আয়নোক্যালোরিক কুলিং

মাহিন আলম
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮: ৫৪
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২: ৪০

কোনো কিছুকে হিমায়িত করার জন্য এখন যেসব প্রযুক্তি প্রচলিত আছে, তার বিকল্প একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর নাম আয়নোক্যালোরিক কুলিং। শুধু তা-ই নয়, নতুন এই প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য আরও বেশি নিরাপদ ও সহায়ক বলে দাবি করেছেন তারা।

ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (বার্কলে ল্যাব) গবেষকেরা গরম ও শীতল করার এই নতুন পদ্ধতির মৌলিক ধারণাটি প্রয়োগ করেছেন। তাঁদের এ গবেষণাপত্র ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

সাধারণ হিমায়ন-প্রক্রিয়ায় গ্যাসের মাধ্যমে তাপ বাদ দিয়ে শীতল অবস্থার সৃষ্টি করা হয়। ব্যবহৃত গ্যাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আয়নোক্যালোরিক চক্র লবণ থেকে আসা আয়ন প্রবাহের মাধ্যমে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটায়। এই রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।

এই প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষায় এক ভোল্টেরও কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। 

গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী বার্কলে ল্যাবের গবেষণা সহকারী ড্রিউ লিলি বলেন, ‘আমরা এমন একটি বিকল্প সমাধান তৈরি করতে চাইছিলাম, যা জিনিসপত্রকে ঠান্ডা করে, দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে, নিরাপদ ও পরিবেশেরও ক্ষতি করে না। আমরা মনে করি, আয়নোক্যালোরিক চক্রের সেসব লক্ষ্য পূরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়। বর্তমান রেফ্রিজারেন্টগুলো হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) উৎপাদন করে, যা কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো হাজার হাজার গুণ কার্যকরভাবে তাপ আটকাতে পারে। কিন্তু আয়নোক্যালোরিক চক্রে এই গ্যাস তৈরি হবে না।

রবি প্রাশার নামে গবেষণা দলের একজন জানিয়েছেন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ব্যবহৃত একটি সাধারণ জৈব দ্রাবক ইথিলিন কার্বোনেটের পাশাপাশি আয়োডিন ও সোডিয়াম দিয়ে তৈরি একধরনের লবণ ব্যবহার করা হয় এ পদ্ধতিতে। এই প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষায় এক ভোল্টেরও কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। 

সূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট ডটকম, সাইটেক ডেইলি

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত