প্রযুক্তি ডেস্ক
ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের ফোনে টিকটক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ বিনোদনমূলক অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স সরকার। মিনিস্ট্রি অব পাবলিক সেক্টর ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড দ্য সিভিল সার্ভিস শুক্রবার টুইটে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানায়। শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাবলিক সেক্টর ট্রান্সফরমেশন এবং সিভিল সার্ভিস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্ট্যানিসলাস গুয়েরিনি গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) টুইটারে লেখেন, ‘আমাদের প্রশাসন ও বেসামরিক কর্মচারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাদের অফিসের ফোনে টিকটকের মতো বিনোদনমূলক অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদার চীনা মালিকানাধীন ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ডাউনলোড ও ইনস্টল করা বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
গুয়েরিনি আরও বলেন, ‘এই অ্যাপগুলোতে সাইবার সুরক্ষা ও ডেটা সুরক্ষাব্যবস্থা পর্যাপ্ত না। এ কারণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য এসব অ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ না।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত ১৬ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে টিকটকের চীনের মালিকানা বিক্রি করতে বাইটড্যান্সের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি, ইউরোপের আরেকটি দেশ বেলজিয়ামের সরকারি ফোনেও নিষিদ্ধ হয় টিকটক।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করছে, টিকটকের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক। টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেন, ‘মূলত ভূ-রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা তাদের সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।’
লন্ডনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানায়, ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপ কোনো তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করবে। ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, ‘আমি জনসাধারণকে টিকটক ব্যবহার করার বিরুদ্ধে কোনো পরামর্শ দেব না।’
এদিকে টিকটকের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে টিকটক বিক্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে বাইডেন সরকার। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটকের মালিক ‘বাইটড্যান্স’ মূলত চীনা প্রতিষ্ঠান। কমিটি অন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস (সিএফআইইউএস) চাইছে বাইটড্যান্স যেন টিকটকে নিজের মালিকানা বিক্রি করে দেয়। অন্যথায় প্ল্যাটফর্মটিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক জানিয়েছে, ‘বাইটড্যান্স’ থেকে আলাদা হয়ে গেলেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ডেটা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কমে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। এদিকে, সিএফআইইউএসের সঙ্গে আলোচনা এগোতে ‘বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন টিকটকের নির্বাহীরা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাইটড্যান্সকে চাপে ফেলে বাধ্য করার প্রথম চেষ্টা নয় এটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় সরকারি কর্মকর্তাদের অফিসের ফোনে টিকটক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ বিনোদনমূলক অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স সরকার। মিনিস্ট্রি অব পাবলিক সেক্টর ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড দ্য সিভিল সার্ভিস শুক্রবার টুইটে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানায়। শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাবলিক সেক্টর ট্রান্সফরমেশন এবং সিভিল সার্ভিস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্ট্যানিসলাস গুয়েরিনি গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) টুইটারে লেখেন, ‘আমাদের প্রশাসন ও বেসামরিক কর্মচারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তাদের অফিসের ফোনে টিকটকের মতো বিনোদনমূলক অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদার চীনা মালিকানাধীন ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ডাউনলোড ও ইনস্টল করা বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
গুয়েরিনি আরও বলেন, ‘এই অ্যাপগুলোতে সাইবার সুরক্ষা ও ডেটা সুরক্ষাব্যবস্থা পর্যাপ্ত না। এ কারণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য এসব অ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ না।’
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত ১৬ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে টিকটকের চীনের মালিকানা বিক্রি করতে বাইটড্যান্সের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি, ইউরোপের আরেকটি দেশ বেলজিয়ামের সরকারি ফোনেও নিষিদ্ধ হয় টিকটক।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করছে, টিকটকের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক। টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেন, ‘মূলত ভূ-রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা তাদের সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।’
লন্ডনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানায়, ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপ কোনো তথ্যের ভিত্তিতে নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থাকে ক্ষুণ্ন করবে। ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, ‘আমি জনসাধারণকে টিকটক ব্যবহার করার বিরুদ্ধে কোনো পরামর্শ দেব না।’
এদিকে টিকটকের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে টিকটক বিক্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে বাইডেন সরকার। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিকটকের মালিক ‘বাইটড্যান্স’ মূলত চীনা প্রতিষ্ঠান। কমিটি অন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস (সিএফআইইউএস) চাইছে বাইটড্যান্স যেন টিকটকে নিজের মালিকানা বিক্রি করে দেয়। অন্যথায় প্ল্যাটফর্মটিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক জানিয়েছে, ‘বাইটড্যান্স’ থেকে আলাদা হয়ে গেলেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ডেটা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কমে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। এদিকে, সিএফআইইউএসের সঙ্গে আলোচনা এগোতে ‘বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন টিকটকের নির্বাহীরা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাইটড্যান্সকে চাপে ফেলে বাধ্য করার প্রথম চেষ্টা নয় এটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও একই প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম সিমিলার ওয়েবের মতে, প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীদের দিক থেকে থ্রেডসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে ব্লুস্কাই। বর্তমানে ব্লুস্কাইয়ের অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ। এরপরেই রয়েছে থ্রেডস।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
২ দিন আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
২ দিন আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
২ দিন আগে