ভূমি অফিসের কথা শুনতেই বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আজাদুল ইসলাম বলে ওঠেন, ‘ওরে বাপরে ভূমি অফিস! ওহানে তো ঘুষ ছাড়া কোনো কামই অয়না।’ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন জমির দাখিলার জন্য। কিন্তু সেখানের এক কর্মচারীর ঘুষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।
পেশা বদলে মো. রুবেল এখন পুরোদস্তুর রিকশাচালক। এই তিন চাকাতেই চলে তাঁর সাতজনের সংসার। রুবেল সবই বোঝেন। বোঝেন বলেই বললেন, ‘যেভাবে মানুষ মরছে, তাতে লকডাউন দেওয়া ঠিক আছে। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ, আমরা তো বাঁচতে পারি না। আবার সব দিক দেখলে ঠিক আছে। আমাদের বাঁচার ব্যবস্থা করে লকডাউন দিক, কোনো সমস্যা নেই।’