প্রযুক্তি ডেস্ক
নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ সরকারি ডিভাইসে নিষিদ্ধ করে টিকটক। এবার চীনা মালিকানাধীন শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। তবে ইতালি উদ্বিগ্ন টিকটকের বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট নিয়ে। প্ল্যাটফর্মে ‘ভয়ংকর’ রকমের কনটেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকটক নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি টিকটকে একটি ট্রেন্ড ভাইরাল হয় যা ‘ফ্রেঞ্চ স্কার’ নামে পরিচিত। ট্রেন্ডটির নিয়ম অনুযায়ী, নিজের মুখে নিজেকেই আঘাত করতে হবে। টিকটকে এই ট্রেন্ড ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে ইতালির প্রশাসন
ইতালির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কনটেন্টবিষয়ক টিকটকের নিয়মাবলি দিয়ে রেখেছে, সেদিকে নজর দিচ্ছে না। টিকটক নিজেদের নিয়ম নিজেরাই ভাঙছে বলেও অভিযোগ জানায় ইতালি। আত্মহত্যা, নিজেকে কষ্ট দেওয়া, দারিদ্র্য, খেতে না পাওয়া— এই সমস্ত বিষয়ের ওপর টিকটকে কনটেন্ট রয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এত অভিযোগ সত্ত্বেও কনটেন্টগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়নি।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ১৬ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে টিকটকের চীনের মালিকানা বিক্রি করতে বাইটড্যান্সের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইউরোপের আরেকটি দেশ বেলজিয়ামের সরকারি ফোনেও নিষিদ্ধ হয় টিকটক।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করছে টিকটকের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক। টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেন, ‘মূলত ভূ-রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা তাদের সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।’
লন্ডনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানায়, ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপ কোনো তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করবে। ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, ‘আমি জনসাধারণকে টিকটক ব্যবহার করার বিরুদ্ধে কোনো পরামর্শ দেব না।’
এদিকে টিকটকের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে টিকটক বিক্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে বাইডেন সরকার। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটকের মালিক ‘বাইটড্যান্স’ মূলত চীনা প্রতিষ্ঠান। কমিটি অন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস (সিএফআইইউএস) চাচ্ছে বাইটড্যান্স যেন টিকটকে নিজের মালিকানা বিক্রি করে দেয়। অন্যথায় প্ল্যাটফর্মটিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক জানিয়েছে, ‘বাইটড্যান্স’ থেকে আলাদা হয়ে গেলেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ডেটা নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কমে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। এদিকে, সিএফআইইউএসের সঙ্গে আলোচনা এগোতে ‘বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন টিকটকের নির্বাহীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বাইটড্যান্সকে চাপে ফেলে বাধ্য করার প্রথম চেষ্টা নয় এটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ সরকারি ডিভাইসে নিষিদ্ধ করে টিকটক। এবার চীনা মালিকানাধীন শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। তবে ইতালি উদ্বিগ্ন টিকটকের বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট নিয়ে। প্ল্যাটফর্মে ‘ভয়ংকর’ রকমের কনটেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকটক নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি টিকটকে একটি ট্রেন্ড ভাইরাল হয় যা ‘ফ্রেঞ্চ স্কার’ নামে পরিচিত। ট্রেন্ডটির নিয়ম অনুযায়ী, নিজের মুখে নিজেকেই আঘাত করতে হবে। টিকটকে এই ট্রেন্ড ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে ইতালির প্রশাসন
ইতালির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কনটেন্টবিষয়ক টিকটকের নিয়মাবলি দিয়ে রেখেছে, সেদিকে নজর দিচ্ছে না। টিকটক নিজেদের নিয়ম নিজেরাই ভাঙছে বলেও অভিযোগ জানায় ইতালি। আত্মহত্যা, নিজেকে কষ্ট দেওয়া, দারিদ্র্য, খেতে না পাওয়া— এই সমস্ত বিষয়ের ওপর টিকটকে কনটেন্ট রয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এত অভিযোগ সত্ত্বেও কনটেন্টগুলো প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়নি।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ১৬ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে টিকটকের চীনের মালিকানা বিক্রি করতে বাইটড্যান্সের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইউরোপের আরেকটি দেশ বেলজিয়ামের সরকারি ফোনেও নিষিদ্ধ হয় টিকটক।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করছে টিকটকের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক। টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেন, ‘মূলত ভূ-রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা তাদের সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।’
লন্ডনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানায়, ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপ কোনো তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করবে। ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, ‘আমি জনসাধারণকে টিকটক ব্যবহার করার বিরুদ্ধে কোনো পরামর্শ দেব না।’
এদিকে টিকটকের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে টিকটক বিক্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে বাইডেন সরকার। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটকের মালিক ‘বাইটড্যান্স’ মূলত চীনা প্রতিষ্ঠান। কমিটি অন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস (সিএফআইইউএস) চাচ্ছে বাইটড্যান্স যেন টিকটকে নিজের মালিকানা বিক্রি করে দেয়। অন্যথায় প্ল্যাটফর্মটিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক জানিয়েছে, ‘বাইটড্যান্স’ থেকে আলাদা হয়ে গেলেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ডেটা নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কমে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। এদিকে, সিএফআইইউএসের সঙ্গে আলোচনা এগোতে ‘বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন টিকটকের নির্বাহীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের বাইটড্যান্সকে চাপে ফেলে বাধ্য করার প্রথম চেষ্টা নয় এটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম সিমিলার ওয়েবের মতে, প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীদের দিক থেকে থ্রেডসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে ব্লুস্কাই। বর্তমানে ব্লুস্কাইয়ের অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ। এরপরেই রয়েছে থ্রেডস।
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
২ দিন আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
২ দিন আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
২ দিন আগে