অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বিপুল পরিমাণ লাভ করছে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে। কোম্পানিটির নতুন সফটওয়্যার তৈরি, চিপ উৎপাদন এবং স্মার্ট-ড্রাইভিং প্রযুক্তি ব্যবসার বিস্তারের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছে। গত বছর প্রায় ৮৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (১১৮ বিলিয়ন ডলার) আয় করেছে কোম্পানিটি, যা ২০২০ সালের ৮৯১ বিলিয়ন ইউয়ানের শীর্ষ আয়ের কাছাকাছি। এর আগে চিপ-সংকট এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ের রাজস্ব অর্ধেক হ্রাস পেয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এসব আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেন।
এদিকে গত অক্টোবরে জানানো হয়, এর আগের ৯ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়। কোম্পানির নির্বাহীরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো তাঁদের ‘টিকে থাকার লড়াইয়ে’ ঠেলে দিয়েছিল, যা তাঁদের ব্যবসার জন্য নতুন পথ অনুসন্ধানে প্রেরণা জুগিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি পশ্চিমা প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি করতে এবং স্থানীয় চীনা কর্তৃপক্ষ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে মনোযোগী হয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে আত্মবিশ্বাসী সুরে কথা বলেছে হুয়াওয়ে। গত মে মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংকে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই জানিয়েছিলেন, চীনের যে দেশীয় চিপস এবং অপারেটিং সিস্টেমের অভাব নিয়ে উদ্বেগ ছিল, তা এখন আর নেই।
হুয়াওয়ে এখনো তার আয়ের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে তারা বলছে যে, তাদের ভোক্তা ব্যবসা আবার বাড়ছে এবং তাদের অটোমোবাইলের ব্যবসায়ও দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। কোম্পানিটি দাবি করছে, ২০২৪ সালে হুয়াওয়ে ৪৫ মিলিয়নের বেশি ফোন সরবরাহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বা তারও বেশি। তবে চিপ উৎপাদনে এখনো কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইজাহ।
ডিজিএ-অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের অংশীদার পল ট্রিওলো বলেছেন, ‘জাতীয় রাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন এই প্রচেষ্টার মুখে হুয়াওয়ে ইতিমধ্যে অবিশ্বাস্য স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া যুক্তিসংগতভাবে আইটি খাতজুড়ে চীনা সংস্থাগুলোকে আরও উদ্ভাবনী এবং সহযোগিতামূলক হতে বাধ্য করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার পরে খনিজ ক্ষেত্রগুলোর জন্য ৫জি অবকাঠামো নির্মাণ এবং ডেটা সেন্টারের জন্য শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থা সরবরাহ করার মতো নতুন উদ্যোগে গ্রহণ করেছে হুয়াওয়ে। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ও ওরাকল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি না পেয়ে তারা নিজের অপারেটিং সিস্টেম হারমনি-ওএস তৈরি করেছে। এই অপারেটিং সিস্টেম এখন ১ বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইসে চলছে এবং একটি অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘মেটা-ইআরপি’ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পেরে তারা নিজস্ব উন্নত চিপস তৈরি করেছে, যার মধ্যে কিছু চিপ এনভিডিয়ার মতো শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ প্রস্তুতকারকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।
কোম্পানিটি এখন উন্নত অটোনমাস (স্বয়ংক্রিয়) ড্রাইভিং প্রযুক্তির প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত অটোমোবাইল নির্মাতাদের সঙ্গেও তারা অংশীদারত্ব করছে। হুয়াওয়ে ডংফেং মোটর-সমর্থিত সিরেসের সঙ্গে যৌথভাবে এইটো ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি করেছে। গত বছর তারা তিনগুণ গাড়ি বিক্রি করেছে। এর জনপ্রিয় মডেল এম৭ এবং এম৯ হুয়াওয়ের উন্নত ড্রাইভিং সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত এবং দেশব্যাপী হুয়াওয়ে শোরুমে এটি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া চেরি, বিএআইসি, জেসি গ্রুপ এবং এসএআইসি গ্রুপের সঙ্গে অনুরূপ প্রকল্প রয়েছে।
ভবিষ্যতে, হুয়াওয়ে তার শিল্প যোগাযোগসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করার এবং সংযুক্ত ডিভাইসগুলোতে সফটওয়্যার সিস্টেম তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের স্মার্টফোনের জন্য আরও তীব্রভাবে প্রতিযোগিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠানে নতুন ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন মেট এক্সটি উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি। যদিও পূর্ণাঙ্গভাবে অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাকসেস না পাওয়ায় পশ্চিমা ভোক্তা বাজারে তাদের পূর্ববর্তী অবস্থান পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না। তবে তাদের ডেটা অবকাঠামোর উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যসহ কিছু অঞ্চলে বেড়েছে।
যদিও পূর্ণাঙ্গভাবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাকসেস না পেলে পশ্চিমা বাজারে তাদের আগের অবস্থান ফিরে পেতে পারবে না। তবে মধ্যপ্রাচ্যে কোম্পানিটির ডেটা অবকাঠামো (ডেটা সেন্টার ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম) বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বিপুল পরিমাণ লাভ করছে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে। কোম্পানিটির নতুন সফটওয়্যার তৈরি, চিপ উৎপাদন এবং স্মার্ট-ড্রাইভিং প্রযুক্তি ব্যবসার বিস্তারের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছে। গত বছর প্রায় ৮৬০ বিলিয়ন ইউয়ান (১১৮ বিলিয়ন ডলার) আয় করেছে কোম্পানিটি, যা ২০২০ সালের ৮৯১ বিলিয়ন ইউয়ানের শীর্ষ আয়ের কাছাকাছি। এর আগে চিপ-সংকট এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ের রাজস্ব অর্ধেক হ্রাস পেয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এসব আর্থিক তথ্য প্রকাশ করেন।
এদিকে গত অক্টোবরে জানানো হয়, এর আগের ৯ মাসে কোম্পানিটির মুনাফা ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়। কোম্পানির নির্বাহীরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো তাঁদের ‘টিকে থাকার লড়াইয়ে’ ঠেলে দিয়েছিল, যা তাঁদের ব্যবসার জন্য নতুন পথ অনুসন্ধানে প্রেরণা জুগিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি পশ্চিমা প্রযুক্তির বিকল্প তৈরি করতে এবং স্থানীয় চীনা কর্তৃপক্ষ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে মনোযোগী হয়েছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে আত্মবিশ্বাসী সুরে কথা বলেছে হুয়াওয়ে। গত মে মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংকে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই জানিয়েছিলেন, চীনের যে দেশীয় চিপস এবং অপারেটিং সিস্টেমের অভাব নিয়ে উদ্বেগ ছিল, তা এখন আর নেই।
হুয়াওয়ে এখনো তার আয়ের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে তারা বলছে যে, তাদের ভোক্তা ব্যবসা আবার বাড়ছে এবং তাদের অটোমোবাইলের ব্যবসায়ও দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। কোম্পানিটি দাবি করছে, ২০২৪ সালে হুয়াওয়ে ৪৫ মিলিয়নের বেশি ফোন সরবরাহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বা তারও বেশি। তবে চিপ উৎপাদনে এখনো কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান আইজাহ।
ডিজিএ-অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের অংশীদার পল ট্রিওলো বলেছেন, ‘জাতীয় রাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন এই প্রচেষ্টার মুখে হুয়াওয়ে ইতিমধ্যে অবিশ্বাস্য স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে এবং এই প্রক্রিয়া যুক্তিসংগতভাবে আইটি খাতজুড়ে চীনা সংস্থাগুলোকে আরও উদ্ভাবনী এবং সহযোগিতামূলক হতে বাধ্য করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার পরে খনিজ ক্ষেত্রগুলোর জন্য ৫জি অবকাঠামো নির্মাণ এবং ডেটা সেন্টারের জন্য শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থা সরবরাহ করার মতো নতুন উদ্যোগে গ্রহণ করেছে হুয়াওয়ে। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ও ওরাকল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের অনুমতি না পেয়ে তারা নিজের অপারেটিং সিস্টেম হারমনি-ওএস তৈরি করেছে। এই অপারেটিং সিস্টেম এখন ১ বিলিয়নেরও বেশি ডিভাইসে চলছে এবং একটি অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘মেটা-ইআরপি’ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পেরে তারা নিজস্ব উন্নত চিপস তৈরি করেছে, যার মধ্যে কিছু চিপ এনভিডিয়ার মতো শীর্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ প্রস্তুতকারকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।
কোম্পানিটি এখন উন্নত অটোনমাস (স্বয়ংক্রিয়) ড্রাইভিং প্রযুক্তির প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত অটোমোবাইল নির্মাতাদের সঙ্গেও তারা অংশীদারত্ব করছে। হুয়াওয়ে ডংফেং মোটর-সমর্থিত সিরেসের সঙ্গে যৌথভাবে এইটো ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি করেছে। গত বছর তারা তিনগুণ গাড়ি বিক্রি করেছে। এর জনপ্রিয় মডেল এম৭ এবং এম৯ হুয়াওয়ের উন্নত ড্রাইভিং সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত এবং দেশব্যাপী হুয়াওয়ে শোরুমে এটি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া চেরি, বিএআইসি, জেসি গ্রুপ এবং এসএআইসি গ্রুপের সঙ্গে অনুরূপ প্রকল্প রয়েছে।
ভবিষ্যতে, হুয়াওয়ে তার শিল্প যোগাযোগসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করার এবং সংযুক্ত ডিভাইসগুলোতে সফটওয়্যার সিস্টেম তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে।
হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের স্মার্টফোনের জন্য আরও তীব্রভাবে প্রতিযোগিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠানে নতুন ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন মেট এক্সটি উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি। যদিও পূর্ণাঙ্গভাবে অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাকসেস না পাওয়ায় পশ্চিমা ভোক্তা বাজারে তাদের পূর্ববর্তী অবস্থান পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না। তবে তাদের ডেটা অবকাঠামোর উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যসহ কিছু অঞ্চলে বেড়েছে।
যদিও পূর্ণাঙ্গভাবে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাকসেস না পেলে পশ্চিমা বাজারে তাদের আগের অবস্থান ফিরে পেতে পারবে না। তবে মধ্যপ্রাচ্যে কোম্পানিটির ডেটা অবকাঠামো (ডেটা সেন্টার ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম) বেড়েছে।
এক্সএআই এবং এক্স ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এখনো স্পষ্ট নয়, যেমন: বিনিয়োগকারীরা এই শেয়ার স্থানান্তর অনুমোদন করেছে কিনা বা বিনিয়োগকারীদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ইত্যাদি বিষয় অস্পষ্ট।
২ দিন আগেফেসবুক স্টোরি একধরনের সাময়িক পোস্ট। এই ধরনের পোস্ট ২৪ ঘণ্টা ধরে দেখা যায় এবং পরে অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে এগুলো একেবারেই ফেসবুক থেকে হারিয়ে যায় না। এগুলো আর্কাইভ নামের এক ফোল্ডারে থাকে। এই ফোল্ডারে সব স্টোরি একই সঙ্গে পাওয়া যায়।
৩ দিন আগেগুগল তাদের সার্চ, ম্যাপস এবং জেমিনিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার চালু করছে। ব্যবহারকারীর ছুটির পরিকল্পনা করতে এগুলো সাহায্য করবে। এসব নতুন ফিচার অনেকটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে তৈরি। ব্যবহারকারীরা আগে যেমন ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি থেকে ছুটির পরিকল্পনা তৈরি করতে অভ্যস্ত ছিলেন, তেমনি গুগলের টুলগুলো
৩ দিন আগেওপেনএআইয়ের এর চ্যাটজিপিটি-এর নতুন ইমেজ জেনারেটর চালু হওয়ার পর স্টুডিও জিবলি স্টাইলে তৈরি হওয়া ছবি তুমুল ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই জাপানি অ্যানিমেশন স্টুডিওটি স্পিরিটেড অ্যাওয়ে, মাইনেইবোর টোটোরো, প্রিন্সেস মনোনোকে, হাওলস মুভিং কাসল মতো ক্লাসিক কিছু মুভির জন্য জনপ্রিয়। চ্যাটজিপিটির
৩ দিন আগে