রেকর্ড প্রায় ১ লাখ কোটি ডলার বাজারদর হারাল আমাজন

প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২২, ০০: ১৬
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২২, ০০: ১৮

ইতিহাসের প্রথম পাবলিক কোম্পানি হিসেবে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বাজারদর হারাতে বসেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, কঠোর মুদ্রানীতি এবং হতাশাজনক রাজস্বের খবরকেই মূলত আমাজনের শেয়ারে বড় দরপতনের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আমাজনের ই-কমার্স এবং ক্লাউড কোম্পানির শেয়ার গতকাল বুধবার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ফলে ২০২১ সালের জুলাই মাসে কোম্পানির রেকর্ড বাজারমূল্য ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি ডলার থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে! যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কম। তবে বৃহস্পতিবার শেয়ারদর কিছুটা বেড়েছে।

শুরুতে ক্ষতির অঙ্কে আমাজন এবং মাইক্রোসফট প্রায় কাছাকাছি ছিল। তবে আমাজন শেষ পর্যন্ত মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলেছে। আমাজন যেখানে খুইয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি ডলার, মাইক্রোসফট সেখানে ক্ষতি গুনেছে ৮৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। মাইক্রোসফট ২০২১ সালের নভেম্বরে তাদের শীর্ষ অবস্থানে থাকার পর থেকেই মূলত ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করে।

সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের সেরা পাঁচ প্রযুক্তি কোম্পানি বাজার দর হারিয়েছে মোট প্রায় ৪ লাখ কোটি ডলার।

প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় আমাজন এ বছর ব্যয় সংকোচনের পথে হেঁটেছে। কোভিড বিধিনিষেধের পর থেকে মানুষ আবার অফলাইন শপিংয়ে অভ্যস্ত হওয়ায় প্রবৃদ্ধি কমে যায় আমাজনের। পণ্যের বিক্রি কমে যাওয়া, ঊর্ধ্বমুখী মূল্য এবং সুদের হার বৃদ্ধির ফলে আমাজনের শেয়ারে দরপতন ঘটে প্রায় ৫০ শতাংশ।

গত মাসে আমাজন জানিয়েছে, সামনের হলিডে কোয়ার্টারে কোম্পানিটি ইতিহাসের সবচেয়ে কম আয়ের দেখা পাবে। চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ক্রেতারা কেনাকাটা কমিয়ে দেওয়ায় মূলত এ আশঙ্কা করছে আমাজন। করোনা মহামারির পর এই প্রথমবারের মতো আমাজনের বাজারদর ১ লাখ কোটির নিচে নেমে আসে।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির সময় অনলাইন শপিংয়ের প্রতি মানুষ পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় আমাজনের রেকর্ড পরিমাণ আয় হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত