পাওনা পরিশোধের দাবিতে টেলিটকের লিফটিং-মার্কেটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা ডিলারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৫৪
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২: ০৮

পাওনা পরিশোধের দাবিতে মোবাইল অপারেটর টেলিটকের লিফটিং-মার্কেটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন টিডিএবি (টেলিটক ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ)। আজ রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত টেলিটকের বর্তমান ও সাবেক ডিলারদের ন্যায্য পাওনা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করাসহ একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন টিডিএবি নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সমন্বয়ক মো. রেজাউল করিম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে বর্তমান সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্ট টেলিটককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। এই গ্রুপের একমাত্র কাজ হলো টেলিটককে একটি লস প্রজেক্ট হিসেবে দাঁড় করিয়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করে বড় আকারের কমিশন বাণিজ্য করা। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কেটে সিমের চাহিদা থাকলেও চাহিদা মোতাবেক সিম ডিলারদের কাছে দেওয়া হয় না। রিটেলারদের টেলিচার্জ ও পল্লী বিদ্যুৎ সেল করার জন্য টেলি-পে অ্যাপ সামান্য অজুহাতে মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিম অ্যাক্টিভেশন এবং প্রথম রিচার্জ করতে মিনিমাম ২০ মিনিট সময় লাগে। যাতে করে রিটেলাররা টেলিটকের সিম বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করেন। টেলিটকের টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপের কোনো ব্যবস্থা নেই। কারেন্ট চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্কও চলে যায়। আরও কষ্টের কথা হলো আমাদের এবং রিটেলারদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিম প্যাকেজের প্রাপ্য ইউজেস কমিশন অফিস অর্ডার থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত প্রদান করা হয়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনে সমন্বয়ক মো. নুরুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ডিলাররা প্রতি মাসে আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের মাসিক এসআর, সুপারভাইজার এবং বিপিদের বেতন বাবদ কম্পেনসেশন, বর্তমান জিএম সর্বশেষ ২০২১ সালের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর প্রদান করেছেন। কিন্তু জানুয়ারি ২০২২ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছে। টেলিটক প্রথমে প্রত্যেক ডিলারের কাছ থেকে জামানতস্বরূপ এক লাখ টাকা করে নেয় এবং পরবর্তী সময় পল্লী বিদ্যুৎ/টেলিচার্জ বাবদ সারা বাংলাদেশের ডিলারদের কাছ থেকে ২০১৯ সালে ডিলার প্রতি ৩ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট নেয়। কিন্তু বছরখানেক পর কিছু অসাধু কর্মকর্তা পল্লী বিদ্যুৎ বিল ও টেলিচার্জ ব্যবসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওয়ার বাই টেলিটক হিসেবে চুক্তি করে। এতে ডিলারদের বিদ্যুৎ বিল ও টেলিচার্জ ব্যবসা কমতে শুরু করে এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে আসে। 

তাঁরা জানান, ডিলার হাউসের এসার, সুপারভাইজার এবং বিপিদের বেতন বাবদ কম্পেনসেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের চলতি মাস পর্যন্ত সব বকেয়া কম্পেনসেশন অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। যা আনুমানিক ১৩ কোটি টাকা। প্রত্যেক ডিলার থেকে নেওয়া পল্লী বিদ্যুৎ/টেলিচার্জ বাবদ অতিরিক্ত সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত দিতে হবে। যা আনুমানিক ৭৫ কোটি টাকা। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—টেলিটক থেকে অব্যাহতি নেওয়া সব ডিলারের সিকিউরিটি ডিপোজিটসহ সব পাওনাদি পরিশোধ করা, বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংস্কার করা এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) কর্মকর্তাদের টেলিটকে নিয়োগ দেওয়া থেকে বিরত থাকা, মার্কেটে সিম চাহিদা মোতাবেক প্রদান করা এবং নতুন প্যাকেজের সিম আনা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত