নাহিদ ইসলাম

২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন কভিড–১৯ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ সংকট চলছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস থেকে শুরু করে সব ধরনের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক পণ্য, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ ও মহাকাশযানেও নানা ধরনের চিপ প্রয়োজন হয়। অতিমারির ভয়ে যখন কলকারখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সব বন্ধ করে আমরা সপরিবারে ঘরবন্দী হলাম, তখন সব ধরনের পণ্য উৎপাদন প্রায় স্থবির হয়ে গেল। এর প্রভাব পড়ল সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপরেও।
সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে অসংখ্য উপকরণ প্রয়োজন হয়। আর এগুলোর একেকটি তৈরি হয় পৃথিবীর একেক দেশে। সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কাঁচামাল বেশি পরিমাণে আসে চীন থেকে। তাই যখন চীন কভিডের আঘাতে জর্জরিত, শিপিংসহ সব পরিবহন স্তব্ধ তখন সেমিকন্ডাক্টরের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই সংকটের পেছনে একটি কারণ হচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, বাণিজ্যিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিমারির সময় রিমোট ওয়ার্ক নীতি গ্রহণ করা। ঘরে বসে সব কাজ আর পড়াশোনা করার জন্য সবারই একটু ভালো পারফরম্যান্সের পিসি প্রয়োজন হয়। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাব ইত্যাদি সব পার্সোনাল কম্পিউটিং পণ্যের চাহিদা হুট করে বেড়ে যায়। তার পাশাপাশি চাহিদা বাড়ে ইন্টারনেটের জন্য রাউটারের, বিনোদনের জন্য স্মার্ট টিভি, গেমিং কনসোলসহ সব ইলেকট্রনিক পণ্যেরই।
বর্তমানে যেহেতু প্রায় সব শিল্পপণ্যেই ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে তাই, সেমিকন্ডাক্টরের জোগান ব্যাহত হওয়ার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রায় সব ধরনের শিল্প খাতে। তার মাঝে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারটি খাত।
গাড়ি নির্মাণ শিল্প
যদিও গাড়ির কথা ভাবতে গেলে আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে ইঞ্জিনের গর্জন আর টায়ারের স্কিড মার্ক, তবে অনেক বছর ধরেই গাড়ি নির্মাণ শিল্পে সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। শুধু ইলেকট্রিক কার নয়, ডিজেল-পেট্রল ইঞ্জিনের গাড়িতেও যত রকমের এন্টারটেইনমেন্ট আর নেভিগেশনের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ আছে, তার সবকিছুতেই সেমিকন্ডাক্টর প্রয়োজন। চিপ সংকটে তাই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলির দুরবস্থা শুরু হয় ২০২০–এর শেষ ভাগ থেকেই।
কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক
বলার অপেক্ষা রাখে না যে চিপের অভাবে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শিল্প খাতে উৎপাদন কতটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। স্যামসাংয়ের মতো ব্র্যান্ড পর্যন্ত স্ন্যাপড্রাগন আর এক্সিনসের বাইরে গিয়ে, নানা রকম হাসি তামাশার উপাদান হিসেবে খ্যাত কিছু ব্র্যান্ডের এসওসি ব্যবহার করে তাদের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গ্যালাক্সি ফোনে এসব চিপ দেখে অনেক গ্রাহকের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার আগেই, দাম শুনে তারা কুপোকাত হয়েছেন।
এলইডি প্যানেল
শুধু স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই নয়, কোরীয় কোম্পানি স্যামসাং তাদের বিশ্বসেরা এলইডি প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রেও অনেক বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে। একই দশায় আছে আরেক কোরীয় ব্র্যান্ড এলজি। চীনের টিসিএল, জাপানের সনি সবার জন্যই বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বাড়ানো ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। অবশ্য এলইডি প্যানেল শিল্পে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো আগে থেকেই প্রয়োজনীয় চিপ খুব বড় আকারে স্টক করে রাখার কারণে তাদের ওপর প্রভাবটা কম পড়েছে।
রিনিউয়েবল এনার্জি
শুধু সোলার প্যানেলে সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তির রূপান্তর নয়, বায়ু কিংবা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনেও টারবাইনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হয় হরেক রকম স্মার্ট মেশিন। আর এ সবকিছুর জন্য চাই সেমিকন্ডাক্টর। এই খাতেও বেশ ভালো রকমের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
হুট করে সৃষ্টি হওয়া এই চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যহীনতার সংকট সামলে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে দুনিয়ার তাবৎ নামকরা চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে সবার চেয়ে এগিয়ে টিএসএমসি। অ্যাপল, ইন্টেল, স্ন্যাপড্রাগন, মিডিয়াটেক, এএমডি, ইউনি এসওসিসহ হেন কোনো নামকরা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড নেই যাদের জন্য এই তাইওয়ান ভিত্তিক কোম্পানিটি চিপ প্রস্তুত করে না। হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে, হাইসিলিকন কিরিন প্রসেসরগুলোও টিএসএমসি থেকেই আসত। টিএসএমসির পদস্থ ব্যক্তিরা গত বছর আশঙ্কা করছিলেন, চিপ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। তবে সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, টিএসএমসির প্রধান জানিয়েছেন যে,২০২৩ সালের মাঝেই চিপ সংকট অনেকটা কমে আসবে।
ভিন্ন কথা বলছে আরেক বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল। সিএনিবিসি–তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্টেলের সিইও প্যাট্রিক পি জেলসিংগার জানিয়েছেন, চিপ নিয়ে এই সংকট ২০২৩–এর মধ্যে সমাধান হওয়ার নয়। জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফক্সওয়্যাগন, এই কথার সঙ্গে একমত। তবে আশার কথা শুনিয়েছে বিশ্বখ্যাত সুইডিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবিবি-র চেয়ারম্যান পিটার ভোসের। তাঁর মতে, শিল্প খাতে ব্যবহৃত চিপের সরবরাহ আর জোগানে ভারসাম্য চলে আসবে এই বছরের শেষ নাগাদ। এই প্রত্যাশা ভিত্তিহীন নয়, কারণ দুনিয়াজুড়ে চিপ উৎপাদনকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদন বাড়াবার জন্য। ইন্টেল, টিএসএমসি এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট্স মিলে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট নির্মাণে। এই প্ল্যান্টগুলো বছরের শেষ দিকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিছিয়ে নেই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সরকারগুলোও। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৫২ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি বরাদ্দ করেছে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণা ও উৎপাদনের জন্য। এ ছাড়া নতুন চিপ তৈরির কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে কর রেয়াত সুবিধা দিতে ২৪ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের ক্ষেত্রে, নিজেদের অংশীদারত্ব ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘দি চিপস অ্যাক্ট’ এর খসড়া বিল পাস করেছে। গবেষণা ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ইউরোপের সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ইউরো তারা ধাপে ধাপে ব্যয় করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার নিজ দেশের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির জন্য ৪৫০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে প্রস্তুত। আর জাপানের সরকার টিএসএমসি এবং নিজ দেশের সনি কোম্পানির সঙ্গে মিলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ একটি নতুন সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে।
এত এত রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের ফলে আশা করা যায়, এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর চিপের চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের অনেকটা ভারসাম্য ফিরে আসবে। তবে সাপ্লাই চেইন সংক্রান্ত সমস্যা কতটা দূর হবে তা নির্ভর করছে জ্বালানি ও পরিবহন শিল্পের ওপর।

২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন কভিড–১৯ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ সংকট চলছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস থেকে শুরু করে সব ধরনের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক পণ্য, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ ও মহাকাশযানেও নানা ধরনের চিপ প্রয়োজন হয়। অতিমারির ভয়ে যখন কলকারখানা, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সব বন্ধ করে আমরা সপরিবারে ঘরবন্দী হলাম, তখন সব ধরনের পণ্য উৎপাদন প্রায় স্থবির হয়ে গেল। এর প্রভাব পড়ল সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপরেও।
সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে অসংখ্য উপকরণ প্রয়োজন হয়। আর এগুলোর একেকটি তৈরি হয় পৃথিবীর একেক দেশে। সেমিকন্ডাক্টর তৈরির কাঁচামাল বেশি পরিমাণে আসে চীন থেকে। তাই যখন চীন কভিডের আঘাতে জর্জরিত, শিপিংসহ সব পরিবহন স্তব্ধ তখন সেমিকন্ডাক্টরের বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এই সংকটের পেছনে একটি কারণ হচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, বাণিজ্যিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিমারির সময় রিমোট ওয়ার্ক নীতি গ্রহণ করা। ঘরে বসে সব কাজ আর পড়াশোনা করার জন্য সবারই একটু ভালো পারফরম্যান্সের পিসি প্রয়োজন হয়। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাব ইত্যাদি সব পার্সোনাল কম্পিউটিং পণ্যের চাহিদা হুট করে বেড়ে যায়। তার পাশাপাশি চাহিদা বাড়ে ইন্টারনেটের জন্য রাউটারের, বিনোদনের জন্য স্মার্ট টিভি, গেমিং কনসোলসহ সব ইলেকট্রনিক পণ্যেরই।
বর্তমানে যেহেতু প্রায় সব শিল্পপণ্যেই ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে তাই, সেমিকন্ডাক্টরের জোগান ব্যাহত হওয়ার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রায় সব ধরনের শিল্প খাতে। তার মাঝে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারটি খাত।
গাড়ি নির্মাণ শিল্প
যদিও গাড়ির কথা ভাবতে গেলে আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে ইঞ্জিনের গর্জন আর টায়ারের স্কিড মার্ক, তবে অনেক বছর ধরেই গাড়ি নির্মাণ শিল্পে সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। শুধু ইলেকট্রিক কার নয়, ডিজেল-পেট্রল ইঞ্জিনের গাড়িতেও যত রকমের এন্টারটেইনমেন্ট আর নেভিগেশনের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ আছে, তার সবকিছুতেই সেমিকন্ডাক্টর প্রয়োজন। চিপ সংকটে তাই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলির দুরবস্থা শুরু হয় ২০২০–এর শেষ ভাগ থেকেই।
কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক
বলার অপেক্ষা রাখে না যে চিপের অভাবে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শিল্প খাতে উৎপাদন কতটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। স্যামসাংয়ের মতো ব্র্যান্ড পর্যন্ত স্ন্যাপড্রাগন আর এক্সিনসের বাইরে গিয়ে, নানা রকম হাসি তামাশার উপাদান হিসেবে খ্যাত কিছু ব্র্যান্ডের এসওসি ব্যবহার করে তাদের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। গ্যালাক্সি ফোনে এসব চিপ দেখে অনেক গ্রাহকের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার আগেই, দাম শুনে তারা কুপোকাত হয়েছেন।
এলইডি প্যানেল
শুধু স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই নয়, কোরীয় কোম্পানি স্যামসাং তাদের বিশ্বসেরা এলইডি প্যানেল তৈরির ক্ষেত্রেও অনেক বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে। একই দশায় আছে আরেক কোরীয় ব্র্যান্ড এলজি। চীনের টিসিএল, জাপানের সনি সবার জন্যই বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বাড়ানো ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। অবশ্য এলইডি প্যানেল শিল্পে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো আগে থেকেই প্রয়োজনীয় চিপ খুব বড় আকারে স্টক করে রাখার কারণে তাদের ওপর প্রভাবটা কম পড়েছে।
রিনিউয়েবল এনার্জি
শুধু সোলার প্যানেলে সৌর শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তির রূপান্তর নয়, বায়ু কিংবা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনেও টারবাইনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হয় হরেক রকম স্মার্ট মেশিন। আর এ সবকিছুর জন্য চাই সেমিকন্ডাক্টর। এই খাতেও বেশ ভালো রকমের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
হুট করে সৃষ্টি হওয়া এই চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্যহীনতার সংকট সামলে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে দুনিয়ার তাবৎ নামকরা চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে সবার চেয়ে এগিয়ে টিএসএমসি। অ্যাপল, ইন্টেল, স্ন্যাপড্রাগন, মিডিয়াটেক, এএমডি, ইউনি এসওসিসহ হেন কোনো নামকরা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড নেই যাদের জন্য এই তাইওয়ান ভিত্তিক কোম্পানিটি চিপ প্রস্তুত করে না। হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে, হাইসিলিকন কিরিন প্রসেসরগুলোও টিএসএমসি থেকেই আসত। টিএসএমসির পদস্থ ব্যক্তিরা গত বছর আশঙ্কা করছিলেন, চিপ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। তবে সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, টিএসএমসির প্রধান জানিয়েছেন যে,২০২৩ সালের মাঝেই চিপ সংকট অনেকটা কমে আসবে।
ভিন্ন কথা বলছে আরেক বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল। সিএনিবিসি–তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্টেলের সিইও প্যাট্রিক পি জেলসিংগার জানিয়েছেন, চিপ নিয়ে এই সংকট ২০২৩–এর মধ্যে সমাধান হওয়ার নয়। জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফক্সওয়্যাগন, এই কথার সঙ্গে একমত। তবে আশার কথা শুনিয়েছে বিশ্বখ্যাত সুইডিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবিবি-র চেয়ারম্যান পিটার ভোসের। তাঁর মতে, শিল্প খাতে ব্যবহৃত চিপের সরবরাহ আর জোগানে ভারসাম্য চলে আসবে এই বছরের শেষ নাগাদ। এই প্রত্যাশা ভিত্তিহীন নয়, কারণ দুনিয়াজুড়ে চিপ উৎপাদনকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদন বাড়াবার জন্য। ইন্টেল, টিএসএমসি এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট্স মিলে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট নির্মাণে। এই প্ল্যান্টগুলো বছরের শেষ দিকে পুরোদমে উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিছিয়ে নেই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সরকারগুলোও। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৫২ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি বরাদ্দ করেছে সেমিকন্ডাক্টর গবেষণা ও উৎপাদনের জন্য। এ ছাড়া নতুন চিপ তৈরির কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে কর রেয়াত সুবিধা দিতে ২৪ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের ক্ষেত্রে, নিজেদের অংশীদারত্ব ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘দি চিপস অ্যাক্ট’ এর খসড়া বিল পাস করেছে। গবেষণা ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ইউরোপের সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ইউরো তারা ধাপে ধাপে ব্যয় করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার নিজ দেশের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির জন্য ৪৫০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে প্রস্তুত। আর জাপানের সরকার টিএসএমসি এবং নিজ দেশের সনি কোম্পানির সঙ্গে মিলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ একটি নতুন সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে।
এত এত রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের ফলে আশা করা যায়, এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর চিপের চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের অনেকটা ভারসাম্য ফিরে আসবে। তবে সাপ্লাই চেইন সংক্রান্ত সমস্যা কতটা দূর হবে তা নির্ভর করছে জ্বালানি ও পরিবহন শিল্পের ওপর।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন কভিড–১৯ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ সংকট চলছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস থেকে শুরু করে সব ধরনের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক পণ্য, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ ও মহাকাশযা
২১ এপ্রিল ২০২৩
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন কভিড–১৯ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ সংকট চলছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস থেকে শুরু করে সব ধরনের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক পণ্য, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ ও মহাকাশযা
২১ এপ্রিল ২০২৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন কভিড–১৯ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ সংকট চলছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস থেকে শুরু করে সব ধরনের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক পণ্য, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ ও মহাকাশযা
২১ এপ্রিল ২০২৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না।
২ দিন আগে
অনলাইন ক্লাস, গাইডবুক আর মক টেস্টের পরেও বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নিয়মিত অনুশীলনের অভাবে পিছিয়ে পড়েন। পড়া থাকলেও কোথায় দুর্বলতা, কীভাবে নিজের অগ্রগতি যাচাই করবেন—সে প্রশ্নের উত্তর অনেক সময় মেলে না। এই প্রেক্ষাপটে ‘চর্চা’ নিজেকে উপস্থাপন করছে একটি অনুশীলনকেন্দ্রিক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। দেশের এডটেক খাতে এই উদ্যোগের ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলেছেন চর্চার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান উল ইসলাম সানজিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান।
আশিকুর রহমান

চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।
চর্চার শুরুটা কীভাবে?
চর্চার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আমি নিজেই ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। প্রতিদিন ক্লাস, লেকচার, গাইডবুক আর প্রশ্নব্যাংকের চাপ—সব মিলিয়ে নিজের মতো করে প্র্যাকটিস করার সময় খুব কম পাওয়া যেত। এই জায়গায় সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। ভাবলাম, যদি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, যেখানে গৎবাঁধা নিয়মে আটকে না থেকে নিয়মিত ও সহজভাবে প্র্যাকটিস করা যায়, তাহলে শেখাটা অনেক বেশি আনন্দের হতে পারে। সেই ভাবনা থেকে চর্চার জন্ম। রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির পর কাজটি আরও গতি পায়। ক্লাসরুম থেকেই আমার কো-ফাউন্ডার ও সিএমও নাফিসের সঙ্গে পরিচয়। পরে গালিব কো-ফাউন্ডার ও সিওও হিসেবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই মার্কেটিং ও অপারেশনের দায়িত্ব মূলত তাঁরা দুজনই সামলাচ্ছেন।
চর্চা অ্যাপ তৈরির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কী ছিল?
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা আর পরীক্ষাকে প্রায় সব সময় ভয়ের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেখার প্রক্রিয়াটা হওয়া উচিত আনন্দদায়ক, যেখানে একজন শিক্ষার্থী সমস্যা সমাধান করতে করতেই শিখবেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, পড়ার উপকরণ অনেক থাকলেও নিয়মিত প্র্যাকটিসের সুযোগ খুব সীমিত। এই বাস্তবতা থেকে চর্চার ভাবনা। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকে ভয় না পেয়ে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে শেখার আনন্দ খুঁজে পাক। শেখার প্রতিটি ধাপ যেন চাপ না হয়ে আগ্রহ তৈরি করে—এটিই ছিল চর্চার মূল অনুপ্রেরণা।
শুরুতে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা ‘চর্চা’র বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটি একসঙ্গে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সামলাতে পারবে এবং সবার জন্য অভিজ্ঞতাটি হবে নিরবচ্ছিন্ন। এর পাশাপাশি বাস্তব চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ও উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিসিএস—প্রতিটি স্তরের জন্য আলাদা চাহিদা রয়েছে। সেই কনটেন্ট যেন একদিকে নির্ভুল হয়, অন্যদিকে আকর্ষণীয় ও গেমিফাইড হয়। এই ভারসাম্য বজায় রাখাটা ছিল কঠিন। তবে ধাপে ধাপে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজ চর্চা একটি গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
‘চর্চা এআই’-এর ধারণা কীভাবে এল?
এটি মূলত এআই এজেন্ট, যা এনসিটিবি পাঠ্যবই এবং আমাদের ১০ লক্ষাধিক প্রশ্নের ডেটাবেইসের ওপর প্রশিক্ষিত। শিক্ষার্থীরা টেক্সট বা ছবি আকারে যেকোনো প্রশ্ন দিতে পারেন, আর চর্চা এআই বইভিত্তিক রেফারেন্সসহ উত্তর দেয়। এটি শুধু ডাউট সলভিং নয়, বরং একটি পার্সোনালাইজড লার্নিং সলিউশন। শিক্ষার্থী বুঝতে পারেন—কোন টপিকে তিনি দুর্বল, কোথায় আরও প্র্যাকটিস দরকার। মাত্র তিন মাসে চর্চা এআই-এ ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চ্যাটরুম তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নভান্ডারের মান কীভাবে নিশ্চিত করেন?
চর্চার কনটেন্ট মান নিশ্চিত করতে আমাদের একটি আলাদা কনটেন্ট টিম রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি, এইচএসসি ও বিসিএস—প্রতিটি সেগমেন্টে আলাদা টিম কাজ করে। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিন ধারার জন্য রয়েছে বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্টরা। নিয়মিত আপডেট, রিভিউ এবং গবেষণার মাধ্যমে কনটেন্টের মান ধরে রাখাই আমাদের মূল অগ্রাধিকার।
স্ট্রিক, লিডার বোর্ড ও রিপোর্ট কতটা কার্যকর?
চর্চা ‘লার্নিং থ্রো প্র্যাকটিস’ ধারণাটিকে প্রাধান্য দেয়। স্ট্রিক শিক্ষার্থীদের দৈনিক অভ্যাস গড়তে সাহায্য করে। আমাদের এমন ব্যবহারকারীও আছেন, যাঁদের স্ট্রিক এক বছরের বেশি। লিডার বোর্ড শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে। আর মাসিক রিপোর্ট শিক্ষার্থীকে নিজের অগ্রগতি বুঝতে সাহায্য করে। কোথায় উন্নতি হচ্ছে বা কোথায় আরও মনোযোগ দরকার, সেসব বোঝা যায় এ থেকে।
ডেটা প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করছেন?
ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময় নিজেদের তথ্য বা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে পারেন। কোনো তথ্য ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া সংগ্রহ করা হয় না। সব ডেটা এনক্রিপটেড থাকে এবং অ্যাপ সার্ভার যোগাযোগ এইচটিটিপিএস সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত। এই ব্যবস্থাগুলো ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আগামী পাঁচ বছরে আমরা চর্চাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লার্নিং অ্যাপে পরিণত করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ১০ কোটির বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, শেখার কোনো সীমানা নেই। তাই চর্চাকে একটি গ্লোবাল লার্নিং অ্যান্ড প্র্যাকটিস ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাও আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্ল্যাটফর্ম যেন বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের শেখার সঙ্গী হয়ে ওঠে, এই স্বপ্ন নিয়েই আমরা এগোচ্ছি।

২০২০ সালের গোড়ার দিকে যখন কভিড–১৯ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টরের সরবরাহ সংকট চলছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবের মতো পার্সোনাল কম্পিউটিং ডিভাইস থেকে শুরু করে সব ধরনের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক পণ্য, সিকিউরিটি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এমনকি উড়োজাহাজ ও মহাকাশযা
২১ এপ্রিল ২০২৩
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
৩ ঘণ্টা আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৯ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
১ দিন আগে