টুইটার কেনা নিয়ে তদন্ত: ইলন মাস্ককে তলবে আদালতে এসইসি 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৪: ৪৭
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ১৬

টুইটার (এক্স) কেনার চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে ইলন মাস্ক অসহযোগিতার ঘোষণা দেওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তৃতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইলন মাস্ককে হাজির হতে আদেশের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ইলন মাস্ক অস্বীকার করেছেন জানিয়ে তাঁর আইনজীবী চিঠি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। 

চিঠিতে মাস্কের আইনজীবী অ্যালেক্স স্পিরো লেখেন, সরকারের অনিয়ন্ত্রিত পদক্ষেপ বিপজ্জনক এবং তার উদাহরণ এর মধ্যে মিলেছে। আর তাই বিনা বাধায় কমিশনের হস্তক্ষেপ সহ্য করতে রাজি নন ইলন মাস্ক এবং তিনি কমিশনের দাবি অনুযায়ী সাক্ষ্য দেবেন না।

এসইসির সঙ্গে মাস্কের দ্বন্দ্ব এটিই প্রথম নয়, এর আগে জাতীয় টেলিভিশনে তিনি বলেছিলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি তাঁর কোনো ‘শ্রদ্ধা নেই’। 

গত বছর ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে টুইটার কেনার পর ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এসইসি। সান ফ্রান্সিসকো আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০২২ সালে টুইটার কেনার আগে ওই কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং সেই বিনিয়োগ নিয়ে পরে মন্তব্য করে মাস্ক পুঁজিবাজারবিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেছেন কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে সংস্থাটি।  

এসইসি বলছে, গত জুলাইতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুবার এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন ইলন মাস্ক। অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য তাঁকে আরেক দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। কারণ, এরই মধ্যে তদন্তে নতুন তথ্য মিলেছে, যেগুলো যাচাই করতে হবে। 

এর আগে ইলেক্ট্রিক গাড়ির নির্মাতা কোম্পানি টেসলা কেনার জন্য ‘তহবিল প্রস্তুত’ আছে বলে টুইট করেছিলেন মাস্ক। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালে ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জালিয়াতির অভিযোগ আনে এসইসি।

পরে এ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়। ইলন মাস্ক টুইটারের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোম্পানি কী কী লিখতে পারবে, তা সীমাবদ্ধ করে দেন আদালত।
 
শেয়ার কেনার বিষয়ে তথ্য ফাঁস করে টুইটারের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইলন মাস্ক প্রতারণা করেছেন বলে এ সপ্তাহেই নিউইয়র্কের এক বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে মামলার আদেশ দিয়েছেন। তবে সুবিধাভোগী লেনদেন (ইনসাইডার ট্রেডিং) বা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন রেখে স্বার্থসিদ্ধির জন্য শেয়ার কেনাবেচার অভিযোগ খারিজ হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত