বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
সাহিত্য
তোমার জন্য চিঠি-১
শান্ত কোমল সৃষ্টি তুমি, বিনাশ নও মেঘ তো ছিলেই এবার তুমি বৃষ্টি হও
প্রণয়
ড্রয়ার খুলে চিঠির স্তূপ বের করল চৈতি। গুনে গুনে দেখল মোট ৪৮টি চিঠি। এই ৪৮টি চিঠি ৪৮ জনের পাঠানো বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কোনো ছেলেকেই মনে ধরেনি চৈতির। তাই সবিনয়ে সবগুলো প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সৌরভকে দেখার পর তার বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠল। ফলে সে বুঝতে পেরেছে এই পৃথিবীতে প্রেম বলে সত্যি সত্যি
কতিপয় চরিত্র
একজন লোক, বিমানবাহিনীর সদস্য। প্রশিক্ষণে যুদ্ধবিমান চালনায় খুব দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিপক্ষের ওপর বিমান হামলার দায়িত্ব দেওয়া হলো তাকে। দীর্ঘ পথ বিমান চালনার অনুমতি পেয়ে সে খুশি। শব্দের গতিতে ফাইটার ছুটল। দ্রুতই সে উঁচুতে উঠে গেল, আর দেখা গেল না। এত উঁচুতে উঠে যে, সে মেঘের প্রেমে পড়ে যায়।
ব্যাঙেরা যাবে বর্ষাপুরে
পাঁচ-পাঁচটি ঋতু চলে গেল। এক মাস হয়ে গেল গ্রীষ্ম চলে যাওয়ার। তবুও কোনো বৃষ্টি নামার নাম নেই। চারদিক খাঁ খাঁ করছে। রাতের বেলা প্রাসাদের ভেতর সবাই চুপচাপ হয়ে বসে আছে। প্রাসাদটা ইট বা পাথরের নয়। গাছের গুঁড়ির। কদমগাছের। ওরা খুবই চিন্তিত। ওরা মানে ব্যাঙেরা।
অনুবাদ লিখন-কৌশল
অনুবাদ হলো ভাষান্তর, এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর। বৈশ্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের প্রধান উপায় হচ্ছে অনুবাদ। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি বিভিন্ন ভাষায় সাহিত্য-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে...
সবুজ পল্লী সাহিত্য পত্রিকার উদ্বোধনী
৯৬ বছর পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত `সবুজ পল্লী সাহিত্য' পত্রিকার দ্বিতীয় সংস্করণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে।
খাসি তার সঙ্গে ঘুমাবে
পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।পুরো বাড়িতে মাংস-মাংস গন্ধ থাকত। কয়েক দিন টানা মাংস খেতাম। আগে সাত দিন পর্যন্ত যেন ঈদ-ঈদ একটা আবেশ থাকত। এখন নেই।
পারিওয়ালী
হাত চলে, পা চলে তাঁত চলে, তাঁত চলে…
দুজনের মিলিত কবিতা
ওই আঙুলে হৃদয় আছে হৃদয় আছে চুলেও
শাড়ি
লোকটা এক মুহূর্ত চিন্তা করল। যেন বিশেষ কেউ কি না—এ ব্যাপারে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তারপর দ্বিধা কাটিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ, বিশেষ তো অবশ্যই... বৃষ্টির মতো সুন্দর সময়ে কারও কথা মনে পড়লে সে তো বিশেষই, তাই না?’
দ্বিতীয় গ্রন্থ
ছয় বছর বয়সে আমার মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বেশ মনে আছে বিয়ের হলুদ হচ্ছে, সবাই হলুদ শাড়ি পরে মা’র কপালে, চিবুকে আলতো হলুদ লাগিয়ে দিচ্ছে আর একটু করে কেটে কেটে মিষ্টি তুলে দিচ্ছে মুখে। মাকে অপূর্ব লাগছিল হলুদ হলুদ আভায়। আমি মায়ের আঁচল ধরে বসে ছিলাম অনেক ক্ষণ।
লবণ না সল্ট চাই
কী মুশকিল! সল্ট ছাড়া ছোট্ট রাইয়ানের কান্না থামছেই না। এখন ওর সল্ট কোথায় পাবে! সেই কখন থেকে মা বলছে ফ্রেঞ্চফ্রাই খাও, এটাতে সল্ট আছে। স্যুপ খাও, এটাতেও সল্ট আছে। কত্তগুলা খাবার রাইয়ানের সামনে। ওর চাচা, ফুপি, দাদি সবাই বুঝিয়ে বলছে, এখানে সবগুলো খাবারেই সল্ট আছে। উঁহু! তাতেও লাভ হচ্ছে না কিছু। রাইয়ানের
নাজকির শব্দের বিলাপ
কাশ্মীরে মৌসুমের সেই জৌলুশ আর নেই। খড়কুটোর মতো করে মানুষকে যেখানে বিতস্তা তথা ঝিলমের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে কোনো কিছুই আর ঠিকমতো চলতে পারে না। ঠিকমতো বৃষ্টি নামে না। তুষারঝড় ও শিলাবৃষ্টির পিঠে ভর করে ধেয়ে আসে দানবেরা। নাজকির দিনকাল ভালো যায় না। হতাশা জেঁকে বসে তাঁর ভেতর। গুলরিজ শহরের পুরোনো প্র
আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক অসহায় কবি
কাশ্মীরে বিরাজমান এই আগুন-আগুন খেলার সামনে নিদারুণ অসহায় নাজকি। দরজার ফাঁক গলে বাতাসের ডানায় ভর করে বসতঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে সংঘাত-অস্থিরতা। ইট দিয়ে সেই দরজা এঁটে দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বরং অনেক মানুষের মতো কবি নাজকিও দরজা-বাতাসের ইঁদুর-বিড়াল খেলার এই উপদ্রব থেকে বাঁচতে ভিন্ন পথে ঘরে প্রবেশ করছেন।
কাফকার ছবি ছবির কাফকা
ফকা-সাহিত্যের অধিকাংশ লেখা লেখকের জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি, আমরা জানি। মানুষের ধূসর একাকিত্ব এবং তীব্র বিমূর্ততাকে লিপিবদ্ধ করে গেছেন জীবনভর। যন্ত্রনির্ভরতাকাতর এই নতুন পৃথিবীর বীভৎস, রূঢ়, কর্কশ বাস্তবতা অসম্পাদিত আকারেই আমরা তাঁর লেখাপত্রে দেখি।
খুশবু কিংবা অ্যাসিডের কবিতা
কবিতার কাফনে জড়ানো কম্পিত দেহ, অন্ধকার সড়কে মাথা ঘষতে থাকা সন্ধ্যা, নির্জন-নৈঃশব্দ্যের ভয়কাতর চাঁদ, বিভ্রান্ত উত্তাল নির্বাক শহর কিংবা বৃক্ষে ঝোলানো ক্রুশের ছায়ার সুনির্দিষ্ট একটি সময় আছে। নতুন শহর এবং সমাজের চিত্র শব্দের আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে সময়ের এই দাগে। যেখানে ভয় আছে, দৃশ্যের বিবরণ আছে, জীবন আছ
ভূস্বর্গের কবি ফারুক নাজকি
সুকান্তের সেই ‘নন্দন-কানন’ এখন আর আগের মতো নেই। স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদ ও ভূখণ্ডের অধিকারী কাশ্মীর এখন তিন টুকরো। কাশ্মীরের সব সৌন্দর্য গিলে নিয়েছে এশিয়ার তিন অজগর—পাকিস্তান, ভারত ও চীন। স্বর্গীয় কাশ্মীর পরিণত হয়েছে জ্বলন্ত নরকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যেতে থাকে কাশ্মীরি জাতিসত্তা