টি এইচ মাহির
মহাকাশের মহাজগৎ ছুঁয়ে দেখার স্বপ্নে বিভোর দেশের অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান ‘ধূমকেতু এক্স’। ময়মনসিংহের এ প্রতিষ্ঠান রকেট, স্যাটেলাইট, ড্রোন ইত্যাদি তৈরি ও উৎক্ষেপণের কাজ করে। এটি দেশের প্রথম অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স রিসার্চ প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে দেশে প্রথম প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করছে ধূমকেতু এক্স।
ধূমকেতু এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস লিমিটেড (ধূমকেতু এক্স) নামে দেশের প্রথম অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালে। মহাকাশ গবেষণা এবং দেশে রকেট তৈরির লক্ষ্য রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের। এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী নাহিয়ান আল রহমান। তিনি ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পর্বে পড়াশোনা করছেন। এ ছাড়া ড্রোন, ভিটোল, স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ধূমকেতু এক্স আংশিকভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রোটোটাইপ রকেট তৈরির কাজ করছে।
দেশের প্রথম প্রোটোটাইপ রকেট
দেশের প্রথম প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করে ধূমকেতু এক্স। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে এ কাজ করেন নাহিয়ান ও তাঁর জুনিয়র দল ধূমকেতু এক্স জুনিয়র। ‘পুঁটি মাছ ০.১’ নামের এই প্রোটোটাইপ রকেট ভূপৃষ্ঠ থেকে এক কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে সক্ষম। ধূমকেতু ০.৬, ধূমকেতু ০.৭, বায়ান্ন ৫২ নামের বেশ কিছু প্রোটোটাইপ রকেট নিয়েও কাজ চলছে ধূমকেতু এক্সে। এগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন উচ্চতায় উড়ে বায়ুপ্রবাহ, তাপ, চাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদির তথ্য দিতে সক্ষম। প্রতিষ্ঠানটির ‘বায়ান্ন ৫২’ প্রোটোটাইপ রকেটটির ধারণা ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২’ বিজয়ী হয়। দেশের আইসিটি বিভাগের এটুআইয়ের ইনোভেশন প্রজেক্টের ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধূমকেতু এক্স দল।
ধূমকেতু এক্স-রকেট
বিভিন্ন মিশন ও প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে ধূমকেতু এক্স। পৃথিবীর মেসোস্ফিয়ার স্তরের উদ্দেশে রওনা দেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রোটোটাইপ রকেট ‘একুশে’। বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলীয় ডেটা সংগ্রহ, আবহাওয়ার অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের ডেটা সংগ্রহ করা হবে এই প্রোটোটাইপ রকেটের কাজ। ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়া এই রকেটের ধারণক্ষমতা ৫ কেজি। বর্তমানে উড্ডয়নের অপেক্ষায় রয়েছে এটি।
পৃথিবী ও মহাকাশের সীমারেখার উদ্দেশে যাত্রা করবে প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি প্রোটোটাইপ রকেট ‘বিদ্রোহী ৭১’। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে পারবে এবং পৃথিবীর কারমান লাইনে পৌঁছাবে। এটির ধারণক্ষমতা ২৫ কেজি। এই রকেট আবহাওয়া ও জলবায়ুর রিয়েল টাইম ডেটা পাঠাতে পারবে। চলমান কাজ শেষ হলেই এটি হবে দেশের প্রথম বাণিজ্যিক রকেট। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুমোদন পেলে আগামী বছর বিদ্রোহী ৭১ নামের এই প্রোটোটাইপ রকেটের কাজ শেষ হবে বলে জানান ধূমকেতু এক্সের হেড অব ম্যানেজমেন্ট হানজালা রহমান মুন্না।
লোয়ার আর্থ অরবিট পর্যন্ত পৌঁছাবে ধূমকেতু এক্সের রকেট ‘নজরুল ০১’। এই রকেট বানানো হচ্ছে ছোট স্যাটেলাইট বা কিউব সেট মহাকাশে পাঠানোর জন্য। ৪৫০ কিলোমিটার পরিসীমায় এর ধারণক্ষমতা ৫১০ কেজি। ধূমকেতু এক্স জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক রকেট নিয়ে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যারোস্পেসের আরও প্রজেক্ট
ধূমকেতু এক্স শুধু প্রোটোটাইপ রকেট বানানোতেই সীমাবদ্ধ নয়; এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি স্যাটেলাইট, ড্রোন ইত্যাদি তৈরির কাজেও ব্যস্ত। তাদের কিউব স্যাটেলাইট ‘বাংলা ০১’ ২০২৫ সালের মার্চের দিকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। এটি জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, কৃষি গবেষণা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ডেটা সংগ্রহ করবে।
‘বিজয়’ নামে আরেকটি মাইক্রো স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ধূমকেতু এক্স। এর ওজন হবে প্রায় ১০০ কেজি। এটি উৎক্ষেপণ করা হবে ‘নজরুল ০১’ প্রোটোটাইপ রকেট দিয়ে। কৃষি গবেষণা, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ডেটা সংগ্রহ করবে বিজয়। সৌর প্যানেল, মাল্টিস্পেকট্রাল ইমেজিং সেন্সর, উন্নত অনবোর্ড কম্পিউটারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত এই মাইক্রো স্যাটেলাইট ২০২৭ সালের দিকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।
ধূমকেতু এক্সের রকেট টিম ‘বোসন ইঞ্জিন’ নামে আরেকটি রকেট ইঞ্জিন তৈরি করছে। এর নাম রাখা হয়েছে বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে। তা ছাড়া ‘বি.ফায়ারফ্লাই’ নামের দুটি অগ্নিনির্বাপণের ড্রোন তৈরির কাজও করছে ধূমকেতু এক্স।
টিম ধূমকেতু এক্স
বর্তমানে ৫০ জনের বেশি সদস্য কাজ করছেন ধূমকেতু এক্সে। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাহিয়ান আল রহমানের সঙ্গে মূল দলে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক সাইফ বিন রায়হান ও শাহরুখ খান। লিড সফটওয়্যার সিস্টেম আর্কিটেক্টের দায়িত্বে আছেন সাদমান রাফিদ সৌরভ ও আহসান হাবীব, লিড এমবেডেড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার এরফান মাহমুদ তুষার, মেশিন লার্নিংয়ে সারা করিম, লিড ফার্মওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান এবং হেড অব ম্যানেজমেন্ট হানজালা রহমান মুন্না। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষক ও প্রকৌশলী কাজ করছেন ধূমকেতু এক্সের মূল দলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূত হিসেবে আছেন একাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। আবার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘জিরো জুনিয়র টিম’ নামে একটি দল আছে ধূমকেতু এক্সের।
ধূমকেতু এক্সের প্রধান নির্বাহী নাহিয়ান আল রহমান অলি তাঁদের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো অত্যাধুনিক ডিজাইন এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে অ্যারোস্পেস খাতে বিপ্লব ঘটানো। নিরাপদ ও সহজলভ্য প্রযুক্তি নির্মাণে কাজ করা। আমরা আমাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চাই।’ নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে সারা বিশ্বের অ্যারোস্পেস কমিউনিটিতে একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান দিতে চাই।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ অ্যারোস্পেস সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করতে ধূমকেতু এক্স যোগ দেবে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের কর্মশালায়।
মহাকাশের মহাজগৎ ছুঁয়ে দেখার স্বপ্নে বিভোর দেশের অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠান ‘ধূমকেতু এক্স’। ময়মনসিংহের এ প্রতিষ্ঠান রকেট, স্যাটেলাইট, ড্রোন ইত্যাদি তৈরি ও উৎক্ষেপণের কাজ করে। এটি দেশের প্রথম অ্যারোস্পেস এবং ডিফেন্স রিসার্চ প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে দেশে প্রথম প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করছে ধূমকেতু এক্স।
ধূমকেতু এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস লিমিটেড (ধূমকেতু এক্স) নামে দেশের প্রথম অ্যারোস্পেস প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালে। মহাকাশ গবেষণা এবং দেশে রকেট তৈরির লক্ষ্য রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের। এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী নাহিয়ান আল রহমান। তিনি ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পর্বে পড়াশোনা করছেন। এ ছাড়া ড্রোন, ভিটোল, স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ধূমকেতু এক্স আংশিকভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রোটোটাইপ রকেট তৈরির কাজ করছে।
দেশের প্রথম প্রোটোটাইপ রকেট
দেশের প্রথম প্রোটোটাইপ রকেট উৎক্ষেপণ করে ধূমকেতু এক্স। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে এ কাজ করেন নাহিয়ান ও তাঁর জুনিয়র দল ধূমকেতু এক্স জুনিয়র। ‘পুঁটি মাছ ০.১’ নামের এই প্রোটোটাইপ রকেট ভূপৃষ্ঠ থেকে এক কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে সক্ষম। ধূমকেতু ০.৬, ধূমকেতু ০.৭, বায়ান্ন ৫২ নামের বেশ কিছু প্রোটোটাইপ রকেট নিয়েও কাজ চলছে ধূমকেতু এক্সে। এগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন উচ্চতায় উড়ে বায়ুপ্রবাহ, তাপ, চাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদির তথ্য দিতে সক্ষম। প্রতিষ্ঠানটির ‘বায়ান্ন ৫২’ প্রোটোটাইপ রকেটটির ধারণা ‘রকেট্রি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২’ বিজয়ী হয়। দেশের আইসিটি বিভাগের এটুআইয়ের ইনোভেশন প্রজেক্টের ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ধূমকেতু এক্স দল।
ধূমকেতু এক্স-রকেট
বিভিন্ন মিশন ও প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে ধূমকেতু এক্স। পৃথিবীর মেসোস্ফিয়ার স্তরের উদ্দেশে রওনা দেবে প্রতিষ্ঠানটির প্রোটোটাইপ রকেট ‘একুশে’। বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলীয় ডেটা সংগ্রহ, আবহাওয়ার অবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের ডেটা সংগ্রহ করা হবে এই প্রোটোটাইপ রকেটের কাজ। ২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়া এই রকেটের ধারণক্ষমতা ৫ কেজি। বর্তমানে উড্ডয়নের অপেক্ষায় রয়েছে এটি।
পৃথিবী ও মহাকাশের সীমারেখার উদ্দেশে যাত্রা করবে প্রতিষ্ঠানটির আরেকটি প্রোটোটাইপ রকেট ‘বিদ্রোহী ৭১’। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে পারবে এবং পৃথিবীর কারমান লাইনে পৌঁছাবে। এটির ধারণক্ষমতা ২৫ কেজি। এই রকেট আবহাওয়া ও জলবায়ুর রিয়েল টাইম ডেটা পাঠাতে পারবে। চলমান কাজ শেষ হলেই এটি হবে দেশের প্রথম বাণিজ্যিক রকেট। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুমোদন পেলে আগামী বছর বিদ্রোহী ৭১ নামের এই প্রোটোটাইপ রকেটের কাজ শেষ হবে বলে জানান ধূমকেতু এক্সের হেড অব ম্যানেজমেন্ট হানজালা রহমান মুন্না।
লোয়ার আর্থ অরবিট পর্যন্ত পৌঁছাবে ধূমকেতু এক্সের রকেট ‘নজরুল ০১’। এই রকেট বানানো হচ্ছে ছোট স্যাটেলাইট বা কিউব সেট মহাকাশে পাঠানোর জন্য। ৪৫০ কিলোমিটার পরিসীমায় এর ধারণক্ষমতা ৫১০ কেজি। ধূমকেতু এক্স জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক রকেট নিয়ে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যারোস্পেসের আরও প্রজেক্ট
ধূমকেতু এক্স শুধু প্রোটোটাইপ রকেট বানানোতেই সীমাবদ্ধ নয়; এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি স্যাটেলাইট, ড্রোন ইত্যাদি তৈরির কাজেও ব্যস্ত। তাদের কিউব স্যাটেলাইট ‘বাংলা ০১’ ২০২৫ সালের মার্চের দিকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। এটি জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, কৃষি গবেষণা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ডেটা সংগ্রহ করবে।
‘বিজয়’ নামে আরেকটি মাইক্রো স্যাটেলাইট প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ধূমকেতু এক্স। এর ওজন হবে প্রায় ১০০ কেজি। এটি উৎক্ষেপণ করা হবে ‘নজরুল ০১’ প্রোটোটাইপ রকেট দিয়ে। কৃষি গবেষণা, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ডেটা সংগ্রহ করবে বিজয়। সৌর প্যানেল, মাল্টিস্পেকট্রাল ইমেজিং সেন্সর, উন্নত অনবোর্ড কম্পিউটারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত এই মাইক্রো স্যাটেলাইট ২০২৭ সালের দিকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে।
ধূমকেতু এক্সের রকেট টিম ‘বোসন ইঞ্জিন’ নামে আরেকটি রকেট ইঞ্জিন তৈরি করছে। এর নাম রাখা হয়েছে বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নামে। তা ছাড়া ‘বি.ফায়ারফ্লাই’ নামের দুটি অগ্নিনির্বাপণের ড্রোন তৈরির কাজও করছে ধূমকেতু এক্স।
টিম ধূমকেতু এক্স
বর্তমানে ৫০ জনের বেশি সদস্য কাজ করছেন ধূমকেতু এক্সে। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাহিয়ান আল রহমানের সঙ্গে মূল দলে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক সাইফ বিন রায়হান ও শাহরুখ খান। লিড সফটওয়্যার সিস্টেম আর্কিটেক্টের দায়িত্বে আছেন সাদমান রাফিদ সৌরভ ও আহসান হাবীব, লিড এমবেডেড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার এরফান মাহমুদ তুষার, মেশিন লার্নিংয়ে সারা করিম, লিড ফার্মওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান এবং হেড অব ম্যানেজমেন্ট হানজালা রহমান মুন্না। এ ছাড়া বিভিন্ন গবেষক ও প্রকৌশলী কাজ করছেন ধূমকেতু এক্সের মূল দলে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূত হিসেবে আছেন একাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। আবার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘জিরো জুনিয়র টিম’ নামে একটি দল আছে ধূমকেতু এক্সের।
ধূমকেতু এক্সের প্রধান নির্বাহী নাহিয়ান আল রহমান অলি তাঁদের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো অত্যাধুনিক ডিজাইন এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে অ্যারোস্পেস খাতে বিপ্লব ঘটানো। নিরাপদ ও সহজলভ্য প্রযুক্তি নির্মাণে কাজ করা। আমরা আমাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে চাই।’ নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে সারা বিশ্বের অ্যারোস্পেস কমিউনিটিতে একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থান দিতে চাই।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ অ্যারোস্পেস সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করতে ধূমকেতু এক্স যোগ দেবে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের কর্মশালায়।
জিবলি আর্টের উন্মাদনায় কাঁপছে বিশ্ব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যায়, প্রায় অধিকাংশ নেটাগরিক তাঁদের প্রিয় মুহূর্তের ধারণ করা ছবিগুলোকে স্টুডিও জিবলি আর্টের ধরনে অ্যানিমেশন করছেন। কেউ প্রোফাইল পিকচারে দিচ্ছেন, কেউ বা অনেক পুরোনো স্মৃতিও ফিরিয়ে আনছেন জিবলি আর্টে রূপান্তর করার মাধ্যমে।
৯ ঘণ্টা আগেএক্সএআই এবং এক্স ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এখনো স্পষ্ট নয়, যেমন: বিনিয়োগকারীরা এই শেয়ার স্থানান্তর অনুমোদন করেছে কিনা বা বিনিয়োগকারীদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ইত্যাদি বিষয় অস্পষ্ট।
৪ দিন আগেফেসবুক স্টোরি একধরনের সাময়িক পোস্ট। এই ধরনের পোস্ট ২৪ ঘণ্টা ধরে দেখা যায় এবং পরে অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে এগুলো একেবারেই ফেসবুক থেকে হারিয়ে যায় না। এগুলো আর্কাইভ নামের এক ফোল্ডারে থাকে। এই ফোল্ডারে সব স্টোরি একই সঙ্গে পাওয়া যায়।
৫ দিন আগেগুগল তাদের সার্চ, ম্যাপস এবং জেমিনিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার চালু করছে। ব্যবহারকারীর ছুটির পরিকল্পনা করতে এগুলো সাহায্য করবে। এসব নতুন ফিচার অনেকটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে তৈরি। ব্যবহারকারীরা আগে যেমন ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি থেকে ছুটির পরিকল্পনা তৈরি করতে অভ্যস্ত ছিলেন, তেমনি গুগলের টুলগুলো
৫ দিন আগে