ইশতিয়াক হাসান
পোল্যান্ডের আলকাসকা আপল্যান্ডের এক গ্রাম সুবোশকা। মজার ব্যাপার হলো, গ্রামটির ৬ হাজার বাসিন্দার সবাই থাকেন একটি রাস্তার দুপাশে বাড়ি-ঘর বানিয়ে।
ক্রাকুফ শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গ্রামটির অবস্থান। এখন যেভাবে আছে, মোটামুটি সেভাবেই আছে অনেক বছর ধরে। তবে তখন একে নিয়ে কোনো মাতামাতি ছিল না, আরও পরিষ্কারভাবে বললে এর কথা খুব বেশি মানুষ জানতও না। তবে ইদানীং ড্রোনে তোলা কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গ্রামটি নজর কাড়ে বিশ্ববাসীর।
পাখির চোখে দেখা এসব ছবি আসলেই মন কেড়ে নেয়। এগুলোতে দেখা যায় একটি রাস্তার দুপাশে গড়ে উঠেছে শত শত বাড়ি। তারপর যত দূর চোখ যায়, নানারঙা ফসলের খেত। সবকিছু মিলিয়ে জন্ম দিয়েছে আশ্চর্য এক সৌন্দর্যের। গ্রামটি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ে, যখন জানা যায়, এখানকার প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দার সবাই ৯ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ একটি রাস্তার দুপাশেই থাকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে।
ওপর থেকে তোলা সুবোশকা গ্রামের ছবি পোল্যান্ডে ভাইরাল হয় দুই বছর আগে, অর্থাৎ ২০২১ সালে। তবে এ মাসেই গ্রামটির একটি ড্রোন ভিডিও নজর কাড়ে সারা পৃথিবীর মানুষের। একটিমাত্র রাস্তার দুই ধারে সব বাড়ি, চারপাশ ঘিরে থাকা ফসলের খেত—সব মিলিয়ে রীতিমতো মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলেছে গ্রামটি সৌন্দর্যপিয়াসী মানুষকে।
এভাবে এক রাস্তার দুপাশের গ্রামের সব ঘর-বাড়ির অবস্থানকে ‘অদ্ভুত’ বলেছে মেইল অনলাইন কিংবা দ্য সানের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে পোল্যান্ডের বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইটে পোলিশরা মন্তব্য করেছেন, একটি রাস্তাকে ঘিরে এভাবে গ্রাম গড়ে ওঠা একেবারে অস্বাভাবিক নয় মধ্য ইউরোপের দেশটিতে। ওপর থেকে তোলা ছবিটি একে অসাধারণ করে তুলেছে।
‘সাধারণত রাস্তা ঘিরে যেসব গ্রাম গড়ে ওঠে, এরকমই এটা। তবে পার্থক্য হলো, গ্রামটি অনেকটাই লম্বা।’ মন্তব্য করেন একজন।
‘একজন আমাকে বুঝিয়ে বলেন, এর মধ্যে খুব অস্বাভাবিক কী আছে? সাধারণ একটি রাস্তা।’ আরেক জন লেখেন।
এবার বরং গ্রামটির একজন বাসিন্দার কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার ব্যাপারে তাঁদের অনুভূতি ও গ্রামটি সম্পর্কে।
‘ইন্টারনেটে ওপর থেকে তোলা ছবিটি দেখেছি আমি। আমি জানি লোকেরা আমাদের নিয়ে কথা বলছে। অবশ্য এতে অবাক হইনি, দৃশ্যটি আসলেই অসাধারণ।’ বলেন স্থানীয় একটি দোকানের মালিক এদিতা।
একজনকে মালসামাল বুঝিয়ে দিতে দিতে এই নারী বলেন, ‘এখানে চমৎকার একটি কমিউনিটি আছে। আমরা স্ট্রবেরি ডে উদ্যাপন করি, তখন একসঙ্গে নতুন ফসলের তৈরি খাবারের স্বাদ নিই আর গান-বাজনা করি। তেমনি পটেটো ডেতে সবাই একত্র হয়ে একই ধরনের উৎসব করি।’
‘আমাদের এখানকার বাসিন্দারা গল্প করতে পছন্দ করি। সবাই সবাইকে চিনি।’ আরও বলেন তিনি।
যে যাই বলুন, গ্রামটি অবশ্যই আর দশটি সাধারণ গ্রামের চেয়ে আলাদা। হয়তো ইউরোপে এক রাস্তার এমন গ্রাম খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে এ রকম বর্ণিল সব ফসলি জমির প্রাকৃতিক নকশার মধ্যে এক রাস্তার দুপাশে শত শত ঘর-বাড়ি, সব মিলিয়ে যে ছবিটি পাওয়া যায় এটা আসলেই অনন্য।
চমৎকার এই গ্রাম সম্পর্কে জেনে আর ছবি দেখে সম্ভবত পরের ইউরোপ সফরে গ্রামটিতে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সেক্ষেত্র আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া হতে পারে দ্য রেড ট্রেইল অব দ্য ইগল নেস্টসে একটি ভ্রমণ। ওই পথে চৌদ্দ শতকে তৈরি চমৎকার সব দুর্গ আর প্রাসাদের দেখা পাবেন।
ছবি: অডিটি সেন্ট্রাল, ডেইলি মেইল, দ্য ফার্স্ট নিউজ
পোল্যান্ডের আলকাসকা আপল্যান্ডের এক গ্রাম সুবোশকা। মজার ব্যাপার হলো, গ্রামটির ৬ হাজার বাসিন্দার সবাই থাকেন একটি রাস্তার দুপাশে বাড়ি-ঘর বানিয়ে।
ক্রাকুফ শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গ্রামটির অবস্থান। এখন যেভাবে আছে, মোটামুটি সেভাবেই আছে অনেক বছর ধরে। তবে তখন একে নিয়ে কোনো মাতামাতি ছিল না, আরও পরিষ্কারভাবে বললে এর কথা খুব বেশি মানুষ জানতও না। তবে ইদানীং ড্রোনে তোলা কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গ্রামটি নজর কাড়ে বিশ্ববাসীর।
পাখির চোখে দেখা এসব ছবি আসলেই মন কেড়ে নেয়। এগুলোতে দেখা যায় একটি রাস্তার দুপাশে গড়ে উঠেছে শত শত বাড়ি। তারপর যত দূর চোখ যায়, নানারঙা ফসলের খেত। সবকিছু মিলিয়ে জন্ম দিয়েছে আশ্চর্য এক সৌন্দর্যের। গ্রামটি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ে, যখন জানা যায়, এখানকার প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দার সবাই ৯ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ একটি রাস্তার দুপাশেই থাকে ঘর-বাড়ি বানিয়ে।
ওপর থেকে তোলা সুবোশকা গ্রামের ছবি পোল্যান্ডে ভাইরাল হয় দুই বছর আগে, অর্থাৎ ২০২১ সালে। তবে এ মাসেই গ্রামটির একটি ড্রোন ভিডিও নজর কাড়ে সারা পৃথিবীর মানুষের। একটিমাত্র রাস্তার দুই ধারে সব বাড়ি, চারপাশ ঘিরে থাকা ফসলের খেত—সব মিলিয়ে রীতিমতো মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলেছে গ্রামটি সৌন্দর্যপিয়াসী মানুষকে।
এভাবে এক রাস্তার দুপাশের গ্রামের সব ঘর-বাড়ির অবস্থানকে ‘অদ্ভুত’ বলেছে মেইল অনলাইন কিংবা দ্য সানের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে পোল্যান্ডের বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইটে পোলিশরা মন্তব্য করেছেন, একটি রাস্তাকে ঘিরে এভাবে গ্রাম গড়ে ওঠা একেবারে অস্বাভাবিক নয় মধ্য ইউরোপের দেশটিতে। ওপর থেকে তোলা ছবিটি একে অসাধারণ করে তুলেছে।
‘সাধারণত রাস্তা ঘিরে যেসব গ্রাম গড়ে ওঠে, এরকমই এটা। তবে পার্থক্য হলো, গ্রামটি অনেকটাই লম্বা।’ মন্তব্য করেন একজন।
‘একজন আমাকে বুঝিয়ে বলেন, এর মধ্যে খুব অস্বাভাবিক কী আছে? সাধারণ একটি রাস্তা।’ আরেক জন লেখেন।
এবার বরং গ্রামটির একজন বাসিন্দার কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠার ব্যাপারে তাঁদের অনুভূতি ও গ্রামটি সম্পর্কে।
‘ইন্টারনেটে ওপর থেকে তোলা ছবিটি দেখেছি আমি। আমি জানি লোকেরা আমাদের নিয়ে কথা বলছে। অবশ্য এতে অবাক হইনি, দৃশ্যটি আসলেই অসাধারণ।’ বলেন স্থানীয় একটি দোকানের মালিক এদিতা।
একজনকে মালসামাল বুঝিয়ে দিতে দিতে এই নারী বলেন, ‘এখানে চমৎকার একটি কমিউনিটি আছে। আমরা স্ট্রবেরি ডে উদ্যাপন করি, তখন একসঙ্গে নতুন ফসলের তৈরি খাবারের স্বাদ নিই আর গান-বাজনা করি। তেমনি পটেটো ডেতে সবাই একত্র হয়ে একই ধরনের উৎসব করি।’
‘আমাদের এখানকার বাসিন্দারা গল্প করতে পছন্দ করি। সবাই সবাইকে চিনি।’ আরও বলেন তিনি।
যে যাই বলুন, গ্রামটি অবশ্যই আর দশটি সাধারণ গ্রামের চেয়ে আলাদা। হয়তো ইউরোপে এক রাস্তার এমন গ্রাম খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে এ রকম বর্ণিল সব ফসলি জমির প্রাকৃতিক নকশার মধ্যে এক রাস্তার দুপাশে শত শত ঘর-বাড়ি, সব মিলিয়ে যে ছবিটি পাওয়া যায় এটা আসলেই অনন্য।
চমৎকার এই গ্রাম সম্পর্কে জেনে আর ছবি দেখে সম্ভবত পরের ইউরোপ সফরে গ্রামটিতে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সেক্ষেত্র আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া হতে পারে দ্য রেড ট্রেইল অব দ্য ইগল নেস্টসে একটি ভ্রমণ। ওই পথে চৌদ্দ শতকে তৈরি চমৎকার সব দুর্গ আর প্রাসাদের দেখা পাবেন।
ছবি: অডিটি সেন্ট্রাল, ডেইলি মেইল, দ্য ফার্স্ট নিউজ
৯১১-তে ফোন দিয়ে কত জরুরি প্রয়োজনেই তো সাহায্য চায় মানুষ। তাই বলে নিশ্চয় আশা করবেন না কেউ অঙ্ক মিলিয়ে দিতে বলবে। কিন্তু ৯১১-তে ফোন দিয়ে এ আবদারই করে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের ১০ বছরের এক বালক।
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এক ফ্লাইটের যাত্রীরা অপর এক যাত্রীকে মাঝপথে চেপে ধরে হাত-পা টেপ দিয়ে আটকে দেন। অবশ্য ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তিনি উড়োজাহাজটি ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় দরজা খুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
৩ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
৩ দিন আগে