
চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার না কমিয়ে ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে বিনিয়োগ এমনিতেই চাপে আছে, তখন সংকোচনমূলক এই মুদ্রানীতি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

নীতি সুদহার বিদ্যমান ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য প্রণীত এই মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য ধরা হয়েছে। তবে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সামগ্রিক পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু সুদহারকে হাতিয়ার করে

নীতি সুদহার বিদ্যমান ১০ শতাংশেই অপরিবর্তিত রেখেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর আশা করছে বাংলাদেশ। তবে আমানতের ধীর প্রবৃদ্ধি ও সরকারি ঋণের গতি এই আশা পূর্ণ নাও করতে পারে।তাছাড়া ব্যবসায়ীরা অতি উচ্চ সুদহারে ঋণ না নিতে আগ্রহী হতে পারে।

নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর সেই নীতি থেকে সরে এসে আগের সুদহার অপরিবর্তিত রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে, তবে তা নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে নয়, মৌসুমী সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে।