অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফরম। রাশিয়া সরকার টেলিগ্রাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
এসব কারণ স্পষ্টভাবে বুঝতে রাশিয়ার নাগরিকদের টেলিগ্রামের ব্যবহার ও দেশটির সরকারে সঙ্গে গণমাধ্যমে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে টেলিগ্রাম রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতার সম্মুখীন হলেও রাশিয়ায় এখনো অন্যতম প্রভাবশালী মিডিয়া প্ল্যাটফরম হিসেবে রয়েছে টেলিগ্রাম। এটি একমাত্র প্ল্যাটফরম, যেখানে বিরোধী ও সরকারি মতামত একই সঙ্গে প্রকাশ করা যায়।
রাশিয়ার ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নাগরিকের মধ্যে টেলিগ্রাম বেশি জনপ্রিয়। দেশটিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। টেলিগ্রামের ৩০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলের মধ্যে প্রায় ২৫টি সংবাদ এবং রাজনীতি সংক্রান্ত চ্যানেল রয়েছে। এ ছাড়া কল এবং মেসেজিংয়ের জন্যও জনপ্রিয় টেলিগ্রাম।
রাশিয়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম টেলিগ্রাম। প্ল্যাটফরমটি ব্যবহার করে রাশিয়ার বাইরে থেকে জনগণের কাছে খবর পৌঁছে দেয় ‘মেডুজা’ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার), টিভি রেইন (৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও ‘মিডিয়াজোনা’–এর মতো স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট। অন্যদিকে সরকারপন্থী চ্যানেলগুলোও ব্যাপক দর্শক আকর্ষণ করে। যেমন রিয়া নিউজ (৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার), রিডোভকা (২৬ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও সলোভিয়ভ লাইভ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার)-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়া সরকারের অবস্থান ও ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থন জানায়।
গত দশ বছরে রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর কারণে প্রচুর সাংবাদিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। টেলিভিশন (৯৮ শতাংশ) ও রেডিও (৭৯ শতাংশ) রাশিয়ার প্রধান সংবাদমাধ্যম হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রতিদিন ৮৪ শতাংশ রুশ নাগরিক সংবাদ জানেন। ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে রাশিয়া। ২০২৪ সালে এই আইনের অধীনে ২ হাজারেও বেশি প্রশাসনিক মামলা এবং ২৭৩টি অপরাধমূলক মামলা হয়েছে।
২০২২ সালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার বন্ধ হওয়ার পর লাখ লাখ রুশ নাগরিক টেলিগ্রাম ব্যবহার শুরু করেন। এটি এখন খবর ও রাজনৈতিক আলোচনা কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত ভকন্টাক্টে ও ওডনোক্লাসনিকি প্ল্যাটফরম টেলিগ্রামের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
রাশিয়া টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ নয় কেন
সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো, জনমতের প্রভাব বিস্তার এবং রাষ্ট্রীয় অবস্থান সমর্থন করার জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়। সম্ভবত এসব কারণে অন্যান্য প্ল্যাটফরমের মতো রাশিয়ায় নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ হয়নি টেলিগ্রাম।
এটির জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হলো—ম্যাসেজিং অ্যাপ হিসেবে প্ল্যাটফরমটির ব্যবহার করা বেশ সহজ। এটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর কাজ সহজ করে দেয়। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনমত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না। আবার যারা বিকল্প ব্যবস্থায় তথ্যের উৎস খোঁজেন, তাঁদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল এটি। তাই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে কোনো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে টেলিগ্রাম বিকল্প মতামত প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে কাজ করে।
রাশিয়া সরকারের কাছে টেলিগ্রামের গুরুত্ব বাড়াতে প্রধান কারণ হলো—প্ল্যাটফরমটি পশ্চিমা কোম্পানির মালিকানাধীন নয়। যেমন—ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি।
এ ছাড়া বিতর্কিত কনটেন্ট যেমন ডিজিটাল পাইরেসি বা কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে বেশি কঠোর নয় রাশিয়া। দেশটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ ধরনের বিষয়ের ওপর কম গুরুত্ব দেয়, যা বিদেশি কোম্পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। তাই এ বিষয়টিও টেলিগ্রামের প্রতি রাশিয়ার সরকারের সমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে।
টেলিগ্রামের মডারেশন পলিসি অনুযায়ী প্ল্যাটফরমটি কনটেন্ট শেয়ারের ওপর কম নিয়ন্ত্রণ করে। আরএন্ডটুএন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীর তথ্যও গোপন থাকে। এসব নীতি রাশিয়ায় টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত আগস্ট মাসে ফ্রান্সের এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরভকে। এরপর তিনি ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছেন।
টেলিগ্রাম বলেছে, এই পরিবর্তনগুলো অ্যাপটিতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ কমাতেও সহায়তা করবে। তবে এসব পরিবর্তন অ্যাপটিকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অনুযায়ী আরও বেশি সাড়া দিতে বাধ্য করবে বলে ব্যবহারকারীরা উদ্বিগ্ন। এটি তাদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। । কারণ এসব পরিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রের নজরদারির হাত থেকে তাদের তথ্য নিরাপদ থাকবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম বন্ধ হলেও টেলিগ্রাম রাশিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের তথ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিরোধী মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এর গোপনীয়তা নীতি ও নিরাপত্তার কারণে এটি রাশিয়ার জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎস। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এটি নিষিদ্ধ না করার পেছনে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে।
তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন
রাশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে টেলিগ্রাম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়নি। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ বেশ কিছু পশ্চিমা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয় রাশিয়ার সরকার। এর ফলে টেলিগ্রামের দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়েন রাশিয়ার নাগরিকেরা। এটি দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফরম। রাশিয়া সরকার টেলিগ্রাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
এসব কারণ স্পষ্টভাবে বুঝতে রাশিয়ার নাগরিকদের টেলিগ্রামের ব্যবহার ও দেশটির সরকারে সঙ্গে গণমাধ্যমে সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে টেলিগ্রাম রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতার সম্মুখীন হলেও রাশিয়ায় এখনো অন্যতম প্রভাবশালী মিডিয়া প্ল্যাটফরম হিসেবে রয়েছে টেলিগ্রাম। এটি একমাত্র প্ল্যাটফরম, যেখানে বিরোধী ও সরকারি মতামত একই সঙ্গে প্রকাশ করা যায়।
রাশিয়ার ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সী নাগরিকের মধ্যে টেলিগ্রাম বেশি জনপ্রিয়। দেশটিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। টেলিগ্রামের ৩০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় চ্যানেলের মধ্যে প্রায় ২৫টি সংবাদ এবং রাজনীতি সংক্রান্ত চ্যানেল রয়েছে। এ ছাড়া কল এবং মেসেজিংয়ের জন্যও জনপ্রিয় টেলিগ্রাম।
রাশিয়ায় স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং রাজনৈতিক আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম টেলিগ্রাম। প্ল্যাটফরমটি ব্যবহার করে রাশিয়ার বাইরে থেকে জনগণের কাছে খবর পৌঁছে দেয় ‘মেডুজা’ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার), টিভি রেইন (৫ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও ‘মিডিয়াজোনা’–এর মতো স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট। অন্যদিকে সরকারপন্থী চ্যানেলগুলোও ব্যাপক দর্শক আকর্ষণ করে। যেমন রিয়া নিউজ (৩০ লাখ সাবস্ক্রাইবার), রিডোভকা (২৬ লাখ সাবস্ক্রাইবার) ও সলোভিয়ভ লাইভ (১৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার)-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলো রাশিয়া সরকারের অবস্থান ও ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থন জানায়।
গত দশ বছরে রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর কারণে প্রচুর সাংবাদিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। টেলিভিশন (৯৮ শতাংশ) ও রেডিও (৭৯ শতাংশ) রাশিয়ার প্রধান সংবাদমাধ্যম হলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রতিদিন ৮৪ শতাংশ রুশ নাগরিক সংবাদ জানেন। ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে রাশিয়া। ২০২৪ সালে এই আইনের অধীনে ২ হাজারেও বেশি প্রশাসনিক মামলা এবং ২৭৩টি অপরাধমূলক মামলা হয়েছে।
২০২২ সালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার বন্ধ হওয়ার পর লাখ লাখ রুশ নাগরিক টেলিগ্রাম ব্যবহার শুরু করেন। এটি এখন খবর ও রাজনৈতিক আলোচনা কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত ভকন্টাক্টে ও ওডনোক্লাসনিকি প্ল্যাটফরম টেলিগ্রামের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে।
রাশিয়া টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ নয় কেন
সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো, জনমতের প্রভাব বিস্তার এবং রাষ্ট্রীয় অবস্থান সমর্থন করার জন্য টেলিগ্রাম ব্যবহার করা হয়। সম্ভবত এসব কারণে অন্যান্য প্ল্যাটফরমের মতো রাশিয়ায় নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ হয়নি টেলিগ্রাম।
এটির জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হলো—ম্যাসেজিং অ্যাপ হিসেবে প্ল্যাটফরমটির ব্যবহার করা বেশ সহজ। এটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর কাজ সহজ করে দেয়। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় জনমত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না। আবার যারা বিকল্প ব্যবস্থায় তথ্যের উৎস খোঁজেন, তাঁদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল এটি। তাই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে কোনো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না করে টেলিগ্রাম বিকল্প মতামত প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে কাজ করে।
রাশিয়া সরকারের কাছে টেলিগ্রামের গুরুত্ব বাড়াতে প্রধান কারণ হলো—প্ল্যাটফরমটি পশ্চিমা কোম্পানির মালিকানাধীন নয়। যেমন—ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি।
এ ছাড়া বিতর্কিত কনটেন্ট যেমন ডিজিটাল পাইরেসি বা কপিরাইট লঙ্ঘনের বিষয়ে বেশি কঠোর নয় রাশিয়া। দেশটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ ধরনের বিষয়ের ওপর কম গুরুত্ব দেয়, যা বিদেশি কোম্পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করে। তাই এ বিষয়টিও টেলিগ্রামের প্রতি রাশিয়ার সরকারের সমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে।
টেলিগ্রামের মডারেশন পলিসি অনুযায়ী প্ল্যাটফরমটি কনটেন্ট শেয়ারের ওপর কম নিয়ন্ত্রণ করে। আরএন্ডটুএন্ড এনক্রিপশনের সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীর তথ্যও গোপন থাকে। এসব নীতি রাশিয়ায় টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত আগস্ট মাসে ফ্রান্সের এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় টেলিগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পাভেল দুরভকে। এরপর তিনি ম্যাসেজিং অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছেন।
টেলিগ্রাম বলেছে, এই পরিবর্তনগুলো অ্যাপটিতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ কমাতেও সহায়তা করবে। তবে এসব পরিবর্তন অ্যাপটিকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুরোধ অনুযায়ী আরও বেশি সাড়া দিতে বাধ্য করবে বলে ব্যবহারকারীরা উদ্বিগ্ন। এটি তাদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। । কারণ এসব পরিবর্তনের ফলে রাষ্ট্রের নজরদারির হাত থেকে তাদের তথ্য নিরাপদ থাকবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম বন্ধ হলেও টেলিগ্রাম রাশিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের তথ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিরোধী মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এর গোপনীয়তা নীতি ও নিরাপত্তার কারণে এটি রাশিয়ার জনগণের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের উৎস। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এটি নিষিদ্ধ না করার পেছনে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে।
তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন
বিশ্বব্যাপী নতুন সিরিজ ফাইন্ড এক্স ৮ উন্মোচন করল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা অপো। এই সিরিজে অপো ফাইন্ড এক্স ও অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেল দুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মডেল দুটিতেই ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। তবে অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেলে আইফোনের মতো ক্যামেরা বাটন যুক্ত করা হয়েছে। সিরিজটিতে মিডিয়াটেক
১৭ ঘণ্টা আগেবৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য সলিড স্টেট ব্যাটারি ব্যাপক পরিমাণে তৈরি করবে হোন্ডা। এ জন্য জাপানে একটি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এখানে ব্যাটারিটি তৈরি পরিকল্পনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে। এই পরিকল্পনা কম খরচে ও টেকসই ব্যাটারি তৈরিতে সহায়ক হবে।
২০ ঘণ্টা আগেম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জারে একযোগে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করেছে মেটা। ফিচারগুলো ভিডিও কল ও অডিও কলের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। নতুন আপডেটের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে নয়েজ সারপ্রেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ব্যাকগ্রাউন্ড, এইচডি ভিডিও কল এবং হ্যান্ডস ফ্রি কলিংয়ের মতো ফিচার পাওয়া যাবে। এক ব্লগ প
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা মামলা খারিজ করে, এ জন্য ফেডারেল বিচারককে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। টেক জায়ান্টটি বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কাল্পনিক এবং অ্যাপল একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তা প্রমাণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
১ দিন আগে