝা, প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এমন কিছু কাজে অসাধারণ, যেমন:
যদিও চ্যাটজিপিটির স্পষ্ট নির্দেশনা এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের প্রয়োজন হয়, তার শক্তি হলো—ভাষা দক্ষতা এবং বিভিন্ন কথোপকথন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর স্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদর্শী।
২. প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা
মানুস এআই: স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইএর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। এটি উন্নত নিউরাল নেটওয়ার্ক, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশন মডেল ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে এটি ক্রমাগত তার বোঝার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এভাবে মানুস এআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং আরও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, যা এটিকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
মানুস এআইএর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
চ্যাটজিপিটি: ভাষা দক্ষতা
চ্যাটজিপিটির শক্তি তার ভাষা বোঝা এবং কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতায়। চ্যাটজিপিটি–৪ মডেল কোড লেখা, মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করা, চিন্তা–ভাবনায় সাহায্য করা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত কাজের প্রবাহে সাহায্য করতে পারে।
চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহকারী হিসেবে চমকপ্রদভাবে কাজ করে।
৩. ব্যবহার ক্ষেত্র: কোথায় কে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে
মানুস এআই: স্বতন্ত্র সমাধানগুলোর জন্য সেরা
মানুস এআই এমন শিল্পগুলোর জন্য আদর্শ, যেখানে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। সম্ভাব্য প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো—
স্বাস্থ্যসেবা: লাইভ ডেটা ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা পরামর্শ দেওয়া।
আর্থিক খাত: স্বতন্ত্র ঝুঁকি মূল্যায়ন, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং আর্থিক পূর্বাভাস প্রদান।
স্মার্ট সিটি: ট্রাফিক প্রবাহ, শক্তির বণ্টন এবং নিরাপত্তা সিস্টেম পরিচালনা করা।
চ্যাটজিপিটি: প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহায়তার জন্য সেরা
চ্যাটজিপিটি এমন পরিবেশে সবচেয়ে সফল, যেখানে যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়:
কনটেন্ট তৈরি: প্রতিবেদন লেখা, মার্কেটিং কপি তৈরি অথবা নতুন ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
কোডিং সহায়তা: ডিবাগিং, কোড ব্যাখ্যা করা এবং স্ক্রিপ্ট তৈরি করা।
গ্রাহক সহায়তা: ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তৈরি, যেখানে চ্যাটজিপিটি যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৪. পারফরম্যান্স এবং শেখা
মানুস এআই: স্ব-উন্নয়নশীল বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বশিক্ষণ ক্ষমতা। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে না বরং বাস্তব দুনিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং ফলাফেলর ভিত্তিতে এর কৌশলগুলো ক্রমাগত উন্নত করে।
চ্যাটজিপিটি: প্রম্পটভিত্তিক দক্ষতা
চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট থেকে শেখে এবং বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়ার পরে এটি অসাধারণ ফলাফল দেয়। তবে এটি সফলভাবে কাজ করতে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। যদি প্রম্পট সঠিক না হয়, তবে এটি কখনো কখনো ভুল বা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআইয়ের স্বতন্ত্রভাবে শিখতে পারে এবং চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা এর প্রম্পটের ওপর নির্ভর করে।
৫. বৈশ্বিক প্রভাব এবং বাজারের অবস্থান
মানুস এআই: চীনের উত্থানশীল এআই শক্তি
চীনের এআই আধিপত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মানুস এআই। স্বল্প তত্ত্বাবধানে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করে এআই খাতে বিশ্বে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন।
চ্যাটজিপিটি: বৈশ্বিক মানদণ্ড
চ্যাটজিপিটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এআই মডেল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে সংযুক্ত এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য, চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআইয়ের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে মূলধারা এআই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
৬. এআইয়ের ভবিষ্যৎ: কোনটি জিতবে?
মানুস এআই ও চ্যাটজিপিটির মধ্যে কোনটা সেরা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর—
তবে, একটি জিনিস নিশ্চিত যে, মানুস এআইয়ের উত্থান এআই বিবর্তনের নতুন ঢেউয়ের সংকেত দেয়। এই ঢেউ মেশিনের দক্ষতা এবং মানব যুক্তির সীমানাগুলো ধোঁয়াশা করে দেয়।
সহযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা
যদিও মানুস এআই এবং চ্যাটজিপিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে এগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। মানুস এআইয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবসাগুলোকে জটিল প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সাহায্য করতে পারে, আবার চ্যাটজিপিটির কথোপকথনমূলক শক্তি মানব-এআই ইন্টারঅ্যাকশনকে বদলে দিতে থাকে।
আসল প্রশ্ন কোনটি ‘বেশি ভালো’ তা নয় বরং ব্যবসা, ডেভেলপার এবং শিল্পগুলো কীভাবে উভয় বিশ্ব থেকেই সেরা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং দুটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এখন আলোচনায় আধিপত্য বিস্তার করছে। প্রতিযোগী দুটি হলো—চীনের মানুস এআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাটজিপিটি। যদিও দুটি এআই-ই নিজেদের জায়গায় অসাধারণ, তবে তারা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি ভিন্ন পদ্ধতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যতের বিষয়ে আগ্রহী এমন যে কারও জন্য এই পার্থক্যগুলো বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন চীনের মানুস এআই ওপেনএআইএর চ্যাটজিপিটির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, তখন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—
কোন এআই মডেলটি বেশি স্মার্ট?
ব্যবসা এবং ডেভেলপারদের জন্য কোনটি ভালো? এবং
মানুস এআই কি চ্যাটজিপিটিকে প্রভাব ও ক্ষমতায় ছাড়িয়ে যেতে পারে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে দুটি এআই জায়ান্টের পার্থক্যগুলো বুঝতে হবে। তাই পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
১. দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্দেশ্য: দুটি আলাদা দৃষ্টিকোণ
মানুস এআই: স্বতন্ত্র চিন্তাবিদ
মানুস এআই এমন একটি স্বশিক্ষিত, স্বতন্ত্র এআই হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। শুধু ব্যবহারকারীর প্রম্পটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে সীমাবদ্ধ নয় এটি—এআই মডেলটি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, নির্দেশনা ছাড়াই ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে এবং এমনকি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে।
চীনের মানুস এআইএর লক্ষ্য হচ্ছে—এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যা মানুষের মতো যুক্তিবাদী এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশনকে (এমন একটি সিস্টেম নিজে থেকেই তার কার্যকারিতা বা কার্যপ্রণালি উন্নত করার চেষ্টা করে) অনুকরণ করতে সক্ষম। এর ফলে এটি এমন সব শিল্পের জন্য আদর্শ, যেখানে ক্রমাগত তত্ত্বাবধান ছাড়াই জটিল সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি: কথোপকথন বিশেষজ্ঞ
ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি মূলত কথোপকথনমূলক এআই, যা ভাষা বোঝা, প্রতিক্রিয়া তৈরি করা এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি এমন কিছু কাজে অসাধারণ, যেমন:
যদিও চ্যাটজিপিটির স্পষ্ট নির্দেশনা এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটের প্রয়োজন হয়, তার শক্তি হলো—ভাষা দক্ষতা এবং বিভিন্ন কথোপকথন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর স্পষ্ট নির্দেশনা বা প্রশ্ন অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারদর্শী।
২. প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা
মানুস এআই: স্বতন্ত্র বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইএর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তার স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা। এটি উন্নত নিউরাল নেটওয়ার্ক, রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং এবং স্ব-অপ্টিমাইজেশন মডেল ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে এটি ক্রমাগত তার বোঝার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া উন্নত করে।
এভাবে মানুস এআই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং আরও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়, যা এটিকে আরও শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
মানুস এআইএর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
চ্যাটজিপিটি: ভাষা দক্ষতা
চ্যাটজিপিটির শক্তি তার ভাষা বোঝা এবং কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতায়। চ্যাটজিপিটি–৪ মডেল কোড লেখা, মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করা, চিন্তা–ভাবনায় সাহায্য করা এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত কাজের প্রবাহে সাহায্য করতে পারে।
চ্যাটজিপিটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ—
মূল পার্থক্য: মানুস এআই স্বতন্ত্র চিন্তাভাবনায় গুরুত্ব দেয়, যেখানে চ্যাটজিপিটি প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহকারী হিসেবে চমকপ্রদভাবে কাজ করে।
৩. ব্যবহার ক্ষেত্র: কোথায় কে সবচেয়ে ভালো কাজ করবে
মানুস এআই: স্বতন্ত্র সমাধানগুলোর জন্য সেরা
মানুস এআই এমন শিল্পগুলোর জন্য আদর্শ, যেখানে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন। সম্ভাব্য প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলো হলো—
স্বাস্থ্যসেবা: লাইভ ডেটা ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা পরামর্শ দেওয়া।
আর্থিক খাত: স্বতন্ত্র ঝুঁকি মূল্যায়ন, জালিয়াতি শনাক্তকরণ এবং আর্থিক পূর্বাভাস প্রদান।
স্মার্ট সিটি: ট্রাফিক প্রবাহ, শক্তির বণ্টন এবং নিরাপত্তা সিস্টেম পরিচালনা করা।
চ্যাটজিপিটি: প্রতিক্রিয়াভিত্তিক সহায়তার জন্য সেরা
চ্যাটজিপিটি এমন পরিবেশে সবচেয়ে সফল, যেখানে যোগাযোগ, সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার প্রয়োজন। এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়:
কনটেন্ট তৈরি: প্রতিবেদন লেখা, মার্কেটিং কপি তৈরি অথবা নতুন ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা।
কোডিং সহায়তা: ডিবাগিং, কোড ব্যাখ্যা করা এবং স্ক্রিপ্ট তৈরি করা।
গ্রাহক সহায়তা: ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তৈরি, যেখানে চ্যাটজিপিটি যোগাযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
৪. পারফরম্যান্স এবং শেখা
মানুস এআই: স্ব-উন্নয়নশীল বুদ্ধিমত্তা
মানুস এআইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো স্বশিক্ষণ ক্ষমতা। এটি পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে না বরং বাস্তব দুনিয়ার মিথষ্ক্রিয়া এবং ফলাফেলর ভিত্তিতে এর কৌশলগুলো ক্রমাগত উন্নত করে।
চ্যাটজিপিটি: প্রম্পটভিত্তিক দক্ষতা
চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট থেকে শেখে এবং বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়ার পরে এটি অসাধারণ ফলাফল দেয়। তবে এটি সফলভাবে কাজ করতে মানুষের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়। যদি প্রম্পট সঠিক না হয়, তবে এটি কখনো কখনো ভুল বা পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য প্রদান করতে পারে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআইয়ের স্বতন্ত্রভাবে শিখতে পারে এবং চ্যাটজিপিটি বুদ্ধিমত্তা এর প্রম্পটের ওপর নির্ভর করে।
৫. বৈশ্বিক প্রভাব এবং বাজারের অবস্থান
মানুস এআই: চীনের উত্থানশীল এআই শক্তি
চীনের এআই আধিপত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মানুস এআই। স্বল্প তত্ত্বাবধানে কাজ করার সক্ষমতা নিয়ে একটি এআই সিস্টেম তৈরি করে এআই খাতে বিশ্বে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে চায় চীন।
চ্যাটজিপিটি: বৈশ্বিক মানদণ্ড
চ্যাটজিপিটি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এআই মডেল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। মাইক্রোসফটের ইকোসিস্টেমে সংযুক্ত এবং বিভিন্ন শিল্পে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য, চ্যাটজিপিটি কথোপকথনমূলক এআইয়ের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
মূল পার্থক্য: মানুস এআই একটি শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে মূলধারা এআই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
৬. এআইয়ের ভবিষ্যৎ: কোনটি জিতবে?
মানুস এআই ও চ্যাটজিপিটির মধ্যে কোনটা সেরা, তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করে কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর—
তবে, একটি জিনিস নিশ্চিত যে, মানুস এআইয়ের উত্থান এআই বিবর্তনের নতুন ঢেউয়ের সংকেত দেয়। এই ঢেউ মেশিনের দক্ষতা এবং মানব যুক্তির সীমানাগুলো ধোঁয়াশা করে দেয়।
সহযোগিতা নাকি প্রতিযোগিতা
যদিও মানুস এআই এবং চ্যাটজিপিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে এগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। মানুস এআইয়ের স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ব্যবসাগুলোকে জটিল প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সাহায্য করতে পারে, আবার চ্যাটজিপিটির কথোপকথনমূলক শক্তি মানব-এআই ইন্টারঅ্যাকশনকে বদলে দিতে থাকে।
আসল প্রশ্ন কোনটি ‘বেশি ভালো’ তা নয় বরং ব্যবসা, ডেভেলপার এবং শিল্পগুলো কীভাবে উভয় বিশ্ব থেকেই সেরা সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’
তথ্যসূত্র: মিডিয়াম
গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের জায়গা নিতে চলেছে গুগলের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট জেমিনি। চলতি বছরেই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এই পরিবর্তন দেখা যাবে। গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক ব্লগ পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছে গুগল।
৪২ মিনিট আগেবর্তমানে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই ভিত্তিক চ্যাটবট যা মানুষের মতো কথা বলতে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। চ্যাটজিপিটি এখন অনেক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা যায় এবং গত বছর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য এই সুবিধা এনেছে...
২ ঘণ্টা আগেআমাদের পরিচিত পৃথিবীকে পরিবর্তন করছে এআই। এই প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পকে নতুনভাবে গঠন করছে, কাজগুলোকে সহজ করছে। তবে প্রযুক্তি খাতে নিয়োগেরও ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে এআই। কারণ, চাকরির অনলাইন সাক্ষাৎকারে এআই দিয়ে প্রতারণা করছে প্রার্থীরা। বিশেষ করে দূরবর্তী ইন্টারভিউয়ের (রিমোট ইন্টারভিউ বা অনলাইন সাক্ষাৎক
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেফটি ইনস্টিটিউটের (এআইএসআই) অংশীদারির মধ্যে থাকা বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইএসটি)। নতুন শর্তাবলিতে গবেষকদের কাজের ক্ষেত্র থেকে ‘এআই নিরাপত্তা’, ‘দায়িত্বশীল এআই’ ও ‘এআই ন্যায্যতা’ বি
১৭ ঘণ্টা আগে