মেহরাব মাসাঈদ হাবিব
চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ৯২ বছর আগে ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবল আজও খেলার ইভেন্ট হিসেবে পুরো বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়। বাংলাদেশে ফুটবল জনপ্রিয়তম খেলা। ফলে ফুটবল খেলা এবং খেলোয়াড়দের পছন্দ-অপছন্দ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, প্রিয় ব্র্যান্ড ইত্যাদি বিষয় মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এসব বিষয়ে বিশ্বকাপের সময়ে এ দেশের মানুষের উৎসাহের শেষ থাকে না।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কি জার্মানি, সব দলের সমর্থক আছেন বাংলাদেশে। ফুটবলপ্রেমীদের যেমন আগ্রহ মেসি, নেইমার, রোনালদোদের প্রতি, তেমনি গাড়িপ্রেমী অনেকেরই হয়তো কৌতূহল মেসি, নেইমার, রোনালদোরা কোন ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করেন তা নিয়ে।
মেসি
বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। বিশ্বের তারকা ফুটবলারদের মধ্যে বেশি ও দামি গাড়ির সংগ্রহ রয়েছে মেসির। তাঁর সংগ্রহে থাকা সব গাড়ির মোট মূল্যমান ২৮ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
শোনা কথা যে মেসির সংগ্রহে দুর্লভ ১৯৫৭ মডেলের ফেরারি ৩৩৫ স্পোর্টস স্ক্যাগলিয়েট্রি রয়েছে। যদি তা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে মেসির সংগৃহীত গাড়ির মোট মূল্যমান হবে ২৮ মিলিয়ন নয়, ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। ১৯৫৭ মডেলের এই ফেরারি গাড়িটি এ পর্যন্ত মাত্র ৪টি তৈরি হয়েছে।
তবে, যদি মেসির কাছে সেই দুর্লভ ফেরারিটি না-ও থাকে, তাঁর কাছে আরেকটি দুর্লভ ইতালিয়ান স্পোর্টস কার রয়েছে, যার প্রমাণও পাওয়া গেছে। গাড়িটি হলো পাগানি জোন্ডা সিংক। যখন গাড়িটি প্রথম বাজারে এসেছিল, তখনই এর দাম ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ছিল।
মেসির সংগ্রহে বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহের শেষ নেই। তা মার্সিডিস এএমজি হোক কি রেঞ্জ রোভার হোক। মেসিকে প্রায়ই দেখা যায় কালো রঙের একটি রেঞ্জ রোভারে ঘুরে বেড়াতে। এ ছাড়া মেসির স্ত্রী চালান একটি সাদা রেঞ্জ রোভার। এ ছাড়া তাঁর সংগ্রহে একটি মাসেরাটি গ্র্যানটুরিস্মোও ছিল, যা পরে তিনি বিক্রি করে দেন।
রোনালদো
পাঁচবার ফিফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার উপাধি পাওয়া পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রথম ফুটবলার, যিনি ফুটবল খেলে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি উপার্জন করার মাইলফলক অর্জন করেছেন। সেই অনুযায়ী নিঃসন্দেহে তাঁর গাড়ির সংগ্রহও দারুণ। তাঁর সংগৃহীত গাড়ির মূলম্যান ১৮ মিলিয়ন ডলার, যা মেসির পর দ্বিতীয় সর্বাধিক।
রোনালদোর সংগ্রহে রয়েছে বুগাটি সেন্টোদিয়েসি, ফেরারি মনজার মতো দুর্লভ সুপারকার। বুগাটি সেন্টোদিয়েসি এ পর্যন্ত মাত্র ১০টি নির্মিত হয়েছে। শুধু এ গাড়িটিরই বর্তমান বাজারদর ৮ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, মার্সিডিজ, রোলস রয়েস, এস্টিন মার্টিনের মতো ব্র্যান্ডের গাড়ি তো রয়েছেই। রোনালদোর সংগ্রহের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
তাঁর বিশাল সংগ্রহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গাড়ি হলো বুগাটি সেন্টোদিয়েসি, ফেরারি মনজা, বুগাটি শেরন, বুগাটি ভেরন, ম্যাকলারেন সেনা, মার্সিডিজ এ এম জি জি এল ই ৬৩ এস, রেঞ্জ রোভার স্পোর্টস ইত্যাদি।
নেইমার
