মাস্ক-আম্বানি মুখোমুখি, স্যাটেলাইটের নিলাম থেকে সরে এল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৩: ৪৪
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ১৯

ভারতে স্যাটেলাইট সেবার জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দের পদ্ধতি নিয়ে গত বছর থেকেই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন মুকেশ আম্বানি ও ইলন মাস্ক। স্পেকট্রাম স্যাটেলাইটকে নিলামে তোলার প্রস্তাব দেয় রিলায়েন্সের প্রধান মুকেশ আম্বানি। গত মঙ্গলবার স্পেকট্রাম নিলামের এই পরিকল্পনাকে ‘নজিরবিহীন’ বলে সমালোচনা করেন ইলন মাস্ক। আর এর পরই স্পেকট্রাম স্যাটেলাইটের নিলাম থেকে সরে আসার ঘোষণা দিল ভারত। 

নিলামের মাধ্যমে নয়, বরং প্রশাসনিকভাবে স্পেকট্রামকে বরাদ্দ করবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। এটি এমন একটি বাজার, যা প্রতিবছর ৩৬ শতাংশ হারে বেড়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। 

মাস্কের স্টারলিংক বলছে, লাইসেন্সের প্রশাসনিক বরাদ্দ বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। 

অপরদিকে বিলিয়নিয়ার মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে পরিচালিত রিলায়েন্স কোম্পানি বলছে, ভারতীয় আইনে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড সেবা কীভাবে ব্যক্তি পর্যায়ে প্রদান করা হবে তা নিয়ে কোনো বিধান নেই। তাই সুষম প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের জন্য নিলাম প্রয়োজন। 

দিল্লির এক অনুষ্ঠানে টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, ভারতীয় আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে প্রশাসনিকভাবে বরাদ্দ স্পেকট্রাম করা হবে এবং এর মূল্য নির্ধারণ করবে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

মাস্ক সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ভারতবাসীকে স্টারলিংকের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার জন্য।’ 

গত রোববার রয়টার্স জানায়, ভারতীয় টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার (টিআরএআই) পরামর্শ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছে রিলায়েন্স। ওই প্রক্রিয়ায় বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড স্পেকট্রাম নিলাম না করে বরং প্রশাসনিকভাবে বরাদ্দ করা উচিত। রিলায়েন্স এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানায়। 

তাই গত মঙ্গলবার ইলন মাস্ক বলেন, নিলাম করার বিষয়টি ‘নজিরবিহীন’ হবে। 

স্পেকট্রামটি দীর্ঘ সময় ধরে স্যাটেলাইটগুলোর জন্য একটি শেয়ারড স্পেকট্রাম হিসেবে নির্ধারণ করে রেখেছিল আইটিইউ (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা)। 

আইটিইউর (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা) সদস্য ভারত এবং স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মনীতি সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে দেশটি। 

ভারত মনে করে, স্পেকট্রামের বরাদ্দ ‘যুক্তি দিয়ে, দক্ষ এবং অর্থনৈতিকভাবে’ করা উচিত, কারণ এটি একটি ‘সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদ’। 

ভারতের টেলিযোগাযোগ কোম্পানি এয়ারটেলও প্রশাসনিকভাবে বরাদ্দের সমর্থন দিয়েছে। এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল মিত্তাল বলেন, ‘যেসব স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলোর শহরের গ্রাহকদের অভিজাত সেবা দেওয়ার আগ্রহ রয়েছে তাদেরও সবার মতো টেলিকম লাইসেন্স নিতে হবে এবং স্পেকট্রাম কিনতে হবে। যেমনটা টেলিকম কোম্পানিগুলো কিনে থাকে।’ 

মাস্কের স্টারলিংক এবং আমাজনের প্রোজেক্ট কুইপারের মতো কিছু বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনিক বরাদ্দকে সমর্থন করছে। তারা বলছে, স্পেকট্রাম একটি প্রাকৃতিক সম্পদ, যা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভাগ করে ব্যবহার করা উচিত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত