প্রযুক্তি ডেস্ক
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ে তদন্ত চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার। প্ল্যাটফর্মটির কনটেন্টগুলোকে ভিয়েতনামের তারুণ্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য হুমকি জানিয়ে আগামী মে মাস থেকে তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে ভবিষ্যতে ভিয়েতনামে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি লে কোয়াং তু ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এই অ্যাপে থাকা স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও’র কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেক বেশি জটিল।
গবেষণা কোম্পানি ডেটারিপোর্টাল— এর তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ভিয়েতনাম সরকার জানায়, ভিয়েতনামে ১৮ বা এর চেয়ে বেশি বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি টিকটক ব্যবহারকারী আছে। গত বছর, ভিয়েতনাম সরকারের অনুরোধে চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ১৭ লাখ ভিডিও সরিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। এগুলো সরকারী নীতি লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশটি টিকটকে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না— জানতে চাইলে ডো বলেন, ‘যারা স্থানীয় নীতি মেনে চলবে না, তাদের ভিয়েতনামে কোনো জায়গা হবে না।’
এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের ডিভাইসে টিকটক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) টিকটকে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক ক্যানবেরার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ড্রেফুস নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘পদক্ষেপটি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা হবে।’
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত টিকটকের চীনা মহাপরিচালক লি হান্টার এই সিদ্ধান্তে হতাশা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মতে, সিদ্ধান্তটি রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত।’
টিকটকের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ বা তার বেশি বয়সী টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৩ লাখ। অ্যাপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শও জি চিউ বলেন, ‘চীনা সরকার কখনোই তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য চায়নি। ভবিষ্যতে কখনো চাইলেও তারা দেবে না।’
সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সরকারি ডিভাইসে নিষিদ্ধ করা হয় টিকটক। একই কারণ দেখিয়ে গত ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তাদের অফিসের ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাটোর দুজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ন্যাটোর দেওয়া ডিভাইসে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকটক ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধের কারণে আগেও ন্যাটোর ডিভাইসে টিকটক ব্যবহারে করা যেত না। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হলো।
ন্যাটোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ন্যাটোর সাইবার নিরাপত্তা সবার আগে। টিকটক ন্যাটো ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য নয়। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে চীনের এই জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিকে নিষিদ্ধ করেছে ন্যাটো।
এর আগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ১৬ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে টিকটকের চীনের মালিকানা বিক্রি করতে বাইটড্যান্সের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইউরোপের আরেকটি দেশ বেলজিয়ামের সরকারি ফোনেও নিষিদ্ধ হয় টিকটক।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করছে, টিকটকের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক। টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেন, ‘মূলত ভূরাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা তাদের সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।’
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ে তদন্ত চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার। প্ল্যাটফর্মটির কনটেন্টগুলোকে ভিয়েতনামের তারুণ্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য হুমকি জানিয়ে আগামী মে মাস থেকে তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়। এতে করে ভবিষ্যতে ভিয়েতনামে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি লে কোয়াং তু ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এই অ্যাপে থাকা স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও’র কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেক বেশি জটিল।
গবেষণা কোম্পানি ডেটারিপোর্টাল— এর তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ভিয়েতনাম সরকার জানায়, ভিয়েতনামে ১৮ বা এর চেয়ে বেশি বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি টিকটক ব্যবহারকারী আছে। গত বছর, ভিয়েতনাম সরকারের অনুরোধে চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ১৭ লাখ ভিডিও সরিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। এগুলো সরকারী নীতি লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশটি টিকটকে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না— জানতে চাইলে ডো বলেন, ‘যারা স্থানীয় নীতি মেনে চলবে না, তাদের ভিয়েতনামে কোনো জায়গা হবে না।’
এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের ডিভাইসে টিকটক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) টিকটকে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক ক্যানবেরার অ্যাটর্নি জেনারেল মার্ক ড্রেফুস নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘পদক্ষেপটি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা হবে।’
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত টিকটকের চীনা মহাপরিচালক লি হান্টার এই সিদ্ধান্তে হতাশা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মতে, সিদ্ধান্তটি রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত।’
টিকটকের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ বা তার বেশি বয়সী টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮৩ লাখ। অ্যাপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শও জি চিউ বলেন, ‘চীনা সরকার কখনোই তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য চায়নি। ভবিষ্যতে কখনো চাইলেও তারা দেবে না।’
সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সরকারি ডিভাইসে নিষিদ্ধ করা হয় টিকটক। একই কারণ দেখিয়ে গত ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তাদের অফিসের ডিভাইসে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ন্যাটোর দুজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ন্যাটোর দেওয়া ডিভাইসে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকটক ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ প্রযুক্তিগত বিধিনিষেধের কারণে আগেও ন্যাটোর ডিভাইসে টিকটক ব্যবহারে করা যেত না। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হলো।
ন্যাটোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ন্যাটোর সাইবার নিরাপত্তা সবার আগে। টিকটক ন্যাটো ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য নয়। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে চীনের এই জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিকে নিষিদ্ধ করেছে ন্যাটো।
এর আগে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে থাকা সরকারি ফোনে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ১৬ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য সরকার। এদিকে টিকটকের চীনের মালিকানা বিক্রি করতে বাইটড্যান্সের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইউরোপের আরেকটি দেশ বেলজিয়ামের সরকারি ফোনেও নিষিদ্ধ হয় টিকটক।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ সরকার আশঙ্কা করছে, টিকটকের মাধ্যমে সরকারি ফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য চীন সরকারের হাতে চলে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেন, টিকটক অ্যাপে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা ‘সতর্কতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকটক। টিকটকের গভর্নমেন্ট রিলেশনস অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ইন ইউরোপের ভাইস প্রেসিডেন্ট থিও বার্ট্রাম বলেন, ‘মূলত ভূরাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা তাদের সবকিছু বিবেচনা করতে বলেছি।’
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
১৭ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
১৯ ঘণ্টা আগে