ফুটবলজগতের আরেক তারকা ফুটবলার ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র। মেসি-রোনালদোর মতোই নেইমারের গ্যারেজেও রয়েছে দারুণ সব গাড়ির সংগ্রহ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ল্যাম্বরগিনি ভেনেও। ৭৫০ হর্সপাওয়ার ও ভি১২ ইঞ্জিনের এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২২০ মাইল। ৭ স্পিড অল হুইল ড্রাইভের এই গাড়িতে শূন্য থেকে ৬২ মাইল স্পিড উঠতে সময় লাগে ৩ সেকেন্ডের কম।
নেইমারের সংগ্রহে আরও রয়েছে লাইকান হাইপারস্পোর্টস। লেবাননের ডব্লিউ মোটর্স নির্মিত ২ আসনবিশিষ্ট এ গাড়িটিতে রয়েছে ৭৮০ হর্সপাওয়ার সম্পন্ন ৩ দশমিক ৭ লিটার ইঞ্জিন। গাড়িটির টপ স্পিড ঘণ্টায় ২৪৫ মাইল। এর মূল্য প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র: হটকারস
লেখক: ফাউন্ডার ও সিইও, বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস।
চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ৯২ বছর আগে ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ফুটবল আজও খেলার ইভেন্ট হিসেবে পুরো বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়। বাংলাদেশে ফুটবল জনপ্রিয়তম খেলা। ফলে ফুটবল খেলা এবং খেলোয়াড়দের পছন্দ-অপছন্দ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, প্রিয় ব্র্যান্ড ইত্যাদি বিষয় মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এসব বিষয়ে বিশ্বকাপের সময়ে এ দেশের মানুষের উৎসাহের শেষ থাকে না।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কি জার্মানি, সব দলের সমর্থক আছেন বাংলাদেশে। ফুটবলপ্রেমীদের যেমন আগ্রহ মেসি, নেইমার, রোনালদোদের প্রতি, তেমনি গাড়িপ্রেমী অনেকেরই হয়তো কৌতূহল মেসি, নেইমার, রোনালদোরা কোন ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করেন তা নিয়ে।
মেসি
বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। বিশ্বের তারকা ফুটবলারদের মধ্যে বেশি ও দামি গাড়ির সংগ্রহ রয়েছে মেসির। তাঁর সংগ্রহে থাকা সব গাড়ির মোট মূল্যমান ২৮ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
শোনা কথা যে মেসির সংগ্রহে দুর্লভ ১৯৫৭ মডেলের ফেরারি ৩৩৫ স্পোর্টস স্ক্যাগলিয়েট্রি রয়েছে। যদি তা সত্যি হয়ে থাকে, তাহলে মেসির সংগৃহীত গাড়ির মোট মূল্যমান হবে ২৮ মিলিয়ন নয়, ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি। ১৯৫৭ মডেলের এই ফেরারি গাড়িটি এ পর্যন্ত মাত্র ৪টি তৈরি হয়েছে।
তবে, যদি মেসির কাছে সেই দুর্লভ ফেরারিটি না-ও থাকে, তাঁর কাছে আরেকটি দুর্লভ ইতালিয়ান স্পোর্টস কার রয়েছে, যার প্রমাণও পাওয়া গেছে। গাড়িটি হলো পাগানি জোন্ডা সিংক। যখন গাড়িটি প্রথম বাজারে এসেছিল, তখনই এর দাম ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ছিল।
মেসির সংগ্রহে বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহের শেষ নেই। তা মার্সিডিস এএমজি হোক কি রেঞ্জ রোভার হোক। মেসিকে প্রায়ই দেখা যায় কালো রঙের একটি রেঞ্জ রোভারে ঘুরে বেড়াতে। এ ছাড়া মেসির স্ত্রী চালান একটি সাদা রেঞ্জ রোভার। এ ছাড়া তাঁর সংগ্রহে একটি মাসেরাটি গ্র্যানটুরিস্মোও ছিল, যা পরে তিনি বিক্রি করে দেন।
রোনালদো
পাঁচবার ফিফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার উপাধি পাওয়া পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রথম ফুটবলার, যিনি ফুটবল খেলে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি উপার্জন করার মাইলফলক অর্জন করেছেন। সেই অনুযায়ী নিঃসন্দেহে তাঁর গাড়ির সংগ্রহও দারুণ। তাঁর সংগৃহীত গাড়ির মূলম্যান ১৮ মিলিয়ন ডলার, যা মেসির পর দ্বিতীয় সর্বাধিক।
রোনালদোর সংগ্রহে রয়েছে বুগাটি সেন্টোদিয়েসি, ফেরারি মনজার মতো দুর্লভ সুপারকার। বুগাটি সেন্টোদিয়েসি এ পর্যন্ত মাত্র ১০টি নির্মিত হয়েছে। শুধু এ গাড়িটিরই বর্তমান বাজারদর ৮ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া, মার্সিডিজ, রোলস রয়েস, এস্টিন মার্টিনের মতো ব্র্যান্ডের গাড়ি তো রয়েছেই। রোনালদোর সংগ্রহের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
তাঁর বিশাল সংগ্রহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গাড়ি হলো বুগাটি সেন্টোদিয়েসি, ফেরারি মনজা, বুগাটি শেরন, বুগাটি ভেরন, ম্যাকলারেন সেনা, মার্সিডিজ এ এম জি জি এল ই ৬৩ এস, রেঞ্জ রোভার স্পোর্টস ইত্যাদি।
নেইমার
ফুটবলজগতের আরেক তারকা ফুটবলার ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র। মেসি-রোনালদোর মতোই নেইমারের গ্যারেজেও রয়েছে দারুণ সব গাড়ির সংগ্রহ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ল্যাম্বরগিনি ভেনেও। ৭৫০ হর্সপাওয়ার ও ভি১২ ইঞ্জিনের এই গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২২০ মাইল। ৭ স্পিড অল হুইল ড্রাইভের এই গাড়িতে শূন্য থেকে ৬২ মাইল স্পিড উঠতে সময় লাগে ৩ সেকেন্ডের কম।
নেইমারের সংগ্রহে আরও রয়েছে লাইকান হাইপারস্পোর্টস। লেবাননের ডব্লিউ মোটর্স নির্মিত ২ আসনবিশিষ্ট এ গাড়িটিতে রয়েছে ৭৮০ হর্সপাওয়ার সম্পন্ন ৩ দশমিক ৭ লিটার ইঞ্জিন। গাড়িটির টপ স্পিড ঘণ্টায় ২৪৫ মাইল। এর মূল্য প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার।
সূত্র: হটকারস
লেখক: ফাউন্ডার ও সিইও, বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস।
বিশ্বব্যাপী নতুন সিরিজ ফাইন্ড এক্স ৮ উন্মোচন করল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা অপো। এই সিরিজে অপো ফাইন্ড এক্স ও অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেল দুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মডেল দুটিতেই ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। তবে অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেলে আইফোনের মতো ক্যামেরা বাটন যুক্ত করা হয়েছে। সিরিজটিতে মিডিয়াটেক
১৫ ঘণ্টা আগেবৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য সলিড স্টেট ব্যাটারি ব্যাপক পরিমাণে তৈরি করবে হোন্ডা। এ জন্য জাপানে একটি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এখানে ব্যাটারিটি তৈরি পরিকল্পনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে। এই পরিকল্পনা কম খরচে ও টেকসই ব্যাটারি তৈরিতে সহায়ক হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জারে একযোগে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করেছে মেটা। ফিচারগুলো ভিডিও কল ও অডিও কলের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। নতুন আপডেটের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে নয়েজ সারপ্রেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ব্যাকগ্রাউন্ড, এইচডি ভিডিও কল এবং হ্যান্ডস ফ্রি কলিংয়ের মতো ফিচার পাওয়া যাবে। এক ব্লগ প
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা মামলা খারিজ করে, এ জন্য ফেডারেল বিচারককে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। টেক জায়ান্টটি বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কাল্পনিক এবং অ্যাপল একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তা প্রমাণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
১৯ ঘণ্টা আগে