গুগলের একচেটিয়া অনলাইন অনুসন্ধান অবৈধ: যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ১৭

অনলাইন সার্চে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় ও গুগলের বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কৌশলকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক। গত সোমবার (৫ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে অনুষ্ঠিত রায়ে মার্কিন জেলা বিচারক অমিত মেহতা এই যুগান্তকারী দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। 

যুগান্তকারী রায়টি গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের জন্য একটি বড় ধাক্কা। প্রযুক্তি জায়ান্টরা কীভাবে ব্যবসা করেন তা এই রায়ের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। 

অনলাইন সার্চ মার্কেটের প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০২০ সালে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করে মার্কিন বিচার বিভাগ। 

প্রযুক্তি শিল্পে প্রতিযোগিতা জোরদার করর জন্য বড় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে এটি একটি। 

সার্চ ও অনলাইন ব্যবসায় আধিপত্যের কারণে এই মামলা গুগলের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। 

এই সিদ্ধান্তের ফলে গুগল ও অ্যালফাবেট কী শাস্তির মুখোমুখি হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভবিষ্যতের শুনানিতে জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। 

বিচারক বলেছেন, স্মার্টফোন ও ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ দিয়েছে কোম্পানিটি। 

তিনি তার ২৭৭ পৃষ্ঠার মতামতে লেখেন, অনলাইনে গুগল একটি একচেটিয়া প্রতিষ্ঠান। সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে একাধিপত্য বজায় রাখার জন্য কাজ করেছে কোম্পানিটি। 

তবে অ্যালফাবেট বলেছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি। 

গুগলের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুগল সবচেয়ে সেরা সার্চ ইঞ্জিনের অভিজ্ঞতা দেয়। তবে এটি সহজে উপলব্ধ করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’ 

এই রায়কে ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউটর মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড। 
এক বিবৃতিতে মেরিক গারল্যান্ড বলেন, যত যত বড় বা প্রভাবশালী হোক না কেন কোনো কোম্পানি আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অ্যান্টিট্রাস্ট আইনকে জোরালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে বিচার বিভাগ। 

বেআইনিভাবে একচেটিয়া পরিচালনার অভিযোগ এনে মেটাসহ অ্যামাজন ও অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ফেডারেল অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকেরা। 

ওয়াশিংটন ডিসিতে ১০ সপ্তাহের বিচারের পরে সোমবারের রায়টি ঘোষণা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, অ্যাপল, স্যামসাং, মজিলা এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে আগে থেকে ইনস্টল করে রাখার করার জন্য বার্ষিক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে গুগল। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই বিশেষাধিকারের জন্য গুগল প্রতি বছর ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করে। সেই সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহারকারীরা ডেটার একটি অবিছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করে বাজারে কোম্পানিটি দখল বজায় রাখে। 

গুগল সার্চ ইঞ্জিন হল কোম্পানির জন্য একটি বড় আয়ের উৎস। গুগলের সার্চের ফলাফলের পেজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার আয় করে কোম্পানিটি। 

গুগলের আইনজীবীরা দাবি করে, বব্যবহারকারীরা তাদের সার্চ ইঞ্জিনের প্রতি আকৃষ্ট হয় কারণ তারা এটিকে দরকারী বলে মনে করে ও এটিকে গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত করার জন্য বিনিয়োগ করছে গুগল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত