গত শনিবার বেলা ৩টায় পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র মৌলভীবাজারের গোলবদন মার্কেটের দৃশ্য। একজন তেল ও চিনির পরিবেশকের দোকানে বসে এর মালিকের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হচ্ছিল। এ সময় পাঞ্জাবি পরা বয়স্ক এক ব্যক্তি এসে ‘৯৫ দামে’ ২১ গাড়ি মাল দেওয়ার অনুরোধ করলেন ওই ব্যবসায়ীকে। কিন্তু দোকানমালিক প্রস্তাব দিল
চাঁদপুরে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি অভিযান চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার শহরের পুরানবাজার এলাকার পাইকারি বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একজন অত্যন্ত ভদ্রলোক মানুষ। তিনি এখন দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের কর্তাব্যক্তি। কেন জানি আমার মনে হচ্ছে, তিনি অর্থনীতির সমস্যাগুলো দেখতে গিয়ে বাণিজ্যের দায়িত্ব কিছুটা ভুলে গেছেন বা যাচ্ছেন। তা না হলে দেশের তিনটি স্বনামধন্য দৈনিক পত্রিকা নিম্নলিখিত শিরোনামে খবর পরিবেশন করতে পারত না
নিত্যপণ্যের বাজার কোনোভাবেই বাগে আসছে না। ডিম, মুরগি, সবজি, ভোজ্যতেল— সবকিছুই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। আজ রোববার কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০০ টাকা ছুঁয়েছে। সরকার কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও কোথাও তা মানা হচ্ছে না।
সরবরাহের কোনো সংকট না থাকলেও বাজারে চালের দাম বাড়ছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কেজিপ্রতি চালের দাম ৪-৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ভোক্তা অধিকার সংগঠন বলছে, বাজারে সরকারের নজরদারি কম থাকায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন।
সরকার ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে পাঁচ দিন। কিন্তু এখনো বাজারে বেঁধে দেওয়া দাম মানা হচ্ছে না। নির্ধারিত দাম কার্যকরের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পরে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা
‘ফেসবুকেই শুধু দেখি সবকিছুর দাম কমছে, বাজারে তো আলামত পাচ্ছি না।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর রামপুরা বাজারে সাপ্তাহিক সওদাপাতি কিনতে আসা এনজিওকর্মী তামান্না আফরিন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। এবার তাঁদের দেখা যাচ্ছে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে। গতকাল শুক্রবার তাঁরা বাজারে বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল
কোথাও জমে আছে কাঁদা, কোথাও থইথই করছে পানি। এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ভোর থেকে টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় বিকেল পর্যন্ত বাজারে ক্রেতা সমাগম ছিল অনেকটাই কম। ক্রেতা খরা থাকলেও সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম ছিল আকাশছ
বগুড়ার প্রধান কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখলেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ঢাকার তুলনায় এখানে বিশেষ করে কাঁচাবাজার ঘুরে তাঁর মনে হয়েছে, যেন শায়েস্তা খাঁর আমলে ফিরে গেছেন! পণ্যের দামে এত পার্থক্যের কারণে অবশ্য তিনি কৃষি বিপণনব্যবস্থার দুর্বলতাকেই দুষছেন।
ঈদের পর কাঁচাবাজারে ক্রেতা থাকে কম। পণ্যের দামও থাকে কিছু কম। প্রতিবারের এই চিত্রের ব্যতিক্রম ঘটেছে এবার। ক্রেতা কম থাকলেও দাম বেড়েছে বেশির ভাগ সবজি, মাছের। কাঁচা মরিচের দাম তো লাফাতে লাফাতে ৩০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। কোরবানির ঈদের পর চাহিদা কম থাকা মাংসের দামও বেড়েছে।
এখনো চড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। চাল, ডাল, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত এবং আমদানিনির্ভর সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়তি। ফলে বাজারে গিয়ে ফর্দ মিলিয়ে সওদাপাতি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ
নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে শাক-সবজি, মসলা ও ডিমের দাম। তবে চাল, ডাল, আটা-ময়দা, মাছ, মাংসের দাম আগের বাড়তি দামেই স্থিতিশীল রয়েছে। শাক-সবজির দাম বাড়ার পেছনে ঘূর্ণিঝড় রিমালে খেতের ক্ষয়ক্ষতি ও সরবরাহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারে ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। বিভিন্ন হিমাগারে ডিম মজুতের খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি তদারকি করা হবে। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ।
দেশের বাজারে পরপর দুই দফায় কমল সোনার দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা কমানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমা
‘মাত্র এক রাতের ব্যবধানে কী এমন ঘটল যে মাছ, মাংস, সবজি—সবকিছুর দাম এত বেড়ে যাবে? ঝড়-বৃষ্টি হলো, নাকি সরবরাহ কমে গেল?’ এনজিওকর্মী শামসুন্নাহারের এমন প্রশ্নই ছিল গতকাল শুক্রবার রামপুরা বাজারে দোকানিদের কাছে। শামসুন্নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিকল্পনা ছাড়াই
কোম্পানির মিল থেকে আটা ১ কেজি, ২ কেজি ও ৫০ কেজির প্যাকেট আকারে বাজারজাত করা হয়। ৫০ কেজির বস্তাজাত আটা সাধারণত খুলে বিক্রি করা হয়। সেই আটা যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এক বা দুই কেজির প্যাকেট আটা।