অজান্তে মোবাইল ব্যালেন্স কেটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রতিমন্ত্রী পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

গ্রাহকের অজান্তে অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ বা ব্যালেন্স কোনো মোবাইল অপারেটর বা কোম্পানি যাতে কেটে না নিতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি বিটিআরসির লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা এবং নাগরিকের তথ্য ও নেটওয়ার্ক সুরক্ষার জন্য নিয়মিত ফাইন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি এক্সটার্নাল আইটি অডিট নিশ্চিত করাও নির্দেশ দেন তিনি। 

আজ বুধবার ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে বিটিআরসির গণশুনানিতে বিটিআরসিকে এসব নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। 

প্রতিমন্ত্রী সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি সম্পর্কে গৃহীত উদ্যোগ তুলে ধরে শুনানিতে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাই না, আপনাদের অভিযোগ ও পরামর্শগুলো শুনে কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বিটিআরসির রয়েছে।’ 

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পদযাত্রায় বিটিআরসির অসামান্য অবদান ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর নির্দেশনায় দেশের মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া, ছাত্র–ছাত্রীদের ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, এবং প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশের মত ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি মূল স্তম্ভ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অবদান রয়েছে।’ 

প্রতিমন্ত্রী জানান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমানে ৪টি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, ৩ হাজার আইএসপি লাইসেন্স হোল্ডার, প্রায় চারশ কল সেন্টারের প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘ফাইভজির জন্য নেটওয়ার্ক অপারেটরেরা যে স্পেকট্রাম নিয়েছে সেগুলোকে সম্ভব হলে ফোরজির গুণগত মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।’ 

রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টেলিটককে অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে তাদের সহযোগী হিসেবে এবং বিটিসিএলের অবকাঠামো বেসরকারি খাতের প্রয়োজনে ব্যবহার করাসহ আমরা প্রাইভেট–পাবলিক পার্টনারশিপের ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। অল্প সম্পদ ব্যবহার করে বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য আমরা এরই মধ্যে টাওয়ার শেয়ারিং গাইডলাইন বাস্তবায়ন করেছি।’ 

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার এবং মহাপরিচালকেরা গণশুনানিতে অংশ নেন। 

সংশ্লিষ্ট সরকারি–আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক, বাংলাদেশের ভোক্তা সংঘ এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ আগ্রহী ব্যক্তিরা এতে অংশ নেন। যারা সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি তাঁদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। 

গণশুনানিতে বসেই গ্রাহকের অভিযোগের সমাধান করেন পলক। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ সংক্রান্ত একজন গ্রাহকের অভিযোগ আমলে নিয়ে খিলগাঁও বিটিসিএল অফিসের ডিএমডিকে ফোন কল করেন। তিনি ৩ ঘণ্টার মধ্যে সংযোগ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকদের এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৩–৭ দিনের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত