অনলাইন ডেস্ক
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট পালন করছে ভারতের স্যামসাং কারখানার কর্মীরা। এই বিরোধের কারণে গত সপ্তাহ ধরে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এমনকি ধর্মঘট পালনকারী কর্মীদের ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ধর্মঘটে যাওয়া কর্মীরা অনুমতি ছাড়াই গতকাল সোমবার একটি মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ জন্য স্যামসাং কোম্পানির কর্মী ও ইউনিয়ন নেতাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। তবে সোমবার রাতের দিকে আটককৃত ১০৪ জন কর্মীর মধ্যে অধিকাংশকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসব কর্মীরা স্বল্প মজুরির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের একটি কারখানায় ধর্মঘট করছিলেন।
আটকের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর রাজ্যের চেন্নাই শহরের কাছে স্যামসাং হোম অ্যাপলায়েন্স কারখানা ধর্মঘটের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারখানাটি ভারতে স্যামসাংয়ের বার্ষিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অবদান রাখে।
এই প্রতিবাদ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পরিকল্পনা এবং ছয় বছরে ইলেকট্রনিকস উৎপাদন তিনগুণ বাড়ানোর লক্ষ্যকে বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনকে বাদ দিয়ে বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ চেইন বৈচিত্র্যময় করার জন্য ভারতের সস্তা শ্রমের সুবিধা নিচ্ছে।
গত সোমবার একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলেন কর্মীরা। তবে পুলিশ তাদের আটক করে। কানচিপুরাম জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার কে. শানমুগম জানান, ওই এলাকায় স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে বলে কর্মীদের আটক করা হয়।
স্যামসাং ধর্মঘট সমর্থনকারী প্রভাবশালী শ্রম সংগঠন সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (সিআইটিইউ) এর রাজ্য সভাপতি এ. সোনদাররাজন বলেন, সোমবার রাতে তিনজন ছাড়া সকল আটককৃত কর্মী মুক্তি পেয়েছে।
কারখানার কাছে একটি অস্থায়ী তাঁবুর কাছে অবস্থান করেন স্যামসাং কর্মীরা। উচ্চতর মজুরি, সিটিইউ সমর্থিত একটি ইউনিয়নকে স্বীকৃতি এবং উন্নত কর্মঘণ্টার দাবিতে প্রতিবাদ করছেন তারা। তবে স্যামসাং জাতীয় শ্রম সংগঠনের কোনো ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী নয়। কর্মী ও রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও এর কোনো সমাধান হয়নি।
পুলিশের কার্যক্রমের নিন্দা করে সিটিইউ তামিলনাড়ুর ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি এস. কান্নান বলেন, ‘এটি রাজ্য সরকারের একটি পুরোনো কৌশল।’
সোমবারের পুলিশি পদক্ষেপ সত্ত্বেও ১২টি ইউনিয়ন গ্রুপ জানিয়েছে, তারা বুধবার চেন্নাইয়ে ধর্মঘটকারী কর্মীদের সমর্থনে প্রতিবাদ মিছিল করবে। এই গ্রুপের মধ্যে তামিলনাড়ুর শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত একটি ইউনিয়নও রয়েছে। প্রতিবাদ মিছিলটি স্যামসাং এবং কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এই প্রতিবাদ স্যামসাংয়কে ভারতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। কোম্পানিটি কিছু বিভাগের বিদেশি কর্মীদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে ভারতে কর্মীরাও আছে। স্যামসাং এবং অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে ইকমার্স জায়ান্টদের সঙ্গে সহযোগিতায় অভিযোগ তুলেছে, যা প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করেছে।
ভারতের অ্যান্টি ট্রাস্ট সংস্থা বলছে, স্যামসাং এবং অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানি কিছু ডিভাইস একচেটিয়াভাবে উন্মোচন করে যা প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে। রয়টার্সের এর আগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে।
গত সোমবার এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্যামসাং। তবে গত শুক্রবার কোম্পানিটি বলেছিল, কোম্পানিটি ‘সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের’ জন্য চেন্নাই কারখানায় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কর্মী নীল শার্ট পরিহিত অনেক স্যামসাং কর্মীতে বাসে করে একটি হলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্যামসাং কারখানায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি ধর্মঘটে পালন করছেন। এই কারখানায় রেফ্রিজারেটর, টিভি এবং ওয়াশিং মেশিন তৈরি হয়। তবে উত্তর প্রদেশে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন তৈরির কারখানায় কোনো অস্থিরতা দেখা যায়নি।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট পালন করছে ভারতের স্যামসাং কারখানার কর্মীরা। এই বিরোধের কারণে গত সপ্তাহ ধরে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এমনকি ধর্মঘট পালনকারী কর্মীদের ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
ধর্মঘটে যাওয়া কর্মীরা অনুমতি ছাড়াই গতকাল সোমবার একটি মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ জন্য স্যামসাং কোম্পানির কর্মী ও ইউনিয়ন নেতাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। তবে সোমবার রাতের দিকে আটককৃত ১০৪ জন কর্মীর মধ্যে অধিকাংশকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসব কর্মীরা স্বল্প মজুরির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের একটি কারখানায় ধর্মঘট করছিলেন।
আটকের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর রাজ্যের চেন্নাই শহরের কাছে স্যামসাং হোম অ্যাপলায়েন্স কারখানা ধর্মঘটের উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। কারখানাটি ভারতে স্যামসাংয়ের বার্ষিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অবদান রাখে।
এই প্রতিবাদ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পরিকল্পনা এবং ছয় বছরে ইলেকট্রনিকস উৎপাদন তিনগুণ বাড়ানোর লক্ষ্যকে বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনকে বাদ দিয়ে বিদেশি কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ চেইন বৈচিত্র্যময় করার জন্য ভারতের সস্তা শ্রমের সুবিধা নিচ্ছে।
গত সোমবার একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলেন কর্মীরা। তবে পুলিশ তাদের আটক করে। কানচিপুরাম জেলার সিনিয়র পুলিশ অফিসার কে. শানমুগম জানান, ওই এলাকায় স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে বলে কর্মীদের আটক করা হয়।
স্যামসাং ধর্মঘট সমর্থনকারী প্রভাবশালী শ্রম সংগঠন সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (সিআইটিইউ) এর রাজ্য সভাপতি এ. সোনদাররাজন বলেন, সোমবার রাতে তিনজন ছাড়া সকল আটককৃত কর্মী মুক্তি পেয়েছে।
কারখানার কাছে একটি অস্থায়ী তাঁবুর কাছে অবস্থান করেন স্যামসাং কর্মীরা। উচ্চতর মজুরি, সিটিইউ সমর্থিত একটি ইউনিয়নকে স্বীকৃতি এবং উন্নত কর্মঘণ্টার দাবিতে প্রতিবাদ করছেন তারা। তবে স্যামসাং জাতীয় শ্রম সংগঠনের কোনো ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী নয়। কর্মী ও রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও এর কোনো সমাধান হয়নি।
পুলিশের কার্যক্রমের নিন্দা করে সিটিইউ তামিলনাড়ুর ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি এস. কান্নান বলেন, ‘এটি রাজ্য সরকারের একটি পুরোনো কৌশল।’
সোমবারের পুলিশি পদক্ষেপ সত্ত্বেও ১২টি ইউনিয়ন গ্রুপ জানিয়েছে, তারা বুধবার চেন্নাইয়ে ধর্মঘটকারী কর্মীদের সমর্থনে প্রতিবাদ মিছিল করবে। এই গ্রুপের মধ্যে তামিলনাড়ুর শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত একটি ইউনিয়নও রয়েছে। প্রতিবাদ মিছিলটি স্যামসাং এবং কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এই প্রতিবাদ স্যামসাংয়কে ভারতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। কোম্পানিটি কিছু বিভাগের বিদেশি কর্মীদের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে ভারতে কর্মীরাও আছে। স্যামসাং এবং অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে ইকমার্স জায়ান্টদের সঙ্গে সহযোগিতায় অভিযোগ তুলেছে, যা প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করেছে।
ভারতের অ্যান্টি ট্রাস্ট সংস্থা বলছে, স্যামসাং এবং অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানি কিছু ডিভাইস একচেটিয়াভাবে উন্মোচন করে যা প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে। রয়টার্সের এর আগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে।
গত সোমবার এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি স্যামসাং। তবে গত শুক্রবার কোম্পানিটি বলেছিল, কোম্পানিটি ‘সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের’ জন্য চেন্নাই কারখানায় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কর্মী নীল শার্ট পরিহিত অনেক স্যামসাং কর্মীতে বাসে করে একটি হলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্যামসাং কারখানায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মী রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১ হাজারেরও বেশি ধর্মঘটে পালন করছেন। এই কারখানায় রেফ্রিজারেটর, টিভি এবং ওয়াশিং মেশিন তৈরি হয়। তবে উত্তর প্রদেশে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন তৈরির কারখানায় কোনো অস্থিরতা দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
১ দিন আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
১ দিন আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
১ দিন আগেইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স–এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিয়ে করছে মেটার থ্রেডস। ফিচারটি এআই ব্যবহার করে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেবে।
১ দিন আগে