অনলাইন ডেস্ক
নিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
মেশিনটি জেট ফাইটারের ককপিটের (জেট বিমানের বসার জায়গা) মতো। এতে একটি স্বচ্ছ ঢাকনা রয়েছে, যা পেছন দিক দিয়ে খুলে যায়। যখন কোনো ব্যক্তি মেশনটির কেন্দ্রে বসা সিটে বসেন, তখন মেশিনটি আংশিকভাবে গরম পানিতে ভর্তি হয়। সিটে থাকা সেন্সরগুলো ব্যক্তির পালস এবং অন্যান্য শারীরিক তথ্য পরিমাপ করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা উপযুক্ত তাপমাত্রায় গোসল করছে তা নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া মেশিনটিতে এআই সিস্টেম যুক্ত রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর মানসিক অবস্থা (যেমন: শান্ত বা উত্তেজিত) নির্ধারণ করে। স্বচ্ছ ঢাকনা ভেতরে বিভিন্ন ছবি দেখানো হবে, যাতে ব্যবহারকারী আরও প্রফুল্ল অনুভব করেন। মানুষকে ধোয়া এবং শুকানোর পুরো প্রক্রিয়াতে যন্ত্রটি ১৫ মিনিট সময় নেয়।
১৯৭০ সালের জাপান বিশ্ব প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ উন্মোচন করা হয়েছিল, যা সেসময় বেশ আলোচনা তৈরি করে। একুশ শতকে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে এটি নতুনভাবে হাজির হবে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসে ‘আসকাই কংসাই এক্সপো’–তে এটি প্রদর্শিত হবে।
মূল মেশিনটি সানিও ইলেকট্রিক কোম্পানি (বর্তমানে প্যানাসনিক হোল্ডিংস করপোরেশন) তৈরি করে। তবে সেটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পর ওসাকাভিত্তিক শাওয়ার হেড প্রস্তুতকারক সায়েন্স কোম্পানি নতুন সংস্করণটি তৈরি করেছে, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
এটি আসকাই কংসাই এক্সপোর ওসাকা হেলথ কেয়ার প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে। প্যাভিলিয়নটি ওসাকা প্রিফেকচারাল এবং স্থানীয় সরকার পরিচালনা করবে।
প্রদর্শনী সাইটে আসা দর্শনার্থীরা এটি ব্যবহার করে দেখার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ঘরের ব্যবহারের জন্য এর একটি সংস্করণ বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি।
গত ২৩ অক্টোবর কোম্পানির চেয়ারম্যান ইয়াসুআকি আয়ামা বলেন, ‘আমরা প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। প্রদর্শনী চলাকালে ১ হাজার সাধারণ দর্শনার্থীকে এটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
আয়ামা আরও বলেছেন, প্রতিদিন সাত থেকে আটজন ব্যক্তি ‘ধোয়া এবং শুকানো’–এর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
১৯৭০ সালের সানিও ইলেকট্রিকের প্রদর্শনীতে উন্মোচিত মানব ধোয়ার মেশিনটি ছিল ‘আলট্রাসনিক বাথ’ নামে পরিচিত। যখন ব্যবহারকারী ডিমের আকারের টবে বসতেন, তখন মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গরম পানি পূর্ণ করে এবং আলট্রাসনিক তরঙ্গ নির্গত করত। এ ছাড়া এটি প্লাস্টিকের বল দিয়ে ব্যবহারকারীর শরীরকে ম্যাসাজ করার কাজও করত। প্রদর্শনী দেখতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দর্শনার্থীদের। সেই সময়ে শহরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হিসেবে বসবাসরত ইয়াসুআকি আয়ামাও তাদের মধ্যে ছিলেন।
তিনি বলেন, মেশিনটি দেখার পর তার কল্পনা একদম সীমাহীন হয়ে গিয়েছিল। তখন অনেক বাড়িতেই বাথরুম ছিল না এবং মানুষ নিয়মিত পাবলিক বাথহাউস ব্যবহার করত। এ জন্য তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের মেশিন বানানোর কথা ভাবেন।
এখন তার কোম্পানি এমন বাথটাব ও শাওয়ার হেড তৈরি করে, যা ‘মাইক্রোস্কোপিক বাবলস’ (বুদবুদ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর শরীর পরিষ্কার করে।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ
নিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
মেশিনটি জেট ফাইটারের ককপিটের (জেট বিমানের বসার জায়গা) মতো। এতে একটি স্বচ্ছ ঢাকনা রয়েছে, যা পেছন দিক দিয়ে খুলে যায়। যখন কোনো ব্যক্তি মেশনটির কেন্দ্রে বসা সিটে বসেন, তখন মেশিনটি আংশিকভাবে গরম পানিতে ভর্তি হয়। সিটে থাকা সেন্সরগুলো ব্যক্তির পালস এবং অন্যান্য শারীরিক তথ্য পরিমাপ করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা উপযুক্ত তাপমাত্রায় গোসল করছে তা নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া মেশিনটিতে এআই সিস্টেম যুক্ত রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর মানসিক অবস্থা (যেমন: শান্ত বা উত্তেজিত) নির্ধারণ করে। স্বচ্ছ ঢাকনা ভেতরে বিভিন্ন ছবি দেখানো হবে, যাতে ব্যবহারকারী আরও প্রফুল্ল অনুভব করেন। মানুষকে ধোয়া এবং শুকানোর পুরো প্রক্রিয়াতে যন্ত্রটি ১৫ মিনিট সময় নেয়।
১৯৭০ সালের জাপান বিশ্ব প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ উন্মোচন করা হয়েছিল, যা সেসময় বেশ আলোচনা তৈরি করে। একুশ শতকে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে এটি নতুনভাবে হাজির হবে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসে ‘আসকাই কংসাই এক্সপো’–তে এটি প্রদর্শিত হবে।
মূল মেশিনটি সানিও ইলেকট্রিক কোম্পানি (বর্তমানে প্যানাসনিক হোল্ডিংস করপোরেশন) তৈরি করে। তবে সেটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পর ওসাকাভিত্তিক শাওয়ার হেড প্রস্তুতকারক সায়েন্স কোম্পানি নতুন সংস্করণটি তৈরি করেছে, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
এটি আসকাই কংসাই এক্সপোর ওসাকা হেলথ কেয়ার প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে। প্যাভিলিয়নটি ওসাকা প্রিফেকচারাল এবং স্থানীয় সরকার পরিচালনা করবে।
প্রদর্শনী সাইটে আসা দর্শনার্থীরা এটি ব্যবহার করে দেখার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া ঘরের ব্যবহারের জন্য এর একটি সংস্করণ বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি।
গত ২৩ অক্টোবর কোম্পানির চেয়ারম্যান ইয়াসুআকি আয়ামা বলেন, ‘আমরা প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। প্রদর্শনী চলাকালে ১ হাজার সাধারণ দর্শনার্থীকে এটি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।’
আয়ামা আরও বলেছেন, প্রতিদিন সাত থেকে আটজন ব্যক্তি ‘ধোয়া এবং শুকানো’–এর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
১৯৭০ সালের সানিও ইলেকট্রিকের প্রদর্শনীতে উন্মোচিত মানব ধোয়ার মেশিনটি ছিল ‘আলট্রাসনিক বাথ’ নামে পরিচিত। যখন ব্যবহারকারী ডিমের আকারের টবে বসতেন, তখন মেশিনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গরম পানি পূর্ণ করে এবং আলট্রাসনিক তরঙ্গ নির্গত করত। এ ছাড়া এটি প্লাস্টিকের বল দিয়ে ব্যবহারকারীর শরীরকে ম্যাসাজ করার কাজও করত। প্রদর্শনী দেখতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দর্শনার্থীদের। সেই সময়ে শহরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হিসেবে বসবাসরত ইয়াসুআকি আয়ামাও তাদের মধ্যে ছিলেন।
তিনি বলেন, মেশিনটি দেখার পর তার কল্পনা একদম সীমাহীন হয়ে গিয়েছিল। তখন অনেক বাড়িতেই বাথরুম ছিল না এবং মানুষ নিয়মিত পাবলিক বাথহাউস ব্যবহার করত। এ জন্য তিনি ভবিষ্যতে এই ধরনের মেশিন বানানোর কথা ভাবেন।
এখন তার কোম্পানি এমন বাথটাব ও শাওয়ার হেড তৈরি করে, যা ‘মাইক্রোস্কোপিক বাবলস’ (বুদবুদ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর শরীর পরিষ্কার করে।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৩ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের অনুমোদন পেল ইলন মাস্কের নিউরো প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। কানাডায় মানব ট্রায়াল চালানোর জন্য অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রক্রিয়ার জন্য ‘প্রথম এবং একমাত্র সার্জিক্যাল সাইট’ হবে কানাডার টরন্টো ওয়েস্
৯ ঘণ্টা আগে