টি এইচ মাহির

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
এআই এজেন্ট
চলতি বছর মাইক্রোসফট নিয়ে এসেছে এআই এজেন্ট। এটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড এআই এজেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করা এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও সঠিক তথ্য দেওয়া। এই এআই এজেন্টগুলো প্রচলিত চ্যাটবট থেকে আরও উন্নত হবে। কারণ, এগুলো নির্দিষ্ট কাজ নিজে নিজেই করতে পারবে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশনার কোনো প্রয়োজন হবে না। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে কয়েকটি নমুনা এজেন্ট তৈরি করেছে। সেগুলো ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। এই এআই এজেন্টগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা, বিক্রয় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
বহুমুখী রোবট
একাধিক কাজ একাই করতে পারে, এমন রোবট নতুন বছরে সাড়া ফেলতে পারে। প্রথাগত রোবটের চেয়ে মাল্টিফাংশনাল রোবট ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উৎপাদন বাড়াতে শিল্পকারখানাগুলো এ ধরনের রোবট ব্যবহার করছে। আমাজন ও সিমেন্স উৎপাদন এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য পলি ফাংশনাল রোবোটিকসে বিনিয়োগ করেছে। এ রোবটগুলো প্যাকেজিং, উৎপাদন যন্ত্রে সহায়তা, জীবাণুমুক্তকরণ ইত্যাদি করে দেবে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে এ ধরনের রোবটের প্রভাব দেখা যেতে পারে।
পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ছে। টেক জায়ান্টরা কোয়ান্টাম কম্পিউটারে বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলোর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যগত এনক্রিপশন কৌশল হ্যাকারদের কবলে পড়তে পারে। পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি কোয়ান্টাম আক্রমণ প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করে। ইতিমধ্যে গুগল, আইবিএম এবং মাইক্রোসফট কোয়ান্টাম প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করছে। নতুন বছর কোয়ান্টাম কম্পিউটার জগতে ডেটা সুরক্ষায় পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার বাড়বে।

ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মিথ্যা তথ্য। সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার মেটা বা এক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এআই দিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ভুল প্রচারণা মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মেটার ফেসবুকে এর ব্যবহার দেখা গেছে। মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সত্যতা যাচাই করা, ছদ্মবেশে ভুয়া প্রচার চালানো এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন কমাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালে হয়তো জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটির ব্যবহার দেখা যাবে।
হাইব্রিড কম্পিউটিং
হাইব্রিড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যা সাধারণ কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সমন্বয় ঘটায়। এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জটিল সমস্যা সমাধানে উন্নততর সমাধান দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এ ধরনের প্রযুক্তি জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি একত্র করে। এর মূল উদ্দেশ্য, প্রতিটি প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগাতে হাইব্রিড পরিবেশ তৈরি করা। বড় আকারের ডেটা সেট বিশ্লেষণ, মার্কেট ট্রেন্ড প্রেডিকশন বা মেশিন লার্নিং মডেল, ক্রিপ্টোগ্রাফি, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন কাজে এই কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আইবিএম ও গুগল এ ধরনের কম্পিউটার উন্নত করার জন্য কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
সূত্র: টেকনোলজি ম্যাগাজিন

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
এআই এজেন্ট
চলতি বছর মাইক্রোসফট নিয়ে এসেছে এআই এজেন্ট। এটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড এআই এজেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করা এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও সঠিক তথ্য দেওয়া। এই এআই এজেন্টগুলো প্রচলিত চ্যাটবট থেকে আরও উন্নত হবে। কারণ, এগুলো নির্দিষ্ট কাজ নিজে নিজেই করতে পারবে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশনার কোনো প্রয়োজন হবে না। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে কয়েকটি নমুনা এজেন্ট তৈরি করেছে। সেগুলো ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। এই এআই এজেন্টগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা, বিক্রয় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
বহুমুখী রোবট
একাধিক কাজ একাই করতে পারে, এমন রোবট নতুন বছরে সাড়া ফেলতে পারে। প্রথাগত রোবটের চেয়ে মাল্টিফাংশনাল রোবট ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উৎপাদন বাড়াতে শিল্পকারখানাগুলো এ ধরনের রোবট ব্যবহার করছে। আমাজন ও সিমেন্স উৎপাদন এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য পলি ফাংশনাল রোবোটিকসে বিনিয়োগ করেছে। এ রোবটগুলো প্যাকেজিং, উৎপাদন যন্ত্রে সহায়তা, জীবাণুমুক্তকরণ ইত্যাদি করে দেবে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে এ ধরনের রোবটের প্রভাব দেখা যেতে পারে।
পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ছে। টেক জায়ান্টরা কোয়ান্টাম কম্পিউটারে বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলোর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যগত এনক্রিপশন কৌশল হ্যাকারদের কবলে পড়তে পারে। পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি কোয়ান্টাম আক্রমণ প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করে। ইতিমধ্যে গুগল, আইবিএম এবং মাইক্রোসফট কোয়ান্টাম প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করছে। নতুন বছর কোয়ান্টাম কম্পিউটার জগতে ডেটা সুরক্ষায় পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার বাড়বে।

ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মিথ্যা তথ্য। সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার মেটা বা এক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এআই দিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ভুল প্রচারণা মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মেটার ফেসবুকে এর ব্যবহার দেখা গেছে। মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সত্যতা যাচাই করা, ছদ্মবেশে ভুয়া প্রচার চালানো এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন কমাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালে হয়তো জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটির ব্যবহার দেখা যাবে।
হাইব্রিড কম্পিউটিং
হাইব্রিড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যা সাধারণ কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সমন্বয় ঘটায়। এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জটিল সমস্যা সমাধানে উন্নততর সমাধান দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এ ধরনের প্রযুক্তি জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি একত্র করে। এর মূল উদ্দেশ্য, প্রতিটি প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগাতে হাইব্রিড পরিবেশ তৈরি করা। বড় আকারের ডেটা সেট বিশ্লেষণ, মার্কেট ট্রেন্ড প্রেডিকশন বা মেশিন লার্নিং মডেল, ক্রিপ্টোগ্রাফি, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন কাজে এই কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আইবিএম ও গুগল এ ধরনের কম্পিউটার উন্নত করার জন্য কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
সূত্র: টেকনোলজি ম্যাগাজিন
টি এইচ মাহির

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
এআই এজেন্ট
চলতি বছর মাইক্রোসফট নিয়ে এসেছে এআই এজেন্ট। এটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড এআই এজেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করা এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও সঠিক তথ্য দেওয়া। এই এআই এজেন্টগুলো প্রচলিত চ্যাটবট থেকে আরও উন্নত হবে। কারণ, এগুলো নির্দিষ্ট কাজ নিজে নিজেই করতে পারবে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশনার কোনো প্রয়োজন হবে না। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে কয়েকটি নমুনা এজেন্ট তৈরি করেছে। সেগুলো ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। এই এআই এজেন্টগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা, বিক্রয় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
বহুমুখী রোবট
একাধিক কাজ একাই করতে পারে, এমন রোবট নতুন বছরে সাড়া ফেলতে পারে। প্রথাগত রোবটের চেয়ে মাল্টিফাংশনাল রোবট ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উৎপাদন বাড়াতে শিল্পকারখানাগুলো এ ধরনের রোবট ব্যবহার করছে। আমাজন ও সিমেন্স উৎপাদন এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য পলি ফাংশনাল রোবোটিকসে বিনিয়োগ করেছে। এ রোবটগুলো প্যাকেজিং, উৎপাদন যন্ত্রে সহায়তা, জীবাণুমুক্তকরণ ইত্যাদি করে দেবে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে এ ধরনের রোবটের প্রভাব দেখা যেতে পারে।
পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ছে। টেক জায়ান্টরা কোয়ান্টাম কম্পিউটারে বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলোর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যগত এনক্রিপশন কৌশল হ্যাকারদের কবলে পড়তে পারে। পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি কোয়ান্টাম আক্রমণ প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করে। ইতিমধ্যে গুগল, আইবিএম এবং মাইক্রোসফট কোয়ান্টাম প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করছে। নতুন বছর কোয়ান্টাম কম্পিউটার জগতে ডেটা সুরক্ষায় পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার বাড়বে।

ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মিথ্যা তথ্য। সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার মেটা বা এক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এআই দিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ভুল প্রচারণা মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মেটার ফেসবুকে এর ব্যবহার দেখা গেছে। মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সত্যতা যাচাই করা, ছদ্মবেশে ভুয়া প্রচার চালানো এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন কমাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালে হয়তো জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটির ব্যবহার দেখা যাবে।
হাইব্রিড কম্পিউটিং
হাইব্রিড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যা সাধারণ কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সমন্বয় ঘটায়। এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জটিল সমস্যা সমাধানে উন্নততর সমাধান দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এ ধরনের প্রযুক্তি জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি একত্র করে। এর মূল উদ্দেশ্য, প্রতিটি প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগাতে হাইব্রিড পরিবেশ তৈরি করা। বড় আকারের ডেটা সেট বিশ্লেষণ, মার্কেট ট্রেন্ড প্রেডিকশন বা মেশিন লার্নিং মডেল, ক্রিপ্টোগ্রাফি, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন কাজে এই কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আইবিএম ও গুগল এ ধরনের কম্পিউটার উন্নত করার জন্য কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
সূত্র: টেকনোলজি ম্যাগাজিন

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
এআই এজেন্ট
চলতি বছর মাইক্রোসফট নিয়ে এসেছে এআই এজেন্ট। এটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড এআই এজেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এর মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করা এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও সঠিক তথ্য দেওয়া। এই এআই এজেন্টগুলো প্রচলিত চ্যাটবট থেকে আরও উন্নত হবে। কারণ, এগুলো নির্দিষ্ট কাজ নিজে নিজেই করতে পারবে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশনার কোনো প্রয়োজন হবে না। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে কয়েকটি নমুনা এজেন্ট তৈরি করেছে। সেগুলো ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। এই এআই এজেন্টগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা, বিক্রয় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
বহুমুখী রোবট
একাধিক কাজ একাই করতে পারে, এমন রোবট নতুন বছরে সাড়া ফেলতে পারে। প্রথাগত রোবটের চেয়ে মাল্টিফাংশনাল রোবট ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উৎপাদন বাড়াতে শিল্পকারখানাগুলো এ ধরনের রোবট ব্যবহার করছে। আমাজন ও সিমেন্স উৎপাদন এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য পলি ফাংশনাল রোবোটিকসে বিনিয়োগ করেছে। এ রোবটগুলো প্যাকেজিং, উৎপাদন যন্ত্রে সহায়তা, জীবাণুমুক্তকরণ ইত্যাদি করে দেবে। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য খাতে এ ধরনের রোবটের প্রভাব দেখা যেতে পারে।
পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়ছে। টেক জায়ান্টরা কোয়ান্টাম কম্পিউটারে বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলোর অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যগত এনক্রিপশন কৌশল হ্যাকারদের কবলে পড়তে পারে। পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি কোয়ান্টাম আক্রমণ প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করে। ইতিমধ্যে গুগল, আইবিএম এবং মাইক্রোসফট কোয়ান্টাম প্রতিরোধী অ্যালগরিদম তৈরি করছে। নতুন বছর কোয়ান্টাম কম্পিউটার জগতে ডেটা সুরক্ষায় পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফির ব্যবহার বাড়বে।

ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মিথ্যা তথ্য। সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন দিকে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এবার মেটা বা এক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এআই দিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ভুল প্রচারণা মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মেটার ফেসবুকে এর ব্যবহার দেখা গেছে। মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে সত্যতা যাচাই করা, ছদ্মবেশে ভুয়া প্রচার চালানো এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন কমাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালে হয়তো জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিসইনফরমেশন সিকিউরিটির ব্যবহার দেখা যাবে।
হাইব্রিড কম্পিউটিং
হাইব্রিড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যা সাধারণ কম্পিউটার এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সমন্বয় ঘটায়। এটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের জটিল সমস্যা সমাধানে উন্নততর সমাধান দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এ ধরনের প্রযুক্তি জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি একত্র করে। এর মূল উদ্দেশ্য, প্রতিটি প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগাতে হাইব্রিড পরিবেশ তৈরি করা। বড় আকারের ডেটা সেট বিশ্লেষণ, মার্কেট ট্রেন্ড প্রেডিকশন বা মেশিন লার্নিং মডেল, ক্রিপ্টোগ্রাফি, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন কাজে এই কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। আইবিএম ও গুগল এ ধরনের কম্পিউটার উন্নত করার জন্য কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন শিল্পে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
সূত্র: টেকনোলজি ম্যাগাজিন

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২০ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২০ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২০ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

প্রতিবছর কয়েক ধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন; বিশেষ করে এআইয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে আরও প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহ পেরোলে নতুন বছর। ২০২৫ সালে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনা তৈরি করতে যাচ্ছে।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২০ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
১ দিন আগে