প্রযুক্তি ডেস্ক
টুইটারে ‘কানায়েলান’ নামে একটি প্রোফাইল দেখে যথেষ্ট সাধারণ মনে হলেও এটি মূলত একটি বট। অপপ্রচার ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে। বাস্কেটবল থেকে টেলর সুইফট, টটেনহাম হটস্পার ফুটবল ক্লাব থেকে কিটক্যাটের দাম পর্যন্ত সব বিষয়ে টুইট করা হয়েছে এই প্রোফাইল থেকে, যা দেখে কারও এটিকে অন্তত বটচালিত প্রোফাইল মনে হবে না। ‘কানায়েলান’ বটটি আরও হাজারো বটের সঙ্গে যুক্ত, যেগুলো একটি মূল সফটওয়্যার দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সফটওয়্যারটি ৩০ হাজার ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অ্যাডভান্সড ইমপ্যাক্ট মিডিয়া সলিউশনস’ বা ‘এআইএমএস’ নামের এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কোনো ভুয়া তথ্যকে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এটি ইসরায়েল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টিম জর্জ’ বিক্রি করে থাকে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে গুরুতর তথ্য প্রকাশ করেছে।
‘জর্জ’ ছদ্মনাম ব্যবহার করে গোপন গ্রুপটি চালান তাল হানান। তিনি ইসরায়েলি স্পেশাল ফোর্সের সাবেক চর। সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা সফটওয়্যারটির অ্যাকসেস বেনামি গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক দল এবং করপোরেট ক্লায়েন্টদের কাছে বিক্রি করেছেন। তাঁদের মতে, এটি এমন একজন ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করা হয়েছে যিনি যুক্তরাজ্যের সংবিধিবদ্ধ নজরদারি সংস্থা তথ্য কমিশনার অফিসকে (আইসিও) প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।
২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর আইসিও রায় দেয়, রাজনৈতিকভাবে সম্পর্কিত কোন কোন কোম্পানিকে পিপিই সরবরাহ করার জন্য মাল্টিমিলিয়ন পাউন্ডের ঠিকাদারি দেওয়া হয়েছিল তা সরকারের প্রকাশ করা উচিত। এই রায়ের দুদিন পরেই বটচালিত টুইটার অ্যাকাউন্ট কানায়েলান পোস্ট করে, ‘এটা পরিষ্কার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!’
বটগুলো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এভাবেই একযোগে নেতিবাচক মন্তব্য করে। যেমন আইসিওর ব্যাপারে আরেকটি বট মন্তব্য করে, ‘কমিশন সরকারের সবকিছু ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।’ আরেকটি বলে, ‘ওই রায়টি একটি বেপরোয়া সিদ্ধান্ত।’
এভাবেই বাকি বটগুলো টুইটারে একযোগে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে, আইসিওর এসব কাজ আসলে ‘সময় নষ্ট’ এবং ‘বাখোয়াজ’।
শুধু তা–ই নয়, বটগুলো আইসিওর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে। তারা বলে, কমিশনের সঙ্গে ঘুষ ও দুর্নীতি এবং কট্টর ডানপন্থীদের সম্পর্ক রয়েছে।
মহামারিকালে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতার বিষয়ে আইসিও জোর দিলে, সে ব্যাপারটিও হালকা করে দেখানোর চেষ্টা করে অন্য বটেরা। একটি বট বলে, ‘যুক্তরাজ্যে এগুলো সাধারণ ঘটনা...। কমিশন ভুল ইস্যুতে জোর দিচ্ছে’।
তবে আইসিওর বিরুদ্ধে টিম জর্জকে কারা নিয়োগ করল বা কারাই বা নিয়োগ করল সে ব্যাপারে হানান কিছু বলেননি। তিনি শুধু দাবি করেন, এখানে তাঁর কোনো ভুল নেই।
বটগুলোর মাধ্যমে টুইটার, লিঙ্কডইন, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, জিমেইল, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কোনো কোনো বটের ক্রেডিট কার্ড, বিটকয়েন ওয়ালেট এবং এয়ারবিএনবি অ্যাকাউন্টসহ আমাজন অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আইসিওর বিরুদ্ধে এআইএমএসের এই অপপ্রচারটি স্বল্পস্থায়ী হলেও বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যারটির কার্যক্রম গুরুতর বলেই দেখতে পেয়েছেন সাংবাদিকেরা। কারণ দেখা গেছে, তাদের কাজ শুধু বট নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
হানান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রত্যেক বটের একাধিক ডিজিটাল কার্যক্রম রয়েছে।
হানান জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত বটগুলো মানুষের আচরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হুবহু নকল করতে পারে।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান, ফ্রান্সের লা মোঁদ এবং জার্মানির দার স্পিগেল পত্রিকার সাংবাদিকেরা ফেসবুক ও টুইটারে এআইএমএস সংশ্লিষ্ট অন্তত ২ হাজার বটের ব্যাপক তৎপরতা শনাক্ত করতে পেরেছেন।
চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকেরা ভুয়া অ্যাকাউন্টের একটি নমুনা শেয়ার করার পর মেটার প্ল্যাটফর্ম থেকে এআইএমএস চালিত বটগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মেটার একজন মুখপাত্র জানান, এআইএমএস বটগুলোর সঙ্গে অন্য যেসব বটের সংযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো ২০১৯ সালে একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের (বর্তমানে বিলুপ্ত) সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। সম্পর্কিত বটগুলো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেটার মুখপাত্র বলেন, ‘এআইএমএসের সর্বশেষ কার্যকলাপ একই বটগুলোর ফিরে আসার একটি প্রচেষ্টা। আমরা আমাদের নীতি লঙ্ঘনের জন্য তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’
টুইটারে ‘কানায়েলান’ নামে একটি প্রোফাইল দেখে যথেষ্ট সাধারণ মনে হলেও এটি মূলত একটি বট। অপপ্রচার ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে। বাস্কেটবল থেকে টেলর সুইফট, টটেনহাম হটস্পার ফুটবল ক্লাব থেকে কিটক্যাটের দাম পর্যন্ত সব বিষয়ে টুইট করা হয়েছে এই প্রোফাইল থেকে, যা দেখে কারও এটিকে অন্তত বটচালিত প্রোফাইল মনে হবে না। ‘কানায়েলান’ বটটি আরও হাজারো বটের সঙ্গে যুক্ত, যেগুলো একটি মূল সফটওয়্যার দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সফটওয়্যারটি ৩০ হাজার ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অ্যাডভান্সড ইমপ্যাক্ট মিডিয়া সলিউশনস’ বা ‘এআইএমএস’ নামের এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কোনো ভুয়া তথ্যকে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এটি ইসরায়েল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘টিম জর্জ’ বিক্রি করে থাকে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে গুরুতর তথ্য প্রকাশ করেছে।
‘জর্জ’ ছদ্মনাম ব্যবহার করে গোপন গ্রুপটি চালান তাল হানান। তিনি ইসরায়েলি স্পেশাল ফোর্সের সাবেক চর। সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা সফটওয়্যারটির অ্যাকসেস বেনামি গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক দল এবং করপোরেট ক্লায়েন্টদের কাছে বিক্রি করেছেন। তাঁদের মতে, এটি এমন একজন ক্লায়েন্টের কাছে বিক্রি করা হয়েছে যিনি যুক্তরাজ্যের সংবিধিবদ্ধ নজরদারি সংস্থা তথ্য কমিশনার অফিসকে (আইসিও) প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।
২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর আইসিও রায় দেয়, রাজনৈতিকভাবে সম্পর্কিত কোন কোন কোম্পানিকে পিপিই সরবরাহ করার জন্য মাল্টিমিলিয়ন পাউন্ডের ঠিকাদারি দেওয়া হয়েছিল তা সরকারের প্রকাশ করা উচিত। এই রায়ের দুদিন পরেই বটচালিত টুইটার অ্যাকাউন্ট কানায়েলান পোস্ট করে, ‘এটা পরিষ্কার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!’
বটগুলো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এভাবেই একযোগে নেতিবাচক মন্তব্য করে। যেমন আইসিওর ব্যাপারে আরেকটি বট মন্তব্য করে, ‘কমিশন সরকারের সবকিছু ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।’ আরেকটি বলে, ‘ওই রায়টি একটি বেপরোয়া সিদ্ধান্ত।’
এভাবেই বাকি বটগুলো টুইটারে একযোগে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে, আইসিওর এসব কাজ আসলে ‘সময় নষ্ট’ এবং ‘বাখোয়াজ’।
শুধু তা–ই নয়, বটগুলো আইসিওর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে। তারা বলে, কমিশনের সঙ্গে ঘুষ ও দুর্নীতি এবং কট্টর ডানপন্থীদের সম্পর্ক রয়েছে।
মহামারিকালে সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতার বিষয়ে আইসিও জোর দিলে, সে ব্যাপারটিও হালকা করে দেখানোর চেষ্টা করে অন্য বটেরা। একটি বট বলে, ‘যুক্তরাজ্যে এগুলো সাধারণ ঘটনা...। কমিশন ভুল ইস্যুতে জোর দিচ্ছে’।
তবে আইসিওর বিরুদ্ধে টিম জর্জকে কারা নিয়োগ করল বা কারাই বা নিয়োগ করল সে ব্যাপারে হানান কিছু বলেননি। তিনি শুধু দাবি করেন, এখানে তাঁর কোনো ভুল নেই।
বটগুলোর মাধ্যমে টুইটার, লিঙ্কডইন, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, জিমেইল, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কোনো কোনো বটের ক্রেডিট কার্ড, বিটকয়েন ওয়ালেট এবং এয়ারবিএনবি অ্যাকাউন্টসহ আমাজন অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আইসিওর বিরুদ্ধে এআইএমএসের এই অপপ্রচারটি স্বল্পস্থায়ী হলেও বিশ্বব্যাপী সফটওয়্যারটির কার্যক্রম গুরুতর বলেই দেখতে পেয়েছেন সাংবাদিকেরা। কারণ দেখা গেছে, তাদের কাজ শুধু বট নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
হানান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রত্যেক বটের একাধিক ডিজিটাল কার্যক্রম রয়েছে।
হানান জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত বটগুলো মানুষের আচরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হুবহু নকল করতে পারে।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান, ফ্রান্সের লা মোঁদ এবং জার্মানির দার স্পিগেল পত্রিকার সাংবাদিকেরা ফেসবুক ও টুইটারে এআইএমএস সংশ্লিষ্ট অন্তত ২ হাজার বটের ব্যাপক তৎপরতা শনাক্ত করতে পেরেছেন।
চলতি সপ্তাহে সাংবাদিকেরা ভুয়া অ্যাকাউন্টের একটি নমুনা শেয়ার করার পর মেটার প্ল্যাটফর্ম থেকে এআইএমএস চালিত বটগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মেটার একজন মুখপাত্র জানান, এআইএমএস বটগুলোর সঙ্গে অন্য যেসব বটের সংযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো ২০১৯ সালে একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের (বর্তমানে বিলুপ্ত) সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। সম্পর্কিত বটগুলো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেটার মুখপাত্র বলেন, ‘এআইএমএসের সর্বশেষ কার্যকলাপ একই বটগুলোর ফিরে আসার একটি প্রচেষ্টা। আমরা আমাদের নীতি লঙ্ঘনের জন্য তাদের সরিয়ে দিয়েছি।’
এক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
৭ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিয়মিত নতুন উদ্ভাবনী ধারণা ও প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার জন্য পরিচিত জাপান। এবার ‘মানুষ ধোয়ার মেশিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিল দেশটি। এটি মানুষ গোসলের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কার্যকারিতা ও ডিজাইন দেখে একে ‘মানুষ ধোয়ার ওয়াশিং মেশিন’ বলে আখ্যা দিয়েছে অনেকই।
৯ ঘণ্টা আগে