প্রযুক্তি ডেস্ক
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিলোপ ঘটছে শিগগিরই। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত এই মহাকাশ স্টেশনের জীবনকাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিরাপদে পৃথিবীতে নামিয়ে আনতে স্পেসএক্সকে ভাড়া করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ক্যালিফোর্নিয়া–ভিত্তিক এই বেসরকারি রকেট সংস্থাটি আগামী দশকের শুরুতে ৪৩০ টন ওজনের মহাকাশ স্টেশনকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার জন্য বিশেষ যান তৈরি করবে। এই কাজের জন্য ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের যুক্তি করেছে নাসা। গত বুধবার (২৬) এই চুক্তির কথা জানানো হয়। এই রকেট কোম্পানির মালিক বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক।
মহাকাশ স্টেশনের প্রাথমিক অংশগুলো সচল করা হয় ১৯৯৮ সালে। আর ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয়। এরপর থেকে স্টেশনটি ২৩ বছর ২৩৮ দিন ধরে মানুষের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে। মহাকাশে মানুষের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির রেকর্ড এটি। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ২২টি দেশের ২৭৯ জন ব্যক্তি মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শন করেছেন।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশনটি প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে এটি। মানুষের বার্ধক্য প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে নতুন ধরনের উপকরণের সূত্র পর্যন্ত সব ধরনের বিষয়ই এখানে পরীক্ষা করে দেখা হয়।
নাসার প্রকৌশলীরা বলছেন, ল্যাবরেটরিটি কাঠামোগতভাবে সবল রয়েছে। তবে এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখনই পরিকল্পনা করা দরকার। বাইরের সহায়তা ছাড়াই এটি পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম। তবে স্থলভাগে বসবাসরত মানুষের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। ইউরোপ, কানাডা এবং জাপান এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পশ্চিমা অংশীদারেরা সবাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্টেশনটি পরিচালনায় অর্থায়নে সম্মত হয়েছে। তবে রাশিয়া বলেছে, কমপক্ষে ২০২৮ সাল পর্যন্ত তারা এই প্রকল্পের সঙ্গে থাকবে।
নাসা এই মহাকাশ স্টেশনের অন্তিম পরিণতি নিরাপদ করতে বিভিন্ন বিকল্প যাচাই করে দেখেছে। এর মধ্যে একটি হলো, স্টেশনের মডিউলগুলো আলাদা করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্ল্যাটফর্মে ছোট উপাদানগুলো ব্যবহার করা। আরেকটি বিকল্প নিয়ে কাজ করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এটিকে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করার কথাও ভেবেছিল নাসা।
কিন্তু এই সমস্ত সমাধানগুলোর জটিলতা এবং খরচ বিবেচনার পাশাপাশি মালিকানা নিয়ে জটিলতা সংক্রান্ত কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
মহাকাশ স্টেশনটিকে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করে পৃথিবীতে নামিয়ে আনার জন্য যে বিশেষ যান ব্যবহার করা হবে সেটির নকশার বিশদ বিবরণ এখনো প্রকাশ করেনি নাসা ও স্পেসএক্স। এটি নিশ্চিত যে, মহাকাশ স্টেশনটিকে সঠিক জায়গায় এবং সঠিক সময়ে অবতরণ করানোর জন্য যথেষ্ট শক্তি খরচ হবে।
মহাকাশ স্টেশনের ভর বিপুল এবং এর ব্যাপ্তি মোটামুটি একটি ফুটবল মাঠের সমান। ফলে এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে উত্তপ্ত হয়ে এর কাঠামোর চূড়ান্ত ক্ষতি হতে বাধ্য।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংকুচিত হতে দেওয়া হবে। শেষ ক্রুকে বের করার পর চূড়ান্ত ডি–অরবিট কৌশল প্রয়োগ করতে টাগবোট বা বিশেষ যানকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
অপ্রয়োজনীয় মহাকাশযানগুলোকে সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দূরবর্তী স্থানে ফেলা হয়, যেটি পয়েন্ট নিমো নামে পরিচিত।
জুলস ভার্নের বই ‘২০,০০০ লিগস আন্ডার দ্য সি’ –এর বিখ্যাত সাবমেরিন নাবিকের নামে এই নামকরণ। স্থানটি নিকটতম স্থলভাগ থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে।
নাসা আশাবাদী যে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার আগেই কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু করবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থাগুলোর নজর এখন ‘গেটওয়ে’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিলোপ ঘটছে শিগগিরই। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত এই মহাকাশ স্টেশনের জীবনকাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর নিরাপদে পৃথিবীতে নামিয়ে আনতে স্পেসএক্সকে ভাড়া করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ক্যালিফোর্নিয়া–ভিত্তিক এই বেসরকারি রকেট সংস্থাটি আগামী দশকের শুরুতে ৪৩০ টন ওজনের মহাকাশ স্টেশনকে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার জন্য বিশেষ যান তৈরি করবে। এই কাজের জন্য ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের যুক্তি করেছে নাসা। গত বুধবার (২৬) এই চুক্তির কথা জানানো হয়। এই রকেট কোম্পানির মালিক বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক।
মহাকাশ স্টেশনের প্রাথমিক অংশগুলো সচল করা হয় ১৯৯৮ সালে। আর ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয়। এরপর থেকে স্টেশনটি ২৩ বছর ২৩৮ দিন ধরে মানুষের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে। মহাকাশে মানুষের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির রেকর্ড এটি। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ২২টি দেশের ২৭৯ জন ব্যক্তি মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শন করেছেন।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশনটি প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়েছে এটি। মানুষের বার্ধক্য প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে নতুন ধরনের উপকরণের সূত্র পর্যন্ত সব ধরনের বিষয়ই এখানে পরীক্ষা করে দেখা হয়।
নাসার প্রকৌশলীরা বলছেন, ল্যাবরেটরিটি কাঠামোগতভাবে সবল রয়েছে। তবে এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখনই পরিকল্পনা করা দরকার। বাইরের সহায়তা ছাড়াই এটি পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম। তবে স্থলভাগে বসবাসরত মানুষের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। ইউরোপ, কানাডা এবং জাপান এখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পশ্চিমা অংশীদারেরা সবাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্টেশনটি পরিচালনায় অর্থায়নে সম্মত হয়েছে। তবে রাশিয়া বলেছে, কমপক্ষে ২০২৮ সাল পর্যন্ত তারা এই প্রকল্পের সঙ্গে থাকবে।
নাসা এই মহাকাশ স্টেশনের অন্তিম পরিণতি নিরাপদ করতে বিভিন্ন বিকল্প যাচাই করে দেখেছে। এর মধ্যে একটি হলো, স্টেশনের মডিউলগুলো আলাদা করা এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্ল্যাটফর্মে ছোট উপাদানগুলো ব্যবহার করা। আরেকটি বিকল্প নিয়ে কাজ করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এটিকে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করার কথাও ভেবেছিল নাসা।
কিন্তু এই সমস্ত সমাধানগুলোর জটিলতা এবং খরচ বিবেচনার পাশাপাশি মালিকানা নিয়ে জটিলতা সংক্রান্ত কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
মহাকাশ স্টেশনটিকে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত করে পৃথিবীতে নামিয়ে আনার জন্য যে বিশেষ যান ব্যবহার করা হবে সেটির নকশার বিশদ বিবরণ এখনো প্রকাশ করেনি নাসা ও স্পেসএক্স। এটি নিশ্চিত যে, মহাকাশ স্টেশনটিকে সঠিক জায়গায় এবং সঠিক সময়ে অবতরণ করানোর জন্য যথেষ্ট শক্তি খরচ হবে।
মহাকাশ স্টেশনের ভর বিপুল এবং এর ব্যাপ্তি মোটামুটি একটি ফুটবল মাঠের সমান। ফলে এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে উত্তপ্ত হয়ে এর কাঠামোর চূড়ান্ত ক্ষতি হতে বাধ্য।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংকুচিত হতে দেওয়া হবে। শেষ ক্রুকে বের করার পর চূড়ান্ত ডি–অরবিট কৌশল প্রয়োগ করতে টাগবোট বা বিশেষ যানকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
অপ্রয়োজনীয় মহাকাশযানগুলোকে সাধারণত প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দূরবর্তী স্থানে ফেলা হয়, যেটি পয়েন্ট নিমো নামে পরিচিত।
জুলস ভার্নের বই ‘২০,০০০ লিগস আন্ডার দ্য সি’ –এর বিখ্যাত সাবমেরিন নাবিকের নামে এই নামকরণ। স্থানটি নিকটতম স্থলভাগ থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গভীরে।
নাসা আশাবাদী যে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার আগেই কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু করবে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থাগুলোর নজর এখন ‘গেটওয়ে’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে।
বিশ্বব্যাপী নতুন সিরিজ ফাইন্ড এক্স ৮ উন্মোচন করল চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা অপো। এই সিরিজে অপো ফাইন্ড এক্স ও অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেল দুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মডেল দুটিতেই ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। তবে অপো ফাইন্ড এক্স ৮ প্রো মডেলে আইফোনের মতো ক্যামেরা বাটন যুক্ত করা হয়েছে। সিরিজটিতে মিডিয়াটেক
৮ ঘণ্টা আগেবৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য সলিড স্টেট ব্যাটারি ব্যাপক পরিমাণে তৈরি করবে হোন্ডা। এ জন্য জাপানে একটি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এখানে ব্যাটারিটি তৈরি পরিকল্পনাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হবে। এই পরিকল্পনা কম খরচে ও টেকসই ব্যাটারি তৈরিতে সহায়ক হবে।
১০ ঘণ্টা আগেম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম মেসেঞ্জারে একযোগে বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করেছে মেটা। ফিচারগুলো ভিডিও কল ও অডিও কলের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। নতুন আপডেটের মাধ্যমে মেসেঞ্জারে নয়েজ সারপ্রেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ব্যাকগ্রাউন্ড, এইচডি ভিডিও কল এবং হ্যান্ডস ফ্রি কলিংয়ের মতো ফিচার পাওয়া যাবে। এক ব্লগ প
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা মামলা খারিজ করে, এ জন্য ফেডারেল বিচারককে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। টেক জায়ান্টটি বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কাল্পনিক এবং অ্যাপল একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তা প্রমাণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
১২ ঘণ্টা আগে