মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ক্রমাগত উন্নয়নের দিনে এটি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এটি এখন আর কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ফিচারে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; দৈনন্দিন জীবনে যেসব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করতে হয়, সেগুলোতেও এখন এআইয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এ প্রযুক্তি এখন দখল করতে চলেছে কৃষিশিল্পকে।
জমিতে ফসল ফলাতে সঠিক সময় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, খেতে পানির পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোন সময় পানি দিতে হবে ইত্যাদি কাজে সাহায্য করছে এআই। এরই মধ্যে এমন কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলো কৃষকদের কাজ সহজ করার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের হার বাড়িয়েছে অনেকাংশে।
বাজারের চাহিদা বিশ্লেষণ
বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে দামি জিনিস তথ্য। আর এই তথ্যের সঠিক ব্যবহার ব্যবসার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সারা বছর বাজারের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে।
সে অনুযায়ী করা হয় ফসল উৎপাদন। কৃষকেরা ঠিক একই পদ্ধতিতে বিভিন্ন মৌসুমে ফসল উৎপাদন করলেও অনেক সময় বাজার বিশ্লেষণে ভুল হয়। এর সমাধান দিচ্ছে এআই প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে কৃষকেরা অল্প সময়ে যেকোনো মৌসুমের বাজার বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এআই ব্যবহার করে বাজারের চাহিদা, দাম, ফসল রোপণ ও কাটার সঠিক সময় জেনে নেওয়া যাবে। এমনকি আবহাওয়া বিষয়ে সতর্ক করবে এআই। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘ক্লিকআপ’ বা ‘স্পিক এআইয়ের’ কথা। এ অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর ব্যবসার সার্বিক তথ্য ও আঞ্চলিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে। এর ভিত্তিতে বর্তমান মার্কেট সম্পর্কে ধারণা দেয়।
খরচ কমাতে
উৎপাদন খরচের ওপর নির্ভর করে মুনাফার অঙ্ক। তাই কৃষকদের সব সময় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। ফসলের জন্য জমি তৈরি এবং পরে কীটনাশক বা পানি দিতে সহায়তা করছে এআই প্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্র। জমি তৈরির জন্য রয়েছে ট্রাক্টর; অল্প সময়ে কীটনাশক বা পানি দিচ্ছে ড্রোন। এগুলো এখন চলছে এআই দিয়ে।
ফসলের অবস্থা শনাক্ত
পোকায় ধরা বা অন্যান্য সমস্যায় ফসল শতভাগ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর ফসলের অবস্থা শনাক্ত করা জরুরি। এ কাজ সহজ করছে এআই। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফসলের অবস্থা শনাক্ত করা যায় এখন। সে অনুযায়ী নেওয়া সম্ভব হয় সঠিক সময়ে সঠিক প্রস্তুতি। তা ছাড়া এআই প্রযুক্তি মাটির গুণাগুণ ও ফসলের বৃদ্ধি শনাক্ত করার পাশাপাশি কীট বা রোগের উপস্থিতিও শনাক্ত করতে পারে। ফসলের ছবির মাধ্যমে পোকামাকড় বা ফসলের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যান্য হুমকি খুঁজে বের করতে পারে এ প্রযুক্তি। ফরাসি এআই প্রযুক্তি ‘তুমাইনি’ এমন একটি জনপ্রিয় অ্যাপ, যেটি ফসলের ছবি থেকে রোগ শনাক্ত করতে সক্ষম। এ তালিকার আরও একটি জনপ্রিয় অ্যাপের নাম ‘অ্যাগ্রিও’। এটি ফসলের ছবি থেকে এর অবস্থা শনাক্ত করতে সক্ষম; পাশাপাশি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে অনেক পরামর্শ দেয়।
এআই যন্ত্রের ব্যবহার
কৃষির ক্ষেত্রে বহু আগে যন্ত্রের প্রচলন শুরু হয়। তা ছিল আশীর্বাদ। একসময় যন্ত্রের কাজ নিজেরা করতে অনেক সময় ব্যয় হতো। একই সঙ্গে ছিল ব্যয়বহুল। ট্রাক্টর থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত সবখানে যন্ত্রের ব্যবহার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে এআই প্রযুক্তি। এসব যন্ত্রের কাজ সহজ করতে এসেছে এআই-চালিত চালকবিহীন ট্রাক্টর, কৃষি ড্রোন, গ্রিনহাউস রোবট ইত্যাদি। এগুলো মানুষের মতো কাজ করে।
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ
ফসলের চেয়ে গবাদিপশুর রোগনির্ণয় সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটি বেশ কঠিন। এআই এখন কাজটি সহজ করে দিয়েছে, যেমন নর্দান আয়ারল্যান্ডের ক্যাটেল আই নামের একটি প্রতিষ্ঠান এআই প্রযুক্তির ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এবং পশুর আচরণ ও বিভিন্ন অঙ্গ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে। এ রকম আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করছে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ক্রমাগত উন্নয়নের দিনে এটি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এটি এখন আর কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের ফিচারে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই; দৈনন্দিন জীবনে যেসব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করতে হয়, সেগুলোতেও এখন এআইয়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এ প্রযুক্তি এখন দখল করতে চলেছে কৃষিশিল্পকে।
জমিতে ফসল ফলাতে সঠিক সময় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, খেতে পানির পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোন সময় পানি দিতে হবে ইত্যাদি কাজে সাহায্য করছে এআই। এরই মধ্যে এমন কিছু প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলো কৃষকদের কাজ সহজ করার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের হার বাড়িয়েছে অনেকাংশে।
বাজারের চাহিদা বিশ্লেষণ
বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে দামি জিনিস তথ্য। আর এই তথ্যের সঠিক ব্যবহার ব্যবসার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সারা বছর বাজারের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে।
সে অনুযায়ী করা হয় ফসল উৎপাদন। কৃষকেরা ঠিক একই পদ্ধতিতে বিভিন্ন মৌসুমে ফসল উৎপাদন করলেও অনেক সময় বাজার বিশ্লেষণে ভুল হয়। এর সমাধান দিচ্ছে এআই প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে কৃষকেরা অল্প সময়ে যেকোনো মৌসুমের বাজার বিশ্লেষণ করতে পারবেন। এআই ব্যবহার করে বাজারের চাহিদা, দাম, ফসল রোপণ ও কাটার সঠিক সময় জেনে নেওয়া যাবে। এমনকি আবহাওয়া বিষয়ে সতর্ক করবে এআই। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে ‘ক্লিকআপ’ বা ‘স্পিক এআইয়ের’ কথা। এ অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর ব্যবসার সার্বিক তথ্য ও আঞ্চলিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে। এর ভিত্তিতে বর্তমান মার্কেট সম্পর্কে ধারণা দেয়।
খরচ কমাতে
উৎপাদন খরচের ওপর নির্ভর করে মুনাফার অঙ্ক। তাই কৃষকদের সব সময় এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। ফসলের জন্য জমি তৈরি এবং পরে কীটনাশক বা পানি দিতে সহায়তা করছে এআই প্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্র। জমি তৈরির জন্য রয়েছে ট্রাক্টর; অল্প সময়ে কীটনাশক বা পানি দিচ্ছে ড্রোন। এগুলো এখন চলছে এআই দিয়ে।
ফসলের অবস্থা শনাক্ত
পোকায় ধরা বা অন্যান্য সমস্যায় ফসল শতভাগ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর ফসলের অবস্থা শনাক্ত করা জরুরি। এ কাজ সহজ করছে এআই। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফসলের অবস্থা শনাক্ত করা যায় এখন। সে অনুযায়ী নেওয়া সম্ভব হয় সঠিক সময়ে সঠিক প্রস্তুতি। তা ছাড়া এআই প্রযুক্তি মাটির গুণাগুণ ও ফসলের বৃদ্ধি শনাক্ত করার পাশাপাশি কীট বা রোগের উপস্থিতিও শনাক্ত করতে পারে। ফসলের ছবির মাধ্যমে পোকামাকড় বা ফসলের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যান্য হুমকি খুঁজে বের করতে পারে এ প্রযুক্তি। ফরাসি এআই প্রযুক্তি ‘তুমাইনি’ এমন একটি জনপ্রিয় অ্যাপ, যেটি ফসলের ছবি থেকে রোগ শনাক্ত করতে সক্ষম। এ তালিকার আরও একটি জনপ্রিয় অ্যাপের নাম ‘অ্যাগ্রিও’। এটি ফসলের ছবি থেকে এর অবস্থা শনাক্ত করতে সক্ষম; পাশাপাশি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে অনেক পরামর্শ দেয়।
এআই যন্ত্রের ব্যবহার
কৃষির ক্ষেত্রে বহু আগে যন্ত্রের প্রচলন শুরু হয়। তা ছিল আশীর্বাদ। একসময় যন্ত্রের কাজ নিজেরা করতে অনেক সময় ব্যয় হতো। একই সঙ্গে ছিল ব্যয়বহুল। ট্রাক্টর থেকে শুরু করে ফসল কাটা পর্যন্ত সবখানে যন্ত্রের ব্যবহার। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে এআই প্রযুক্তি। এসব যন্ত্রের কাজ সহজ করতে এসেছে এআই-চালিত চালকবিহীন ট্রাক্টর, কৃষি ড্রোন, গ্রিনহাউস রোবট ইত্যাদি। এগুলো মানুষের মতো কাজ করে।
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ
ফসলের চেয়ে গবাদিপশুর রোগনির্ণয় সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এটি বেশ কঠিন। এআই এখন কাজটি সহজ করে দিয়েছে, যেমন নর্দান আয়ারল্যান্ডের ক্যাটেল আই নামের একটি প্রতিষ্ঠান এআই প্রযুক্তির ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এবং পশুর আচরণ ও বিভিন্ন অঙ্গ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করে। এ রকম আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করছে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে।
গরম খাবার খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কম বেশি সবারই রয়েছে। আবার ব্যস্ততার সময় ফুঁ দিয়ে খাবার বা পানীয় ঠান্ডা করাও একটি বিরক্তির বিষয়। তবে এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ‘নেকোজিতা ক্যাট ফুফু’ নামের ছোট একটি বিড়াল রোবট তৈরি করেছে জাপানের ইয়ুকাই ইঞ্জিনিয়ারিং স্টার্টআপ। কফি, স্যুপ বা অন্য কোনো গরম
১ ঘণ্টা আগেচলমান তদন্তের অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি এক্স (সাবেক টুইটার)–এর কাছে অ্যাপটির অ্যালগরিদম সিস্টেমের কার্যকারিতা সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। বিশেষত, অ্যালগরিদমের মধ্যে সম্প্রতি যে কোনো পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন।
৬ ঘণ্টা আগেজো বাইডেনের প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টিকটক। কিন্তু কোনোভাবেই এটি বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়ে চীনের মালিকানাধীন এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা বিক্রি অথবা বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টিকটকের করা আপিল গতকাল শুক্রবার সুপ্
৭ ঘণ্টা আগেহ্যাকাররা ভুয়া ই–মেইলে নিজেদের মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। ই–মেইলে একটি কিউআর কোড দেওয়া হয়। এটি স্ক্যান করলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে, এটি আসলে একটি হ্যাকিং কৌশল।রাশিয়া, হ্যাকার, হোয়াটসঅ্যাপ, মাইক্রোসফট
১৬ ঘণ্টা আগে